মূলনীতি কমিটি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
<!-- অনুগ্রহ করে এই বিজ্ঞপ্তিটি কোন অবস্থাতেই অপসারণ বা পরিবর্তন করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রস্তাবনার উপর আলোচনা শেষ হয়। -->
{{Article for deletion/dated|page=মূলনীতি কমিটি|timestamp=20200702113309|year=২০২০|month=জুলাই|day=২|substed=yes|help=off}}
<!-- শুধুমাত্র প্রশাসকের ব্যবহারের জন্য: {{পুরনো নিঅপ্র বহু|পাতা=মূলনীতি কমিটি|তারিখ=২ জুলাই ২০২০|ফলাফল='''রেখে দেওয়ার'''}} -->
<!-- অপসারণ প্রস্তাবনার বার্তা শেষ, এর নিচে স্বাচ্ছন্দ্যে সম্পাদনা করুন -->
লিয়াকত আলী খান যখন পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথম গণপরিষদে সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি আদর্শ প্রস্তাব পেশ করে সেই প্রস্তাব ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি ও সরকার|শেষাংশ=আহমেদ|প্রথমাংশ=প্রফেসর ইয়াসমিন|বছর=২০০৮|প্রকাশক=মোঃ একরাম উল্লাহ দুলাল|অবস্থান=আজিজিয়া বুক ডিপো, ৩৮ বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref> গণপরিষদে পাশ হয়। আদর্শ প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানে ভবিষৎ সংবিধান প্রণয়নের মূলনীতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য সর্বদলীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই সর্বদলীয় কমিটির নাম দেয়া হয় 'মূলনীতি কমিটি'। মূলনীতি কমিটি ২৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে আরো ১০ জন সদস্য অন্তরভুক্ত করতে পারবে। মূলনীতি কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয় গণপরিষদের সভাপতি মৌলভি তমিজ উদ্দিন খান কে এবং সহসভাপতি নিযুক্ত করা হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান কে। মূলনীতি কমিটিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয় সংবিধান প্রনয়নের কাজকে সহজ করার উদ্দেশ্যে। চারটি সাব-কমিটি হল, ১) নির্বাচন বিষয়ক সাব-কমিটি। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রাদেশিক সরকার বিষক সাব-কমিটি। ৩) বিচার বিভাগীয় বিষয়ক সাব-কমিটি। ৪) মৌলিক অধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি। সাব-কমিটিকে সংবিধানে বিভিন্ন ধারায় ধর্মীয় বিষয়ে সাহায্যের জন্য আলেমদের সমন্বয়ে 'উলেমা বোর্ড' তৈরি করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়।
লিয়াকত আলী খান যখন পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথম গণপরিষদে সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি আদর্শ প্রস্তাব পেশ করে সেই প্রস্তাব ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি ও সরকার|শেষাংশ=আহমেদ|প্রথমাংশ=প্রফেসর ইয়াসমিন|বছর=২০০৮|প্রকাশক=মোঃ একরাম উল্লাহ দুলাল|অবস্থান=আজিজিয়া বুক ডিপো, ৩৮ বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=}}</ref> গণপরিষদে পাশ হয়। আদর্শ প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানে ভবিষৎ সংবিধান প্রণয়নের মূলনীতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য সর্বদলীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই সর্বদলীয় কমিটির নাম দেয়া হয় 'মূলনীতি কমিটি'। মূলনীতি কমিটি ২৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে আরো ১০ জন সদস্য অন্তরভুক্ত করতে পারবে। মূলনীতি কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয় গণপরিষদের সভাপতি মৌলভি তমিজ উদ্দিন খান কে এবং সহসভাপতি নিযুক্ত করা হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান কে। মূলনীতি কমিটিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয় সংবিধান প্রনয়নের কাজকে সহজ করার উদ্দেশ্যে। চারটি সাব-কমিটি হল, ১) নির্বাচন বিষয়ক সাব-কমিটি। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রাদেশিক সরকার বিষক সাব-কমিটি। ৩) বিচার বিভাগীয় বিষয়ক সাব-কমিটি। ৪) মৌলিক অধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি। সাব-কমিটিকে সংবিধানে বিভিন্ন ধারায় ধর্মীয় বিষয়ে সাহায্যের জন্য আলেমদের সমন্বয়ে 'উলেমা বোর্ড' তৈরি করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়।



০২:১৬, ১৭ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লিয়াকত আলী খান যখন পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের জন্য প্রথম গণপরিষদে সংবিধানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি আদর্শ প্রস্তাব পেশ করে সেই প্রস্তাব ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ[১] গণপরিষদে পাশ হয়। আদর্শ প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানে ভবিষৎ সংবিধান প্রণয়নের মূলনীতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য সর্বদলীয় একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই সর্বদলীয় কমিটির নাম দেয়া হয় 'মূলনীতি কমিটি'। মূলনীতি কমিটি ২৫ জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রয়োজনবোধে ভবিষ্যতে আরো ১০ জন সদস্য অন্তরভুক্ত করতে পারবে। মূলনীতি কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয় গণপরিষদের সভাপতি মৌলভি তমিজ উদ্দিন খান কে এবং সহসভাপতি নিযুক্ত করা হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান কে। মূলনীতি কমিটিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা হয় সংবিধান প্রনয়নের কাজকে সহজ করার উদ্দেশ্যে। চারটি সাব-কমিটি হল, ১) নির্বাচন বিষয়ক সাব-কমিটি। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রাদেশিক সরকার বিষক সাব-কমিটি। ৩) বিচার বিভাগীয় বিষয়ক সাব-কমিটি। ৪) মৌলিক অধিকার বিষয়ক সাব-কমিটি। সাব-কমিটিকে সংবিধানে বিভিন্ন ধারায় ধর্মীয় বিষয়ে সাহায্যের জন্য আলেমদের সমন্বয়ে 'উলেমা বোর্ড' তৈরি করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়।

মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট

মূলনীতি কমিটির যুক্তরাষ্ট্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার বিষয়ক সাব-কমিটি ১৯৫০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাদের অন্তর্তীকালীন রিপোর্ট গণপরিষদে পেশ করে। এই রিপোর্টে উপস্থাপিত বিষয় ছিল, ১) উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া। ২) যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ৩) কেন্দ্রীয় আইন সভাকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় রুপান্তরিত করা। ৪) কেন্দ্রীয় আইনসভার নিন্মকক্ষে বিভিন্ন প্রদেশগুলোর জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার প্রদান করা। ৫) কেন্দ্রীয় আইন সভার উচ্চকক্ষে প্রতি প্রদেশ থেকে সমান প্রতিনিধিত্ব প্রদান করা। ৬) কেন্দ্রীয় আইনসভার উচ্চকক্ষ ও নিন্মকক্ষের বিরোধপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হলে উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। ৭) কেন্দ্রীয় আইনসভার উভয় কক্ষে সমান ক্ষমতা প্রদান করা বাজেট ও অর্থবিলসহ অন্য সকল বিষয়ের ক্ষেত্রে।

মূলনীতি কমিটির রিপোর্ট প্রদানের পর পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ প্রচন্ড বিক্ষোভ শুরু করে। যার প্রধান কারণ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দূকে গ্রহণের প্রস্তাব দেয়ার মধ্য দিয়ে। এছাড়া কেন্দ্রীয় আইনসভায় পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিগণ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কম হওয়ার আশংকা দেখা দেয়। এর পরিপেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাগণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের প্রস্তাব করে। পরিশেষে পূর্ব পাকিস্তানের প্রচন্ড বিরোধিতার কারণে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান মূলনীতি কমিটির অন্তর্বতীকালীন রিপোর্ট গণপরিষদ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।[২]

তথ্যসূত্র

  1. আহমেদ, প্রফেসর ইয়াসমিন (২০০৮)। দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনীতি ও সরকার। আজিজিয়া বুক ডিপো, ৩৮ বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০: মোঃ একরাম উল্লাহ দুলাল। 
  2. http://bn.banglapedia.org/index.php?title=মূলনীতি_কমিটি