ডিমলা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) |
কায়সার আহমাদ (আলোচনা | অবদান) |
||
৪০ নং লাইন: | ৪০ নং লাইন: | ||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
ঐতিহাসিক তেভাগা আন্দোলন ডিমলা উপজেলা থেকে সংঘটিত হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন তন্বারায়ন রায়, জামশেদ আলী চাটি প্রমূখ। এক পর্যায়ে আন্দোলনে তন্বারায়ন শহীদ হন। এ উপজেলায় নুরলদীনের সারাজীবন গ্রন্থের নুরলদীনের পদচারনা ছিল এবং তিনি তেভাগা আন্দোলনকে সংগঠিত করেছিলেন। নুরলদীন ডিমলা উপজেলায় তেভাগা আন্দোলনের অনুপ্রেরণা ছিল। |
|||
==ভূগোল== |
==ভূগোল== |
০২:৪১, ৩ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ডিমলা | |
---|---|
উপজেলা | |
বাংলাদেশে ডিমলা উপজেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৭′২৮″ উত্তর ৮৮°৫৫′৪৭″ পূর্ব / ২৬.১২৪৪৪° উত্তর ৮৮.৯২৯৭২° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩২৬.৮০ বর্গকিমি (১২৬.১৮ বর্গমাইল) |
উচ্চতা[১] | ৫৫ মিটার (১৮০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১)[২] | |
• মোট | ২,৮৩,৪৩৮ |
• জনঘনত্ব | ৮৭০/বর্গকিমি (২,২০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৪২.৮৬% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৩৫০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৭৩ ১২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ডিমলা উপজেলা বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা, যা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এটি রংপুর বিভাগের আওতাধীন নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলার একটি এবং জেলার সীমান্তবর্তী দুটি উপজেলার একটি উপজেলা। ডিমলা উপজেলার উত্তরে ভারতের কুচবিহার জেলা, পূর্বে হাতিবান্ধা উপজেলা, দক্ষিণে জলঢাকা উপজেলা ও পশ্চিমে ডোমার উপজেলা অবস্থিত। এ উপজেলার পূর্ব দিক দিকে তিস্তা নদী এবং পশ্চিম দিক দিয়ে বুড়ি তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
নামকরণ
১৬শ শতাব্দীতে এ এলাকায় মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ নামে এক প্রভাবশালী জমিদারের জমিদারি ছিল, তখন এ এলাকার নাম ছিল মোহাম্মদগঞ্জ।[৩] পরবর্তীতে ১৮৮০ সালে ব্রিটিশ আমলে দশঘোড়ার রাজা জানকি বল্লভ সেন এ এলাকা কিনে নেয় এবং এখানে একটি ডিম্বাকৃতি প্রসাদ নির্মাণ করেছিল। তার এই ডিম্বাকৃতি প্রাসাদ থেকে ডিমলা নামকরণ হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।[৩] এছাড়া আরও জনশ্রুতি রয়েছে, বর্তমান ডিমলার দক্ষিণ পূর্ব দিকে তেল্লাই নামে একটি বিল ছিল। তখন এই বিলে অনেক অতিথি পাখি আসতো এবং প্রচুর ডিম দিত। এসব ডিম গুলোর দেখতে অাকর্ষণীয় ছিল বলে দূর-দূরান্ত হতে অনেক ব্যবসায়ী আসতো ডিমের ব্যবসা করতে। এসব অাকর্ষনীয় ডিমের প্রতুলতার কারণে এলাকার নাম হয় ডিমলা। ধারণা করা হয়, পাখির ডিম ও তেল্লাই বিল লোকমুখে> ডিম তেল্লাই> ডিমলাই> ডিমলা নামকরণ হয়েছে।
ইতিহাস
ভূগোল
ডিমলা উপজেলার ভৌগলিক অবস্থান ২৬°০৮′ উত্তর ৮৮°৫৬′ পূর্ব / ২৬.১৩° উত্তর ৮৮.৯৩° পূর্ব। নীলফামারী জেলাধীন উত্তর সীমান্তবর্তী একটি অবহেলিত উপজেলা। এর মোট আয়তন ৩২৬.৮০ বর্গ কিলোমিটিার। পুরো উপজেলাটি বালুকাময় অনুর্বর ভূমি দ্বারা গঠিত। ভৌগলিকভাবে ডিমলা উপজেলার মাটি বেলে দোআশ, যাতে বালুর পরিমানই বেশি। ডিমলা উপজেলার কেন্দ্র হতে দক্ষিণে ডোমার উপজেলার সদর, দক্ষিণ-পশ্চিমে নীলফামারী জেলার সদর এবং দক্ষিণ-পূর্বে জলঢাকা উপজেলার সদর অবস্থিত। উপজেলার উত্তরে ভারতের কুচবিহার জেলা, পূর্বে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলা, দক্ষিণে জলঢাকা উপজেলা ও পশ্চিমে ডোমার উপজেলা।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব দিক দিয়ে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এটি উপজেলার কালীগঞ্জ মৌজা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে, ডিমলা উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের আংশিক এলাকার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে নাউতারা নদী, পশ্চিমে ডোমার ডিমলা উপজেলা সীমানা বরাবর বুড়ি তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও ধুম, সিংগাহারা নামে আরও কিছু ছোট ও মৌসুমি নদী রয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা সেচ প্রকল্প এ উপজেলায় বিদ্যমান। এছাড়া জলঢাকা উপজেলায় অবস্থিত বুড়ীতিস্তা ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের একটি খাল ডিমলা উপজেলার রয়েছে।
ভূপ্রকৃতি
প্রশাসন
ডিমলা উপজেলা ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়ন সমূহলো; পশ্চিম ছাতনাই, বালাপাড়া, ডিমলা, খগাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, নাউতারা, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, টেপাখড়িবাড়ী ও পূর্ব ছাতনাই। ১৮৫৭ সালে ডিমলা থানা স্থাপনের পর ১৯৮৩ সালে এটিকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অধীনে উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনিই উপজেলার প্রশাসনিক প্রধান। এছাড়া, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত একজন উপজেলা চেয়ারম্যান জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মোঃ তবিবুল ইসলাম ডিমলা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ডিমলা উপজেলায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি থানা বা পুলিশ স্টেশন রয়েছে। এছাড়া একটি করে আনসার ও ভিডিপি এবং ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিমলার সংসদীয় আসন নীলফামারী-১। ডিমলা ও ডোমার উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটি জাতীয় সংসদে ১২ নং আসন হিসেবে চিহ্নিত। নীলফামারী-১ আসনটি ১৯৮৪ সালে রংপুর-১ আসন থেকে সৃষ্টি করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ আসনটি তৈরি করা হয়েছিল।
অর্থনীতি
ডিমলা উপজেলার প্রধান অর্থকরী ফসল ভূট্টা, আলু ও মরিচ। এ উপজেলায় ভূট্টার ফলন প্রচুর হয়। এছাড়া মসলা জাতীয় শস্য যেমন আদা, রসুন, মরিচ ও হলুদের ফলনও বেশি হয়। এসব কৃষি পণ্যের উপর ভিত্তি করে এখানে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে উঠেছে। ধান ও বাশ এর উপর ভিত্তি করেও এখানে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছে।
- হাটবাজার
আরশাদগঞ্জ বাজার, কালীগঞ্জ বাজার, ঠাকুরগঞ্জ হাট, ডাংগার হাট, বাবুর হাট, খগার হাট, টুনির হাট, শুটি বাড়ীর হাট, রহমানগঞ্জ বাজার, ফুটানির হাট, চাপানীর হাট, শালহাটি হাট, কলোনির হাট, নাউতারার হাট, একতা বাবুপাড়া হাট ও ডালিয়া গোডাউনের হাট।
প্রাকৃতিক সম্পদ
ডিমলা উপজেলার উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ হল নুরি পাথর। এ উপজেলার তিস্তা নদীর পানির তলদেশে এবং কালিগঞ্জ, ছাতনাই কলোনি, ঝাড়সিংহেরশ্বর, কিসামত ছাতনাই, পশ্চিম খড়িবাড়ী, ডালিয়া মৌজার ১৫ - ২০ ফুট মাটির নিচে প্রচুর পরিমাণে নুরি পাথর মজুদ আছে। এ উপজেলার অন্য প্রাকৃতিক সম্পদ হল বালু।
ভাষা
জনসংখ্যার উপাত্ত
- জনসংখ্যা
- মোট ২,৮০,০৭৬ জন
- পুরুষঃ ১,৪২,০৫০ জন
- মহিলাঃ১,৩৮,০২৬ জন
- পরিবারের সংখ্যাঃ ৬২,৯৩৮ টি
- শিক্ষার হারঃ ৪২.৮৬%
- মোট ভোটার সংখ্যাঃ ১,৬৫,০৮৫ জন
- পুরুষঃ ৮২,৫৪৪ জন
- মহিলাঃ ৮২,৫৪১ জন
শিক্ষা
শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্যঃ
- সরকারী প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৭২ টি
- রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১০৯ টি
- কমিউনিটি প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ০৩ টি
- কেজি স্কুলঃ ১৮ টি
- এজিও প্রাথ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১১০ টি
- মাদ্রাসা ফাজিল / আলিম /দাখিলঃ ২৪
- মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ২৮ টি ( ২ টি সরকরী )
- নিমণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১৫ টি
- মহাবিদ্যালয়ঃ ০৯ টি (ডিগ্রী-০৩, উচ্চ মাধ্যমিক-০৩, কারিগারি-০৩টি)
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- ডিমলা নিজপাড়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা।
- 'বালাপাড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজ
- ডিমলা সরকারী মহিলা মহাবিদ্যালয়
- ডিমলা রানী বৃন্দা রানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- ডিমলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- ছোটখাতা বহুমুখী ফাজিল মাদরাসা, ছোটখাতা, ডিমলা, নীলফামারী
- সুন্দরখাতা শফিকুল গনি স্বপন ফাযিল মাদ্রাসা
- নাউতারা আবিউন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়
- শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- মশিউর রহমান যাদু মিয়া; গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।
- শফিকুল গনি স্বপন; তিনি বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
- আফতাব উদ্দিন সরকার, সংসদ সদস্য, নীলফামারী ১।
তথ্যসূত্র
- ↑ "Geographic coordinates of Dimla, Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। DATEANDTIME.INFO। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ Population & Housing Census-2011 [আদমশুমারি ও গৃহগণনা-২০১১] (পিডিএফ) (প্রতিবেদন)। জাতীয় প্রতিবেদন (ইংরেজি ভাষায়)। ভলিউম ২: ইউনিয়ন পরিসংখ্যান। ঢাকা: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।
- ↑ ক খ বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা - নীলফামারী। ঢাকা: বাংলা একাডেমি। ২০১৪। পৃষ্ঠা ২৫। আইএসবিএন 984-07-5356-8।
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |