গুলঞ্চ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সংশোধনে - ''প্রীতম'' ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সংশোধনে - ''প্রীতম'' ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{Taxobox |
|||
{{speciesbox |
|||
| name = '''খারকোন'''<br />''Typhonium trilobatum'' |
|||
⚫ | |||
| status = |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
| image_caption = টিনোস্পোরা উদ্ভিদের পাতা |
|||
⚫ | |||
| domain = |
|||
| regnum = [[উদ্ভিদ]] |
|||
| divisio = [[সংবাহী উদ্ভিদ|ট্র্যাকিওফাইট ]] |
|||
| classis = [[সপুষ্পক উদ্ভিদ|Anthophyta]] |
|||
| ordo = [[Ranunculales]] |
|||
| familia = [[মেনিসপার্মেসিয়া]] |
|||
⚫ | |||
| species = '''টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া''' |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
| range_map = |
|||
| range_map_caption = |
|||
| image2 = |
|||
| image2_caption = |
|||
| synonyms = |
|||
}} |
}} |
||
'''গুলঞ্চ''' (গিলয়) বা '''টিনোস্পোরা''' (সংস্কৃত নাম : অমৃত, তন্ত্রিকা, কুণ্ডলিনী, চক্রলক্ষ্মীণি) হচ্ছে একটি [[মেনিসপার্মেসিয়া]] পরিবারের অর্ন্তভূক্ত পর্ণমোচী উদ্ভিদ যা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বহুলভাবে জন্মায়। <ref name="drugs">{{cite web |url=https://www.drugs.com/npp/tinospora.html|title=''Tinospora'' |accessdate=5 September 2019 |publisher=Drugs.com|date=15 July 2019}}</ref> যার বৈজ্ঞানিক নাম: টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া। এর সাধারণ নাম: গিলয়, গুড়ুচি, গুলবেল, হার্ট-লিভড মুনসিড, টিনোস্পোরা। |
'''গুলঞ্চ''' (গিলয়) বা '''টিনোস্পোরা''' (সংস্কৃত নাম : অমৃত, তন্ত্রিকা, কুণ্ডলিনী, চক্রলক্ষ্মীণি) হচ্ছে একটি [[মেনিসপার্মেসিয়া]] পরিবারের অর্ন্তভূক্ত পর্ণমোচী উদ্ভিদ যা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বহুলভাবে জন্মায়। <ref name="drugs">{{cite web |url=https://www.drugs.com/npp/tinospora.html|title=''Tinospora'' |accessdate=5 September 2019 |publisher=Drugs.com|date=15 July 2019}}</ref> যার বৈজ্ঞানিক নাম: টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া। এর সাধারণ নাম: গিলয়, গুড়ুচি, গুলবেল, হার্ট-লিভড মুনসিড, টিনোস্পোরা। |
||
০১:৩৭, ২১ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
খারকোন Typhonium trilobatum | |
---|---|
টিনোস্পোরা উদ্ভিদের পাতা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
বিভাগ: | ট্র্যাকিওফাইট |
শ্রেণী: | Anthophyta |
বর্গ: | Ranunculales |
পরিবার: | মেনিসপার্মেসিয়া |
গণ: | কর্ডিফোলিয়া |
প্রজাতি: | টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া |
দ্বিপদী নাম | |
টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া (Thunb.) Miers |
গুলঞ্চ (গিলয়) বা টিনোস্পোরা (সংস্কৃত নাম : অমৃত, তন্ত্রিকা, কুণ্ডলিনী, চক্রলক্ষ্মীণি) হচ্ছে একটি মেনিসপার্মেসিয়া পরিবারের অর্ন্তভূক্ত পর্ণমোচী উদ্ভিদ যা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বহুলভাবে জন্মায়। [১] যার বৈজ্ঞানিক নাম: টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া। এর সাধারণ নাম: গিলয়, গুড়ুচি, গুলবেল, হার্ট-লিভড মুনসিড, টিনোস্পোরা।
প্রশমণের গুণ এবং স্বাস্থ্যকর উপাদানের জন্য আয়ুর্বেদিক এবং ঘরোয়া চিকিৎসায় এটির কদর অসামান্য। বস্তুত, স্বাস্থ্যের সার্বিক উপকারিতার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার জন্য আয়ুর্বেদে এটিকে ‘‘রসায়ন’’ নামে অভিহিত করা হয়। শুনলে আপনি আগ্রহী হয়ে উঠবেন যে সংস্কৃতে এটিকে ‘‘অমৃত’’ বলা হয়েছে, যার অর্থ ‘‘অমরত্বসুধা’’। এই উদ্ভিদের অসাধারণ গুণের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়, পুরাণে ‘‘দেবতারা’’ যা পান করে চিরকালীন যৌবন এবং স্বাস্থ্যের অধিকারী হতেন বলে বর্ণিত আছে, তা হয়তো ছিল এই গুলঞ্চ বা গিলয়। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ঐতিহ্যবাহী ওষুধের শতাব্দী ব্যবহারের সত্ত্বেও, কোনও উচ্চমানের ক্লিনিকাল প্রমাণ নেই যে এটিতে রোগের উপর কোনও প্রভাব আছে। [১]
উদ্ভিদসংক্রান্ত বর্ণনা
গুলঞ্চ হচ্ছে একটি লতানে উদ্ভিদ, যার কাণ্ড দুর্বল এবং রসালো। কাণ্ডের রং হচ্ছে সাদা থেকে ধূসর এবং তা 1-5 সেমি পর্যন্ত মোটা হতে পারে। গুলঞ্চের পাতা দেখতে হৃদয়ের (হার্ট) আকারের এবং তাতে মেমব্রেন (ঝিল্লি) আছে। তাতে গ্রীষ্মকালে সবজেটে-হলুদ রঙের ফুল ফোটে আর গুলঞ্চের ফল সাধারণত শীতকালে দেখা যায়। গুলঞ্চের সবুজ রঙের আঁটিযুক্ত ফল (ড্রুপ) হয়ে থাকে যা পাকলে লাল বর্ণ ধারণ করে। গুলঞ্চের কাণ্ডেই অধিকাংশ নিরাময়যোগ্য গুণ আছে, তবে পাতা, ফল, এবং শিকড় বা মূলেও অল্পবিস্তর গুণ আছে।
উৎপত্তি
আদিতে ভারতীয় উপমহাদেশে পাওয়া যেত গুলঞ্চ লতা কিন্তি চিনেও পাওয়া যায়।
ব্যবহার
ব্যবহৃত অংশ: কাণ্ড, পাতা
গুলঞ্চের স্বাস্থ্য উপকারিতা
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে গুলঞ্চ একটি পরিচিত গুল্ম। গুলঞ্চের কাণ্ড শুধুমাত্র নিরাময়ের একটি চমৎকার এজেন্ট নয়, কিন্তু রাসায়নিকভাবে এটি আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যাতে ঠিকভাবে এবং তাদের সম্পূর্ণ শক্তি-সহ কাজ করে তা নিশ্চিত করে। এই আয়ুর্বেদিক মহৌষধের বহু স্বাস্থ্যের উপকারিতা রয়েছে।
- ওজন কমাতে গুলঞ্চ:
গুলঞ্চ হাইপোলিপিডেমিক হিসাবে কাজ করে বলে নিয়মিত সেবন করলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে চমৎকার কাজ দেয়। শরীরের পরিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে এবং যক্কৃৎ রক্ষা করে।
- জ্বর উপশমে গুলঞ্চ:
গুলঞ্চ ইমিউনোমডিউলেটরি প্রক্রিয়া করে এবং তার অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। ডেঙ্গি জ্বরের মতো জীবাণুর সংক্রমণের হাত থেকে এটি রক্ষা করে।
- ডায়বিটিসের প্রতিরোধে গুলঞ্চ:
ইনসুলিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম হয় বলে ডায়বিটিসের ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী হয়।
- শ্বাসকষ্ট রুখতে গুলঞ্চ:
দেখা গিয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী কাশি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস-এর চিকিৎসায় গুলঞ্চ কার্যকরী ভূমিকা নেয় এবং হাঁপানি বা অ্যাজমার উপসর্গ কমানোর ক্ষেত্রেও এটি কাজে লাগে।
- মহিলাদের জন্য গুলঞ্চ:
রোগ প্রতিরোধী উপাদানগুলির জন্য রজঃনিবৃত্তি উত্তর (পোস্টমেনোপজাল) মহিলাদের জন্য গুলঞ্চ খুব কাজে লাগে। এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ক্ষয়) রোধ কমাতে পারে।
- পুরুরষদের জন্য গুলঞ্চ:
গুলঞ্চের ব্যবহারে বীর্যধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা বা ইচ্ছা বৃদ্ধি পায়।
- ক্যান্সারের প্রতিরোধে গুলঞ্চ:
কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গুলঞ্চের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদানের জন্য গুলঞ্চের ব্যবহার করা যেতে পারে।
- মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুলঞ্চ:
দুশ্চিন্তা, অবসাদ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য গুলঞ্চের ব্যবহার হয়।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "Tinospora"। Drugs.com। ১৫ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।