উমেশচন্দ্র দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২২ নং লাইন: ২২ নং লাইন:
==জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন ==
==জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন ==


উমেশচন্দ্র দত্তের জন্ম [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] বর্তমান [[দক্ষিণ ২৪ পরগণা]] জেলার [[মজিলপুর|মজিলপুরে]] । পিতার নাম হরমোহন দত্ত । ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভবানীপুর লণ্ডন মিশনারি সোসাইটি ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ওই বছরেই তিনি [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও [[ কেশবচন্দ্র সেন| কেশবচন্দ্র সেনের]] সান্নিধ্যে এসে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন । পরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ রাখেন । ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে বি.এ.পাশ করেন । এই বছরেই ব্রাহ্মমতে বিবাহ হয় এবং সপরিবারে কেশবচন্দ্র সেনের ' ভারত আশ্রম' ভুক্ত হন। সাথে সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন ।
উমেশচন্দ্র দত্তের জন্ম [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] বর্তমান [[দক্ষিণ ২৪ পরগণা]] জেলার [[মজিলপুর|মজিলপুরে]] । পিতার নাম হরমোহন দত্ত । ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভবানীপুর লণ্ডন মিশনারি সোসাইটি ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ওই বছরেই তিনি [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ও [[ কেশবচন্দ্র সেন| কেশবচন্দ্র সেনের]] সান্নিধ্যে এসে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন । পরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ রাখেন । ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজপুর,হরিনাভিসহ বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে বি.এ.পাশ করেন । এই বছরেই ব্রাহ্মমতে বিবাহ হয় এবং সপরিবারে কেশবচন্দ্র সেনের ' ভারত আশ্রম' ভুক্ত হন। সাথে সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন ।


==কর্মজীবন==
==কর্মজীবন==

০৮:০৫, ১৯ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উমেশচন্দ্র দত্ত
উমেশচন্দ্র দত্ত
জন্ম১৬ ডিসেম্বর ১৮৪০
মৃত্যু১৯ জুন ,১৯০৭ (বয়স ৮০)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাসমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ
পিতা-মাতাহরমোহন দত্ত (পিতা)

উমেশচন্দ্র দত্ত ( জন্ম :- ১৬ ডিসেম্বর,১৮৪০ - মৃত্যু :- ১৯ জুন,১৯০৭ ) এক সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ। [১]

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন

উমেশচন্দ্র দত্তের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মজিলপুরে । পিতার নাম হরমোহন দত্ত । ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ভবানীপুর লণ্ডন মিশনারি সোসাইটি ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। ওই বছরেই তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কেশবচন্দ্র সেনের সান্নিধ্যে এসে ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন । পরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ রাখেন । ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দ থেকে রাজপুর,হরিনাভিসহ বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন । ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে প্রাইভেটে বি.এ.পাশ করেন । এই বছরেই ব্রাহ্মমতে বিবাহ হয় এবং সপরিবারে কেশবচন্দ্র সেনের ' ভারত আশ্রম' ভুক্ত হন। সাথে সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন ।

কর্মজীবন

তিনি মজিলপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রথম এবং সম্ভবত বাংলাদেশের তৃতীয় বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এই বিদ্যালয় স্থাপন করবার জন্য তাকে জমিদারের প্রবল অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল । এরপর তিনি কলকাতার ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে (যার বর্তমান নাম বিদ্যাসাগর কলেজ) এবং হিন্দু স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন । ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলার নারীদের মধ্যে শিক্ষার আলো এবং সচেতনতা আনার জন্য এবং তাদের মনের কথা তুলে ধরার জন্য একটি মহিলা মাসিক পত্রিকা বামাবোধিনী প্রকাশ করেন । এই পত্রিকাটি তিনি আমৃত্যু চুয়াল্লিশ বছর ধরে সম্পাদনা করেন । তিনি একে একে রাজপুর স্কুল, হরিনাভি স্কুল , কোন্নগর স্কুল এবং কলকাতার সিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন । সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠার পর আমৃত্যু তিনি তার অধ্যক্ষ ছিলেন । কলকাতার মূক ও বধির বিদ্যালয়ের তিনি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । শিলাইদহে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সমাধিতে 'দাঁড়াও পথিকবর জন্ম তব ....' খোদিত ফলকটি তার উদ্যোগেই স্থাপিত হয়েছিল ।

তথ্যসূত্র

তথ্যসূত্র

পশ্চিমবঙ্গ - জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা সংখ্যা - পৃ ২৭২

  1. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ১০১, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬