আত্মপ্রেম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Paradox Alpha (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
সংশোধন
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{উৎসহীন}}[[নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার]]
[[নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার]]
নার্সিসিজম বা আত্মপ্রেম বলতে আত্নমগ্নতা, নিজের গুন সম্বন্ধে অতিরঞ্জিত ধারনা পোষন করা, নিজের প্রতি নিজেই অতিরিক্ত মুগ্ধ থাকা এবং নিজের জীবনে অন্য কাউকে অতটা গুরুত্ব না দেওয়া। নিজ ব্যতীত অন্য কারো প্রতি আকর্ষিত না হওয়া।  যদিও সীমিত পরিসরে নার্সিসিজম সাধারন জীবনের একটা অংশ। নার্সিসিজম এর ক্ষেত্রে মানুষ সর্ব ক্ষেত্রেই নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে।
'''আত্মপ্রেম''' বা '''নার্সিসিজম''' বলতে আত্নমগ্নতা, নিজের গুন সম্বন্ধে অতিরঞ্জিত ধারনা পোষন করা, নিজের প্রতি নিজেই অতিরিক্ত মুগ্ধ থাকা এবং নিজের জীবনে অন্য কাউকে অতটা গুরুত্ব না দেওয়া। নিজ ব্যতীত অন্য কারো প্রতি আকর্ষিত না হওয়া। যদিও সীমিত পরিসরে নার্সিসিজম সাধারন জীবনের একটা অংশ। নার্সিসিজম এর ক্ষেত্রে মানুষ সর্ব ক্ষেত্রেই নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে।<ref>[https://www.helpguide.org/articles/mental-disorders/narcissistic-personality-disorder.htm], নার্সিসিস্টদের ব্যক্তিত্ব</ref>


[[গ্রিক মিথলজি]] থেকে পাওয়া যায়, নার্সিসাস নামে এক সুদর্শন যুবক ছিল। ইকো নামের এক দেবী তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। ইকো তখন তাকে অভিশাপ দেয়, একসময় সে তার নিজের রূপের দেমাগে নিজেই কাবু হবে।
[[গ্রিক মিথলজি]] থেকে পাওয়া যায়, নার্সিসাস নামে এক সুদর্শন যুবক ছিল। ইকো নামের এক দেবী তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। ইকো তখন তাকে অভিশাপ দেয়, একসময় সে তার নিজের রূপের দেমাগে নিজেই কাবু হবে।
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
সত্যি তা–ই হয়। একদিন সে পানি খেতে যায় পুকুরে। পানিতে নিজের ছায়া দেখে নিজের প্রেমে নিজেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিনের পর দিন। আর এভাবেই সে মারা যায়। পরে সে এক ফুলে পরিণত হয়। যার নাম দেওয়া হয় নার্সিশাস ফুল।
সত্যি তা–ই হয়। একদিন সে পানি খেতে যায় পুকুরে। পানিতে নিজের ছায়া দেখে নিজের প্রেমে নিজেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিনের পর দিন। আর এভাবেই সে মারা যায়। পরে সে এক ফুলে পরিণত হয়। যার নাম দেওয়া হয় নার্সিশাস ফুল।


নার্সিসিজম খারাপ কিছু নয়, সব সময়। এ
নার্সিসিজম খারাপ কিছু নয়, সব সময়। এ অবস্থায় ব্যক্তি নিজেকেই সম্ভাব্য সকল কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু মনে করে।
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}


এ অবস্থায় ব্যক্তি নিজেকেই সম্ভাব্য সকল কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু মনে করে।
[[বিষয়শ্রেণী:স্বকীয় সত্তা]]
[[বিষয়শ্রেণী:স্বকীয় সত্তা]]

"নার্সেসিস্ট" শব্দটার সাথে কম বেশি খুব কম মানুষ ই পরিচিত। মুলত যারা নার্সেসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজর্ডার এ ভুগে তাদের কে নার্সেসিস্ট বলা হয়।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, "নার্সেসিস্টিক ডিজর্ডার কি?"। আসুন নার্সেসিস্টিক ডিজর্ডার সম্পর্কে একটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
নার্সেসিস্টিক ডিজর্ডারঃ নার্সেসিস্টিক ডিজর্ডার হলো বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ব্যাধিগুলোর মাঝে একটি - যেখানে একজন ব্যক্তি নিজের গুরুত্বকে সবচাইতে বেশি প্রাধান্য দিতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অন্যের প্রতি সহানুভূতির অভাব, নিজেকে বড় মনে করা, নিজের দোষ ঢাকতে অন্যকে দোষারোপ করা ইত্যাদি। Self admiration, Ego-centrism, Arrogance, Envy, Lack empathy এই প্রতিটি শব্দের বাহক একজন নার্সেসিস্ট। চার প্রকারের নার্সেসিজম এই পৃথিবীতে খুব বেশি লক্ষ্য করা যায়।

নার্সেসিজম এর প্রকারভেদঃ মুলত চার প্রকার নার্সেসিস্ট মানুষদের সংখ্যা পৃথিবীতে বেশি।যেমনঃ
1. Grandiose narcissist: যারা মুলত সবার মনোযোগ আকর্ষন (Attention seeking) করতে নিজেদের ব্যস্ত রাখে। তারা একটু অহংকারী স্বভাব এর হয়। তারা কারো কথা শুনতে চায় নাহ, তারা সর্বদা নিজেকে সবার উপরের সন্মান দিতে ব্যস্ত থাকে।
2. Malignant narcissist: Grandiose narcissist-দের সব গুনাগুন এদের মধ্যে রয়েছে। তারা কিছুটা মানসিক ভাবে বিকারগ্রস্থ। তার আপনার ক্ষতি করতে পিছপা হবে নাহ। তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সব কিছু করতে পারে। তারা তাদের জীবন সঙ্গীর কে ধোকা দিয়ে পরকিয়ায় লিপ্ত থাকলেও এতা তারা তাদের নিজেদের দোষ হিসেবে বিবেচনা করবে নাহ। তারা প্রচন্ডভাবে মিথ্যাবাদী হয়ে থাকে।
3. Covert narcissist: এদের মধ্যেও Grandiose narcissist-দের সব গুনাগুন রয়েছে কিন্তু এদের মধ্যে এমন একটি গুন রয়েছে যেই গুন তাদেরকে Grandiose narcissist এবং Malignant narcissist থেকে আলাদা করেছে। তারা পৃথিবীকে দোষারোপ করে তার সফল নাহ হবার জন্য। তারা দোষারোপ করে তাদের জীবনকেও। একটি উদাহরন এ আসা যাকঃ " আমাকে কেউ খেয়াল করে নাহ , আমি এত ভাল কাজ করেছি , সবাই দেখেও নাহ দেখার ভান করে। তখন তারা মনে করে এই পৃথিবীর মানুষজনের যোগ্যতা নেই তার কাজ বিচার করার।"
4. Communal narcissist: এরা সবার থেকে একটু আলাদা! তারা নিজেকে সবচাইতে বেশি শো অফ করে। যেমনঃ কোন অসহায় এর সাহায্য সহযোগিতা করার পর ছবি তুলে সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করে নিজেকে বড় করার জন্য। তারা নিজেদের কে সোশাল মিডিয়াতে বসবাস করা যোদ্ধা দাবী করে।
উৎসঃ<ref>[https://www.helpguide.org/articles/mental-disorders/narcissistic-personality-disorder.htm], নার্সিসিস্টদের ব্যক্তিত্ব</ref>

১৬:৩২, ১৪ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার আত্মপ্রেম বা নার্সিসিজম বলতে আত্নমগ্নতা, নিজের গুন সম্বন্ধে অতিরঞ্জিত ধারনা পোষন করা, নিজের প্রতি নিজেই অতিরিক্ত মুগ্ধ থাকা এবং নিজের জীবনে অন্য কাউকে অতটা গুরুত্ব না দেওয়া। নিজ ব্যতীত অন্য কারো প্রতি আকর্ষিত না হওয়া। যদিও সীমিত পরিসরে নার্সিসিজম সাধারন জীবনের একটা অংশ। নার্সিসিজম এর ক্ষেত্রে মানুষ সর্ব ক্ষেত্রেই নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে।[১]

গ্রিক মিথলজি থেকে পাওয়া যায়, নার্সিসাস নামে এক সুদর্শন যুবক ছিল। ইকো নামের এক দেবী তাকে প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। ইকো তখন তাকে অভিশাপ দেয়, একসময় সে তার নিজের রূপের দেমাগে নিজেই কাবু হবে।

সত্যি তা–ই হয়। একদিন সে পানি খেতে যায় পুকুরে। পানিতে নিজের ছায়া দেখে নিজের প্রেমে নিজেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দিনের পর দিন। আর এভাবেই সে মারা যায়। পরে সে এক ফুলে পরিণত হয়। যার নাম দেওয়া হয় নার্সিশাস ফুল।

নার্সিসিজম খারাপ কিছু নয়, সব সময়। এ অবস্থায় ব্যক্তি নিজেকেই সম্ভাব্য সকল কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু মনে করে।

তথ্যসূত্র

  1. [১], নার্সিসিস্টদের ব্যক্তিত্ব