ফনোগ্রাফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৩২ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
===প্রাথমিক ফোনগ্রাফ=== |
===প্রাথমিক ফোনগ্রাফ=== |
||
[[File:PhonographPatentEdison1880.jpg|thumb|এডিসনের ফোনোগ্রাফোগ্রাফির একটি পেটেন্ট অঙ্কন, ১৮ মে, ১৮৮০]]{{Commons category|Phonographs}} |
[[File:PhonographPatentEdison1880.jpg|thumb|এডিসনের ফোনোগ্রাফোগ্রাফির একটি পেটেন্ট অঙ্কন, ১৮ মে, ১৮৮০]]{{Commons category|Phonographs}} |
||
এডিসনের দ্বিতীয় ফনোগ্রাফ, ১৮৮৭ |
|||
১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে এডিসনের উন্নত ফনোগ্রাফ |
|||
টমাস আলভা এডিসন শব্দ ধারণ এবং তা পুনরায় বাজানোর পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করা কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের মে এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে এই আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশ করেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে নভেম্বরে। |
টমাস আলভা এডিসন শব্দ ধারণ এবং তা পুনরায় বাজানোর পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করা কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের মে এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে এই আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশ করেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে নভেম্বরে। |
০৫:৫৪, ১২ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধে অপর্যাপ্ত তথ্য রয়েছে অনেকেই নিবন্ধটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে অপরিচিত।(জুন ২০২০) |
ফনোগ্রাফ (ইংরেজি: phonograph) কে পরবর্তীতে গ্রামোফোনও বলা হত (১৮৮৭ সাল থেকে ট্রেডমার্ক হিসাবে, ১৯১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের জাতিগত নাম হিসাবে) অথবা ১৯৪০ এর দশকে এটি রেকর্ড প্লেয়ার নামে পরিচিত ছিল, যা যান্ত্রিক রেকর্ডিং এবং শব্দ উৎপাদনের জন্য একটি যন্ত্র। যাকে বাংলা ভাষায় কলের গানও বলা হয়। শব্দ কম্পন তরঙ্গাকৃতি রেকর্ড করা হয় একটি সর্পিল আকৃতির খাঁজ, খোদাই করে অঙ্কিত একটি ঘূর্ণমান সিলিন্ডার বা ডিস্কের পৃষ্ঠ, যাকে রেকর্ড বলা হয়। এটি মূলত একটি রেকর্ডকৃত গান শোনার যন্ত্র। যন্ত্রের দ্বারা ধারণকৃত শব্দকে বাজানোর জন্য ব্যবহৃত এক প্রকার যন্ত্র। শব্দকে বিশেষভাবে নির্মিত কঠিন মাধ্যমে ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো নির্বাচিত চলমান মাধ্যমের উপর দাগ কেটে বা খোদিত করে শব্দের কম্পাঙ্ককে কোনো রেখা অনুসরণ করে ধারণ করা হয়। পরে ওই চলমান গতি অনুসারে, ওই শব্দধারণকৃত মাধ্যমটিকে ফনোগ্রাফে বাজানো হয়। শব্দ ধারণের মাধ্যমটি চোঙ্গাকৃত বা চাকতির মতো হয়ে থাকে। এই মাধ্যমটি ফনোগ্রাফের নিজস্ব যন্ত্রের সাহায্যে ঘুরানো হয় এবং এর উপরে শব্দরেখার উপর সূঁচালো একটি শলাকার অগ্রভাগ ছুঁয়ে যাওয়ার সময়, শব্দরেখার কম্পাঙ্ককে শনাক্ত করে, শব্দ উৎপন্ন হয়। পরে শব্দ বর্ধক যন্ত্রের সাহায্যে তা জোরালো হয়ে উঠে।
পরিভাষা
ফনোগ্রাফের ইতিহাস
পূর্বসূরিদের ফনোগ্রাফ
অনেক আবিষ্কারক থমাস এডিসনের ফোনোগ্রাফির আগে শব্দটি রেকর্ড করার মেশিন তৈরি করেছিলেন। এডিসনই প্রথমটি এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেছিলেন যা শব্দ রেকর্ড এবং পুনরুৎপাদন উভয়ই করতে পারে। পূর্বসূরিদের ফোনোগ্রাফির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ফরাসি বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড-লিওন স্কট ডি মার্টিনভিল এর ফোনোটোগ্রাফ এবং ফরাসি কবি চার্লস ক্রোস এর পেলিওফোন।
১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত এই ফোনোটোগ্রাফের পিপার মতো অংশটি তৈরি হয়ে প্যারিস অফ প্লাস্টার দ্বারা।
ফোনোটোগ্রাফ
শব্দকে যথাযথভাবে যন্ত্রের সাহায্যে বারবার বাজানোর উপযোগী প্রথম যন্ত্র হলো টিউনিং ফর্ক। ১৮০৭ খ্রিষ্টাব্দে এই যন্ত্রটি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন ইংরেজ বিজ্ঞানী থমাস ইয়ং। কিন্তু যন্ত্রের কাঁটাকে এমনভাবে তৈরি করা হতো। যাতে আঘাত করলে সুনির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি হয়। এতে কোনো শব্দকে গ্রহণ করে ধারণ করা যায় না। এখনো পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণাগারে এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বক্তৃতা, সঙ্গীত এবং অন্যান্য শব্দগুলির জন্য বায়ুবাহিত রেকর্ডিংয়ের জন্য প্রথম পরিচিত ডিভাইস ফোনোটোগ্রাফ, তৈরি করেন ফরাসি উদ্ভাবক এডওয়ার্ড-লিওন স্কট ডি মার্টিনভিল। এই যন্ত্রটির স্বত্বাধিকার গ্রহণ করা হয়েছিল ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ মার্চ। এই যন্ত্রটিও তৈরি করা হয়েছিল শব্দ-গবেষণাগারের জন্য।
বাতাসের ভিতর দিয়ে ভেসে আসা শব্দ এই যন্ত্রের পার্চমেন্ট কাগজের পর্দায় আঘাত হানতো। এর ফলে যে শব্দের কম্পাঙ্ক সৃষ্টি হতো তা এই পর্দার সাথে যুক্ত একটি বিশেষ ধরণের লেখনীকে কম্পিত করতো। এই লেখনী একটি ঘূর্ণায়মান চোখের উপর রাখা এক ধরণের কালচে কাগজের উপর শব্দ কম্পাঙ্কের ছবি আঁকতো। মূলত শব্দের প্রকৃতি চাক্ষুষভাবে পরীক্ষা করার জন্য এই যন্ত্র ব্যবহৃত হতো। কাগজে আঁকা এই শব্দ-কম্পাঙ্ক বাজানোর কোনো ব্যবস্থা সে সময়ে ছিল না।
পেলিওফোন
ফরাসি কবি এবং সৌখিন কবি চার্লস ক্রোস, প্রথম একটি শব্দ ধারণ এবং ধারণকৃত শব্দ বাজানোর যন্ত্রের তৈরির কথা ভাবেন। এই বিষয়ে তিনি ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিলে ফরাসি বিজ্ঞান একাডেমিতে একটি প্রতিবেদন পাঠান। এই বৎসরে এই যন্ত্র সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ৩০ অক্টোবরে। এই প্রতিবেদনের নাম ছিল ফোনোগ্রাফি। কিন্তু লেখকের পছন্দের নাম ছিল পেলিওফোন। চার্লস ক্রোস এই যন্ত্রে শব্দ ধারণের জন্য দুই স্তরের এক ধরণের পাতলা পাতের কথা ভেবেছিলেন। এই পাতের নিচের পাতটি হবে এ্যাসিডে ক্ষয় হয় না এমন পাত। উপরের পাতটি হবে এ্যাসিড দ্বারা ক্ষয় হতে পারে এমন। কোনো ঘূর্ণায়মান চোঙের উপর পাতটি আবদ্ধ করা হবে। শব্দ গ্রহণের সময় এ্যাসিড -বাহিত কলমের দ্বারা ওই পাতের উপর লেখা হবে। ফলে এই পাতে শব্দের ছবি অঙ্কিত হবে। পরে এই এ্যাসিডে পোড়া পাতটি অন্য একটি যন্ত্রের উপর সেঁটে, রেকর্ডকালিন গতিতে ঘুরিয়ে এবং এর উপরে স্থাপিত শব্দগ্রাহক কলমের দিয়ে শব্দ বাজানো হবে। যদিও এরপর এই পদ্ধতিতে এ্যাসিডে পোড়া শব্দ-ধারণোপযোগী পাতের ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়েছিল। কবি চার্লস ক্রোস এই বিষয়ে কোনো দাবি বা কৃতিত্ব দাবি করেন নি। ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে এই কবি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর শুরু হয় থমাস আলভা এডিসনের ফনোগ্রাফের যুগ।
প্রাথমিক ফোনগ্রাফ
টমাস আলভা এডিসন শব্দ ধারণ এবং তা পুনরায় বাজানোর পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করা কৌশল আবিষ্কার করেছিলেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের মে এবং জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে এই আবিষ্কারের বিষয়টি প্রকাশ করেন ১৮৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১শে নভেম্বরে। ডিসেম্বর মাসে সায়েন্টিফিক আমেরিকান তিনি আর এই যন্ত্রটিকে সর্ব সমক্ষে হাজির করেন ২৯ নভেম্বরে।