সালাফি আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ARDhrubo DKG (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১১৩ নং লাইন: ১১৩ নং লাইন:


* আব্দুল্লাহিল কাফি আল কুরাইশি
* আব্দুল্লাহিল কাফি আল কুরাইশি
* মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
* প্রফেসর ডা.আসাদুল্লাহ আল-গালিব
* আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
* প্রফেসর ড.আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া
* মানজুরে ইলাহী
* ড.মানজুরে ইলাহী
* আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ
* আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ
* আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
* আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
১২২ নং লাইন: ১২২ নং লাইন:
* ইমাম হোসেন
* ইমাম হোসেন
* সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী
* সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী
* মুজাফফর বিন মহসিন
* ড.মুজাফফর বিন মহসিন
* মুকাররম বিন মহসিন
* মুকাররম বিন মহসিন
* হারুন হোসাইন
* হারুন হোসাইন
১৪১ নং লাইন: ১৪১ নং লাইন:
* আবদুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
* আবদুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
* আব্দুল্লাহ হিল হাদি
* আব্দুল্লাহ হিল হাদি
* ড.মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
<br />
* প্রফেসর মোখতার আহম্মেদ
* মুফতি কাজী ইব্রাহিম
<br/>


== আরও দেখুন ==
== আরও দেখুন ==

০১:৩২, ৭ জুন ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ


সালাফি আন্দোলন (আরবি: سلفية) সুন্নি ইসলামের অন্তর্ভুক্ত একটি সংস্কারপন্থী আন্দোলন। এটি সালাফিইয়্যা নামেও পরিচিত।

সালাফি আন্দোলনকে বিপক্ষ দলগুলো (বিশেষত ব্রেলভী সম্প্রদায়ের লোকেরা) একে ওয়াহাবিবাদ বলে কটাক্ষ করে। কারণ এই আন্দোলনে ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাবের বিশেষ অবদান আছে। সালাফিরা সূফিবাদ ,পীর-মুরিদি ও মাজারকেন্দ্রিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করে। সালাফিবাদে ইসলামের আক্ষরিক, কঠোর ও বিশুদ্ধ চর্চা এবং বিশেষত সালাফ তথা ইসলামের প্রথম যুগের চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। সালাফিবাদ অন্যতম প্রভাবশালী ও দ্রুত বর্ধনশীল ইসলামি মতাদর্শ।[১][২][৩][৪] সালাফিরা কোনো মাযহাবের অন্ধ অনুসরণ (তাকলীদ) করে না। শারয়ী বিষয়ে সালাফিদের সাথে অন্যান্য মতালম্বি মুসলিমদের মতপার্থক্য রয়েছে। তারা শবে বরাত, ঈদে মিলাদুন্নবী , শবে মেরাজ, আখেরি চাহার সোমবা, ফাতিহা -ই- ইয়াজদাহাম ইত্যাদিকে ইসলামে যোগ হওয়া নতুন জিনিস (বিদ'আত) হিসেবে বিশ্বাস করে এবং এগুলো উৎযাপন করে না।

২০১৫ সালে মিশরে মিশরীয় সরকার সালাফিদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।[৫]

সালাফি আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২০ংশ শতাব্দীর শেষের দিকে সালাফি আন্দোলনের জন্ম হয়। যদিও ইসলামের পূর্বযুগের সংস্কারবাদী, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অনুসারী আলেমদের মধ্যে সালাফি শব্দটির প্রচলন ছিল। এ আন্দোলনের লোকেরা অন্ধ অনুসরণের বিরোধিতা শুরু করেন। তারা কুর'আন, সুন্নাহ, সাহাবী ও তাবেয়ীদের যুগের মৌলিক ইসলামের দিকে আহ্বান জানান। মিশর, আফ্রিকায় এই দলটি আনসার-উস-সুন্নাহ নামে পরিচিত। এর পিছনের কারিগর ছিলেন শাইখ হামিদ আল-ফিকহি, আব্দুর রহমান আল-ওয়াকীল ও আব্দুর রাযযাক হামযাহ। ভারতে সালাফি আন্দোলনের সূচনা করেন প্রখ্যাত আলিম মাওলানা সানাউল্লাহ অমৃতসরি। সালাফিরা মুসলিমদের আকীদা-বিশ্বাস ও রীতি-রেওয়াজ সঙস্কারকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পূর্বশর্ত মনে করে। বিংশ শতাব্দীর একেবারে শেষার্ধে নাসির উদ্দিন আল-আলবানি সিরিয়ায় ইসলামি পুনর্জাগরণকে উজ্জীবিত করেন। একই কাজ সৌদি আরবে করেছিলেন আব্দুল আযীয বিন বাযসালিহ আল উসাইমীন। ইয়েমেনে এই কাজ করেন আলবানীর ছাত্র মুকবিল বিন হাদী।[৬]

সালাফিদের রাজনৈতিক দর্শন

সালাফিরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে-

১) ইসলামবিরোধী আদেশ না দিলে ও প্রকাশ্য নামাজের অনুমতি দিলে শাসক মুসলিম হোক বা অমুসলিম, উক্ত শাসকের আনুগত্য করা স্থানীয় মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব ও মুসলিমদের জন্য উক্ত শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হারাম।[৭][৮]

২) মুসলিমদের আকীদা-বিশ্বাস সংস্কার, ধর্মের মৌলিক বিশুদ্ধ আকীদা প্রচার-প্রসার, কুসংস্কার-শিরক-বিদ'আত বর্জন রাজনৈতিক পরিবর্তনের পূর্বশর্ত।

৩) মুসলিম সরকার ও শাসকের অনুমতি ও নেতৃত্ব জিহাদের পূর্বশর্ত। সরকারের অনুমতি ব্যতীত জিহাদ করা বিশৃঙ্খলার নামান্তর।[৯]

৪) বর্তমান বিশ্বে প্রচলিত জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জিহাদ নয়।

৫) জিহাদের আরও দুটি পূর্বশর্ত হলো - সামর্থ্য ও বিজয়ের সম্ভাবনা।

সালাফি রাষ্ট্র

সালাফিদের প্রধান কেন্দ্র হলো সৌদি আরব। মক্কা-মদীনার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সালাফিদের অন্যতম কেন্দ্র। সৌদি আরব ছাড়াও কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত ও মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ রাষ্ট্র সালাফি প্রধান। মিশরে সালাফিরা নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে মদীনা ,মক্কা ও রিয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে স্নাতক করা আলিমদের মাধ্যমে সালাফি আন্দোলনের ব্যাপক বিস্তার ঘটছে। কুস্ংস্কার-অন্ধবিশ্বাস, কুপ্রথা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরোধিতা করা ও আধুনিকমনা হওয়ার কারণে ইসলাম পালনকারী তরুণ সমাজের বিশাল অংশ সালাফিবাদের প্রতি ঝুঁকছে। তাছাড়া, যারা নতুনভাবে ইসলাম প্র্যাকটিস করছে, তাদেরও বিশাল অংশ সালাফি হয়ে উঠছে।

সালাফি আলিম

  • আহমাদ ইবনু তাইমিয়া
  • মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব আত-তামিমি
  • সানাউল্লাহ অমৃতসরি
  • সফিউর রহমান মুবারকপুরী
  • আবদুল আল-আজিজ ইবনে বায
  • মুহাম্মদ ইবনে আল-উসাযইমীন
  • আবদুর রহিম গ্রীন
  • বিলাল ফিলিপস
  • মোহাম্মদ সালাহ
  • আসিম আল হাকিম
  • মুহাম্মদ বিন সালিহ আল মুনাজ্জিদ
  • মুহাম্মদ নাসিরুদ্দীন আল-আলবানী
  • শায়খ আব্দুল মুহসিন আব্বাদ আল বদর
  • রবি বিন হাদী আল-মাদখালী
  • সালিহ ইবনে ফাওযান আল ফাওযান
  • আবদুল আজিজ আল ই শায়খ
  • সালিহ আল লুহাইদান
  • সালিহ আস সুহায়মি
  • আবদুল আজিজ আল রাজিহ
  • শায়খ মুহাম্মদ বিন হাদী
  • শায়খ ফুয়াদ আল আমরী
  • শায়খ উবায়দ আল জাবরী
  • শায়খ আবদুল রাজ্জাক আল বদর
  • শায়খ ফালাহ ইসমাইল
  • শায়খ আবদুল ওয়াহহাব আল বান্না
  • আহমদ বিন উমর বজমুল
  • শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আবদুর-রহীম আল বুখারী
  • মুহাম্মদ ইবনে রমযান আল-হাজাজরী
  • শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আদম আল-ইথিওবি
  • শায়খ ‘আলী ইবনে নাছির আল-ফকিহীহ
  • মুহাম্মদ ইবনে ‘আবদুল-ওহাব আল-‘আকিল
  • মুহাম্মদ ইবনে ‘উমর বজমুল
  • খালিদ আদ-দাফিরি
  • আবু ‘উসমান মুহাম্মাদ আল-আনজারি
  • হাসান ইবনে ‘আবদুল-ওহাব মারজুক আল-বান্নাহ
  • ‘আবদুল্লাহাহ্-নাজমি
  • শায়খ ‘আবদুস-সালাম আস-সিহাইমি
  • ‘আবদুল-মুহসিন আল-উবায়কান
  • শায়খ মুহাম্মদ ইবনে সা’দ রাসলান
  • মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহহাব আল-ওয়াসাবি
  • আবু ‘উমর উসামাহ আল-উতাইবী
  • মুহাম্মদ ‘আলী ফেরকৌস
  • শায়খ সুলাইমান আর-রুহাইলী
  • আলী জাবের
  • আব্দুর রহমান আস-সুদাইস
  • সৌদ আশ-শুরাইম
  • বান্দার বিন আব্দুল আযীয আল-বালীলা
  • ইয়াসির আল দোসারি
  • মাহির আল-মুয়াক্বালি
  • আব্দুল্লাহ আওয়াদ জুহানী
  • সালেহ বিন হুমাইদ
  • ফয়সাল গাজ্জাওয়ী
  • সালাহ বা উসমান
  • উসামা খায়্যাত
  • সালেহ আল তালিব
  • খালিদ গামিদি
  • আলী হুজাইফি
  • আহমাদ তালিব হামিদ
  • সালাহ আল বুদাইর
  • খালিদ মুহান্না
  • আহমাদ বিন আলী হুজাইফি
  • আব্দুল বারি সুবাইসি
  • হুসাইন আলে শায়খ
  • মুহাম্মাদ আইয়ুব
  • আব্দুল মুহসিন আল কাসিম
  • আব্দুল্লাহ ইয়োলচু


ভারতের সালাফি আলিম

পাকিস্তানের সালাফি আলিম

বাংলাদেশের সালাফি আলিম

  • আব্দুল্লাহিল কাফি আল কুরাইশি
  • প্রফেসর ডা.আসাদুল্লাহ আল-গালিব
  • প্রফেসর ড.আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া
  • ড.মানজুরে ইলাহী
  • আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ
  • আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক
  • আমানুল্লাহ বিন ইসমাইল মাদানী
  • আব্দুল আলিম মাদানী
  • ইমাম হোসেন
  • সাইফুদ্দিন বেলাল মাদানী
  • ড.মুজাফফর বিন মহসিন
  • মুকাররম বিন মহসিন
  • হারুন হোসাইন
  • শহিদুল্লাহ খান মাদানী
  • আব্দুল হামিদ ফাইযি
  • আব্দুল্লাহ আল কাফি
  • মোখলেসুর রহমান
  • আব্দুন নূর
  • হাশিম মাদানী
  • মোহাম্মদ আলী
  • আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম
  • আখতার মাদানী
  • আব্দুর রাকিব বুখারী
  • মুসলেহ উদ্দিন
  • শায়খ মুখলেস বিন আরশাদ মাদানী
  • শায়খ জাহাঙ্গীর আলম
  • আব্দুর রহিম বাগেরহাটী
  • আবদুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী
  • আব্দুল্লাহ হিল হাদি
  • ড.মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ
  • প্রফেসর মোখতার আহম্মেদ
  • মুফতি কাজী ইব্রাহিম


আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Barby Grant। "Center wins NEH grant to study Salafism"। Arizona State University। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪It also reveals that Salafism was cited in 2010 as the fastest growing Islamic movement on the planet. 
  2. Simon Shuster (৩ আগস্ট ২০১৩)। "Comment: Underground Islam in Russia"Slate। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪It is the fastest-growing movement within the fastest-growing religion in the world. 
  3. CHRISTIAN CARYL (সেপ্টেম্বর ১২, ২০১২)। "The Salafi Moment"FP। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪Though solid numbers are hard to come by, they're routinely described as the fastest-growing movement in modern-day Islam. 
  4. "Uproar in Germany Over Salafi Drive to Hand Out Millions of Qurans"AFP। ২০১২-০৪-১৬। সংগ্রহের তারিখ ৯ জুন ২০১৪The service [German domestic intelligence service] said in its most recent annual report dating from 2010 that Salafism was the fastest growing Islamic movement in the world… 
  5. "Egypt bans Salafi books from mosques"muslimvillage.com। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৮, ২০১৫ 
  6. ড আবু আমীনাহ, বিলাল ফিলিপস। সভ্যতার সংকট। সিয়ান পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ৭২–৭৩। 
  7. "Is it obligatory to obey a ruler who does not rule according to the Book of Allaah and the Sunnah of His Messenger (blessings and peace of Allaah be upon him)?" 
  8. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, ২০০৭, আস সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
  9. "Ruling on jihad and kinds of jihad" 

গ্রন্থপঞ্জি