হুমায়ূন ফরীদি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু: সম্প্রসারণ |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) পরিষ্কারকরণ |
||
২১ নং লাইন: | ২১ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''হুমায়ুন ফরিদী''' (২৯ মে ১৯৫২ - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] অভিনেতা। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন। তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।<ref name="বাংলার খল নায়ক">হুমায়ুন ফরীদি ০৩-১৫-২০১০।</ref> তিনি ''[[মাতৃত্ব (চলচ্চিত্র)|মাতৃত্ব]]'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন। ২০১৮ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক]]ে |
'''হুমায়ুন ফরিদী''' (২৯ মে ১৯৫২ - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] অভিনেতা। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন। তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।<ref name="বাংলার খল নায়ক">হুমায়ুন ফরীদি ০৩-১৫-২০১০।</ref> তিনি ''[[মাতৃত্ব (চলচ্চিত্র)|মাতৃত্ব]]'' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য [[শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ)|শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার]] অর্জন করেন। ২০১৮ সালে [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা [[একুশে পদক]]ে ভূষিত করে। |
||
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন == |
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন == |
০৬:২৯, ২৯ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হুমায়ুন ফরিদী | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | (বয়স ৫৯)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
শিক্ষা | অর্থনীতি |
মাতৃশিক্ষায়তন | জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৮১–২০১২ |
দাম্পত্য সঙ্গী | মিনু (বি. ১৯৮০; বিচ্ছেদ. ১৯৮৪) সুবর্ণা মুস্তাফা (বি. ১৯৮৪; বিচ্ছেদ. ২০০৮)[১] |
সন্তান | শারারাত ইসলাম দেবযানী (মেয়ে) |
পিতা-মাতা | এ টি এম নূরুল ইসলাম বেগম ফরিদা ইসলাম |
পুরস্কার | জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার |
হুমায়ুন ফরিদী (২৯ মে ১৯৫২ - ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফরীদি চলচ্চিত্র জগতে আগমন করেন। তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়।[২] তিনি মাতৃত্ব চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
জন্ম ও শিক্ষাজীবন
হুমায়ুন ফরিদী ১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এটিএম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি ১৯৬৫ সালে পিতার চাকুরীর সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এ সময় মাদারীপুর থেকেই নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। তার নাট্যঙ্গনের গুরু বাশার মাহমুদ। তখন নাট্যকার বাশার মাহমুদের শিল্পী নাট্যগোষ্ঠী নামের একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে কল্যাণ মিত্রের 'ত্রিরত্ন' নাটকে 'রত্ন' চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি সর্বপ্রথম দর্শকদের সামনে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর এই সংগঠনের সদস্য হয়ে 'টাকা আনা পাই', 'দায়ী কে', 'সমাপ্তি', 'অবিচার'সহ ৬টি মঞ্চ নাটকে অংশ নেন।
অবশেষে ১৯৬৮ সালে মাধ্যমিক স্তর উত্তীর্ণের পর পিতার চাকুরীর সুবাদে চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেন।[৩] এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আল-বেরুনী হলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আল-দীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।
কর্মজীবন
১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবে তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। মূলতঃ এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন।[৪]
অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বিখ্যাত সংশপ্তক নাটকে 'কানকাটা রমজান' চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু
ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ুন ফরিদী দুবার বিয়ে করেন। প্রথম বিয়ে করেন ১৯৮০'র দশকে। 'দেবযানী' নামের তার এক মেয়ে রয়েছে এ সংসারে।[৪] পরবর্তীতে অভিনেত্রী সুবর্ণা মোস্তফাকে বিয়ে করলেও ২০০৮ সালে তাদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে।
তিনি ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ধানমন্ডিতে তার নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এর পূর্বে তার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় তাকে ঢাকার মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফিরে আসার পর তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি বাথরুমে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। এই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়।[৫]
চলচ্চিত্রের তালিকা
চলচ্চিত্র
|
|
|
টিভি
|
|
মঞ্চ
- ত্রিরত্ন (প্রথম অভিনয়)
- কিত্তনখোলা
- মুন্তাসির ফ্যান্টাসি
- কিরামত মঙ্গল(১৯৯০)
- ধূর্ত উই
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
- ২০০৪ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন হুমায়ুন ফরিদী।[৩]
- নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা প্রদান করেন।
- নৃত্যকলা ও অভিনয় শিল্পের জন্য ২০১৮ সালের একুশে পদক (মরণোত্তর) লাভ।[৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ "2012 In The Rear-view Mirror"। The Daily Star। ২০১২-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-১২-৩০।
- ↑ হুমায়ুন ফরীদি ০৩-১৫-২০১০।
- ↑ ক খ হুমায়ুন ফরীদি: তিন দশক অভিনয়ে ছড়িয়েছেন আলো ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে, বিডিনিউজ২৪.কম - সংগ্রহকাল: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রিস্টাব্দ
- ↑ ক খ দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন, সংগ্রহ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ খ্রি.
- ↑ "হুমায়ুন ফরীদি আর নেই"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২০।
- ↑ "একুশে পদক পেলেন ২১ বিশিষ্ট নাগরিক"। ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে হুমায়ূন ফরীদি (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে হুমায়ূন ফরীদি (ইংরেজি)
- হুমায়ুন ফরীদি — কমপ্লিট ইনডেক্স টু ওয়ার্লড ফিল্ম
- আমাদের হুমায়ুন ফরীদি
- ১৯৫২-এ জন্ম
- ২০১২-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশী অভিনেতা
- ২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশী অভিনেতা
- বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা
- বাংলাদেশী টেলিভিশন অভিনেতা
- বাংলাদেশী নাট্য অভিনেতা
- বাংলাদেশী মঞ্চ অভিনেতা
- চাঁদপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষক
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ঢাকার অভিনেতা
- শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (বাংলাদেশ) বিজয়ী
- শিল্পকলায় একুশে পদক বিজয়ী