সঙ্গীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আবার (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Riju122 (আলোচনা | অবদান)
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
[[File:Maler der Grabkammer des Nacht 004.jpg|thumb|230px|Music cians of Amun, Tomb of Nakht, 18th Dynasty, Western Thebes, Egypt]]
[[File:Maler der Grabkammer des Nacht 004.jpg|thumb|230px|Music cians of Amun, Tomb of Nakht, 18th Dynasty, Western Thebes, Egypt]]


[[প্রস্তর যুগ|পাথরযুগের]] মানুষও সঙ্গীত গাইতো। সম্ভবত প্রথম সঙ্গীত তৈরির চেষ্টা হয়েছিল শব্দ ও ছন্দ দ্বারা প্রকৃতির সাহায্যে। অতি প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা যখন বুঝিয়েছিলেন যে, চিত্তকে একাগ্র করার সর্বাপেক্ষা শক্তি সঙ্গীত, তখন থেকে তারা সঙ্গীতকে ঈশ্বর আরাধনার বা ঈশ্বর প্রাপ্তির একমাত্র সহজতম পথ হিসাবে গ্রহণ করেন। প্রাচীনকালের পণ্ডিতগণের মতে, “ঔঁ’’ শব্দের মধ্যে নাদ ব্রহ্ম নিহিত। সঙ্গীতের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য সঙ্গীতজ্ঞরা একে কঠোর নিয়মে বাঁধার চেষ্টা করেন। এ রকম শৃঙ্খলাবদ্ধ সঙ্গীত যা, ঈশ্বর প্রাপ্তির বা ঈশ্বর আরাধনার সহজতম পথ বলে বিবেচিত হয়। মহর্ষি ভরত একে মার্গী বা মার্গ সঙ্গীত নামে আখ্যা দেন। সুতরাং প্রাচীন শাস্ত্রসম্মত ১০টি লক্ষণযুক্ত পদ, তাল ও স্বর সমন্বয়ে শাস্ত্রীয় ধারার অনুসরণকারী গীতিধারাকে ‘মার্গ’ সঙ্গীত বলা যেতে পারে।
[[প্রস্তর যুগ|পাথরযুগের]] মানুষও সঙ্গীত গাইতো। সম্ভবত প্রথম সঙ্গীত তৈরির চেষ্টা হয়েছিল শব্দ ও ছন্দ দ্বারা প্রকৃতির সাহায্যে।
বাংলার ‘মার্গ’ শব্দের অর্থ ‘অন্বেষণ’ এই অর্থ সঙ্গীতে দেখা যায় যে, পৌরাণিককালে ব্রহ্ম চতুর্বেদ অন্বেষণ বৈদিক সঙ্গীতের শুদ্ধ রীতি পরিমার্জিত করে যে সঙ্গীতের সৃষ্টি করেন তাই মার্গ বা গান্ধর্ব্য সঙ্গীত নামে পরিচিতি লাভ করে। ‘মার্গ’ সঙ্গীত বলতে ঠিক কোন প্রকার সঙ্গীতকে বোঝায় তা নিয়ে আজও বিদ্বানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে পৌরাণিক শাস্ত্র-গ্রন্থ থেকে জানা যায়, প্রাচীনকালের আদিম ‘গান্ধর্ব্যদেব দেশে’ যে সঙ্গীতরীতি প্রচলিত ছিল তা অনুসরণে এই মার্গ অথবা গান্ধব্য সঙ্গীতের সৃষ্টি। পৌরাণিক যুগ হতে শিবকে সঙ্গীতের গুরুরূপে কল্পনা করার রীতি প্রচলিত। এজন্য পৌরাণিক যুগের শিবমতকে গান্ধর্ব্য সঙ্গীত বলা হতো।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মার্গ সঙ্গীতের ধারা|প্রকাশক=ফয়সাল আহমেদ|সংগ্রহের-তারিখ=১৫ মে ২০২০}}</ref>


== সঙ্গীতের প্রকারভেদ ==
== সঙ্গীতের প্রকারভেদ ==

০৭:৫৯, ১৫ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সংগীত দ্বারা গীত, বাদ্য, নৃত্য এই তিনটি বিষয়ের সমাবেশকে উল্লেখ করা হয়।[১] গীত এক ধরনের শ্রবণযোগ্য কলা যা সুসংবদ্ধ শব্দ ও নৈশব্দের সমন্বয়ে মানব চিত্তে বিনোদন সৃষ্টি করতে সক্ষম। স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে গীতের সৃষ্টি। এই ধ্বনি হতে পারে মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত ধ্বনি, হতে পারে যন্ত্রোৎপাদিত শব্দ অথবা উভয়ের সংমিশ্রণ। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে সুর ধ্বনির প্রধান বাহন। সুর ছাড়াও অন্য যে অনুষঙ্গ সঙ্গীতের নিয়ামক তা হলো তাল

অর্থযুক্ত কথা, সুর ও তালের সমন্বয়ে গীত প্রকাশিত হয়।[১] সুর ও তালের মিলিত ভাব এ বাদ্য প্রকাশিত হয়।[১] ছন্দের সাথে দেহ ভঙ্গিমার সাহায্যে নৃত্য গঠিত ।[১]

ইতিহাস

Music cians of Amun, Tomb of Nakht, 18th Dynasty, Western Thebes, Egypt

পাথরযুগের মানুষও সঙ্গীত গাইতো। সম্ভবত প্রথম সঙ্গীত তৈরির চেষ্টা হয়েছিল শব্দ ও ছন্দ দ্বারা প্রকৃতির সাহায্যে। অতি প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা যখন বুঝিয়েছিলেন যে, চিত্তকে একাগ্র করার সর্বাপেক্ষা শক্তি সঙ্গীত, তখন থেকে তারা সঙ্গীতকে ঈশ্বর আরাধনার বা ঈশ্বর প্রাপ্তির একমাত্র সহজতম পথ হিসাবে গ্রহণ করেন। প্রাচীনকালের পণ্ডিতগণের মতে, “ঔঁ’’ শব্দের মধ্যে নাদ ব্রহ্ম নিহিত। সঙ্গীতের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করার জন্য সঙ্গীতজ্ঞরা একে কঠোর নিয়মে বাঁধার চেষ্টা করেন। এ রকম শৃঙ্খলাবদ্ধ সঙ্গীত যা, ঈশ্বর প্রাপ্তির বা ঈশ্বর আরাধনার সহজতম পথ বলে বিবেচিত হয়। মহর্ষি ভরত একে মার্গী বা মার্গ সঙ্গীত নামে আখ্যা দেন। সুতরাং প্রাচীন শাস্ত্রসম্মত ১০টি লক্ষণযুক্ত পদ, তাল ও স্বর সমন্বয়ে শাস্ত্রীয় ধারার অনুসরণকারী গীতিধারাকে ‘মার্গ’ সঙ্গীত বলা যেতে পারে। বাংলার ‘মার্গ’ শব্দের অর্থ ‘অন্বেষণ’ এই অর্থ সঙ্গীতে দেখা যায় যে, পৌরাণিককালে ব্রহ্ম চতুর্বেদ অন্বেষণ বৈদিক সঙ্গীতের শুদ্ধ রীতি পরিমার্জিত করে যে সঙ্গীতের সৃষ্টি করেন তাই মার্গ বা গান্ধর্ব্য সঙ্গীত নামে পরিচিতি লাভ করে। ‘মার্গ’ সঙ্গীত বলতে ঠিক কোন প্রকার সঙ্গীতকে বোঝায় তা নিয়ে আজও বিদ্বানদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে পৌরাণিক শাস্ত্র-গ্রন্থ থেকে জানা যায়, প্রাচীনকালের আদিম ‘গান্ধর্ব্যদেব দেশে’ যে সঙ্গীতরীতি প্রচলিত ছিল তা অনুসরণে এই মার্গ অথবা গান্ধব্য সঙ্গীতের সৃষ্টি। পৌরাণিক যুগ হতে শিবকে সঙ্গীতের গুরুরূপে কল্পনা করার রীতি প্রচলিত। এজন্য পৌরাণিক যুগের শিবমতকে গান্ধর্ব্য সঙ্গীত বলা হতো।[২]

সঙ্গীতের প্রকারভেদ

ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুংরী, টপ্পা, গজল, কাওয়ালী, কালোয়াতী

সঙ্গীতের স্বরলিপি

সংগীত বা সুর বা স্বর এর প্রকাশ পদ্ধতিতে সাত (৭) টি চিহ্ন ( সংকেত ) ব্যবহৃত হয়, যথা :

সা রে গা মা পা ধা নি

এই সাতটি চিহ্ন দ্বারা সাতটি কম্পাংক নির্দেশ করা হয় । এছাড়াও আরও ৫টি স্বর রয়েছে ; যাদেরকে বিকৃত স্বর বলা হয় । যথা :

ঋ জ্ঞ হ্ম দ ণ

সঙ্গীতের তাল

সঙ্গীত সর্বাঙ্গীণ সুন্দর হয় তখনই, যখন তাল, মাত্রা, লয় সহকারে নির্দিষ্ট প্রণালীতে সম্পন্ন হয়। বলা হয়ে থাকে বেসুরো সঙ্গীত তবুও শ্রবনযোগ্য, তবে তাল-হীন গান সহ্য করা সম্ভব নয়। তাল হল সঙ্গীতের কঙ্কাল স্বরুপ। বিভিন্ন রকম তাল এর নাম ও মাত্রাঃ

যন্ত্র সঙ্গীত

বিভিন্ন প্রকার যান্ত্রীয় সঙ্গীত:

সঙ্গীত শিল্পের বাণিজ্যিক প্রসার

প্রাচীনকাল থেকে এ বঙ্গঅঞ্চলে কীর্তন বা ঈশ্বরের নামে গান করার প্রচলন চলে আসছে। চর্যাগীতির পরে বাংলা সঙ্গীতে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছে নাথগীতি। যদিও সঙ্গীতকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট হয়েছে এক ধরনের ব্যবসায়। এতে সঙ্গীত রচনা করে গ্রাহক কিংবা প্রচার মাধ্যমে বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এর সাথে জড়িত রয়েছে বিভিন্ন রেকর্ড কোম্পানী, ব্রান্ড এবং ট্রেডমার্ক সহযোগে লেবেল এবং বিক্রেতা। ২০০০ সালের পর থেকে গানের শ্রোতার সংখ্যা অসম্ভব আকারে বৃদ্ধি পেয়েছ। শ্রোতারা ডিজিটাল মিউজিক ফাইলগুলোকে এমপি-থ্রী প্লেয়ার, আইপড, কম্পিউটার এবং অন্যান্য বহনযোগ্য আধুনিক যন্ত্রে সংরক্ষণ করছেন। গানগুলো ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে কিংবা ক্রয় করে সংগ্রহ করা যায়। ডিজিটাল মাধ্যমে গান সংগ্রহ ও দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে বর্তমান সঙ্গীত শিল্প প্রসারিত হয়েছে।

তবে ইন্টারনেট থেকে অবাধে বিনামূল্যে গান ডাউনলোড করার ফলে গানের সিডি বিক্রয়ের ব্যবসায় এক ধরনের হুমকির মুখে রয়েছে। এর ফলে বাণিজ্যিক শিল্পীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছেন না।

তথ্যসূত্র

  1. মৃণাল দাশ গুপ্ত (২০১৩)। সহজ পদ্ধতির বাঁশী শিক্ষা। চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ: অশোক ধর, গণেশ এন্ড কোং, ৯৮ হাজারী লেইন, চট্টগ্রাম। পৃষ্ঠা ১০। 
  2. "মার্গ সঙ্গীতের ধারা"। ফয়সাল আহমেদ। 

বহিঃসংযোগ