সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
শৈশবকাল - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
| heightcm =
| heightcm =
| heightm =
| heightm =
| family = [[Arjuna Ranatunga|অর্জুনা রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা)<br>[[Nishantha Ranatunga|নিশান্ত রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা)<br>[[Dammika Ranatunga|দাম্মিকা রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা) <br>প্রসন্ন রানাতুঙ্গা<!-- Prasanna Ranatunga -->
| family = [[Arjuna Ranatunga|অর্জুনা রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা)<br>[[Nishantha Ranatunga|নিশান্ত রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা)<br>[[Dammika Ranatunga|দাম্মিকা রানাতুঙ্গা]] (ভ্রাতা) <br>প্রসন্ন রানাতুঙ্গা (ভ্রাতা)<!-- Prasanna Ranatunga -->


| batting = বামহাতি
| batting = বামহাতি
৮৪ নং লাইন: ৮৪ নং লাইন:
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে [[Colts Cricket Club|কোল্টস]], নন্দেস্ক্রিপ্টস ও সিংহলীজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে [[অফ ব্রেক]] বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে [[Colts Cricket Club|কোল্টস]], নন্দেস্ক্রিপ্টস ও সিংহলীজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে [[অফ ব্রেক]] বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।


== শৈশবকাল ==
== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
সাবেক [[শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কদের তালিকা|শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট অধিনায়ক]] অর্জুনা রানাতুঙ্গা, [[দম্মিকা রানাতুঙ্গা]], [[নিশান্ত রানাতুঙ্গা]] ও প্রসন্ন রানাতুঙ্গা সম্পর্কে তার সহোদর ভ্রাতা।

আনন্দ কলেজে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে বেশ রান তুলেছেন। আনন্দ কলেজের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ শ্রীলঙ্কান এ দলের পক্ষে বেশ কয়েকবার অংশ নিয়েছেন।
আনন্দ কলেজে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে বেশ রান তুলেছেন। আনন্দ কলেজের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ শ্রীলঙ্কান এ দলের পক্ষে বেশ কয়েকবার অংশ নিয়েছেন।


== প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ==
১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সুপরিচিত ও জনপ্রিয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা [[অর্জুনা রানাতুঙ্গা|অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র]] ন্যায় সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রতিভাবান বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা’র [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর]] খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সুপরিচিত ও জনপ্রিয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা [[অর্জুনা রানাতুঙ্গা|অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র]] ন্যায় সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রতিভাবান বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।


৯৩ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:
১৯৯৪ সালে নিজ দেশে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন। একদিনের সিরিজে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ৭০ রান তুলেন। এরপর থেকেই তার খেলার মানের ক্রমাবনতি হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে, ১৩টি ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাকে বিদেয় নিতে হয়। জানুয়ারি, ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
১৯৯৪ সালে নিজ দেশে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন। একদিনের সিরিজে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ৭০ রান তুলেন। এরপর থেকেই তার খেলার মানের ক্রমাবনতি হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে, ১৩টি ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাকে বিদেয় নিতে হয়। জানুয়ারি, ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।


তবে, তুলনামূলকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে পরপর দুইটি সেঞ্চুরি করেন। সাত টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৫৯.৭১। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া গমন করার সুযোগ লাভ করেন। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বেশ প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হন। ফলে, তাকে দলের বাইরে রাখতে বাধ্য করা হয়। জুন, ১৯৯৭ সালে বিতর্কিতভাবে তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। কিন্তু, একটি খেলায় দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় তাকে আর দলে রাখা হয়নি।
তবে, তুলনামূলকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। টেস্ট খেলাগুলোয় দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ১৯৯৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হারারে স্পোর্টস ক্লাব ও কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে উপর্যুপরী টেস্ট শতক করেন। তবে, উভয় টেস্টই ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে পরপর দুইটি সেঞ্চুরি করেন। সাত টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৫৯.৭১। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া গমন করার সুযোগ লাভ করেন।
[[Sri Lankan cricket team in Australia in 1995–96|১৯৯৬]] সালে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। অ্যাডিলেড টেস্টে ৬০ ও ৬৫ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বেশ প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হন। ফলে, তাকে দলের বাইরে রাখতে বাধ্য করা হয়। জুন, ১৯৯৭ সালে বিতর্কিতভাবে তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। কিন্তু, একটি খেলায় দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় তাকে আর দলে রাখা হয়নি।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৫:৫১, ৫ মে ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা
සංජීව රණතුංග
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামসঞ্জীবা রানাতুঙ্গা
জন্ম (1969-04-25) ২৫ এপ্রিল ১৯৬৯ (বয়স ৫৪)
কলম্বো, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, রেফারি, ধারাভাষ্যকার
সম্পর্কঅর্জুনা রানাতুঙ্গা (ভ্রাতা)
নিশান্ত রানাতুঙ্গা (ভ্রাতা)
দাম্মিকা রানাতুঙ্গা (ভ্রাতা)
প্রসন্ন রানাতুঙ্গা (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬২)
২৬ আগস্ট ১৯৯৪ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২০ জুন ১৯৯৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮১)
৩ আগস্ট ১৯৯৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১৪ জানুয়ারি ১৯৯৬ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৩
রানের সংখ্যা ৫৩১ ২৫৩
ব্যাটিং গড় ৩৩.১৮ ২৩.০০
১০০/৫০ ২/২ -/২
সর্বোচ্চ রান ১১৮ ৭০
বল করেছে
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ২/-

সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা (সিংহলি: සංජීව රණතුංග; জন্ম: ২৫ এপ্রিল, ১৯৬৯) কলম্বো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, রেফারি ও ধারাভাষ্যকার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে কোল্টস, নন্দেস্ক্রিপ্টস ও সিংহলীজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি।

শৈশবকাল

সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা, দম্মিকা রানাতুঙ্গা, নিশান্ত রানাতুঙ্গা ও প্রসন্ন রানাতুঙ্গা সম্পর্কে তার সহোদর ভ্রাতা।

আনন্দ কলেজে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয় পর্যায়ে বেশ রান তুলেছেন। আনন্দ কলেজের অধিনায়কের দায়িত্ব পালনসহ শ্রীলঙ্কান এ দলের পক্ষে বেশ কয়েকবার অংশ নিয়েছেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৯৮৮-৮৯ মৌসুম থেকে ২০০০-০১ মৌসুম পর্যন্ত সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সুপরিচিত ও জনপ্রিয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা অর্জুনা রানাতুঙ্গা’র ন্যায় সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তবে, ঘরোয়া পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রতিভাবান বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্ট ও তেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন সঞ্জীবা রানাতুঙ্গা। ২৬ আগস্ট, ১৯৯৪ তারিখে ক্যান্ডিতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২০ জুন, ১৯৯৭ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৪ সালে নিজ দেশে পাকিস্তানের মুখোমুখি হন। একদিনের সিরিজে বেশ ভালোমানের খেলা উপহার দেন। নিজস্ব দ্বিতীয় খেলায় ৭০ রান তুলেন। এরপর থেকেই তার খেলার মানের ক্রমাবনতি হতে থাকে। ফলশ্রুতিতে, ১৩টি ওডিআইয়ে অংশ নেয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাকে বিদেয় নিতে হয়। জানুয়ারি, ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

তবে, তুলনামূলকভাবে টেস্ট ক্রিকেটে বেশ সফলতা পেয়েছিলেন। টেস্ট খেলাগুলোয় দুইটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন। ১৯৯৪ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে হারারে স্পোর্টস ক্লাব ও কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে উপর্যুপরী টেস্ট শতক করেন। তবে, উভয় টেস্টই ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্টে পরপর দুইটি সেঞ্চুরি করেন। সাত টেস্ট শেষে তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৫৯.৭১। ফলশ্রুতিতে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া গমন করার সুযোগ লাভ করেন।

১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়া গমন করেন। অ্যাডিলেড টেস্টে ৬০ ও ৬৫ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন। কিন্তু, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি বেশ প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হন। ফলে, তাকে দলের বাইরে রাখতে বাধ্য করা হয়। জুন, ১৯৯৭ সালে বিতর্কিতভাবে তাকে জাতীয় দলে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। কিন্তু, একটি খেলায় দূর্বল ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করায় তাকে আর দলে রাখা হয়নি।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ