সিলেটি রন্ধনশৈলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হালনাগাদ করা হল
হালনাগাদ করা হল
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
| image2 = Chicken Tikka Masala KellySue.JPG|caption2=চিকেন টিক্কা মাসালা ব্রিটিশ-সিলেটি রাঁধুনিদের দ্বারা উদ্ভাবিত
| image2 = Chicken Tikka Masala KellySue.JPG|caption2=চিকেন টিক্কা মাসালা ব্রিটিশ-সিলেটি রাঁধুনিদের দ্বারা উদ্ভাবিত
| image3 = সাত রঙ্গা চা।.jpg|caption3=জনপ্রিয় [[সাত রং চা]]
| image3 = সাত রঙ্গা চা।.jpg|caption3=জনপ্রিয় [[সাত রং চা]]
| image4 = ꠉꠥꠀ-ꠙꠣꠘ.jpg|caption4=[[সুপারি]]-[[পান]] দিয়ে সিলেটি খাবার শেষ করা হয়।
| image4 = ꠉꠥꠀ-ꠙꠣꠘ.jpg|caption4=[[পান]]-[[সুপারি]] দিয়ে সিলেটি খাবার শেষ করা হয়।
}}
}}
'''সিলেটি''' '''রন্ধনশৈলী''' ({{Lang-syl|ꠍꠤꠟꠐꠤ ꠞꠣꠘꠗꠣ}}) মুলত [[সিলেটি|সিলেটিদের]] খাদ্য সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। যার মধ্যে মশলাদার মুরগির টিক্কা মশলা থেকে শুরু করে টক জাতীয় [[সাতকরা|হাতকরা]], নুনর বড়া থেকে শুরু মিষ্টান্নজাতীয় [[তুশা শিন্নি]] এবং [[হুটকি শিরা]] অন্তর্গত। [[সাতকরা|হাতকরা]] একটি সাধারণ পদ যা মাছ এবং [[মাংস|মাংসের]] সাথে বিভিন্ন খাবার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। [[ভিটামিন সি]] এবং [[জারণরোধক|অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট]] সমৃদ্ধ, হাতকরা তরকারি ভাত দিয়ে খেতে সবথকে ভালো লাগে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.mid-day.com/articles/mumbai-food-bangladeshi-dishes-straight-from-sylhet-at-restaurant-in-bkc/20740177|শিরোনাম=Mumbai Food: Bangladeshi Dishes Straight From Sylhet At Restaurant In BKC|তারিখ=Apr 14, 2019|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Mid Day]]}}</ref> সিলেটিরা মূলত ভাত ও [[মাছ]] খেয়ে থাকলেও তাদের রন্ধনশৈলী সিলেটের বহিরাগতদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।<ref name="coursehero">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.coursehero.com/file/p70ujoo/The-area-covered-by-Sylhet-Division-is-12569-km%C2%B2-which-is-about-8-of-the-total/|শিরোনাম=The area covered by sylhet division is 12569 km²|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2020|প্রকাশক=[[coursehero.com]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thestatesman.com/supplements/a-fillet-from-sylhet-89932.html|শিরোনাম=A fillet from sylhet|তারিখ=September 14, 2015|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Statesman (India)]]}}</ref> [[বরাক উপত্যকা]] থেকে [[সিলেট বিভাগ|সুরমা উপত্যকার]] বহু সংস্কৃতির লোক,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://scroll.in/article/919904/in-assams-barak-valley-insecurities-about-citizenship-drive-bengali-hindus-to-the-bjp|শিরোনাম=In Assam’s Barak Valley, insecurities about citizenship drive Bengali Hindus to the BJP|তারিখ=Apr 15, 2019|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=scroll.in}}</ref> ও সিলেটি প্রবাসীরা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সিলেটি খাবার এবং আস্বাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে [[খাসিয়া জনগোষ্ঠী|খাসি]], [[কুকি (জাতিগোষ্ঠী)|কুকি]] এবং অন্যান্য উপজাতির রন্ধনশৈলী লক্ষণীয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2015/07/16/42488.php|শিরোনাম=সিলেটের উপভাষা ও জীবনধারা : ড. শ্যামল কান্তি দত্ত|তারিখ=16 July 2015|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Bhorer Kagoj]]}}</ref> এই অঞ্চলে প্রাপ্ত [[শাকসবজি]] এবং পশুপাখির উপর নির্ভর করে ''সিলেটের'' রন্ধনশৈলী সমৃদ্ধ হয়েছে। মূলত দেশীয় কিছু বৈচিত্র্য সহ, সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতি পরিবেশিত হয় যেখানে কিছু বাহ্যিক প্রভাবও রয়েছে। [[শাহ জালাল|শাহ জালালের]] ৩৬০জন সফর সঙ্গী এই অঞ্চলে কেবল তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিই নিয়ে আসেনি, তাদের নিজস্ব রান্নার স্বতন্ত্র স্টাইলও নিয়ে আসে। যার মধ্যে মুরগী, গরুরমাংস এবং ছাগল দিয়ে রান্না করা মুঘলাই, মধ্য-প্রাচ্য এবং উত্তর ভারতীয় স্টাইলের অনেকগুলি মাংসের খাবার রয়েছে। মুঘলাই পরটা, [[পোলাও]], [[কোর্মা|কোরমা]], কালিয়া, রোস্ট, [[বিরিয়ানি|বিরিয়ানী]] এবং [[কোফতা]] তরকারি হিসেবে, এবং জরদা, [[পায়েস|ফিরনি]] এবং [[পায়েস]] ডেজার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
'''সিলেটি রন্ধনশৈলী''' ({{Lang-syl|ꠍꠤꠟꠐꠤ ꠞꠣꠘꠗꠣ}}) মুলত [[সিলেটি|সিলেটিদের]] খাদ্য সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। যার মধ্যে মশলাদার মুরগির টিক্কা মশলা থেকে শুরু করে টক জাতীয় [[সাতকরা|হাতকরা]], নুনর বড়া থেকে শুরু মিষ্টান্নজাতীয় [[তুশা শিন্নি]] এবং [[হুটকি শিরা]] অন্তর্গত। সিলেটি রন্ধনশৈলীতে [[সাতকরা|হাতকরা]] একটি সাধারণ পদ যা মাছ এবং [[মাংস|মাংসের]] সাথে বিভিন্ন খাবার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। [[ভিটামিন সি]] এবং [[জারণরোধক|অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট]] সমৃদ্ধ, হাতকরা তরকারি ভাত দিয়ে খেতে সবথকে ভালো লাগে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.mid-day.com/articles/mumbai-food-bangladeshi-dishes-straight-from-sylhet-at-restaurant-in-bkc/20740177|শিরোনাম=Mumbai Food: Bangladeshi Dishes Straight From Sylhet At Restaurant In BKC|তারিখ=Apr 14, 2019|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Mid Day]]}}</ref> সিলেটিরা মূলত ভাত ও [[মাছ]] খেয়ে থাকলেও তাদের রন্ধনশৈলী সিলেটের বহিরাগতদের থেকে বেশ স্বতন্ত্র।<ref name="coursehero">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.coursehero.com/file/p70ujoo/The-area-covered-by-Sylhet-Division-is-12569-km%C2%B2-which-is-about-8-of-the-total/|শিরোনাম=The area covered by sylhet division is 12569 km²|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=25 April 2020|প্রকাশক=[[coursehero.com]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thestatesman.com/supplements/a-fillet-from-sylhet-89932.html|শিরোনাম=A fillet from sylhet|তারিখ=September 14, 2015|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Statesman (India)]]}}</ref> সিলেটি রান্নায় যেমন তেল ছাড়া তরকারি রয়েছে,<ref>{{citenews|url=http://www.homechef.com.bd/recipe/%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%9F%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE--by-homefood|title=শুটকি শিরা (সিলেটের রান্না)|language=bn |access-date=22 April 2020| date=13 Mar 2019| publisher=www.homechef.com.bd}}</ref> তেমনি প্রচুর টক (টেঙ্গা) স্বাদের তরকারিও রয়েছে। [[বরাক উপত্যকা]] থেকে [[সিলেট বিভাগ|সুরমা উপত্যকার]] বহু সংস্কৃতির লোক,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://scroll.in/article/919904/in-assams-barak-valley-insecurities-about-citizenship-drive-bengali-hindus-to-the-bjp|শিরোনাম=In Assam’s Barak Valley, insecurities about citizenship drive Bengali Hindus to the BJP|তারিখ=Apr 15, 2019|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=scroll.in}}</ref> ও সিলেটি প্রবাসীরা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সিলেটি খাবার এবং আস্বাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে [[খাসিয়া জনগোষ্ঠী|খাসি]], [[কুকি (জাতিগোষ্ঠী)|কুকি]] এবং অন্যান্য উপজাতির রন্ধনশৈলী লক্ষণীয়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bhorerkagoj.com/print-edition/2015/07/16/42488.php|শিরোনাম=সিলেটের উপভাষা ও জীবনধারা : ড. শ্যামল কান্তি দত্ত|তারিখ=16 July 2015|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Bhorer Kagoj]]}}</ref> এই অঞ্চলে প্রাপ্ত [[শাকসবজি]] এবং পশুপাখির উপর নির্ভর করে ''সিলেটের রন্ধনশৈলী'' সমৃদ্ধ হয়েছে। মূলত দেশীয় কিছু বৈচিত্র্য সহ, সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতি পরিবেশিত হয় যেখানে কিছু বাহ্যিক প্রভাবও রয়েছে। [[শাহ জালাল|শাহ জালালের]] ৩৬০জন সফর সঙ্গী এই অঞ্চলে কেবল তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিই নিয়ে আসেনি, তাদের নিজস্ব রান্নার স্বতন্ত্র স্টাইলও নিয়ে আসে। যার মধ্যে মুরগী, গরুরমাংস এবং ছাগল দিয়ে রান্না করা মুঘলাই, মধ্য-প্রাচ্য এবং উত্তর ভারতীয় স্টাইলের অনেকগুলি মাংসের খাবার রয়েছে। মুঘলাই পরটা, [[পোলাও]], [[কোর্মা|কোরমা]], কালিয়া, রোস্ট, [[বিরিয়ানি|বিরিয়ানী]] এবং [[কোফতা]] তরকারি হিসেবে, এবং জরদা, [[পায়েস|ফিরনি]] এবং [[পায়েস]] ডেজার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।


ঊননবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে, ইউরোপীয় এবং [[মুসলমান|মুসলমানরা]] সিলেট অঞ্চলে বিস্কুট এবং [[রুটি|ব্রেডের]] প্রচলন করেছিল যা [[উম্মাহ|মুসলিম সম্প্রদায়কে]] অত্যন্ত আকর্ষণ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sahapedia.org/our-food-their-food-historical-overview-of-the-bengali-platter|শিরোনাম=Our Food Their Food: A Historical Overview of the Bengali Platter|তারিখ=5 September 2016|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=Sahapedia}}</ref> এটি হিন্দুদের দ্বারা অনেক পরে জনপ্রিয়তা পায়।<ref name="das">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Culinary Culture in Colonial India|শেষাংশ=Ray|প্রথমাংশ=Utsa|তারিখ=5 January 2015|প্রকাশক=[[Cambridge University]] Press}}</ref> [[লন্ডন|লন্ডনে]], ১৯৪০-এর দশকে কিছু উদ্যোগী সিলেটি ক্যাফে স্থাপন শুরু করে এবং মেনুতে তরকারী এবং ভাত রাখে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাবে [[ব্রিটিশ বাংলাদেশি|বাংলাদেশীরা]] তাদের খাবারকে ''ভারতীয়'' হিসাবে উল্লেখ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.birminghammail.co.uk/whats-on/arts-culture-news/history-birmingham-curry-houses-traced-14113342|শিরোনাম=History of Birmingham curry houses traced in major city exhibition|তারিখ=4 Jan 2018|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Birmingham Mail]]}}</ref> [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]], ১০টিরও বেশি ভারতীয় রেস্তোরাঁর ৮টিই বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন,<ref name="bbc">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.co.uk/worldservice/learningenglish/multimedia/london/unit6/read1_popup.html|শিরোনাম=BBC World Service|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[BBC World]]|অবস্থান=London}}</ref> যার ৯৫% সিলেটি।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/uk/2002/jun/21/religion.bangladesh|শিরোনাম=From Bangladesh to Brick Lane|তারিখ=21 Jun 2002|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Guardian]]}}</ref> ৮০% থেকে 90% ব্রিটিশ কারি-হাউস সরাসরি [[সিলেট|সিলেটে]]<nowiki/>র সাথে সম্পৃক্ত থাকা সত্ত্বেও [[সিলেট]] তার রন্ধনশৈলী জন্য পরিচিত নয়।<ref name="ft">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ft.com/content/2165379e-b4b2-11e5-8358-9a82b43f6b2f|শিরোনাম=The great British curry crisis|তারিখ=January 8, 2016|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Financial Times]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.npr.org/sections/thesalt/2017/12/05/567004913/whats-the-difference-between-a-curry-house-and-an-indian-restaurant|শিরোনাম=What's The Difference Between A Curry House And An Indian Restaurant?|তারিখ=December 5, 2017|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[npr.org]]}}</ref> সিলেট অঞ্চলের রাঁধুনিরা ১৯৬০-এর দশক থেকে ব্রিটিশ তরকারীকে আরও বেশি পরিমাণে বিকশিত করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.aljazeera.com/indepth/features/british-taste-curry-changed-appetite-remains-strong-191007095240140.html|শিরোনাম=British taste for curry has changed, but appetite remains strong|তারিখ=7 Oct 2019|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Al Jazeera]]}}</ref> সিলেটিদের দ্বারা উদ্ভাবিত চিকেন টিক্কা মশলাকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব [[রবিন কুক]] ২০০১ সাল ব্রিটেনের [[জাতীয় খাবার]] হিসাবে ঘোষণা দেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=9rFIyN1OWfQC&pg=PA164&lpg=PA164&dq=food+culture+of+Sylhet&source=bl&ots=ovj-VReceJ&sig=ACfU3U3nLgoLP-juk9zEjMZr_EJmjpnJkQ&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwi98svXp__oAhWKSH0KHR8WC044RhDoATAIegQICBAB#v=snippet&q=Sylhet&f=false|শিরোনাম=Food Culture in Great Britain|কর্ম=Laura Mason|পাতা=164|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-27}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.historic-uk.com/CultureUK/The-British-Curry/|শিরোনাম=The British Curry|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=www.historic-uk.com}}</ref> বাংলাদেশি রেস্তোঁরায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী [[টনি ব্লেয়ার|টনি ব্লেয়ারের]] কন্যার জন্মদিন উদযাপন সিলেটি রন্ধনশৈলীর জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।<ref name="tds">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/forum/2007/june/bangladeshish.htm|শিরোনাম=Bangladeshis: Moving with the times|তারিখ=June 2007|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Star]]}}</ref> '''তিহাসিক লিজি কলিংহাম''' তাঁর ২০০৫ সালের বই ''কারি: এ বায়োগ্রাফি-তে'' লিখেছেন যে ''সিলেটি কারি রান্না "অবিকশিত ব্রিটিশ থালাকে" একটি নতুন স্বাদের বর্ণালীতে রূপান্তর করেছে''।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/lifeandstyle/2017/jan/12/who-killed-the-british-curry-house|শিরোনাম=Who killed the great British curry house?|তারিখ=12 Jan 2017|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Guardian]]}}</ref>
ঊননবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে, ইউরোপীয় এবং [[মুসলমান|মুসলমানরা]] সিলেট অঞ্চলে বিস্কুট এবং [[রুটি|ব্রেডের]] প্রচলন করেছিল যা [[উম্মাহ|মুসলিম সম্প্রদায়কে]] অত্যন্ত আকর্ষণ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sahapedia.org/our-food-their-food-historical-overview-of-the-bengali-platter|শিরোনাম=Our Food Their Food: A Historical Overview of the Bengali Platter|তারিখ=5 September 2016|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=Sahapedia}}</ref> এটি হিন্দুদের দ্বারা অনেক পরে জনপ্রিয়তা পায়।<ref name="das">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Culinary Culture in Colonial India|শেষাংশ=Ray|প্রথমাংশ=Utsa|তারিখ=5 January 2015|প্রকাশক=[[Cambridge University]] Press}}</ref> [[লন্ডন|লন্ডনে]], ১৯৪০-এর দশকে কিছু উদ্যোগী সিলেটি ক্যাফে স্থাপন শুরু করে এবং মেনুতে তরকারী এবং ভাত রাখে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাবে [[ব্রিটিশ বাংলাদেশি|বাংলাদেশীরা]] তাদের খাবারকে ''ভারতীয়'' হিসাবে উল্লেখ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.birminghammail.co.uk/whats-on/arts-culture-news/history-birmingham-curry-houses-traced-14113342|শিরোনাম=History of Birmingham curry houses traced in major city exhibition|তারিখ=4 Jan 2018|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Birmingham Mail]]}}</ref> [[যুক্তরাজ্য|যুক্তরাজ্যে]], ১০টিরও বেশি ভারতীয় রেস্তোরাঁর ৮টিই বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন,<ref name="bbc">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bbc.co.uk/worldservice/learningenglish/multimedia/london/unit6/read1_popup.html|শিরোনাম=BBC World Service|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[BBC World]]|অবস্থান=London}}</ref> যার ৯৫% সিলেটি।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/uk/2002/jun/21/religion.bangladesh|শিরোনাম=From Bangladesh to Brick Lane|তারিখ=21 Jun 2002|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Guardian]]}}</ref> ৮০% থেকে ৯০% ব্রিটিশ কারি-হাউস সরাসরি [[সিলেট|সিলেটে]]র সাথে সম্পৃক্ত থাকা সত্ত্বেও [[সিলেট]] তার রন্ধনশৈলী জন্য পরিচিতি পায় নি।<ref name="ft">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ft.com/content/2165379e-b4b2-11e5-8358-9a82b43f6b2f|শিরোনাম=The great British curry crisis|তারিখ=January 8, 2016|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[Financial Times]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.npr.org/sections/thesalt/2017/12/05/567004913/whats-the-difference-between-a-curry-house-and-an-indian-restaurant|শিরোনাম=What's The Difference Between A Curry House And An Indian Restaurant?|তারিখ=December 5, 2017|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[npr.org]]}}</ref> সিলেট অঞ্চলের রাঁধুনিরা ১৯৬০-এর দশক থেকে ব্রিটিশ তরকারীকে আরও বেশি পরিমাণে বিকশিত করেছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.aljazeera.com/indepth/features/british-taste-curry-changed-appetite-remains-strong-191007095240140.html|শিরোনাম=British taste for curry has changed, but appetite remains strong|তারিখ=7 Oct 2019|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Al Jazeera]]}}</ref> সিলেটিদের দ্বারা উদ্ভাবিত চিকেন টিক্কা মশলাকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব [[রবিন কুক]] ২০০১ সাল ব্রিটেনের [[জাতীয় খাবার]] হিসাবে ঘোষণা দেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=9rFIyN1OWfQC&pg=PA164&lpg=PA164&dq=food+culture+of+Sylhet&source=bl&ots=ovj-VReceJ&sig=ACfU3U3nLgoLP-juk9zEjMZr_EJmjpnJkQ&hl=en&sa=X&ved=2ahUKEwi98svXp__oAhWKSH0KHR8WC044RhDoATAIegQICBAB#v=snippet&q=Sylhet&f=false|শিরোনাম=Food Culture in Great Britain|কর্ম=Laura Mason|পাতা=164|সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-27}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.historic-uk.com/CultureUK/The-British-Curry/|শিরোনাম=The British Curry|তারিখ=|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=www.historic-uk.com}}</ref> বাংলাদেশি রেস্তোঁরায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী [[টনি ব্লেয়ার|টনি ব্লেয়ারের]] কন্যার জন্মদিন উদযাপন সিলেটি রন্ধনশৈলীর জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।<ref name="tds">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.thedailystar.net/forum/2007/june/bangladeshish.htm|শিরোনাম=Bangladeshis: Moving with the times|তারিখ=June 2007|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Star]]}}</ref> ইতিহাসবিদ '''লিজি কলিংহাম''' তাঁর ২০০৫ সালের বই ''কারি: এ বায়োগ্রাফি-তে'' লিখেছেন যে ''সিলেটি কারি রান্না "অবিকশিত ব্রিটিশ থালাকে" একটি নতুন স্বাদের বর্ণালীতে রূপান্তর করেছে''।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.theguardian.com/lifeandstyle/2017/jan/12/who-killed-the-british-curry-house|শিরোনাম=Who killed the great British curry house?|তারিখ=12 Jan 2017|সংগ্রহের-তারিখ=28 April 2020|প্রকাশক=[[The Guardian]]}}</ref>


== ভাত ==
== ভাত ==
[[চট্টগ্রাম|চাটগাইয়া]] এবং [[সিলেটি]] বাদে বেশিরভাগ [[বাংলাদেশী]] সিদ্ধ ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/248875|শিরোনাম=আতপ চাল খাওয়ার অভ্যাস কত দিনে হবে?|তারিখ=5 Oct 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=Bangla Tribune|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/economics-business/news/bd/603862.details|শিরোনাম=ওএমএসে আতপ চাল পেয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা|তারিখ=20 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=banglanews24.com|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ntvbd.com/bangladesh/155181/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%AA-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8|শিরোনাম=আতপ চাল, তাই ক্রেতা শূন্য ওএমএসের চালের দোকান|তারিখ=20 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[NTV (Bangladesh)]]|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-08-31/news/131024|শিরোনাম=চট্টগ্রামসহ দুই বিভাগের জন্য আতপ চাল কিনছে সরকার|তারিখ=13 Feb 2011|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Prothom Alo]]|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://blog.bdnews24.com/sukantaks/225867|শিরোনাম=বঙ্গে নতুন উপদ্রপ- আতপ চালের ‘নক্তা’|তারিখ=19 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[bdnews24.com]]|ভাষা=bn}}</ref> [[সিলেট অঞ্চল|সিলেট অঞ্চলে]]<nowiki/>র উল্লেখযোগ্য ধান হল আউশ, আমান, বোরো, ইরি, বিরইন, কালোজিরা, সোনালী জিরা ইত্যাদি। ''আলা ভাত'' (আতপ চাল) সিলেটিদের প্রধান খাদ্য।<ref name="syl">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sylheterdak.com.bd/details.php?id=9857|শিরোনাম=চুঙ্গা পিঠা : বাঁশ দিয়ে প্রাতঃরাশ|তারিখ=26 April 2020|কর্ম=[[Sylheter Dak]]|সংগ্রহের-তারিখ=3 Jan 2018|ভাষা=bn}}</ref> এটা কিছুটা চটচটে এবং সুস্বাদু।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/article/44618/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4|শিরোনাম=আমরা যে কারণে পুষ্টিবঞ্চিত|তারিখ=5 Sep 2013|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Prothom Alo]]|ভাষা=bn}}</ref> সিলেটিরা বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টান তৈরিতে আঠালো ভাত পছন্দ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সিলেটে উৎপন্ন ধানে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে একই ধরণের ধানের চেয়ে কম [[আর্সেনিক]] রয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.iospress.nl/ios_news/low-arsenic-rice-discovered-in-bangladesh-could-have-major-health-benefits/|শিরোনাম=Low-Arsenic Rice Discovered in Bangladesh Could Have Major Health Benefits|তারিখ=Feb 18, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[IOS Press]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://frontline.thehindu.com/science-and-technology/lowarsenic-rice/article4434752.ece|শিরোনাম=Low-arsenic rice|তারিখ=Feb 20, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=frontline.thehindu.com}}</ref> বায়োমেডিকাল স্পেকট্রোস্কোপি এবং ইমেজিং জার্নাল অনুসারে, সিলেটি ভাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদান [[সেলেনিয়াম]] এবং [[জিঙ্ক|জিঙ্কের]] পরিমাণ অধিকতর।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thehindubusinessline.com/news/world/scientists-find-lower-arsenic-bangladeshi-rice-strain/article23092738.ece|শিরোনাম=Scientists find lower arsenic Bangladeshi rice strain|তারিখ=Feb 14, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=thehindubusinessline.com}}</ref> [[ভারত]] ও [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সুপরিচিত [[বাসমতী]] সুগন্ধি চালের তুলনায় বেশ কয়েকটি জাতের সিলেটি সুগন্ধি চালও কম আর্সেনিক দূষিত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedaily.com/releases/2013/02/130212100510.htm|শিরোনাম=Low-arsenic rice discovered in Bangladesh could have major health benefits|তারিখ=Feb 12, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[ScienceDaily]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.newsmax.com/t/health/article/490414?keywords=Low-Arsenic-Super-Nutritious-Rice-Discovered-Sylheti&year=2013&month=02&date=14&id=490414|শিরোনাম=Low-Arsenic, Super-Nutritious Rice Discovered|তারিখ=Feb 12, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Newsmax]]}}</ref>
বেশিরভাগ [[বাংলাদেশী]] সিদ্ধ ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে,<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/national/news/248875|শিরোনাম=আতপ চাল খাওয়ার অভ্যাস কত দিনে হবে?|তারিখ=5 Oct 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=Bangla Tribune|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://m.banglanews24.com/economics-business/news/bd/603862.details|শিরোনাম=ওএমএসে আতপ চাল পেয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা|তারিখ=20 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=banglanews24.com|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ntvbd.com/bangladesh/155181/%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%AA-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%82%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93%E0%A6%8F%E0%A6%AE%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A8|শিরোনাম=আতপ চাল, তাই ক্রেতা শূন্য ওএমএসের চালের দোকান|তারিখ=20 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[NTV (Bangladesh)]]|ভাষা=bn}}</ref> শুধুমাত্র [[চট্টগ্রাম|চাটগাইয়া]] এবং [[সিলেটি]]রা ব্যতীত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-08-31/news/131024|শিরোনাম=চট্টগ্রামসহ দুই বিভাগের জন্য আতপ চাল কিনছে সরকার|তারিখ=13 Feb 2011|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Prothom Alo]]|ভাষা=bn}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://blog.bdnews24.com/sukantaks/225867|শিরোনাম=বঙ্গে নতুন উপদ্রপ- আতপ চালের ‘নক্তা’|তারিখ=19 Sep 2017|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[bdnews24.com]]|ভাষা=bn}}</ref> [[সিলেট অঞ্চল|সিলেট অঞ্চলে]]র উল্লেখযোগ্য ধান হল আউশ, আমান, বোরো, ইরি, বিরইন, কালোজিরা, সোনালী জিরা ইত্যাদি। ''আলা ভাত'' (আতপ চাল) সিলেটিদের প্রধান খাদ্য।<ref name="syl">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sylheterdak.com.bd/details.php?id=9857|শিরোনাম=চুঙ্গা পিঠা : বাঁশ দিয়ে প্রাতঃরাশ|তারিখ=26 April 2020|কর্ম=[[Sylheter Dak]]|সংগ্রহের-তারিখ=3 Jan 2018|ভাষা=bn}}</ref> এটা কিছুটা চটচটে এবং সুস্বাদু।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/opinion/article/44618/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%9E%E0%A7%8D%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%A4|শিরোনাম=আমরা যে কারণে পুষ্টিবঞ্চিত|তারিখ=5 Sep 2013|সংগ্রহের-তারিখ=21 April 2020|প্রকাশক=[[The Daily Prothom Alo]]|ভাষা=bn}}</ref> সিলেটিরা বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টান তৈরিতে আঠালো ভাত পছন্দ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সিলেটে উৎপন্ন ধানে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে একই ধরণের ধানের চেয়ে কম [[আর্সেনিক]] রয়েছে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.iospress.nl/ios_news/low-arsenic-rice-discovered-in-bangladesh-could-have-major-health-benefits/|শিরোনাম=Low-Arsenic Rice Discovered in Bangladesh Could Have Major Health Benefits|তারিখ=Feb 18, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[IOS Press]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://frontline.thehindu.com/science-and-technology/lowarsenic-rice/article4434752.ece|শিরোনাম=Low-arsenic rice|তারিখ=Feb 20, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=frontline.thehindu.com}}</ref> বায়োমেডিকাল স্পেকট্রোস্কোপি এবং ইমেজিং জার্নাল অনুসারে, সিলেটি ভাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদান [[সেলেনিয়াম]] এবং [[জিঙ্ক|জিঙ্কের]] পরিমাণ অধিকতর।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.thehindubusinessline.com/news/world/scientists-find-lower-arsenic-bangladeshi-rice-strain/article23092738.ece|শিরোনাম=Scientists find lower arsenic Bangladeshi rice strain|তারিখ=Feb 14, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=thehindubusinessline.com}}</ref> [[ভারত]] ও [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সুপরিচিত [[বাসমতী]] সুগন্ধি চালের তুলনায় বেশ কয়েকটি জাতের সিলেটি সুগন্ধি চালও কম আর্সেনিক দূষিত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.sciencedaily.com/releases/2013/02/130212100510.htm|শিরোনাম=Low-arsenic rice discovered in Bangladesh could have major health benefits|তারিখ=Feb 12, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[ScienceDaily]]}}</ref><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.newsmax.com/t/health/article/490414?keywords=Low-Arsenic-Super-Nutritious-Rice-Discovered-Sylheti&year=2013&month=02&date=14&id=490414|শিরোনাম=Low-Arsenic, Super-Nutritious Rice Discovered|তারিখ=Feb 12, 2013|সংগ্রহের-তারিখ=20 April 2020|প্রকাশক=[[Newsmax]]}}</ref>


=== আখনি ===
=== আখনি ===
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:


== মাংস ==
== মাংস ==
{{মূল|}}
কাঁচা এবং শুকনো মরিচ, মূল এবং মশলা বেঁটে তৈরি তরকারি সিলেটিদের কাছে খুব প্রিয়।
কাঁচা এবং শুকনো মরিচ, মূল এবং মশলা বেঁটে তৈরি তরকারি সিলেটিদের কাছে খুব প্রিয়।



১৩:০৫, ৩০ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খিচুড়ি, সিলেটিদের ঐতিহ্যবাহী ইফতার
চিকেন টিক্কা মাসালা ব্রিটিশ-সিলেটি রাঁধুনিদের দ্বারা উদ্ভাবিত
জনপ্রিয় সাত রং চা
পান-সুপারি দিয়ে সিলেটি খাবার শেষ করা হয়।

সিলেটি রন্ধনশৈলী (সিলেটি: ꠍꠤꠟꠐꠤ ꠞꠣꠘꠗꠣ) মুলত সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতিকে উপস্থাপন করে। যার মধ্যে মশলাদার মুরগির টিক্কা মশলা থেকে শুরু করে টক জাতীয় হাতকরা, নুনর বড়া থেকে শুরু মিষ্টান্নজাতীয় তুশা শিন্নি এবং হুটকি শিরা অন্তর্গত। সিলেটি রন্ধনশৈলীতে হাতকরা একটি সাধারণ পদ যা মাছ এবং মাংসের সাথে বিভিন্ন খাবার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, হাতকরা তরকারি ভাত দিয়ে খেতে সবথকে ভালো লাগে।[১] সিলেটিরা মূলত ভাত ও মাছ খেয়ে থাকলেও তাদের রন্ধনশৈলী সিলেটের বহিরাগতদের থেকে বেশ স্বতন্ত্র।[২][৩] সিলেটি রান্নায় যেমন তেল ছাড়া তরকারি রয়েছে,[৪] তেমনি প্রচুর টক (টেঙ্গা) স্বাদের তরকারিও রয়েছে। বরাক উপত্যকা থেকে সুরমা উপত্যকার বহু সংস্কৃতির লোক,[৫] ও সিলেটি প্রবাসীরা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত সিলেটি খাবার এবং আস্বাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর মধ্যে খাসি, কুকি এবং অন্যান্য উপজাতির রন্ধনশৈলী লক্ষণীয়।[৬] এই অঞ্চলে প্রাপ্ত শাকসবজি এবং পশুপাখির উপর নির্ভর করে সিলেটের রন্ধনশৈলী সমৃদ্ধ হয়েছে। মূলত দেশীয় কিছু বৈচিত্র্য সহ, সিলেটিদের খাদ্য সংস্কৃতি পরিবেশিত হয় যেখানে কিছু বাহ্যিক প্রভাবও রয়েছে। শাহ জালালের ৩৬০জন সফর সঙ্গী এই অঞ্চলে কেবল তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতিই নিয়ে আসেনি, তাদের নিজস্ব রান্নার স্বতন্ত্র স্টাইলও নিয়ে আসে। যার মধ্যে মুরগী, গরুরমাংস এবং ছাগল দিয়ে রান্না করা মুঘলাই, মধ্য-প্রাচ্য এবং উত্তর ভারতীয় স্টাইলের অনেকগুলি মাংসের খাবার রয়েছে। মুঘলাই পরটা, পোলাও, কোরমা, কালিয়া, রোস্ট, বিরিয়ানী এবং কোফতা তরকারি হিসেবে, এবং জরদা, ফিরনি এবং পায়েস ডেজার্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

ঊননবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে, ইউরোপীয় এবং মুসলমানরা সিলেট অঞ্চলে বিস্কুট এবং ব্রেডের প্রচলন করেছিল যা মুসলিম সম্প্রদায়কে অত্যন্ত আকর্ষণ করে।[৭] এটি হিন্দুদের দ্বারা অনেক পরে জনপ্রিয়তা পায়।[৮] লন্ডনে, ১৯৪০-এর দশকে কিছু উদ্যোগী সিলেটি ক্যাফে স্থাপন শুরু করে এবং মেনুতে তরকারী এবং ভাত রাখে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাবে বাংলাদেশীরা তাদের খাবারকে ভারতীয় হিসাবে উল্লেখ করে।[৯] যুক্তরাজ্যে, ১০টিরও বেশি ভারতীয় রেস্তোরাঁর ৮টিই বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন,[১০] যার ৯৫% সিলেটি।[১১] ৮০% থেকে ৯০% ব্রিটিশ কারি-হাউস সরাসরি সিলেটের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সত্ত্বেও সিলেট তার রন্ধনশৈলী জন্য পরিচিতি পায় নি।[১২][১৩] সিলেট অঞ্চলের রাঁধুনিরা ১৯৬০-এর দশক থেকে ব্রিটিশ তরকারীকে আরও বেশি পরিমাণে বিকশিত করেছে।[১৪] সিলেটিদের দ্বারা উদ্ভাবিত চিকেন টিক্কা মশলাকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব রবিন কুক ২০০১ সাল ব্রিটেনের জাতীয় খাবার হিসাবে ঘোষণা দেন।[১৫][১৬] বাংলাদেশি রেস্তোঁরায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের কন্যার জন্মদিন উদযাপন সিলেটি রন্ধনশৈলীর জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।[১৭] ইতিহাসবিদ লিজি কলিংহাম তাঁর ২০০৫ সালের বই কারি: এ বায়োগ্রাফি-তে লিখেছেন যে সিলেটি কারি রান্না "অবিকশিত ব্রিটিশ থালাকে" একটি নতুন স্বাদের বর্ণালীতে রূপান্তর করেছে[১৮]

ভাত

বেশিরভাগ বাংলাদেশী সিদ্ধ ভাত খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে,[১৯][২০][২১] শুধুমাত্র চাটগাইয়া এবং সিলেটিরা ব্যতীত।[২২][২৩] সিলেট অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ধান হল আউশ, আমান, বোরো, ইরি, বিরইন, কালোজিরা, সোনালী জিরা ইত্যাদি। আলা ভাত (আতপ চাল) সিলেটিদের প্রধান খাদ্য।[২৪] এটা কিছুটা চটচটে এবং সুস্বাদু।[২৫] সিলেটিরা বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টান তৈরিতে আঠালো ভাত পছন্দ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে সিলেটে উৎপন্ন ধানে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে একই ধরণের ধানের চেয়ে কম আর্সেনিক রয়েছে।[২৬][২৭] বায়োমেডিকাল স্পেকট্রোস্কোপি এবং ইমেজিং জার্নাল অনুসারে, সিলেটি ভাতে প্রয়োজনীয় পুষ্টিউপাদান সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের পরিমাণ অধিকতর।[২৮] ভারতপাকিস্তানের সুপরিচিত বাসমতী সুগন্ধি চালের তুলনায় বেশ কয়েকটি জাতের সিলেটি সুগন্ধি চালও কম আর্সেনিক দূষিত।[২৯][৩০]

আখনি

আখনি হল ঘি, মাংস, শাকসবজি ইত্যাদি দিয়ে তৈরি একটি মিশ্র চালের থালা। এটি আখনি বিরিয়ানী এবং আখনি পোলাও নামেও পরিচিত কারণ এটি বিরিয়ানি বা পোলাওর একটি বিশেষ প্রকার হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি রমজান মাস এবং কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের একটি জনপ্রিয় খাবার।

বিরইন ভাত

বিরইন ভাত সিলেট অঞ্চলে এক ধরণের আঠালো চাল দিয়ে তৈরি একটি জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ ধরণের লাল-সাদা আঠালো সুগন্ধী বিরইন চাল কেবল সিলেট অঞ্চলে পাওয়া যায়।[৩১] সুগন্ধী এই বিরইন চাল ভাজা মাছ, মাংস বা কাবাব, খিরশাহ, রসমালাই, খেজুর গুড় ইত্যাদি দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়।[২৪][৩২] বিরইন চাল সিলেট এবং চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে চাষ করা একধরনের জৈব ধান[৩৩] এটি সিলেট অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠা চুঙ্গা পিঠার প্রধান উপাদান।[৩৪]

খিচুড়ি

নরম খিচুড়ি বা শুধু খিচুড়ি এক ধরনের চাল ভিত্তিক খাবার যা পরিজের অনুরূপ। এটি সিলেটি খাবারে একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পবিত্র রমজান মাসে ইফতারির জন্য প্রধান খাবার হিসাবে এটি বেশিরভাগ টেবিলে পরিবেশন করা হয়। খিচুড়ি রান্না সুগন্ধি চাল, ঘি, কলজিরা ও মেথি সহ বিভিন্ন মশালা ব্যবহার করা হয়। নরম খিচুড়ি দুই প্রকার; সাদা নরম খিচুড়ি (জাউ) এবং হলুদ নরম খিচুড়ি (খিচুড়ি )।

মাংস

কাঁচা এবং শুকনো মরিচ, মূল এবং মশলা বেঁটে তৈরি তরকারি সিলেটিদের কাছে খুব প্রিয়।

সাতকরার গরুর মাংস

গরুর মাংসের হাতকরা একটি বিশেষ সাইট্রাস ফল হাতকরা দিয়ে গরুর মাংস রান্না করে তৈরি করা হয়। এটি ঈদুল আজহা উত্সবের সময় খুব বিখ্যাত একটি খাবার। সিলেটি হাতকরা রান্নার স্টাইল মোটেও বাংলাদেশীদের রান্নার মতো নয়। এর স্বাদ এবং গন্ধ উভয়ই অন্যান্য বাংলাদেশি খাবারের চেয়ে আলাদা। এই ফলটি সাধারণত সিলেটি তরকারিতে ব্যবহৃত হয়। গরুর পা ও হাতকরার হাড় দিয়েই কেবল জনপ্রিয় খাট্টা বা টেঙ্গা তরকারি তৈরি হয় না, বিভিন্ন ধরণের মাংস দিয়েও হাতকরা রান্না করা হয়।

চিকেন টিক্কা মাসালা

চিকেন টিক্কা মাসালা মূলত চিকেন টিক্কা, এবং মুরগির ছোট ছোট টুকরোকে মশলা এবং দই দিয়ে মেরিনেট করে তৈরি করা হয়। একধরণের সস সাধারণত ক্রিমযুক্ত এবং কমলা রঙযুক্ত এই তরকারি রান্না করতে ব্যবহৃত হয়। খাদ্য, পুষ্টি এবং ডায়েটটিক্সের মাল্টিকালচারাল হ্যান্ডবুক ১৯৬০-এর দশকে বাংলাদেশী অভিবাসী শেফদেরকে এটি তৈরির মর্যাদা দিয়েছে। চিকেন টিক্কা মাসালা সারা বিশ্বের রেস্তোঁরাগুলিতে পরিবেশন করা হয়।

হাঁস বাশ

হাঁস-বাশ হাঁসের এবং বাঁশের অঙ্কুর দ্বারা তৈরি এক ধরণের তরকারি। যদিও এটি তরকারি হিসাবে সব জায়গায় প্রচলিত না তবে এটি সিলেটি রান্নার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এবং সুস্বাদু খাবার। এটি ভাত বা তন্দুর রুটি দিয়ে খাওয়া হয়। হাঁস-বাশ তরকারি স্বাদে কম ঝাঁঝালো।

ফাল

ফাল হল ব্রিটিশ এশিয়ান কারি যা ব্রিটিশ বাংলাদেশি মালিকানাধীন কারি-হাউসে উত্পন্ন একটি রেসিপি। এটি বিন্দালুর চেয়েও ঝাল। এই খাবারটি একটি টমেটো ভিত্তিক ঘন তরকারি যা আদা এবং মৌরির বীজের বিকল্প হিসাবে অন্তর্ভুক্ত।

মাছ

সিলেটি খাবারে বিভিন্ন ধরণের মাছের তরকারি পাওয়া যায়। মাছ তরকারী এবং ভাজা উভয়ই খাওয়া হয়। শুকনো এবং গাঁজানো মাছ হুটকি নামে পরিচিত, এবং হাতকরা, একটি তিক্ত এবং সুগন্ধী সাইট্রাস ফল যা তরকারী রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়। এমনকি অত্যন্ত ঝাল নাগা মরিচ তরকারিতে ব্যবহার করা হয়।[৩৫] সর্বাধিক জনপ্রিয় স্থানীয় খাবারগুলিতে হিদল বা শুটকি চাটনি, হুটকি শিরা বা শুকনো মাছের তরকারি এবং এই অঞ্চলে প্রাপ্ত বিভিন্ন মাছ রয়েছে।[৩৬][৩৭] স্থানীয়দের ধারণা হিদল চাটনির অতিরিক্ত ঝাল সর্দি এবং মাথা ব্যথার প্রতিকার হিসবে কাজ করে।[৩৮]

হুটকি শিরা

হুটকি শিরা হল শাকসবজি এবং মাছ বা চিংড়ি দিয়ে তৈরি একটিমাছের তরকারি। এটা তেল বা চর্বি ছাড়া রান্না করা তরকারি। এই খাবার মৌসুমী শাকসব্জীর উপলভ্যতার উপর পরিবর্তিত হয়। ঐতিহ্যগতভাবে, হিদল এই তরকারি রান্না করতে ব্যবহৃত হয়।

পিঠা

নুনর বড়া

নুনর বড়া, যা নুনগড়া নামেও পরিচিত হচ্ছে একটি মসলাদার ময়দার তৈরি জলখাবার। এটি পেঁয়াজ, আদা এবং হলুদ দিয়ে তৈরি যা নাস্তাটিকে তার সোনালি রূপ দেয়। এটি নাস্তা হিসাবে চায়ের সাথে খাওয়া হয় এবং সিলেটবাসীদের কাছে ঈদ উত্সবের সময় খুব জনপ্রিয়। নুনর বড়া না ভেঁজে পরবর্তী ব্যবহারের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

চুঙ্গা পিঠা

চুঙ্গা পিঠা হল একটি চিরাচরিত চালের পিঠা। এই অনন্য পিঠাটি কচি মুলিবাঁশের ভিতরে বিরইন চাল ভরে ধীরে ধীরে আগুন দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। সুস্বাদু এই খাবারটি প্রস্তুত হয়ে গেলে, বাঁশের চুঙ্গা থেকে মোমবাতির মতো আলাদা হয়ে যায়। এটি বিন্নি চাল, দুধ, চিনি, নারকেল এবং চালের গুঁড়া দিয়েও তৈরি করা হয়।

তুশা শিন্নি

তুশা শিন্নি হল এক প্রকার ময়দাহালুয়া এবং একটি জনপ্রিয় খাবার। এই খাদ্যটি কম মশলাদার, নরম এবং মিষ্টি। এটি বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খুব জনপ্রিয়। ময়দা ভেঁজে চিনিযুক্ত শিরায় মিশিয়ে তুশা শিন্নি প্রস্তুত করা হয়। এটি কিসমিস, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Mumbai Food: Bangladeshi Dishes Straight From Sylhet At Restaurant In BKC"Mid Day। এপ্রিল ১৪, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  2. "The area covered by sylhet division is 12569 km²"coursehero.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০২০ 
  3. "A fillet from sylhet"The Statesman (India)। সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  4. "শুটকি শিরা (সিলেটের রান্না)"। www.homechef.com.bd। ১৩ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০ 
  5. "In Assam's Barak Valley, insecurities about citizenship drive Bengali Hindus to the BJP"। scroll.in। এপ্রিল ১৫, ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  6. "সিলেটের উপভাষা ও জীবনধারা : ড. শ্যামল কান্তি দত্ত"Bhorer Kagoj। ১৬ জুলাই ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  7. "Our Food Their Food: A Historical Overview of the Bengali Platter"। Sahapedia। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  8. Ray, Utsa (৫ জানুয়ারি ২০১৫)। Culinary Culture in Colonial IndiaCambridge University Press। 
  9. "History of Birmingham curry houses traced in major city exhibition"Birmingham Mail। ৪ জানু ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  10. "BBC World Service"। London: BBC World। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  11. "From Bangladesh to Brick Lane"The Guardian। ২১ জুন ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  12. "The great British curry crisis"Financial Times। জানুয়ারি ৮, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  13. "What's The Difference Between A Curry House And An Indian Restaurant?"npr.org। ডিসেম্বর ৫, ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  14. "British taste for curry has changed, but appetite remains strong"Al Jazeera। ৭ অক্টো ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  15. Food Culture in Great BritainLaura Mason। পৃষ্ঠা 164। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৭ 
  16. "The British Curry"। www.historic-uk.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  17. "Bangladeshis: Moving with the times"The Daily Star। জুন ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  18. "Who killed the great British curry house?"The Guardian। ১২ জানু ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  19. "আতপ চাল খাওয়ার অভ্যাস কত দিনে হবে?"। Bangla Tribune। ৫ অক্টো ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  20. "ওএমএসে আতপ চাল পেয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা"। banglanews24.com। ২০ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  21. "আতপ চাল, তাই ক্রেতা শূন্য ওএমএসের চালের দোকান"NTV (Bangladesh)। ২০ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  22. "চট্টগ্রামসহ দুই বিভাগের জন্য আতপ চাল কিনছে সরকার"The Daily Prothom Alo। ১৩ ফেব্রু ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  23. "বঙ্গে নতুন উপদ্রপ- আতপ চালের 'নক্তা'"bdnews24.com। ১৯ সেপ্টে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  24. "চুঙ্গা পিঠা : বাঁশ দিয়ে প্রাতঃরাশ"Sylheter Dak। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানু ২০১৮ 
  25. "আমরা যে কারণে পুষ্টিবঞ্চিত"The Daily Prothom Alo। ৫ সেপ্টে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০ 
  26. "Low-Arsenic Rice Discovered in Bangladesh Could Have Major Health Benefits"IOS Press। ফেব্রু ১৮, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  27. "Low-arsenic rice"। frontline.thehindu.com। ফেব্রু ২০, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  28. "Scientists find lower arsenic Bangladeshi rice strain"। thehindubusinessline.com। ফেব্রু ১৪, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  29. "Low-arsenic rice discovered in Bangladesh could have major health benefits"ScienceDaily। ফেব্রু ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  30. "Low-Arsenic, Super-Nutritious Rice Discovered"Newsmax। ফেব্রু ১২, ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২০ 
  31. "সিলেটী বিরইন চালের ইতিহাস"jalalabadbarta.com। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসে ২০১৮ 
  32. "The Dailystar archive"The Daily Star। ২৬ এপ্রিল ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ২৭, ২০০৮ 
  33. "Biroin Chal (Binni)"bangladeshiweus.com। ৯ ডিসে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০ 
  34. "বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা"Sylheter Dak। ২ জানুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  35. "The 6 Seasons of Bangladeshi Cuisine"Great British Chefs। ৮ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০২০ 
  36. "The Beckoning Beauty of Barak"BIT MESRAr। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  37. "The fiery flavours of East Bengal's dried and fermented fish are all the notes of life"The Indian Express। ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০ 
  38. "Shidol Chutney"Atlas Obscura। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০২০