বাংলাদেশের মৃত্তিকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md. Shahriar Ibna Karim (Meraj) (আলোচনা | অবদান)
বাংলাদেশের মৃত্তিকা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
Md. Shahriar Ibna Karim (Meraj) (আলোচনা | অবদান)
বাংলাদেশের মৃত্তিকা
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
ঙ) বদ্বীপ অঞ্চলীয় সমভূমি - দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল বৃহত্তম কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলের সমুদয় অংশ এবং রাজশাহী, পাবনা ও ঢাকা অঞ্চলের কিছু অংশ।
ঙ) বদ্বীপ অঞ্চলীয় সমভূমি - দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল বৃহত্তম কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলের সমুদয় অংশ এবং রাজশাহী, পাবনা ও ঢাকা অঞ্চলের কিছু অংশ।
চ) চট্টগ্রামের উপকূলীয় সমভূমি - ফেনী নদী হতে কক্সবাজারের দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।
চ) চট্টগ্রামের উপকূলীয় সমভূমি - ফেনী নদী হতে কক্সবাজারের দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।


<references /> Geo technical Engineering, Written by Engineer Md. Anwar Hossain, Published by Haque Publications

১২:৪১, ২৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভূমিকা

বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বদ্বীপ। এর উপর দিয়ে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রক্ষপুত্র, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী প্রভৃতি নদী প্রবাহমান। বাংলাদেশের ভূমি উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু। ফলে উক্ত নদনদী এবং এদের শাখানদী ও উপনদীগুলোও উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে প্রবাহিত হয়। এ দেশের উত্তর-পুর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাংশের পাহাড়ি এলাকা ব্যতিত প্রায় সমগ্র এলাকাই এ সব নদনদী বাহিত পললে গঠিত।

বাংলাদেশের ভূ-উতপত্তি ও গঠনের ইতিহাস

মাটির উৎপত্তি ও গঠনের সময়ানুক্রমিক দিক হতে বিবেচনায় বাংলাদেশের মৃত্তিকার উৎপত্তি ও গঠনে তথা ভূ-প্রকৃতিকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।

১। টারশিয়ারি যুগের গঠিত পাহাড়সমূহঃ

টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার কালে মায়ানমারের দিক হতে গিরিজনি আলোড়নের প্রভাবে ও ধাক্কায় সম্ভবত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং পাহাড়ি এলাকাগুলোর সৃষ্টি হয়। আসামের লুসাই অমায়ানমারের আরাকান এলাকার পাহাড়ের সাথে এদের মিল দেখা যায়। এ সকল পাহাড়ি এলাকার পাদভুমি ও ভরাটকৃত গিরিখাত মূলত এদের ক্ষয়িত কণায় গঠিত এবং দির্ঘকালের প্রাকৃতিক প্রভাবে এ সকল পাহাড়ি এলাকার উচ্চতা কমছে এবং এগুলোর ক্ষয়িত অংশ সংলগ্ন এলাকা ভরাট হয়ে নতুন মৃত্তিকার সমতল ভূমি সৃষ্টি করছে। এ সকল পাহাড় বেলে পাথর, স্লেট পাথর ও কর্দমের সংমিশ্রণে গঠিত।

২। প্লাইস্টোসিস কালে গঠিত সপানসমূহঃ

অনুমান করা হয় যে, প্লাইস্টোসিস যুগের (খ্রিষ্ট জন্মের ১৫,০০০ বছর কাল পূর্ব পর্যন্ত) অন্তঃ বরফগলা পানিতে বন্যার সৃষ্টি হয়ে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশে সুবিশাল বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লার লালমাই এর উঁচু ভূমি গঠিত হয়। এ অঞ্চলগুলোর মাটি লাল ও ধুসর এবং এগুলো সহজেই চেনা যায়।

৩। সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমিঃ

বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাই নদনদী ও এদের শাখা প্রশাখা বাহিত পললে গঠিত। এর আওতায় -

ক) কুমিল্লার সমভূমি - চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, লক্ষীপুর, ফেনী ও হবিগঞ্জ জেলার কিছু অংশ।
খ) সিলেট অববাহিকা - সিলেট, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ এবং কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার পূর্ব দিলের অংশ।
গ) পাদদেশীয় পলল্ভূমি - উত্তর পশ্চিমাংশের বৃহত্তম রংপুর, দিনাজপুর জেলার কিছু অংশ হিমালয় পর্বত হতে আনীত পললে গঠিত।
ঘ) গঙ্গা, ব্রক্ষপুত্র, মেঘনা প্লাবন সমভূমি - এটি বাংলাদেশের মূল প্লাবন সমভূমি বৃহত্তর ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, পাবনা, রাজশাহীর অংশবিশেষ নিয়ে এক বৃহত্তর এলাকা।
ঙ) বদ্বীপ অঞ্চলীয় সমভূমি - দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল বৃহত্তম কুষ্টিয়া, যশোর, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলের সমুদয় অংশ এবং রাজশাহী, পাবনা ও ঢাকা অঞ্চলের কিছু অংশ।
চ) চট্টগ্রামের উপকূলীয় সমভূমি - ফেনী নদী হতে কক্সবাজারের দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত।