বাঘী ৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩২ নং লাইন: ৩২ নং লাইন:
== কাহিনী ==
== কাহিনী ==


তামিল চলচ্চিত্র ভেট্টাইয়ের অফিসিয়াল রিমেক। রনি ও ভিক্রম দুই ভাই। ভিক্রম একটু ভীতু প্রকৃতির। তাদের বাবা ছোটবেলায় মারা যায়। বাবা পুলিশ ছিল্ক। মারা যাওয়ার আগে বাবা রনিকে বলে, হয়তো প্রথমবার কোনো বাবা ছোট সন্তানকে বড় সন্তানের দেখভাল করতে বলতেছে। ভিক্রমের খেয়াল রেখো রনি। এরপর থেকে ভিক্রম যতবার বিপদে পড়তো, রনি প্রতিবারে তার মোকাবেলা করতো। হাফিজা রনিদের প্রতিবেশি। একদিন এক সিনেমা হলে ভিক্রমের সাথে সিয়ার দেখা হয়। সেখানে ভূলক্রমে ভিক্রম এক গুন্ডাদের বসের জামায় স্ন্যাক্স ফেলে দেয়। সেখানে রনি গুন্ডাদের হাত থেকে তাদের বাচায়। তাদের বাবা পুলিশ হওয়ায় তাদের মধ্যে একজনকে পুলিশের চাকরিতে সুযোগ দেয়া হয়। ভিক্রম ভীতু হওয়ায় সে এ চাকরি করতে চাচ্ছিলো না। আবার ভিক্রমকে বাচাতে বাচাতে রনির ৩৫ টা কেস হয়ে গেছে তাই সেও চাকরি টি নিতে পারছে না। পরে রনির কথা শুনে ভিক্রম সে পুলিশ ফোর্সে জয়েন হয়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে আইপিএল নামের একজন মাঝে মাঝে পুরো একটি ফ্যামিলি গায়েব করে ফেলে। তার অনেক পাওয়ার তাই পুলিশরা তাকে কিছু করতে পারে না। সে মানুষদের আটক করে সিরিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে আবু জালাল গাজা নামের এক টেরোরিস্ট থাকে। তার কাছে লোকজনদের দিয়ে দেয়। আবু জালাল প্রতিটি ফ্যামিলির মাঝে এমন একজনকে খুজে যে তার জীবনের বিনিময়ে তার ফ্যামিলিকে সেফ রাখবে। এমন মানুষদের দিয়ে সে সিরিয়ায় বিভিন্ন অপকর্ম করে ও বিনিময়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। সে ভারত ছাড়াও পাকিস্তানিদেরকেও এভাবে বন্দি বানিয়ে রাখে। তো একদিন সকালে হাফিজা আইপিএলের লোকদের কিপন্যাড করা অবস্থায় দেখে ফেলে। সে থানায় গিয়ে রিপোর্ট লিখাতে চায় কিন্তু সকল পুলিশ আইপিএলকে ভয় পায় তাই রিপোর্ট লিখতেও নারাজ। তখনও ভিক্রম থানায় আসেনি। হাফিজা আবার সিয়াকে চিনে। পরে হাফিজা সিয়াকে থানায় ডেকে আনে ও সিয়ার আচরণে ইন্সপেক্টর শরৎ কুতে রিপোর্ট লিখতে বাধ্য হয়। এখন সব পুলিশরা চিন্তায় পরে গেলো কে আইপিএলের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে লোকদের বাচিয়ে আনবে। আসলে যে যাবে সে নিজেই আর ফিরে আসবে না। তখন একজন পরামর্শ দিলো ভিক্রমকে পাঠানোর জন্য। ভিক্রম আসলে তাকে সেখানে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ভিক্রম তো উল্টো গুন্ডাদের ভয় পায়। তাই ব্যাপারটা রনির সাথে শেয়ার করে। রনি গোপনে সেখানে যাবে বলে আশ্বাস দেয়। পরে ভিক্রম একাই সেখানে যায়। রনি গুন্ডাদের মেরে চলে যায় ও ভিক্রম আটককৃতদের নিয়ে বের হয়ে। ফলে শহরের চারিদিকে ভিক্রমের সুনাম বেড়ে যায়। এদিকে আটককৃত লোকগুলো ছুটে যাওয়ায় আইপিএলের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আইপিএলের নির্দেশে রনিকে বোকা ভেবে তাকে তুলে নিয়ে যায় আর ভিক্রমকে হুমকি দেয় যেনো কখনও আইপিএলের কাজ হাত না ঢুকায়। আইপিএলের তাড়া ছিলো। সে সিরিয়ায় চলে যায়। এদিকে রনি আবারও গুন্ডাদের মেরে চলে যায়। একদিন হাফিজা ও তার স্বামী আসিফ রনিদের বাসায় গল্প করতে আসে। তো আসিফ বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলে রনির চাচাও তাকে জোর দেয় বিয়ে করে ফেলার জন্য। তবে রনির কথা ভিক্রম বিয়ে করতে রাজি হয়। রনি পাত্রিপক্ষকে দেখে আসতে গিয়ে দেখে পাত্রী সিয়ার বোন রুচি। রনি আগে থেকেই সিয়ার উপর দুর্বল ছিলো। দুপক্ষের সম্মতিতে জমজমাটভাবে ভিক্রমক-রুচির বিয়ে হয়। রনির আদতে ভিক্রমের কারণে পুলিশরাও আর গুন্ডাদের ভয় পায় না। গোপন সূত্রমতে পুলিশের লোকজন খবর পায় যে আইপিএল সিরিয়ায় অবস্থান করছে। তাকে ধরার জন্য ভিক্রমকে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। সিরিয়ায় ভিক্রমের আইডিকার্ড এক পকেটমার চুরি করে ফেলে। একদিন রনি ভিক্রমের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে ব্যাপারটি রনিকে জানায়। কথা বলতে বলতে হঠাৎ ভিক্রমের উপর আবু জালালের ভাই জায়িদিসহ একজন এটাক করে। রনি জায়িদি চেহারা দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক রনি সিয়াকে নিয়ে সিরিয়ায় চলে যায়। সিরিয়ায় পুলিশদের সাথে কথা বলে তেমন কোনো সুবিধা পায় না তারা। পথিমধ্যে আখতার লাহোরির সাথে তাদের পরিচয় হয়। তার প্রথমে রনিদের থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তাদের আচরণে সে সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে হেল্প করবে বলে জানায়। সে পকেটমার তাই শহরের কিছু পকেটমারদের চিনে। এক পকেটমার থেকে তারা ভিক্রমের আইডি কার্ড খুজে পায়। পকেটমার জানায় জাইদির জন্য কাজটি করেছিলো। জাইদির ঠিকানা সে জানায়। রনি জাইদি পাকড়াও করে ও তার থেকে কথা বের করতে বাধ্য করায়। কিন্তু জাইদি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আত্মহত্যা করে। জাইদির ফোন দিয়ে তারা আইপিএলকে মেসেজ দেয়। একটি ক্লাবে মিটিং নামে আসতে বলে। এদিকে আবু জালাল বুঝতে পারে তার ভাই জাইদি এর খুনিই আইপিএলকে ক্লাবে ডেকেছে। আবু জালাল তাই আইপিএল এর উপর হালকা সন্দেহ করে। সেও ক্লাবে আসে। ক্লবে বিলাল (পুলিশ) ও চলে আসে। তারা জানতে পারে আবু জালাল এখানে আসবে। বিলাল ও রনিরা মিলে আইপিএলকে ধরে। ততক্ষণে আবু জালাল পালিয়ে গেছে।বিলাল-রনি-সিয়া মিলে একটি প্লান করে। আবু জালাল আইপিএলকে হালকা সন্দেহ করেছিলো তাই তার লোক আইপিএল যে গাড়িতে আছে তার পিছু পিছু যাচ্ছে। তো প্লান অনুযায়ী তারা একটি রেস্টুরেন্টে যায়। তাদের পিছু পিছু আবু জালালের লোকরাও চলে আসে। সবাই মিলে কাওবা (এক প্রকার পানীয়) খায়। ব্যাপারটা গুন্ডারা আবু জালালকে জানিয়ে দেয়। তার সন্দেহ আরোও বেড়ে যায়। এবার রনি কিছু না বলেই আইপিএলের হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়ে যায়। ব্যাপারটা আবু জালালকে জানালে আবু জালাল বুঝে যে আইপিএল বিশ্বাসঘাতক।
তামিল চলচ্চিত্র ভেট্টাইয়ের অফিসিয়াল রিমেক।


== অভিনয় ==
== অভিনয় ==

১৪:৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাগী ৩
বাগী ৩ চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকআহমেদ খান
প্রযোজকসাজিদ নদিয়াদওয়ালা
রচয়িতাফরহাদ সামজি
চিত্রনাট্যকারহুসেন দালাল
কাহিনিকারফরহাদ সামজি
উৎসভেট্টাই নামের তামিল চলচ্চিত্রের গল্প থেকে অনুপ্রানিত
শ্রেষ্ঠাংশেরিতেশ দেশমুখ
টাইগার শ্রফ
শ্রদ্ধা কাপুর
সুরকার
  • অমল মল্লিক
  • মিট ব্রস
চিত্রগ্রাহকসান্থনা কৃষ্ণন রবিচন্দ্রন
সম্পাদকহেমন্তি সরকার
প্রযোজনা
কোম্পানি
পরিবেশকফক্স স্টার স্টুডিও
মুক্তি
  • ৬ মার্চ ২০২০ (2020-03-06)
দেশ ভারত
ভাষাহিন্দি
আয়৭৭.১১ কোটি

বাগী ৩ হচ্ছে ২০২০ সালের আসন্ন একটি ভারতীয় অ্যাকশন - থ্রিলার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি নাদিয়াদয়াল গ্র্যান্ডসান এইন্টারটেইনমেন্ট ব্যানারে সাজিদ নাদিয়াদয়ালা প্রযোজনা করেছেন এবং আহমেস খান পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রটির প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিতেশ দেশমুখ, টাইগার শ্রফ এবং শ্রদ্ধা কাপুর[১]

এটি ২০১২ সালের তামিল ছবি ভেট্টাইয়ের অফিসিয়াল রিমেক। সিনেমাটিতে একজন এয়ার হোস্টেসের চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্রদ্ধা কাপুর

চলচ্চিত্রটির মূল ফটোগ্রাফি ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছিল। এটি থিয়েটারে সিনেমাটি ২০২০ সালের ৬ মার্চ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

কাহিনী

তামিল চলচ্চিত্র ভেট্টাইয়ের অফিসিয়াল রিমেক। রনি ও ভিক্রম দুই ভাই। ভিক্রম একটু ভীতু প্রকৃতির। তাদের বাবা ছোটবেলায় মারা যায়। বাবা পুলিশ ছিল্ক। মারা যাওয়ার আগে বাবা রনিকে বলে, হয়তো প্রথমবার কোনো বাবা ছোট সন্তানকে বড় সন্তানের দেখভাল করতে বলতেছে। ভিক্রমের খেয়াল রেখো রনি। এরপর থেকে ভিক্রম যতবার বিপদে পড়তো, রনি প্রতিবারে তার মোকাবেলা করতো। হাফিজা রনিদের প্রতিবেশি। একদিন এক সিনেমা হলে ভিক্রমের সাথে সিয়ার দেখা হয়। সেখানে ভূলক্রমে ভিক্রম এক গুন্ডাদের বসের জামায় স্ন্যাক্স ফেলে দেয়। সেখানে রনি গুন্ডাদের হাত থেকে তাদের বাচায়। তাদের বাবা পুলিশ হওয়ায় তাদের মধ্যে একজনকে পুলিশের চাকরিতে সুযোগ দেয়া হয়। ভিক্রম ভীতু হওয়ায় সে এ চাকরি করতে চাচ্ছিলো না। আবার ভিক্রমকে বাচাতে বাচাতে রনির ৩৫ টা কেস হয়ে গেছে তাই সেও চাকরি টি নিতে পারছে না। পরে রনির কথা শুনে ভিক্রম সে পুলিশ ফোর্সে জয়েন হয়। সেখানে গিয়ে জানতে পারে আইপিএল নামের একজন মাঝে মাঝে পুরো একটি ফ্যামিলি গায়েব করে ফেলে। তার অনেক পাওয়ার তাই পুলিশরা তাকে কিছু করতে পারে না। সে মানুষদের আটক করে সিরিয়ায় নিয়ে যায়। সেখানে আবু জালাল গাজা নামের এক টেরোরিস্ট থাকে। তার কাছে লোকজনদের দিয়ে দেয়। আবু জালাল প্রতিটি ফ্যামিলির মাঝে এমন একজনকে খুজে যে তার জীবনের বিনিময়ে তার ফ্যামিলিকে সেফ রাখবে। এমন মানুষদের দিয়ে সে সিরিয়ায় বিভিন্ন অপকর্ম করে ও বিনিময়ে পরিবারের বাকি সদস্যদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। সে ভারত ছাড়াও পাকিস্তানিদেরকেও এভাবে বন্দি বানিয়ে রাখে। তো একদিন সকালে হাফিজা আইপিএলের লোকদের কিপন্যাড করা অবস্থায় দেখে ফেলে। সে থানায় গিয়ে রিপোর্ট লিখাতে চায় কিন্তু সকল পুলিশ আইপিএলকে ভয় পায় তাই রিপোর্ট লিখতেও নারাজ। তখনও ভিক্রম থানায় আসেনি। হাফিজা আবার সিয়াকে চিনে। পরে হাফিজা সিয়াকে থানায় ডেকে আনে ও সিয়ার আচরণে ইন্সপেক্টর শরৎ কুতে রিপোর্ট লিখতে বাধ্য হয়। এখন সব পুলিশরা চিন্তায় পরে গেলো কে আইপিএলের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে লোকদের বাচিয়ে আনবে। আসলে যে যাবে সে নিজেই আর ফিরে আসবে না। তখন একজন পরামর্শ দিলো ভিক্রমকে পাঠানোর জন্য। ভিক্রম আসলে তাকে সেখানে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু ভিক্রম তো উল্টো গুন্ডাদের ভয় পায়। তাই ব্যাপারটা রনির সাথে শেয়ার করে। রনি গোপনে সেখানে যাবে বলে আশ্বাস দেয়। পরে ভিক্রম একাই সেখানে যায়। রনি গুন্ডাদের মেরে চলে যায় ও ভিক্রম আটককৃতদের নিয়ে বের হয়ে। ফলে শহরের চারিদিকে ভিক্রমের সুনাম বেড়ে যায়। এদিকে আটককৃত লোকগুলো ছুটে যাওয়ায় আইপিএলের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আইপিএলের নির্দেশে রনিকে বোকা ভেবে তাকে তুলে নিয়ে যায় আর ভিক্রমকে হুমকি দেয় যেনো কখনও আইপিএলের কাজ হাত না ঢুকায়। আইপিএলের তাড়া ছিলো। সে সিরিয়ায় চলে যায়। এদিকে রনি আবারও গুন্ডাদের মেরে চলে যায়। একদিন হাফিজা ও তার স্বামী আসিফ রনিদের বাসায় গল্প করতে আসে। তো আসিফ বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনলে রনির চাচাও তাকে জোর দেয় বিয়ে করে ফেলার জন্য। তবে রনির কথা ভিক্রম বিয়ে করতে রাজি হয়। রনি পাত্রিপক্ষকে দেখে আসতে গিয়ে দেখে পাত্রী সিয়ার বোন রুচি। রনি আগে থেকেই সিয়ার উপর দুর্বল ছিলো। দুপক্ষের সম্মতিতে জমজমাটভাবে ভিক্রমক-রুচির বিয়ে হয়। রনির আদতে ভিক্রমের কারণে পুলিশরাও আর গুন্ডাদের ভয় পায় না। গোপন সূত্রমতে পুলিশের লোকজন খবর পায় যে আইপিএল সিরিয়ায় অবস্থান করছে। তাকে ধরার জন্য ভিক্রমকে সিরিয়ায় পাঠিয়ে দেয়। সিরিয়ায় ভিক্রমের আইডিকার্ড এক পকেটমার চুরি করে ফেলে। একদিন রনি ভিক্রমের সাথে ভিডিও কলে কথা বলার সময়ে ব্যাপারটি রনিকে জানায়। কথা বলতে বলতে হঠাৎ ভিক্রমের উপর আবু জালালের ভাই জায়িদিসহ একজন এটাক করে। রনি জায়িদি চেহারা দেখতে পায়। তাৎক্ষনিক রনি সিয়াকে নিয়ে সিরিয়ায় চলে যায়। সিরিয়ায় পুলিশদের সাথে কথা বলে তেমন কোনো সুবিধা পায় না তারা। পথিমধ্যে আখতার লাহোরির সাথে তাদের পরিচয় হয়। তার প্রথমে রনিদের থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তাদের আচরণে সে সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে হেল্প করবে বলে জানায়। সে পকেটমার তাই শহরের কিছু পকেটমারদের চিনে। এক পকেটমার থেকে তারা ভিক্রমের আইডি কার্ড খুজে পায়। পকেটমার জানায় জাইদির জন্য কাজটি করেছিলো। জাইদির ঠিকানা সে জানায়। রনি জাইদি পাকড়াও করে ও তার থেকে কথা বের করতে বাধ্য করায়। কিন্তু জাইদি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে আত্মহত্যা করে। জাইদির ফোন দিয়ে তারা আইপিএলকে মেসেজ দেয়। একটি ক্লাবে মিটিং নামে আসতে বলে। এদিকে আবু জালাল বুঝতে পারে তার ভাই জাইদি এর খুনিই আইপিএলকে ক্লাবে ডেকেছে। আবু জালাল তাই আইপিএল এর উপর হালকা সন্দেহ করে। সেও ক্লাবে আসে। ক্লবে বিলাল (পুলিশ) ও চলে আসে। তারা জানতে পারে আবু জালাল এখানে আসবে। বিলাল ও রনিরা মিলে আইপিএলকে ধরে। ততক্ষণে আবু জালাল পালিয়ে গেছে।বিলাল-রনি-সিয়া মিলে একটি প্লান করে। আবু জালাল আইপিএলকে হালকা সন্দেহ করেছিলো তাই তার লোক আইপিএল যে গাড়িতে আছে তার পিছু পিছু যাচ্ছে। তো প্লান অনুযায়ী তারা একটি রেস্টুরেন্টে যায়। তাদের পিছু পিছু আবু জালালের লোকরাও চলে আসে। সবাই মিলে কাওবা (এক প্রকার পানীয়) খায়। ব্যাপারটা গুন্ডারা আবু জালালকে জানিয়ে দেয়। তার সন্দেহ আরোও বেড়ে যায়। এবার রনি কিছু না বলেই আইপিএলের হাতে কিছু টাকা গুজে দিয়ে যায়। ব্যাপারটা আবু জালালকে জানালে আবু জালাল বুঝে যে আইপিএল বিশ্বাসঘাতক।

অভিনয়

প্রযোজনা

চলচ্চিত্রটির প্রোযোজক ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ঘোষণা করেন টাইগার শ্রফ কে নিয়ে নাদিয়াদয়ালা প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবার ঘোষণা করার জন্য টুইটার এ একটি টিজার পোস্টার ছেড়ে দেয় তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি শ্রদ্ধা কাপুরকে টাইগার শ্রফের বিপরীতে লীড রোলে স্বাক্ষর করা হয়েছিল। জুনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে রিতেশ দেশমুখ চলচ্চিত্রটিতে কাস্টে যোগ দিয়েছেন। আগস্ট ২০১৯-এ ঘোষণা করা হয়েছিল যে চলচ্চিত্রটির শুটিং মরক্কো, মিশর, সার্বিয়া এবং তুরস্কে অনুষ্ঠিত হবে ।

চিত্রগ্রহণের প্রথম ভাগটি ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছিল এবং ২০১৯-অক্টোবরের দিকে গড়িয়ে পড়ে। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, অঙ্কিত লোখণ্ডে কাপুরের বোন হিসাবে অভিনেতায় যুক্ত হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

  1. "BAAGHI MOVIE REVIEW"টাইমস অফ ইন্ডিয়া। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯