তারা মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ রোবট যোগ করছে: mk:Ѕвездена џамија, ru:Мечеть Звезды |
অ Tara-masjid.jpg ফাইলটি অপসারণ করা হয়েছে, কারণ উইকিমিডিয়া কমন্স হতে Lycaon এই ফাইলটি মুছে ফেলেছেন |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Image:Tara-masjid.jpg|right|thumb|পুরান ঢাকার তারা মসজিদ। ছবিটি তুলেছেন ইশতিয়াক আইয়ূব জিকো, ২০০৫ সালের ১ মে ।]] |
|||
'''তারা মসজিদ''' [[পুরনো ঢাকা|পুরানো ঢাকার]] [[আরমানিটোলা|আরমানিটোলায়]] আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা [[মার্বেলের]] [[গম্বুজ|গম্বুজের]] ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে। মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। জানা যায়, আঠারো শতকে [[ঢাকা|ঢাকার]] 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম [[আরমানিটোলা]] হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর। ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি। মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদ নির্মাণ করেন। '''মির্জা সাহেবের মসজিদ''' হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। |
'''তারা মসজিদ''' [[পুরনো ঢাকা|পুরানো ঢাকার]] [[আরমানিটোলা|আরমানিটোলায়]] আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা [[মার্বেলের]] [[গম্বুজ|গম্বুজের]] ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে। মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। জানা যায়, আঠারো শতকে [[ঢাকা|ঢাকার]] 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম [[আরমানিটোলা]] হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর। ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি। মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদ নির্মাণ করেন। '''মির্জা সাহেবের মসজিদ''' হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে। |
||
২২:৪২, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
তারা মসজিদ পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত। সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এ মসজিদ নির্মিত হয় আঠারো শতকের প্রথম দিকে। মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ-তারিখ খোদাই করা ছিল না। জানা যায়, আঠারো শতকে ঢাকার 'মহল্লা আলে আবু সাঈয়ীদ'-এ (পরে যার নাম আরমানিটোলা হয়) আসেন জমিদার মির্জা গোলাম পীর। ঢাকার ধণাঢ্য ব্যক্তি মীর আবু সাঈয়ীদের নাতি ছিলেন তিনি। মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদ নির্মাণ করেন। মির্জা সাহেবের মসজিদ হিসেবে এটি তখন বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে, ১৯২৬ সালে, ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী, আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি-টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে।
মোঘল স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব রয়েছে এ মসজিদে। ঢাকার কসাইটুলীর মসজিদেও এ ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরের সতের শতকে নির্মিত স্থাপত্যকর্মের ছাপ পড়ে মোঘল স্থাপত্য শৈলীতে।
মির্জা গোলামের সময় মসজিদটি ছিল তিন গম্বুজঅলা, দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট (১০.০৬ মিটার) আর প্রস্থে ১২ ফুট (৪.০৪ মিটার)। আলী জানের সংস্কারের সময়, ১৯২৬ সালে, মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা বাড়ানো হয়। ১৯৮৭ সালে তিন গম্বুজ থেকে পাঁচ গম্বুজ করা হয়। পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়।
মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট (২১.৩৪ মিটার), প্রস্থ ২৬ ফুট (৭.৯৮ মিটার)।
বহিঃসংযোগ
- তারা মসজিদ, বাংলাপিডিয়া
- মির্জা গোলাম পীরের মসজিদ, আর্কনেট ডিজিটাল লাইব্রেরি
- স্টার হেরিটেজ, ডেইলি স্টার পত্রিকা, ২৫ জুলাই ২০০৪
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |