সিধু কানু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Mohonmurmuthakur (আলোচনা | অবদান)
সঠিক তথ্য প্রদান
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''সিধু ও কানু''' ভ্রাতৃদ্বয় (যথাক্রমে '''সিধু মুর্মু''' ও '''কানু মুর্মু'''), অন্য বানানে '''সিধু মাঝি'''(? - ১৮৫৬) ও '''কানু মাঝি''' (১৮২০ - [[জানুয়ারি ২৩|২৩ জানুয়ারি]], ১৮৫৬)ছিলেন [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] প্রথম দিকের [[সাঁওতাল বিদ্রোহ|সাঁওতাল বিদ্রোহের]] দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিধু গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৭৯, ১১৪, ১১৮, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> '''কানু মাঝি''' ছিলেন তার অনুজ এবং অপর বীরদ্বয় '''চাঁদ''' ও '''ভৈরব''' তার অপর দুজন অনুজ ভ্রাতা। [[বীরভূম জেলা|বীরভূম জেলার]] ওপারে সশস্ত্র পুলিসবাহিনীর গুলিতে কানু মাঝির মৃত্যু হয়। ভৈরব ও চাঁদ [[ভাগলপুর|ভাগলপুরের]] কাছে এক ভয়ংকর যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করেন।<ref name="সংসদ"/>
'''সিধু ও কানু''' ভ্রাতৃদ্বয় (যথাক্রমে '''সিধু মুরমু''' ও '''কানু মুরমু'''), অন্য বানানে '''সিধো মুরমু'''(১৮১৫- ২৪ শে ফেব্রুয়ারি১৮৫৬) ও '''কানহু মুরমু''' (১৮২০ - ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬)ছিলেন [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] প্রথম দিকের [[সাঁওতাল বিদ্রোহ|সাঁওতাল বিদ্রোহের]] দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিধু গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।<ref name="সংসদ">সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৭৯, ১১৪, ১১৮, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> '''কানু মুরমু''' ছিলেন তার অনুজ এবং অপর বীরদ্বয় '''চাঁদ''' ও '''ভৈরব''' তার অপর দুজন অনুজ ভ্রাতা।'''১৮৫৬ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ভগ্নাডিহির নিকট পাঁচকাঠিয়া বট বৃক্ষে বেলা পৌনে ২ নাগাদ ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়'''।ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন-"'''আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।"'''৪৫মিনিট তাঁর দেহটি ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে রাখার পর,সেটিকে নামিয়ে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।বর্বর ইংরেজ সরকার কানুর মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয় দের হাতে তুলে দেবার সৌজন্য পর্যন্ত বোধ করেনি। ভৈরব ও চাঁদ [[ভাগলপুর|ভাগলপুরের]] কাছে এক ভয়ংকর যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করেন।<ref name="সংসদ"/>


এছাড়াও '''[[কলিয়ান হরাম]]''' ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং [[সাঁওতাল|সাঁওতালদের]] গুরু। তিনি তার "হরকোরেন মারে হাপরাম্বো রিয়াক কথা" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ "রাজা-মহারাজাদের খতম করো", "দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও", "আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।<ref name="সংসদ"/>
এছাড়াও '''[[কলিয়ান হাড়াম]]''' ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং [[সাঁওতাল|সাঁওতালদের]] গুরু। তিনি তার '''"হড়কোরেন মারে হাপরামকো রেয়াাঃ কাথা"''' শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ "রাজা-মহারাজাদের খতম করো", "দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও", "আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।<ref name="সংসদ"/>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৮:২৫, ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সিধু ও কানু ভ্রাতৃদ্বয় (যথাক্রমে সিধু মুরমুকানু মুরমু), অন্য বানানে সিধো মুরমু(১৮১৫- ২৪ শে ফেব্রুয়ারি১৮৫৬) ও কানহু মুরমু (১৮২০ - ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৮৫৬)ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা। কিছু লোকের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে সিধু গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।[১] কানু মুরমু ছিলেন তার অনুজ এবং অপর বীরদ্বয় চাঁদভৈরব তার অপর দুজন অনুজ ভ্রাতা।১৮৫৬ সালের ২৩ শে ফেব্রুয়ারি ভগ্নাডিহির নিকট পাঁচকাঠিয়া বট বৃক্ষে বেলা পৌনে ২ নাগাদ ফাঁসির মঞ্চে তোলা হয়।ফাঁসির মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেছিলেন-"আমি আবার আসব, আবার সারা দেশে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে তুলব।"৪৫মিনিট তাঁর দেহটি ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে রাখার পর,সেটিকে নামিয়ে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।বর্বর ইংরেজ সরকার কানুর মৃতদেহটি তাঁর আত্মীয় দের হাতে তুলে দেবার সৌজন্য পর্যন্ত বোধ করেনি। ভৈরব ও চাঁদ ভাগলপুরের কাছে এক ভয়ংকর যুদ্ধে প্রাণ বিসর্জন করেন।[১]

এছাড়াও কলিয়ান হাড়াম ছিলেন সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিহাসের লিপিকার এবং সাঁওতালদের গুরু। তিনি তার "হড়কোরেন মারে হাপরামকো রেয়াাঃ কাথা" শীর্ষক একটি রচনায় সাঁওতাল বিদ্রোহের ইতিবৃত্ত রেখে গেছেন। এই ইতিবৃত্তে সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়ক সিধু ও কানুর সংগ্রাম-ধ্বনি, যথাঃ "রাজা-মহারাজাদের খতম করো", "দিকুদের (বাঙালি মহাজনদের) গঙ্গা পার করে দাও", "আমাদের নিজেদের হাতে শাসন চাই" প্রভৃতি লিপিবদ্ধ আছে।[১]

তথ্যসূত্র

  1. সুবোধ সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, নভেম্বর ২০১৩, পৃষ্ঠা ৭৭৯, ১১৪, ১১৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬