কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Removed map as it was too old
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
{{তথ্যছক বৈশ্বিক মহামারী
{{তথ্যছক বৈশ্বিক মহামারী
| name = ২০১৯-২০২০ সালে করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার
| name = ২০১৯-২০২০ সালে করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার
| map1 = File:COVID-19 Outbreak World Map-Deaths.svg
| map1 =
| legend1 = ২০১৯-২০ করোনাভাইরাসঘটিত মহামারীতে নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর সংখ্যার বৈশ্বিক মানচিত্র (১৩ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী):
| legend1 =
{{legend|#000000|নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত দেশ ও ন্যূনতম ১ জনের মৃত্যু}}
{{legend|#c80604|নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত দেশ, তনে এখনও সংবাদ প্রতিবেদনে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নি}}
| map2 = File:COVID-19 Outbreak World Map.svg
| map2 = File:COVID-19 Outbreak World Map.svg
| legend2 = ২০১৯-২০ করোনাভাইরাসঘটিত মহামারীর বৈশ্বিক মানচিত্র (১৩ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী):
| legend2 = ২০১৯-২০ করোনাভাইরাসঘটিত মহামারীর বৈশ্বিক মানচিত্র (১৩ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী):

১৬:০০, ১৬ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০১৯-২০২০ সালে করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার
২০১৯-২০ করোনাভাইরাসঘটিত মহামারীতে নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর সংখ্যার বৈশ্বিক মানচিত্র (১৩ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী):
  নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত দেশ ও ন্যূনতম ১ জনের মৃত্যু
  নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত দেশ, তনে এখনও সংবাদ প্রতিবেদনে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নি
২০১৯-২০ করোনাভাইরাসঘটিত মহামারীর বৈশ্বিক মানচিত্র (১৩ মার্চ ২০২০ অনুযায়ী):
  ১০,০০০+ নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত
  ১০০০-৯৯৯৯ নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত
  ১০০-৯৯৯ নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত
  ১০-৯৯ নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত
  ১-৯ নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত
রোগ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধি (COVID-19)
ভাইরাসের প্রজাতিগুরুতর তীব্র শ্বাসকষ্টমূলক উপসর্গসমষ্টি-সংশ্লিষ্ট করোনাভাইরাস ২ (SARS-CoV-2)
প্রথম সংক্রমণের ঘটনা১লা ডিসেম্বর ২০১৯[১][২]
উৎপত্তিউহান নগরী, হুপেই প্রদেশ, চীন[৩]
নিশ্চিত আক্রান্ত১৭৩,০০০+
মৃত্যু
৬৬০০+

২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব বলতে ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির (COVID-19) উদ্ভব এবং এর দ্রুত ও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার চলমান ঘটনাটিকে নির্দেশ করা হয়েছে। ব্যাধিটি একটি ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট হয়, যাকে ভাইরাসবিজ্ঞানীরা গুরুতর তীব্র শ্বাসকষ্টমূলক উপসর্গসমষ্টি-সংশ্লিষ্ট করোনাভাইরাস ২ (Severe Acute Respiratory Syndrome Coronavirus 2) বা সংক্ষেপে ২ নং সার্স করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2) নামকরণ করেছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে মধ্য চীনের হুপেই প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী (ও তৎকালীন চীনের ৭ম বৃহত্তম নগরী) উহান নগরীর কর্তৃপক্ষ এই নতুন ধরনের করোনাভাইরাসটি শনাক্ত করেন। সেসময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৪১ জন চীনা ব্যক্তির গুরুতর ফুসফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া) রোগ হয়েছিল এবং প্রথমদিকে তাদের রোগের কোনও পরিষ্কার কারণ বের করা যায়নি কিংবা প্রচলিত ভাইরাস নিরোধক চিকিৎসা দিয়ে তাদের সারিয়ে তোলা যায়নি।[৪] উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারে বিক্রিত কোনও প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে বাজারের দোকানদার ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তীতে চীনা বিজ্ঞানীরা এই নতুন প্রকারের করোনাভাইরাসটি পরীক্ষাগারে আলাদা করে শনাক্ত করতে সক্ষম হন।

২ নং সার্স করোনাভাইরাস প্রথমে প্রাণী থেকে মানুষে সংক্রমিত হলেও বর্তমানে এটি বিবর্তিত হয়ে মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে সক্ষম।[৫] ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেকগুলি দেশে মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাসটি দেহে সংক্রমিত হবার পরে ২ থেকে ১৪ দিন সুপ্তাবস্থায় থাকতে পারে এবং এ সময় বাহকের অগোচরে এটি অপর কোনও ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে। ভাইরাসটির সংক্রমণের ফলে যে ব্যাধিটি হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার নাম দিয়েছে ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধি। এই ব্যাধির উপসর্গগুলির মধ্যে আছে জ্বর, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, পেশীতে ব্যথা ও অবসাদগ্রস্ততা। সঠিক সময়ে সেবা-শুশ্রুষা না পেলে ব্যাধিটি জটিল আকার ধারণ করে, যার ফলে ফুসফুস প্রদাহ (নিউমোনিয়া), তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি, রক্তে জীবাণুদূষণরোধী তীব্র অনাক্রম্য প্রতিক্রিয়া (সেপসিস) ও জীবাণুদূষণজনিত অভ্যাঘাত (সেপটিক শক) হতে পারে এবং পরিশেষে মৃত্যুও হতে পারে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির কোনও প্রতিরোধক টিকা কিংবা কার্যকরী প্রতিষেধক চিকিৎসা ছিল না। হাসপাতালে মূলত রোগীদের উপসর্গ উপশম করার চেষ্টা করা হয়।

চীনের মূল ভূখণ্ডে ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধি (COVID-19) সংক্রমণের ঘটনাসমূহ ()
 মৃত্যু;  আরোগ্যলাভ;  পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিত সংক্রমণের ঘটনা;  নিদানিকভাবে নির্ণীত সংক্রমণের ঘটনা
2020-01-16
45 (n.a.)
2020-01-17
62 (+38%)
2020-01-18
121 (+95%)
2020-01-19
198 (+64%)
2020-01-20
291 (+47%)
2020-01-21
440 (+51%)
2020-01-22
571 (+30%)
2020-01-23
830 (+45%)
2020-01-24
1,287 (+55%)
2020-01-25
1,975 (+53%)
2020-01-26
2,744 (+39%)
2020-01-27
4,515 (+64%)
2020-01-28
5,974 (+32%)
2020-01-29
7,711 (+29%)
2020-01-30
9,692 (+26%)
2020-01-31
11,791 (+22%)
2020-02-01
14,380 (+22%)
2020-02-02
17,205 (+20%)
2020-02-03
20,438 (+19%)
2020-02-04
24,324 (+19%)
2020-02-05
28,018 (+15%)
2020-02-06
31,161 (+11%)
2020-02-07
34,546 (+11%)
2020-02-08
37,198 (+7.7%)
2020-02-09
40,171 (+8.0%)
2020-02-10
42,638 (+6.1%)
2020-02-11
44,653 (+4.7%)
2020-02-12
46,472 (+4.1%) 58,761 (n.a.)
2020-02-13
48,467 (+4.3%) 63,851 (+8.7%)
2020-02-14
49,970 (+3.1%) 66,492 (+4.1%)
2020-02-15
51,091 (+2.2%) 68,500 (+3.0%)
১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া সোনালী-হলুদ রঙের অনুভূমিক স্তম্ভগুলি চীনের হুপেই প্রদেশের সেই সমস্ত সংক্রমণের ঘটনাকে নির্দেশ করে, যেগুলি পরীক্ষা করে নয়, বরং উপসর্গ ও চিকিৎসা-চিত্রণে দৃষ্ট ফুসফুস প্রদাহের লক্ষণের উপরে ভিত্তি করে নিদানিকভাবে নির্ণয় করা হয়।[৬]
উৎস: চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন দ্বারা প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদন এবং
হুপেই স্বাস্থ্য কমিশন দ্বারা প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদন (১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ থেকে)

প্রথম দিকে ভাইরাসটির বিস্তারের হার কম হলেও ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যভাগে এসে এটির সংক্রমণের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করে।[৭] ১৩ই মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১ লক্ষ ৩৫ হাজারেরও অধিক ব্যক্তি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। চীনের সবগুলি প্রদেশে বা প্রাদেশিক-স্তরের প্রশাসনিক বিভাগে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। তবে দাপ্তরিকভাবে প্রকাশিত সংখ্যার বাইরেও আরও বহু লোকের দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়ে থাকতে পারে, যাদেরকে এখনও শনাক্ত করা হয়নি। চীনের বাইরে ১২১টি রাষ্ট্র ও প্রশাসনিক অঞ্চলে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। ২০২০ সালের ৯ই জানুয়ারি ভাইরাসটির কারণে প্রথম ব্যক্তিটির মৃত্যু হয় এবং তার পরে ১৩ই মার্চ ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৪৯৯০ জন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। এছাড়া ৭০,৩৯৫ জন ব্যক্তি আরোগ্যলাভ করেছে। ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সার্স করোনাভাইরাস-২-এর কারণে মৃতের সংখ্যা ২০০৩ সালের প্রথম সার্স ভাইরাসের কারণে মৃতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায়। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসে সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর হার ছিল ২.২%, তবে হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার আরও বেশি।

চীনে ও বিশ্বজুড়ে সার্স করোনাভাইরাস-২-এর বিস্তার রোধের জন্য জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষসমূহ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। চীনা সরকার অভ্যন্তরীণ আন্তঃনগরী ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং সঙ্গনিরোধের ব্যবস্থা (কুয়ারেন্টিন) করেছে। এতে চীনের প্রায় ১৭ কোটি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়েছে। বিশ্বের বেশ কিছু দেশ উহান নগরী, হুপেই প্রদেশ এমনকি চীনদেশে ভ্রমণের ব্যাপারে সতর্কতামূলক বার্তা প্রকাশ করেছে। যেসব পর্যটক সম্প্রতি চীনের মূল ভূখণ্ড পরিদর্শন করেছে, তাদেরকে দেশে ফেরত আসার পরে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ স্বাস্থ্যের উপরে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তির সন্দেহ হয় যে সে করোনাভাইরাস বহন করছে, তাহলে তাকে বিশেষ চিকিৎসা-মুখোশ পরিধান করতে ও নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে এবং স্বশরীরে কোনও হাসপাতাল বা ক্লিনিকে (বহির্বিভাগীয় চিকিৎসাকেন্দ্র) যেতে মানা করা হয়েছে। চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশের বিমানবন্দর ও রেলস্টেশনগুলিতে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, স্বাস্থ্যবিষয়ক সতর্কবাণী স্পিকারে সম্প্রচার করা হচ্ছে ও সতর্কতামূলক তথ্য প্রদানকারী নির্দেশফলক (সাইনবোর্ড) স্থাপন করা হয়েছে।

৩০শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালের করোনাভাইরাসঘটিত ব্যাধির প্রাদুর্ভাব ও তৎপরবর্তীকালে এর মহাবিস্তারকে জনস্বাস্থ্যের জন্য আন্তর্জাতিক গুরুত্ববিশিষ্ট জরুরী অবস্থা (Public Health Emergency of International Concern; PHEIC) হিসেবে ঘোষণা দেয়। যেসব দেশে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত দুর্বল, সেসব দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে সম্ভাব্য ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি বা মহামারীর কথা চিন্তা করে এই ঘোষণাটি দেওয়া হয়। এছাড়া আন্তর্জাল বা ইন্টারনেটে সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক গণমাধ্যমগুলির সুবাদে সার্স করোনাভাইরাস-২ সংক্রান্ত উপকারী তথ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন ভুল ও মিথ্যা তথ্য এমনকি আতঙ্ক-সৃষ্টিকারী গুজবের অতিদ্রুত বিস্তার ঘটেছে, যাকে “তথ্য মহাবিস্তার” (ইনফোডেমিক) নামে ডাকা হয়েছে।[৮] এর একটি নেতিবাচক ফল হিসেবে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে বিদেশীভীতি ও বিশেষত চীনাদের বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।[৯][১০][১১] [১২]

করোনাভাইরাস ব্যাধি ২০১৯-এর (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয়

  • সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: করোনাভাইরাস কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়াই দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যেকোনও ব্যক্তির দেহে তার অজান্তেই বিদ্যমান থাকতে পারে। এরকম করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি যদি কোনও কারণে হাঁচি বা কাশি দেন, তাহলে তার আশেপাশের বাতাসে ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে করোনাভাইরাসবাহী জলীয় কণা বাতাসে ভাসতে শুরু করে এবং ঐ পরিধির মধ্যে অবস্থিত অন্য যেকোনও ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে জনসমাগম বেশি আছে, এরকম এলাকা অতি-আবশ্যক প্রয়োজন না হলে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে যাতে বাতাসে ভাসমান সম্ভাব্য করোনাভাইরাস কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ না করতে পারে।
  • হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্তকরণ: পরিবেশে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তুতে করোনাভাইরাস লেগে থাকতে পারে, তাই এগুলি কেউ হাত দিয়ে স্পর্শ করলে তার হাতেও করোনাভাইরাস লেগে যেতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে করোনাভাইরাস কাঠ, প্লাস্টিক বা ধাতুর তৈরী বস্তুর পৃষ্ঠে গড়ে চার থেকে পাঁচ দিন লেগে থাকতে পারে। মানুষকে জীবনযাপনের প্রয়োজনে এগুলিকে প্রতিনিয়তই হাত দিয়ে স্পর্শ করতে হয়। তাই এগুলি স্পর্শ করার পরে হাত ভাল করে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করা অত্যন্ত জরুরী। নিম্নলিখিত হাত স্পর্শ করার ক্ষেত্রগুলির ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে।
    • অন্য কোনও ব্যক্তির ব্যক্তিগত বস্তু যা হাত দিয়ে ঘনঘন স্পর্শ করা হয়, যেমন মোবাইল ফোন (মুঠোফোন), ল্যাপটপ, ইত্যাদি নিজ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • বহুসংখ্যক ব্যক্তি স্পর্শ করে এমন যন্ত্র, যেমন এটিএম যন্ত্র (নগদ টাকা প্রদানকারী যন্ত্র) ও অন্য কোনও যন্ত্রের (যেমন দোকানের বা অন্য কোনও স্থানের ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মনিটর) বোতাম, চাবি, কিবোর্ড ও হাতল হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • নিজ বাসগৃহের বাইরের যেকোনও আসবাবপত্র (চেয়ার, টেবিল, ইত্যাদি) হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • নিজ বাসগৃহের বাইরের যেকোনও কামরা বা যানবাহনের দরজার হাতল হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • কাগজের টাকা, ব্যাংকের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, ইত্যাদি এবং এগুলি যেখানে রাখা হয়, যেমন ওয়ালেট বা পার্স ইত্যাদির অভ্যন্তরভাগ হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • রেস্তোরাঁ বা অন্য যেকোনও খাবার বিক্রয়কারী দোকানের থালা-বাসন-বাটি-পাত্র বা বোতল-গেলাস হাত দিয়ে স্পর্শ করা। এইসব তৈজসপত্র বহু ব্যক্তি স্পর্শ করেন এবং এগুলিকে সবসময় সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে কি না, তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
    • ঘরের বাইরে যেকোনও স্থানের হাত মোছার তোয়ালে বা রুমাল যা একাধিক ব্যক্তি স্পর্শ করে, সেগুলিকে হাত দিয়ে স্পর্শ করা।
    • ঘরের বাইরে রাস্তায় বা অন্যত্র কারও সাথে করমর্দন করা (হাত মেলানো) বা কোলাকুলি করা বা ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা।

উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলিতে হাত দিয়ে স্পর্শের পরে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং যত ঘনঘন সম্ভব হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। নিম্নলিখিত হাত ধোয়ার পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে:

    • প্রথমে হাত পানিতে ভাল করে ভিজিয়ে নিতে হবে।
    • এর পর হাতে বিশেষ জীবাণুমুক্তকারক সাবান (সম্ভব না হলে সাধারণ সাবান) প্রয়োগ করতে হবে ও ফেনা তুলে ঘষতে হবে।
    • হাতের প্রতিটি আঙুলে যেন সাবান লাগে, তা নিশ্চিত করতে হবে, এজন্য এক হাতের আঙুলের ফাঁকে আরেক হাতের আঙুল ঢুকিয়ে ঘষে কচলাতে হবে।
    • এক হাতের তালুর সাথে আরেক হাতুর তালু ঘষতে হবে এবং এক হাতের তালু দিয়ে আরেক হাতের পিঠও সম্পূর্ণ ঘষতে হবে।
    • কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে ফেনা তুলে ভাল করে হাত ধুতে হবে।
    • হাত ধোয়ার পরে কাগজের রুমাল দিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিতে হবে ও রুমালটি বর্জ্যে ফেলে দিতে হবে। একাধিক ব্যক্তির ব্যবহৃত তোয়ালে দিয়ে হাত শুকানো যাবে না, এবং একই তোয়ালে দিয়ে বারবার হাত শুকানো যাবে না, তাই একবার-ব্যবহার্য কাগজের রুমাল ব্যতীত অন্য যেকোনও ধরনের তোয়ালে বা রুমাল ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • সাবান-পানির ব্যবস্থা না থাকলে কমপক্ষে ৬০% অ্যালকোহলযুক্ত বিশেষ হাত জীবাণুমুক্তকারক দ্রবণ (হ্যান্ড স্যানিটাইজার) দিয়ে হাত কচলে ধুতে হবে। তবে সুযোগ পেলেই নোংরা হাত সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে নেওয়া সবচেয়ে বেশী উত্তম।
  • হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করার সুব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ:
    • রেস্তোরাঁ, চা ও কফিঘর, দোকানপাট, বাজার, বিপণিবিতান, শপিং মল, ইত্যাদি সমস্ত স্থানে কাগজের রুমাল বা টিস্যু পেপারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং হাত জীবাণুমুক্তকারক দ্রবণ (হ্যান্ড স্যানিটাইজারের) কিংবা সাবান-পানিতে হাত ধোবার ব্যবস্থা করতে হবে।
    • সম্ভব হলে ঘরের বাইরে যাতায়াত বা ভ্রমণের সময় সর্বদা হাত জীবাণুমুক্তকারকের বোতল ও কাগজের রুমাল (টিস্যু পেপার) সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হবে।
  • নাক, মুখ ও চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ না করা: করোনাভাইরাস কেবলমাত্র নাক, মুখ, চোখের উন্মুক্ত শ্লেষ্মাঝিল্লী দিয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে। পরিবেশে উপস্থিত করোনাভাইরাস স্পর্শের মাধ্যমে হাতে লেগে থাকতে পারে। তাই আধোয়া জীবাণুযুক্ত হাতে কখনোই নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা যাবে না। যদি একান্তই নাকে মুখে চোখে হাত দিতে হয়, তাহলে অবশ্যই হাত ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করে তা করতে হবে, কিংবা কাগজের রুমাল ব্যবহার করে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করতে হবে। এজন্য সবসময় হাতের কাছে সাবান-পানি বা অ্যালোকোহলভিত্তিক হস্ত জীবাণুমুক্তকারক কিংবা কাগজের রুমালের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়মটি মেনে চলা অনেকের জন্য কঠিন হতে পারে। নাক, মুখ ও চোখে হাত দেওয়া খুবই সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি ঘটনা এবং বহুদিনের অভ্যাসের বশে প্রায় সবাই কারণে-অকারণে এ কাজটি করে থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মানুষ ঘন্টায় ২০ বারেরও বেশি মুখের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে স্পর্শ করে। কিন্তু নিজদেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে হলে এই অভ্যাসের ব্যাপারে অনেক বেশী সচেতন হতে হবে। অনেকে মানসিক চাপের কারণে, গভীর চিন্তা করার সময়, অন্য কোনও অজ্ঞাত মানসিক কারণে কিংবা চুলকানির জন্য নাকে, মুখে, চোখে হাত দিয়ে থাকেন। তাই প্রথমে প্রতিটি ব্যক্তিকে নিজেকে বেশ কিছু সময় ধরে নিয়মিত আত্ম-পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে কোন্‌ কোন্‌ সময়ে বা কারণে সে নিজের নাক, চোখ বা মুখে হাত দিচ্ছে। কারণগুলি চিহ্নিত করার পর এবং এগুলি সম্বন্ধে সচেতন হবার পরে একে একে এগুলিকে দূর করার চেষ্টা করতে হবে এবং নাকে,মুখে, চোখে হাত দেয়ার মাত্রা যথাসর্বোচ্চ সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
  • পরিবেশ পরিষ্কার করে করোনাভাইরাস মুক্তকরণ:
    • গৃহ ও কার্যালয়ে যেসব বস্তু অনেক বহিরাগত মানুষ হাত দিয়ে স্পর্শ করে, যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটারের কিবোর্ড ও মনিটরের পর্দা, ল্যাপটপ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, বা অন্য কোনও বহুল ব্যবহৃত আসবাব, ইত্যাদি নিয়মিতভাবে কিছু সময় পরপর জীবাণুনিরোধক স্প্রে বা দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
    • বাইরে থেকে আসার পর পরিধেয় পোষাক ও অন্যান্য বহুল ব্যবহৃত কাপড় যেমন-বিছানার চাদর, ইত্যাদি নিয়মিত ধুতে হবে।
  • করোনাভাইরাস-বহনকারী সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সম্পর্কে করণীয়
    • যে ব্যক্তির জ্বর, সর্দি, কাশি ও হাঁচি হচ্ছে, তার থেকে ন্যূনতম ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যাতে বাতাসে ভাসমান ভাইরাস কণা শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ না করে।
    • রাস্তায় ও যত্রতত্র থুতু ফেলা যাবে না, কেননা থুতু থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।
    • হাঁচি-কাশি দেওয়া ব্যক্তিকে অবশ্যই কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় অস্থায়ী কাগজের রুমাল বা টিস্যুপেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে এবং সেই কাগজের রুমাল সাথে সাথে বর্জ্যে ফেলে দিতে হবে। খালি হাত দিয়ে কাশি-হাঁচি ঢাকা যাবে না, কেন না এর ফলে হাতে জীবাণু লেগে যায় (হাত দিয়ে হাঁচি-কাশি ঢাকলে সাথে সাথে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে)। কাগজের রুমাল না থাকলে কনুইয়ে ভাঁজে বা কাপড়ের হাতার উপরের অংশে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিতে হবে।
    • পরিচিত কারও করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ দেখা গেলে সাথে সাথে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা জরুরী ফোনে যোগাযোগ করতে হবে যাতে তাকে দ্রুত পরীক্ষা করা যায় এবং প্রয়োজনে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টাইন) করে রাখা যায়।
  • বিবিধ:
    • রাস্তায় বা অন্যত্র অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুতকৃত ও পরিবেশনকৃত খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে, কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুতকৃত ও অস্বাস্থ্যকর থালা-বাসন-বাটি-পাত্র বা গেলাসে পরিবেশনকৃত খাবার ও পানীয়ের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে।
    • রাস্তায় চলাফেরার পথের ধারে উপস্থিত উন্মুক্ত বর্জ্য কিংবা হাসপাতাল ও অন্যত্র উপস্থিত চিকিৎসা বর্জ্যের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
    • হাসপাতালে ও অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে অবশ্যই বিশেষ চিকিৎসা মুখোশ ও হাতমোজা পরিধান করতে হবে, যাতে ভাইরাস এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে না ছড়ায়।

উদ্ভব ও ইতিহাস

২০১৯ সালের শেষের দিকে উহান নগরীর হুয়ানান সামুদ্রিক খাদ্যের পাইকারি বাজারের দোকানদারদের মধ্যে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটে বলে ধারণা করা হয়। বাজারটিতে সামুদ্রিক খাদ্যদ্রব্যের পাশাপাশি জীবন্ত বাদুড়, সাপ ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী ও তাদের সদ্য জবাইকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি হত। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে হয়ত কোনও প্রাণীদেহ হতে করোনাভাইরাসটি বিবর্তিত হয়ে আরেকটি মধ্যবর্তী পোষক প্রাণীর মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত হয়েছে। চীনা বিজ্ঞানীরা ২০২০ সালের ৭ই জানুয়ারি তারিখে এটিকে একটি নতুন ধরনের করোনাভাইরাস হিসেবে ঘোষণা দেন এবং এর বংশাণুসমগ্র বা জিনোমের তথ্যগুলি বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীদের কাছে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের কাছে বিতরণ করেন।

করোনাভাইরাস একই ধরনের অনেকগুলি ভাইরাসের একটি বৃহৎ পরিবার যা প্রাণী ও মানুষে সংক্রমিত হতে পারে। ২১শ শতকের আগ পর্যন্ত করোনাভাইরাসগুলি মানুষের দেহে সাধারণ সর্দি-কাশি ব্যতীত অন্য কোনও উপসর্গ বা রোগব্যাধি সৃষ্টি করত না। কিন্তু ২১শ শতকে এসে এ পর্যন্ত ৩টি নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে (সার্স, মার্স ও উহান করোনাভাইরাস) যেগুলি মানব সম্প্রদায়ে ব্যাপক অঞ্চল জুড়ে প্রাণঘাতী আকার ধারণ করার ঝুঁকি বহন করে।[১৩]

উহান করোনাভাইরাসটির বংশাণুসমগ্রের অনুক্রম (জিনোম সিকোয়েন্স) ও সার্স করোনাভাইরাসের বংশাণুসমগ্রের অনুক্রমের মধ্যে প্রায় ৭০% মিল পাওয়া গেছে। এর আগে ২০০২ সালেও চীনদেশেই একই ধরনের জীবন্ত প্রাণী বিক্রির বাজার থেকে ("গুরুতর তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি-সংশ্লিষ্ট করোনাভাইরাস"; "Severe Acute Respiratory Syndrome-related Coronavirus", সংক্ষেপে SARS‐CoV) সার্স করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, প্রাদুর্ভাব ও বিশ্বব্যাপী বিস্তার ঘটেছিল। বিশ্বের ৩০টি দেশে সার্স ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে, এতে ৮৪৩৭ জন ব্যক্তি নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয় এবং ৮১৩ জনের মৃত্যু হয়।[১৪] এর ১০ বছর পরে ২০১২ সালে মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব থেকে মার্স (মধ্যপ্রাচ্যীয় শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি-সংশ্লিষ্ট করোনাভাইরাস; "Middle Eastern Respiratory Syndrome-related Coronavirus", সংক্ষেপে MERS‐CoV) নামের আরেকটি বিপজ্জনক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস উট থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছিল। ভাইরাসটি ২৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে, এতে ২৪৯৪ জন নিশ্চিতভাবে আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে ৮৫৮ জনের মৃত্যু হয়।[১৪]

শনাক্তকরণ, উপসর্গ ও নিরাময়

পলিমারেজ শৃঙ্খল বিক্রিয়া পরীক্ষার (পিসিআর টেস্ট) মাধ্যমে উপরোক্ত বাজারের সাথে সরাসরি জড়িত অনেক ব্যক্তির দেহে এবং বাজারের সাথে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের দেহেও ভাইরাসটির সংক্রমণ হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হতে পারে, এমন প্রমাণও পাওয়া গেছে।[১৫] তবে এই নতুন ভাইরাসটি সার্স ভাইরাসের সমপর্যায়ের মারাত্মক কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়।[১৬][১৭][১৮][১৯]

এই ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, অবসাদ, পেশীতে ব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট ও শ্বাসনালীর রোগ (যেমন- ক্লোমনালীর প্রদাহ তথা ব্রঙ্কাইটিস এবং নিউমোনিয়া) হয়। কদাচিৎ মাথাব্যথা বা কফসহ কাশি হতে পারে। রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ভাইরাসের কারণে তাদের শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। এছাড়া যকৃৎ ও বৃক্কের (কিডনি) ক্ষতি হয়। সাধারণত এক সপ্তাহের আগ পর্যন্ত উপসর্গগুলি ডাক্তার দেখানোর মত জটিল রূপ ধারণ করে না। কিন্তু ২য় সপ্তাহে এসে ব্যক্তিভেদে অবস্থার দ্রুত ও গুরুতর অবনতি ঘটতে পারে। যেমন ফুসফুসের ক্ষতিবৃদ্ধির সাথে সাথে ধমনীর রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা (হাইপক্সেমিয়া) দেখা দেয় এবং রোগীকে অক্সিজেন চিকিৎসা দিতে হয়। এছাড়া তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত উপসর্গসমষ্টি (ARDS বা acute respiratory distress syndrome) পরিলক্ষিত হয়। ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ রোগীকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (intensive care unit বা ICU) রেখে যান্ত্রিকভাবে শ্বাসগ্রহণ করাতে হয় এবং কখনও কখনও কৃত্রিম ফুসফুসের ভেতরে রক্ত পরিচালনার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন যোগ করতে হয়। এছাড়া ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হবার কারণে ব্যাকটেরিয়াঘটিত ২য় একটি নিউমোনিয়া হবার বড় সম্ভাবনা থাকে এবং নিবিড় পরিচর্যাধীন রোগীদের ১০% ক্ষেত্রে এটি হয়।[১৩]

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আক্রমণের মত উপসর্গ হলেও ফ্লুয়ের ঔষধে কোনও কাজ হয় না। এ পর্যন্ত রোগটির জন্য কোনও ঔষধ বা টিকা উদ্ভাবিত হয়নি। হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসা ছাড়া রোগ থেকে সেরে ওঠার উপায় নেই। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকেই কম, তাদের নিউমোনিয়া হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত বৃদ্ধদের মধ্যে ভাইরাসটির ক্ষতিকর প্রভাব বেশি দেখা গেছে। তবে এ পর্যন্ত ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে বেশি মারাত্মক হবার কোনও সম্ভাবনা দেখা যায়নি। উল্লেখ্য যে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে প্রতি বছর ৪ লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে।[২০]

বিস্তারের উপায়

উহান করোনাভাইরাসটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের; এর আকার প্রায় ১২৫ ন্যানোমিটার (অর্থাৎ ১ মিটারের প্রায় ১ কোটি ভাগের এক ভাগ)। আকারে বড় বলে এটি বাতাসে কয়েক ঘণ্টার বেশি ভাসন্ত অবস্থায় থাকতে পারে না এবং কয়েক ফুটের বেশী দূরত্বে গমন করতে পারে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো এটিও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংস্পর্শের মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের সময় মুখের হাঁচি, কাশি, লালা বা থুতু থেকে সরাসরি ভাইরাসটি এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে সংক্রামিত হতে পারে। অন্যদিকে জনসাধারণ্য স্থানে কোনও আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে বা ভাইরাসযুক্ত হাত দিয়ে ধরলে কাছাকাছি পৃষ্ঠতলে যেমন দরজার হাতলে, খাটের খুঁটিতে বা মুঠোফোনে ভাইরাস লেগে থাকতে পারে এবং সেখান থেকে পরোক্ষভাবে আরেকজন ব্যক্তির কাছে সেটি ছড়াতে পারে।[১৩]

এছাড়া উহান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার সময়ে যেমন ক্লোমনালীবীক্ষণ বা শ্বাসনালীর চিকিৎসার সময়ে বাতাসে দেহ থেকে নিঃসৃত ভাইরাসবাহী তরলের বাতাসে ভাসমান কণাগুলি একাধিক চিকিৎসাকর্মীকে সংক্রামিত করতে পারে এবং সাবধানতা অবলম্বন না করলে হাসপাতালের সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাত পরিষ্কার রাখলে এবং বিশেষ পোষাক বা গাউন, হাতমোজা, মুখোশ ও চশমা পরিধান করলে বাতাসে ভাইরাসবাহী ভাসমান কণার বিস্তার কমানো সম্ভব। ভাইরাসটির সংক্রমণ ও লক্ষণ প্রকাশের অন্তর্বর্তী কাল (ইনকিউবেশন পিরিয়ড) এখনও নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও সংক্রমণের মোটামুটি ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যেই রোগের উপসর্গ দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।[১৩]

ঝুঁকি

২০২০ সালের ২৩শে জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উহান করোনাভাইরাসের বিস্তারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা দেবার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়।[২১][২২] তবে তারা বলে যে তাদের জরুরী অবস্থা সমিতি প্রয়োজন হলে এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে পুনরায় খতিয়ে দেখতে পারে। এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির ব্যাপক বিস্তারের সম্ভাবনার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। সে সময় চীনা নববর্ষ উপলক্ষে চীনের পর্যটকদের গমনাগমনের শীর্ষ মৌসুমের কারণে ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে দুশ্চিন্তা ছিল।

প্রতিক্রিয়া

২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তারিখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণের কথা অবহিত করা হয়। ২৭শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত চীনে প্রায় ৪৫১৫ ব্যক্তির দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭৬ জনের অবস্থা গুরুতর।[২৩] ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের ৯ই জানুয়ারি প্রথম ব্যক্তিটি মারা যায়। ২৭শে জানুয়ারি ২০২০ তারিখ পর্যন্ত ভাইরাসটির কারণে চীনে ১০১ জন ব্যক্তি মারা যায়।

ভাইরাসের বিস্তার রোধের উদ্দেশ্যে চীনের বহু শহরে নববর্ষ উৎসব বাতিল করে দেওয়া হয়, উৎসব-উদ্দীপনামূলক জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয় এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বেড়াবার স্থানগুলিও জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। চীনা সরকারের নির্দেশে উহান শহরে ও হুপেই প্রদেশের আরও ১৭টি শহরে অন্তর্গামী ও বহির্গামী সমস্ত গণপরিবহন সেবা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে প্রায় ৫ কোটি চীনা অধিবাসী (উহান শহরের ১ কোটি ১০ লক্ষ অধিবাসীসহ) নিজ শহরে প্রায় অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। উহানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।

দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

অবস্থান অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারী[২৪][২৫]
অবস্থান মামলা মৃত্যু
বিশ্ব ২৫৩,৩৯১,৩২৪ ৫,১০৮,০০৮
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪৭,৮৩৪,৮১০ ৭৮২,৯৩৩
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৩৯,২৬৯,১৮৫ ৭৮৭,৭৭২
ভারত ৩৪,৪২৬,০৩৬ ৪৬৩,২৪৫
ব্রাজিল ২১,৯৪০,৯৫০ ৬১০,৯৩৫
যুক্তরাজ্য ৯,৪৮৭,৩০২ ১৪২,৬৭৮
রাশিয়া ৯,০৩১,৮৫১ ২৫৪,১৬৭
তুরস্ক ৮,৩৬৩,৯৫৯ ৭৩,১২৭
ফ্রান্স
ইরান
আর্জেন্টিনা
স্পেন
কলম্বিয়া
ইতালি ৪,৮৪৩,৯৫৭ ১৩২,৬৮৬
জার্মানি
ইন্দোনেশিয়া
মেক্সিকো
পোল্যান্ড
দক্ষিণ আফ্রিকা
ইউক্রেন
ফিলিপাইন
মালয়েশিয়া
পেরু
নেদারল্যান্ডস
ইরাক
থাইল্যান্ড
চেক প্রজাতন্ত্র
জাপান
কানাডা
চিলি
বাংলাদেশ ১,৫৭২,১২৭ ২৭,৯১২
রোমানিয়া
ইসরায়েল
বেলজিয়াম
পাকিস্তান ১,২৭৯,৩৭৩ ২৮,৫৯৫
সুইডেন
পর্তুগাল
সার্বিয়া
কাজাখস্তান
মরক্কো
কিউবা
ভিয়েতনাম
সুইজারল্যান্ড
জর্ডান
হাঙ্গেরি
নেপাল
অস্ট্রিয়া
সংযুক্ত আরব আমিরাত
তিউনিসিয়া
গ্রিস
জর্জিয়া (দ্ব্যর্থতা নিরসন)
লেবানন
গুয়াতেমালা
বেলারুশ
বুলগেরিয়া
কোস্টা রিকা
সৌদি আরব
শ্রীলঙ্কা
ইকুয়েডর
আজারবাইজান
বলিভিয়া
মিয়ানমার
পানামা
প্যারাগুয়ে
ফিলিস্তিন
শ্লোভাকিয়া
ক্রোয়েশিয়া
প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড
কুয়েত
ভেনিজুয়েলা
উরুগুয়ে
লিথুয়ানিয়া
ডেনমার্ক
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
হন্ডুরাস
ইথিওপিয়া
লিবিয়া
দক্ষিণ কোরিয়া
মঙ্গোলিয়া
মলদোভা
মিশর
শ্লোভেনিয়া
ওমান
আর্মেনিয়া
বাহরিন
কেনিয়া
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা
কাতার
নাইজেরিয়া
জাম্বিয়া
আলজেরিয়া
নরওয়ে
উত্তর ম্যাসেডোনিয়া
ল্যাটভিয়া
বতসোয়ানা
উজবেকিস্তান
কিরঘিজস্তান
আলবানিয়া
এস্তোনিয়া
সিঙ্গাপুর
কসোভো
আফগানিস্তান
অস্ট্রেলিয়া
ফিনল্যান্ড
মোজাম্বিক
মন্টেনিগ্রো
জিম্বাবোয়ে
ঘানা
নামিবিয়া
উগান্ডা
সাইপ্রাসের
কম্বোডিয়া
এল সালভাদর
ক্যামেরুন
রুয়ান্ডা
চীন
জামাইকা
মালদ্বীপ
লুক্সেমবুর্গ
সেনেগাল
অ্যাঙ্গোলা
মালাউই
আইভরি কোস্ট
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
ফিজি
সুরিনাম
ইস্তেনী
মাদাগাস্কার
সিরিয়া
সুদান
কেপ ভার্দে
মাল্টা
মৌরিতানিয়া
গায়ানা
গ্যাবন
লাওস
গিনি
পাপুয়া নিউ গিনি
তানজানিয়া
টোগো
বেলিজ
বেরিন
হাইতি
বাহামা
সেশেলস
লেসোথো
সোমালিয়া
বুরুন্ডি
পূর্ব তিমুর
তাজিকিস্তান
মরিশাস
কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
তাইওয়ান
নিকারাগুয়া
মালি
অ্যান্ডোরা
বুরকিনা ফাসো
বার্বাডোস
জিবুতি
নিরক্ষীয় গিনি
আইসল্যান্ড
সেন্ট লুসিয়া
হংকং
দক্ষিণ সুদান
ব্রুনেই
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র
গাম্বিয়া
ইয়েমেন
ইরিত্রিয়া
সিয়েরা লিওন
নাইজার
গিনি-বিসাউ
লাইবেরিয়া
গ্রেনাডা
নিউজিল্যান্ড
সান মারিনো
চাদ
সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস
ডোমিনিকা
কোমোরোস
অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
সাও টোম এবং প্রিন্সিপ
লিচেনস্টাইন
মোনাকো
সেন্ট কিটস এবং নেভিস
ভুটান
ভ্যাটিকান সিটি
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
প্যালেস
ভানুয়াটু
মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ
সামোয়া
কিরিবাটি
মাইক্রোনেসিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস

ডানপাশের তালিকাটিতে দেশ ও অঞ্চল অনুযায়ী ২নং সার্স করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঘটনা, মৃত ও আরোগ্যলাভের সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. 柳叶刀披露首例新冠肺炎患者发病日期,较官方通报早7天। ২৭ জানুয়ারি ২০২০। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. 《柳叶刀》刊文详解武汉肺炎 最初41案例即有人传人迹象। ২৬ জানুয়ারি ২০২০। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. "2019 Novel Coronavirus (2019-nCoV) Situation Summary"Centers for Disease Control and Prevention। ৩০ জানুয়ারি ২০২০। ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. "Is the World Ready for the Coronavirus?"। Editorial। The New York Times। ২৯ জানুয়ারি ২০২০। ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২০ 
  5. "China virus death toll rises to 41, more than 1,300 infected worldwide"CNBC। ২৪ জানুয়ারি ২০২০। ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২০ 
  6. 国家卫生健康委员会办公厅 (২০২০-০২-০৫)। "新型冠状病毒感染肺炎的诊疗方案(试行第五版)" (পিডিএফ)国家卫生健康委员会办公厅। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৫ 
  7. Shih, Gerry; Lynch, David J.; Denyer, Simon। "Fifth coronavirus case confirmed in U.S., 1,000 more cases expected in China"The Washington Post। ২৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  8. https://www.technologyreview.com/s/615184/the-coronavirus-is-the-first-true-social-media-infodemic/
  9. Iqbal, Nosheen (১ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "Coronavirus fears fuel racism and hostility, say British-Chinese"The Observerআইএসএসএন 0029-7712। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  10. "Coronavirus fears trigger anti-China sentiment across the globe"Global News। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  11. Yeung, Jessie। "As the coronavirus spreads, fear is fueling racism and xenophobia"। CNN। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  12. Yeung, Jessie। "As the coronavirus spreads, fear is fueling racism and xenophobia"। CNN। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  13. Anni Sparrow। "How China's Coronavirus Is Spreading—and How to Stop It"www.foreignpolicy.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  14. "China battles coronavirus outbreak: All the latest updates"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  15. Lisa Schnirring: WHO decision on nCoV emergency delayed as cases spike 23 January 2020 CIDRAP News, accessed 23 January 2020
  16. Hui, David S.; Azhar, Esam EI; Madani, Tariq A.; Ntoumi, Francine; Kock, Richard; Dar, Osman; Ippolito, Giuseppe; Mchugh, Timothy D.; Memish, Ziad A.; Drosten, Christian; Zumla, Alimuddin (১৪ জানুয়ারি ২০২০)। "The continuing epidemic threat of novel coronaviruses to global health – the latest novel coronavirus outbreak in Wuhan, China"International Journal of Infectious Diseases91: 264–266। আইএসএসএন 1201-9712ডিওআই:10.1016/j.ijid.2020.01.009 
  17. "Undiagnosed pneumonia – China (HU) (01): wildlife sales, market closed, RFI Archive Number: 20200102.6866757"Pro-MED-mail। International Society for Infectious Diseases। ২২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  18. Cohen, Jon; Normile, Dennis (১৭ জানুয়ারি ২০২০)। "New SARS-like virus in China triggers alarm"Science367 (6475): 234–235। আইএসএসএন 0036-8075ডিওআই:10.1126/science.367.6475.234পিএমআইডি 31949058। ১৭ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূলঅর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজন থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২০ 
  19. Parry, Jane (২০ জানুয়ারি ২০২০)। "China coronavirus: cases surge as official admits human to human transmission"অর্থের বিনিময়ে সদস্যতা প্রয়োজনBritish Medical Journal368আইএসএসএন 1756-1833ডিওআই:10.1136/bmj.m236 
  20. Boseley, Sarah; Devlin, Hannah; Belam, Martin (২০২০-০১-২৮)। "What is coronavirus and how worried should we be?"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  21. Schnirring, Lisa; 2020 (২৩ জানুয়ারি ২০২০)। "WHO holds off on nCoV emergency declaration as cases soar"CIDRAP। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০২০ 
  22. "Statement on the meeting of the International Health Regulations (2005) Emergency Committee regarding the outbreak of novel coronavirus 2019 (n-CoV) on 23 January 2020"www.who.int। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০২০ 
  23. https://globalnews.ca/news/6470807/china-coronavirus-death-toll-raises/
  24. Ritchie, Hannah; Mathieu, Edouard; Rodés-Guirao, Lucas; Appel, Cameron; Giattino, Charlie; Ortiz-Ospina, Esteban; Hasell, Joe; Macdonald, Bobbie; Beltekian, Diana (২০২০-০৩-০৫)। "Coronavirus Pandemic (COVID-19)"Our World in Data 
  25. বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯- এর সর্বশেষ তথ্য, হাল-নাগাদ সময় : Nov 13, 2021 06:53:56 PM