চল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
উপরোক্ত সংজ্ঞার পাশাপাশি আরেকটি বিশেষায়িত সংজ্ঞাও লক্ষণীয়। একেও ইংরেজিতে "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়, যা কৃতঋণ শব্দ হিসেবে সমসাময়িক বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলায় এটিকে '''পোশাকের ধারা''' (বা '''পোশাকধারা'''), '''পোশাকের চল''' বা '''কেতা''' বলা হয়। চলতি কেতা কিংবা চলতি পোশাকধারা অর্থাৎ চলতি ফ্যাশন (বা হালফ্যাশন) অনুসরণ করাকে ''কেতাদুরস্ত'', ''কেতামাফিক'', ''রেওয়াজমাফিক'', ''ফ্যাশন-সচেতন'' ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে বর্ণনা করা হয়।
উপরোক্ত সংজ্ঞার পাশাপাশি আরেকটি বিশেষায়িত সংজ্ঞাও লক্ষণীয়। একেও ইংরেজিতে "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়, যা কৃতঋণ শব্দ হিসেবে সমসাময়িক বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলায় এটিকে '''পোশাকের ধারা''' (বা '''পোশাকধারা'''), '''পোশাকের চল''' বা '''কেতা''' বলা হয়। চলতি কেতা কিংবা চলতি পোশাকধারা অর্থাৎ চলতি ফ্যাশন (বা হালফ্যাশন) অনুসরণ করাকে ''কেতাদুরস্ত'', ''কেতামাফিক'', ''রেওয়াজমাফিক'', ''ফ্যাশন-সচেতন'' ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে বর্ণনা করা হয়।


আরও সংকীর্ণ একটি সংজ্ঞানুযায়ী ইংরেজি "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নিত্যনতুন শৈলীর অভিজাত, জমকালো ও বিলাসবহুল পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিধেয় দ্রব্য নকশা ও বিক্রয় সংক্রান্ত গবেষণা ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে বোঝানো হয়। সমসাময়িক যুগে বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে এবং একে কেন্দ্র করে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থাতে এক বিশেষ ধরনের শিল্পখাতের উত্থান ঘটেছে, যাকে "ফ্যাশন শিল্প" (ইংরেজি Fashion industry) বলা হয়। এই ফ্যাশন শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানগুলি যুগের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরে পোশাকধারায় পরিবর্তন আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
আরও সংকীর্ণ একটি সংজ্ঞানুযায়ী ইংরেজি "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নিত্যনতুন শৈলীর অভিজাত, জমকালো ও বিলাসবহুল পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিধেয় দ্রব্য নকশা ও বিক্রয় সংক্রান্ত গবেষণা ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে বোঝানো হয়। একে বাংলায় '''পোশাকশৈলী''' বা '''চলতি পোশাকশৈলী''' নাম দেওয়া যায়। সমসাময়িক যুগে বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে এবং একে কেন্দ্র করে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতে এক বিশেষ ধরনের শিল্পখাতের উত্থান ঘটেছে, যাকে "ফ্যাশন শিল্প" (ইংরেজি Fashion industry) বা "পোশাকশৈলী শিল্প" বলা হয়। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানগুলি যুগের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরে পোশাকধারায় পরিবর্তন আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৭:৫৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চল হল কোনও নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলে ও ইতিহাসের নির্দিষ্ট কোনও পর্বে সেখানকার জনসাধারণের মধ্যে বিরাজমান সৌন্দর্য ও শৈলীর বহুল-গৃহীত ও বহুল-প্রচলিত অভিব্যক্তি। এই পরিভাষাটি মূলত পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিধেয় (যেমন গহনা, বন্ধনী, ওড়না, ইত্যাদি), জুতো, কেশবিন্যাস, চেহারার প্রসাধন (মেক-আপ), শরীরের গড়ন, জীবনধারা, ভাষা ও বাচনভঙ্গি, ব্যবহারিক জিনিস (যেমন আসবাবপত্র), ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।[১] একে চলতি রীতি, প্রচল ধারা, হাওয়া, ঢং, কায়দা, ভাও, রেওয়াজ, ইত্যাদি সমার্থক শব্দ দিয়েও নির্দেশ করা হয়। ইংরেজিতে একে ফ্যাশন (ইংরেজি Fashion) বলে। বৃহত্তর অর্থে সাংস্কৃতিক গতিধারা, সাংস্কৃতিক ধারা, সাংস্কৃতিক প্রবণতা, সাংস্কৃতিক হালচাল (ইংরেজি Cultural trend) পরিভাষাগুলিও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চল বা চলতি রীতি নিয়ত পরিবর্তনশীল। আজ যা জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত অর্থাৎ আজ যে জিনিসের চল বা রেওয়াজ রয়েছে, তা ভবিষ্যতে এমনটি নাও থাকতে পারে। যেসমস্ত ধারা বা রীতি স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ক্ষণস্থায়ী হয় বা হবে বলে ধারণা করা হয়, সেগুলিকে নেতিবাচক অর্থে হুজুগ বা হিড়িক নামে অভিহিত করা হয়।

উপরোক্ত সংজ্ঞার পাশাপাশি আরেকটি বিশেষায়িত সংজ্ঞাও লক্ষণীয়। একেও ইংরেজিতে "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নির্দেশ করা হয়, যা কৃতঋণ শব্দ হিসেবে সমসাময়িক বাংলায় বহুল প্রচলিত। বাংলায় এটিকে পোশাকের ধারা (বা পোশাকধারা), পোশাকের চল বা কেতা বলা হয়। চলতি কেতা কিংবা চলতি পোশাকধারা অর্থাৎ চলতি ফ্যাশন (বা হালফ্যাশন) অনুসরণ করাকে কেতাদুরস্ত, কেতামাফিক, রেওয়াজমাফিক, ফ্যাশন-সচেতন ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে বর্ণনা করা হয়।

আরও সংকীর্ণ একটি সংজ্ঞানুযায়ী ইংরেজি "ফ্যাশন" শব্দটি দিয়ে নিত্যনতুন শৈলীর অভিজাত, জমকালো ও বিলাসবহুল পোশাক ও আনুষাঙ্গিক পরিধেয় দ্রব্য নকশা ও বিক্রয় সংক্রান্ত গবেষণা ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডকে বোঝানো হয়। একে বাংলায় পোশাকশৈলী বা চলতি পোশাকশৈলী নাম দেওয়া যায়। সমসাময়িক যুগে বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে এবং একে কেন্দ্র করে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাতে এক বিশেষ ধরনের শিল্পখাতের উত্থান ঘটেছে, যাকে "ফ্যাশন শিল্প" (ইংরেজি Fashion industry) বা "পোশাকশৈলী শিল্প" বলা হয়। এই শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানগুলি যুগের সাথে সাথে সমাজের বিভিন্ন স্তরে পোশাকধারায় পরিবর্তন আনয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।

তথ্যসূত্র

  1. Fashion (2012, March 29). Wwd. (n.d.). Retrieved from http://www.wwd.com/fashion-news.