মেলভিন ডগলাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:
}}
}}


'''মেলভিন ডগলাস''' ({{lang-en|Melvyn Douglas}}; জন্ম: '''মেলভিন এডুয়ার্ড হেসেলবের্গ''', [[৫ এপ্রিল]] [[১৯০১]] - [[৪ আগস্ট]] [[১৯৮১]]) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ১৯৩০-এর দশকে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন, বিশেষ করে তার ১৯৩৯ সালের প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র ''নিনোচকা'' চলচ্চিত্রে [[গ্রেটা গার্বো]]র বিপরীতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে তিনি বয়স্ক ও পিতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ''[[হাড (১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র)|হাড]]'' (১৯৬৩) ও ''[[বিয়িং দেয়ার]]'' (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার]] অর্জন করেন এবং ''[[আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার]]'' (১৯৭০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন।<ref name="ফ্লিন্ট-১৯৮১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=ফ্লিন্ট|প্রথমাংশ=পিটার বি.|তারিখ=৫ আগস্ট ১৯৮১|শিরোনাম=MELVYN DOUGLAS DEAD; ACTOR, 80, WON 2 OSCARS|ইউআরএল=https://www.nytimes.com/1981/08/05/obituaries/melvyn-douglas-dead-actor-80-won-2-oscars.html|কর্ম=[[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস]]|সংগ্রহের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১৮|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> শেষ কয়েক বছর তিনি ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্র হল ''দ্য চ্যাঞ্জেলিং'' (১৯৮০) ও ''ঘোস্ট স্টোরি'' (১৯৮১)।
'''মেলভিন ডগলাস''' ({{lang-en|Melvyn Douglas}}; জন্ম: '''মেলভিন এডুয়ার্ড হেসেলবের্গ''', [[৫ এপ্রিল]] ১৯০১ - [[৪ আগস্ট]] ১৯৮১) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ১৯৩০-এর দশকে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন, বিশেষ করে তার ১৯৩৯ সালের প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র ''নিনোচকা'' চলচ্চিত্রে [[গ্রেটা গার্বো]]র বিপরীতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে তিনি বয়স্ক ও পিতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ''[[হাড (১৯৬৩-এর চলচ্চিত্র)|হাড]]'' (১৯৬৩) ও ''[[বিয়িং দেয়ার]]'' (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার]] অর্জন করেন এবং ''[[আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার]]'' (১৯৭০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন।<ref name="ফ্লিন্ট-১৯৮১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=ফ্লিন্ট|প্রথমাংশ=পিটার বি.|তারিখ=৫ আগস্ট ১৯৮১|শিরোনাম=MELVYN DOUGLAS DEAD; ACTOR, 80, WON 2 OSCARS|ইউআরএল=https://www.nytimes.com/1981/08/05/obituaries/melvyn-douglas-dead-actor-80-won-2-oscars.html|কর্ম=[[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস]]|সংগ্রহের-তারিখ=৪ আগস্ট ২০১৮|ভাষা=ইংরেজি}}</ref> শেষ কয়েক বছর তিনি ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্র হল ''দ্য চ্যাঞ্জেলিং'' (১৯৮০) ও ''ঘোস্ট স্টোরি'' (১৯৮১)।


ডগলাস কৈশোরে শেকসপিয়ারীয় রিপার্টরিতে এবং [[আইওয়া]]র সিউক্স সিটি, [[ইন্ডিয়ানা]]র ইভান্সভিল, [[উইসকনসিন]]ের ম্যাডিসন এবং [[মিশিগান]]ের ডেট্রয়েটে স্টক কোম্পানিতে কাজ করে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জন করেন। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]]ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে নিয়োজিত ছিলেন। [[শিকাগো]]তে তিনি একটি আউটডোর থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। মুখ্য অভিনেতা হিসেবে তিনি দীর্ঘকাল মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেন। ''দ্য বেস্ট ম্যান''-এ আদর্শবান রাষ্ট্রপতি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে [[টনি পুরস্কার]] অর্জন করেন।
ডগলাস কৈশোরে শেকসপিয়ারীয় রিপার্টরিতে এবং [[আইওয়া]]র সিউক্স সিটি, [[ইন্ডিয়ানা]]র ইভান্সভিল, [[উইসকনসিন]]ের ম্যাডিসন এবং [[মিশিগান]]ের ডেট্রয়েটে স্টক কোম্পানিতে কাজ করে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জন করেন। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]]ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে নিয়োজিত ছিলেন। [[শিকাগো]]তে তিনি একটি আউটডোর থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। মুখ্য অভিনেতা হিসেবে তিনি দীর্ঘকাল মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেন। ''দ্য বেস্ট ম্যান''-এ আদর্শবান রাষ্ট্রপতি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে [[টনি পুরস্কার]] অর্জন করেন।

১৩:০০, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মেলভিন ডগলাস
Melvyn Douglas
আনু. ১৯৩৯ সালে ডগলাসের স্টুডিও প্রচারণামূলক ছবি
জন্ম
মেলভিন এডুয়ার্ড হেসেলবের্গ

(১৯০১-০৪-০৫)৫ এপ্রিল ১৯০১
ম্যাকন, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যু৪ আগস্ট ১৯৮১(1981-08-04) (বয়স ৮০)
নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
পেশাঅভিনেতা, গায়ক
কর্মজীবন১৯২৭–১৯৮১
দাম্পত্য সঙ্গীরোজালিন্ড হাইটাওয়ার
(বি. ১৯২৫; বিচ্ছেদ. ১৯৩০)

হেলেন গ্যাহাগান
(বি. ১৯৩১; মৃ. ১৯৮০)
সন্তান
আত্মীয়ইলিয়েনা ডগলাস (নাতনী)

মেলভিন ডগলাস (ইংরেজি: Melvyn Douglas; জন্ম: মেলভিন এডুয়ার্ড হেসেলবের্গ, ৫ এপ্রিল ১৯০১ - ৪ আগস্ট ১৯৮১) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি ১৯৩০-এর দশকে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন, বিশেষ করে তার ১৯৩৯ সালের প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র নিনোচকা চলচ্চিত্রে গ্রেটা গার্বোর বিপরীতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীকালে তিনি বয়স্ক ও পিতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি হাড (১৯৬৩) ও বিয়িং দেয়ার (১৯৭৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন এবং আই নেভার স্যাং ফর মাই ফাদার (১৯৭০) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন।[১] শেষ কয়েক বছর তিনি ভৌতিক ও অতিপ্রাকৃত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত সর্বশেষ দুটি চলচ্চিত্র হল দ্য চ্যাঞ্জেলিং (১৯৮০) ও ঘোস্ট স্টোরি (১৯৮১)।

ডগলাস কৈশোরে শেকসপিয়ারীয় রিপার্টরিতে এবং আইওয়ার সিউক্স সিটি, ইন্ডিয়ানার ইভান্সভিল, উইসকনসিনের ম্যাডিসন এবং মিশিগানের ডেট্রয়েটে স্টক কোম্পানিতে কাজ করে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জন করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে নিয়োজিত ছিলেন। শিকাগোতে তিনি একটি আউটডোর থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। মুখ্য অভিনেতা হিসেবে তিনি দীর্ঘকাল মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় করেন। দ্য বেস্ট ম্যান-এ আদর্শবান রাষ্ট্রপতি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ডগলাস ১৯০১ সালের ৫ই এপ্রিল জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ম্যাকনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এডুয়ার্ড গ্রেগরি হেসেলবার্গ ছিলেন কনসার্টের পিয়ানোবাদক ও সুরকার এবং মাতা লিনা প্রিসিলা (জন্মনাম: শেকেলফোর্ড)। তার পিতা লাটভিয়ার রিগা (তৎকালীন রাশিয়ার অংশ) থেকে আগত একজন ইহুদি অভিবাসী ছিলেন। তার মাতা টেনেসির অধিবাসী। তিনি প্রটেস্ট্যান্ট ধর্মাবলম্বী ও মে ফ্লাওয়ার বংশোদ্ভূত ছিলেন।[২]

কর্মজীবন

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে ডগলাস শিকাগোতে একটি আউটডোর থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৩০ সালে তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে টুনাইট অর নেভার মঞ্চনাটকে মুখ্য অভিনেতা হিসেবে কাজ করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন তার ভবিষ্যৎ স্ত্রী হেলেন গ্যাহাগ্যান। তিনি ১৯৩২ সালে জেমস হোয়ালের ভীতিপ্রদ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র দ্য ওল্ড ডার্ক হাউজ-এ বরিস কার্লফ ও চার্লস লটনের সাথে শীর্ষ পারিশ্রমিক গ্রহীতা হিসেবে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি ভীতিপ্রদ দ্য ভ্যাম্পায়ার ব্যাট চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৩৫ সালে তিনি শি ম্যারিড হার বস চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। তিনি গ্রেটা গার্বোর বিপরীতে তিনটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। সেগুলো হল অ্যাজ ইউ ডিজায়ার মি (১৯৩২), হাস্যরসাত্মক নিনোচকা (১৯৩৯)[২] ও গার্বো অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র টু-ফেসড ওম্যান (১৯৪১)। এছাড়া তিনি জোন ক্রফোর্ডের বিপরীতে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আ ওম্যান্‌স ফেস (১৯৪১)।

১৯৫৯-৬০ সালে তিনি দুটি ভিন্ন রাজনৈতিক চরিত্রে অভিনয় করেন। প্রথমটি দ্য গ্যাংস অল হিয়ার-এ ওয়ারেন জি. হার্ডিংয়ের অনুকরণে চিত্রিত একজন স্বাচ্ছন্দপ্রিয় ও নৈতিকভাবে অলস রাষ্ট্রপতি চরিত্রে এবং দ্বিতীয়টি দ্য বেস্ট ম্যান-এ আদর্শবান রাষ্ট্রপতি চরিত্রে। দ্বিতীয় কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ মুখ্য অভিনেতা বিভাগে টনি পুরস্কার অর্জন করেন।[১]

তথ্যসূত্র

  1. ফ্লিন্ট, পিটার বি. (৫ আগস্ট ১৯৮১)। "MELVYN DOUGLAS DEAD; ACTOR, 80, WON 2 OSCARS"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৮ 
  2. নিসেলসন, হিউ (১৮ জানুয়ারি ১৯৮৭)। "HE ALMOST MADE GARBO LAUGH"দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ