বনভোজন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''বনভোজন''' বা পিকনিকের ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে জ্ঞাসিবির পিকনিক। ফেসবুকের একটি গ্রুপ, যা বিখ্যাত সাহিত্যিক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যালের আদর্শে অনুপ্রাণিত তাদের একাংশ বনভোজন করবে ঠিক করে। কম্বলশ্রী হিলম‍্যান গৌচের নেতৃত্বে চাঁদা তোলা শুরু হয়। ক‍্যাসিয়ার হিসেবে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেয় জনৈক ওষুদ কোম্পানি।
'''বনভোজন''' বলতে আনন্দ-উৎসব সহযোগে বনে কিংবা বাড়ীর বাইরে খাবার ভোজন করাকে বুঝায়।
সাধারণতঃ মনোরম ও সুন্দরতম স্থানকেই বনভোজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তন্মধ্যে পার্ক বা উদ্যান, হ্রদ কিংবা নদীর কিনারের মতো চিত্তাকর্ষক স্থানকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এছাড়াও, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানও বনভোজনের জন্য আদর্শ স্থান।


শুরু হয় 'হারি আপ, ফিউ সিট লেফ্ট' ক‍্যামপেইন। প্রথমদিনে বিপ্লবী হাতি কুড়ি টাকা পেটিএম করে সিট বুকিংয়ের চেষ্টা করে। ওষুদ কোম্পানি 'নো অ্যাডভান্স, ওনলি ফুল পেমেন্ট' রুল দেখিয়ে টাকা ফেরৎ দেন। ক'দিন পর মাকুদা কুড়িটাকা উনসত্তর পয়সা জমা করে সিট বুক করেন।

ঠিক সেই সময়, জ্ঞাসিবি ইন্টেলিজেন্টস প্রধানের গোপন রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, পিকনিক হবেনা। কেবল চাঁদা তোলা হবে। কম্বলশ্রী গৌচের থেকে রাকৃভসার ঝেড়ে দেওয়া কুখ্যাত কুড়িটাকার বান্ডিলে দশহাজার উদ্ধারের লক্ষ‍্যেই  ভুঁইফোড় পিকনিকের আয়োজন।

প্রতিবাদে লেপ লবি ঐক‍্যবদ্ধ হয়। শুরু হয় চাপানউতোর। সিনিয়র পলিটব্যুরো শুসাবাউ আর লিফটম‍্যান পি, পোস্ট দেওয়া নেওয়া করতে থাকে‌ন।

প্রতিবাদে ঝলসে ওঠে ফাউন্ডার নিকিরি। তাকে লাথি মেরে গ্ৰুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

পিকনিকের বা চাঁদা তোলার জৌলুশ ফেরাতে বুকে স্টেথো বোলানো ডাক্তার অংয়াহুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, লক্ষ্ণৌ থেকে খানদানী বাঈজি খুঁজে আনার।

ঘন কুয়াশায় লুকিয়ে ভাগলপুর পৌঁছান, ভোজপুরী ডান্সার খুঁজতে। উত্তেজনায় লাইভ করতে গিয়ে প্রক্সি ধরা পরে যায়।

এরই মধ‍্যে জ্ঞাসিবির আরেক আমৃত‍্যু বাসন ফটিককে খানদানী বাঈজি নাচের 'স্পেশাল সীট'য়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনহাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। ভোজপুরী কান্ড ফাঁস হতেই, রাগে অভিমানে ঘৃণায় তিনি গ্ৰুপ ত‍্যাগ করেন।

চাপান উতোরে তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে জন্ম নেয় কাঁথা লবি। শুরু হয় 'ডালেতে ভাতেতে' ক‍্যামপেইন। ইন্টেলিজেন্সের গোপন খবর ডেট আর ভেন‍্যুতে এনারা এখনও ঐক‍্যমত হতে পারেন নি।

আসন্ন ছাব্বিশে জানুয়ারি গঙ্গানদীর গাবায় বনভোজন হবার কথা। এমতাবস্থায় কম্বল ক‍্যাসিয়ার বেপাত্তা।

ইন্টেলিজেন্সের শেষ গোপন রিপোর্টে জানা গেছে সবকিছুই হয়েছে ফম্পাদকের নির্দেশে। পাতা নেড়েছেন কবি কাম ঠিকাদার শ্রী লাল্টুল।।

<br />
== অংশগ্রহণকারী ==
== অংশগ্রহণকারী ==
বনভোজন প্রায়শঃই [[পরিবার|পরিবারের]] সদস্যদেরকে ঘিরে হয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই জন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলন স্থলে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এর অন্যতম উদাহরণ।
বনভোজন প্রায়শঃই [[পরিবার|পরিবারের]] সদস্যদেরকে ঘিরে হয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই জন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলন স্থলে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এর অন্যতম উদাহরণ।

০৮:১৭, ২১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বনভোজন বা পিকনিকের ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে জ্ঞাসিবির পিকনিক। ফেসবুকের একটি গ্রুপ, যা বিখ্যাত সাহিত্যিক রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য সান্যালের আদর্শে অনুপ্রাণিত তাদের একাংশ বনভোজন করবে ঠিক করে। কম্বলশ্রী হিলম‍্যান গৌচের নেতৃত্বে চাঁদা তোলা শুরু হয়। ক‍্যাসিয়ার হিসেবে নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেয় জনৈক ওষুদ কোম্পানি।

শুরু হয় 'হারি আপ, ফিউ সিট লেফ্ট' ক‍্যামপেইন। প্রথমদিনে বিপ্লবী হাতি কুড়ি টাকা পেটিএম করে সিট বুকিংয়ের চেষ্টা করে। ওষুদ কোম্পানি 'নো অ্যাডভান্স, ওনলি ফুল পেমেন্ট' রুল দেখিয়ে টাকা ফেরৎ দেন। ক'দিন পর মাকুদা কুড়িটাকা উনসত্তর পয়সা জমা করে সিট বুক করেন।

ঠিক সেই সময়, জ্ঞাসিবি ইন্টেলিজেন্টস প্রধানের গোপন রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়, পিকনিক হবেনা। কেবল চাঁদা তোলা হবে। কম্বলশ্রী গৌচের থেকে রাকৃভসার ঝেড়ে দেওয়া কুখ্যাত কুড়িটাকার বান্ডিলে দশহাজার উদ্ধারের লক্ষ‍্যেই  ভুঁইফোড় পিকনিকের আয়োজন।

প্রতিবাদে লেপ লবি ঐক‍্যবদ্ধ হয়। শুরু হয় চাপানউতোর। সিনিয়র পলিটব্যুরো শুসাবাউ আর লিফটম‍্যান পি, পোস্ট দেওয়া নেওয়া করতে থাকে‌ন।

প্রতিবাদে ঝলসে ওঠে ফাউন্ডার নিকিরি। তাকে লাথি মেরে গ্ৰুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

পিকনিকের বা চাঁদা তোলার জৌলুশ ফেরাতে বুকে স্টেথো বোলানো ডাক্তার অংয়াহুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, লক্ষ্ণৌ থেকে খানদানী বাঈজি খুঁজে আনার।

ঘন কুয়াশায় লুকিয়ে ভাগলপুর পৌঁছান, ভোজপুরী ডান্সার খুঁজতে। উত্তেজনায় লাইভ করতে গিয়ে প্রক্সি ধরা পরে যায়।

এরই মধ‍্যে জ্ঞাসিবির আরেক আমৃত‍্যু বাসন ফটিককে খানদানী বাঈজি নাচের 'স্পেশাল সীট'য়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনহাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। ভোজপুরী কান্ড ফাঁস হতেই, রাগে অভিমানে ঘৃণায় তিনি গ্ৰুপ ত‍্যাগ করেন।

চাপান উতোরে তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে জন্ম নেয় কাঁথা লবি। শুরু হয় 'ডালেতে ভাতেতে' ক‍্যামপেইন। ইন্টেলিজেন্সের গোপন খবর ডেট আর ভেন‍্যুতে এনারা এখনও ঐক‍্যমত হতে পারেন নি।

আসন্ন ছাব্বিশে জানুয়ারি গঙ্গানদীর গাবায় বনভোজন হবার কথা। এমতাবস্থায় কম্বল ক‍্যাসিয়ার বেপাত্তা।

ইন্টেলিজেন্সের শেষ গোপন রিপোর্টে জানা গেছে সবকিছুই হয়েছে ফম্পাদকের নির্দেশে। পাতা নেড়েছেন কবি কাম ঠিকাদার শ্রী লাল্টুল।।


অংশগ্রহণকারী

বনভোজন প্রায়শঃই পরিবারের সদস্যদেরকে ঘিরে হয়ে থাকে। অন্যান্য ক্ষেত্রে দুই জন ব্যক্তি থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটি বড় ধরনের মিলন স্থলে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী কিংবা ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এর অন্যতম উদাহরণ।

আবেগঘন ও পারিবারিক বনভোজনে বাক্স কিংবা পিকনিক বাস্কেটে খাদ্য বহন এবং কম্বল কিংবা চাদর নিয়ে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। মূলতঃ ইউরোপীয় অঞ্চলেই এ বৈশিষ্ট্যটি বিরাজমান যা সময় পরিক্রমায় বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে।

উপকরণাদি

দূরত্ব, সময় ও স্থান নির্ধারণ করে যানবাহন ভাড়া, ব্যক্তিসহ দিনের সংখ্যা নির্ধারণ, প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ, খাদ্যসামগ্রী ক্রয় ও বাবুর্চি নির্বাচন, থালা-বাসন-কলস-গ্লাস সংগ্রহ, জ্বালানী সংগ্রহ, কোমল পানীয়, চিত্ত বিনোদনের জন্য অন্যান্য উপকরণ - বনভোজনের প্রধানতম নিয়ামক।

বনভোজনে সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপটে খাদ্য সংগ্রহের বিষয়টি অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে অনুষ্ঠেয় বনভোজনে খাদ্যের অনুপ্রবেশের ধারণাটি ঊনবিংশ শতকের শুরুতে দৃষ্ট হয়।[১]

বিনোদন

সাধারণতঃ বনভোজনে যাত্রাকালীন কিংবা ফিরে আসার সময় আনন্দ, হাসি-তামাসা ইত্যাদি বিষয়াবলী থাকে। নির্দিষ্ট স্থানে রান্না আয়োজনের মধ্যবর্তী সময়কালে অথবা ভোজন পরবর্তী সময়ে খেলাধূলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অপ্রত্যাশিত বিনোদনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদেরকে নির্মল আনন্দ দেয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়। অনেকক্ষেত্রে দর্শনীর বিনিময়ে টিকিট বিক্রয় করে লটারীতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ এর অন্যতম অংশ হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Mary Ellen W. Hern, "Picnicking in the Northeastern United States, 1840-1900", Winterthur Portfolio 24.2/3 (Summer - Autumn 1989), pp. 139-152.

বহিঃসংযোগ