প্রসন্নময়ী দেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
কবি প্রসন্নময়ী দেবী বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[পাবনা]] জেলার হরিপুর গ্রামের চৌধুরী জমিদার বংশে ১৮৫৬ বা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দুর্গাদাস চৌধুরী। প্রসন্নময়ী ছিলেন তার প্রথম সন্তান। প্রসন্নময়ীর ছিল সাত ভাই। তাদের মধ্যে [[কলকাতা হাইকোর্ট|কলকাতা হাইকোর্টে]]<nowiki/>র বিচারপতি স্যার আশুতোষ চৌধুরী এবং সাহিত্যিক [[প্রমথ চৌধুরী]] উল্লেখযোগ্য।<ref name="ব">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গের মহিলা কবি - যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত}}</ref> দশ বছর বয়সে প্রসন্নময়ীর বিবাহ হয় পাবনার গুণাইগাছা গ্রামের কৃষ্ণকুমার বাগচীর সাথে। বিবাহের মাত্র দুই বছর পরেই কৃষ্ণকুমার উন্মাদরোগগ্রস্ত হন। এর পর থেকে প্রসন্নময়ী তার শিশুকন্যা প্রিয়ম্বদাকে নিয়ে তার পিত্রালয়েই বাস করতেন।<ref name="ব" />
কবি প্রসন্নময়ী দেবী বর্তমান [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[পাবনা]] জেলার হরিপুর গ্রামের চৌধুরী জমিদার বংশে ১৮৫৬ বা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দুর্গাদাস চৌধুরী। প্রসন্নময়ী ছিলেন তার প্রথম সন্তান। প্রসন্নময়ীর ছিল সাত ভাই। তাদের মধ্যে [[কলকাতা হাইকোর্ট|কলকাতা হাইকোর্টে]]<nowiki/>র বিচারপতি স্যার আশুতোষ চৌধুরী এবং সাহিত্যিক [[প্রমথ চৌধুরী]] উল্লেখযোগ্য।<ref name="ব">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=বঙ্গের মহিলা কবি - যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত}}</ref> দশ বছর বয়সে প্রসন্নময়ীর বিবাহ হয় পাবনার গুণাইগাছা গ্রামের কৃষ্ণকুমার বাগচীর সাথে। বিবাহের মাত্র দুই বছর পরেই কৃষ্ণকুমার উন্মাদরোগগ্রস্ত হন। এর পর থেকে প্রসন্নময়ী তার শিশুকন্যা প্রিয়ম্বদাকে নিয়ে তার পিত্রালয়েই বাস করতেন।<ref name="ব" />


এরপর প্রসন্নময়ীর পিতা তার মেয়ের কষ্ট দূর করার জন্য তাকে গৃহে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে মনস্থ করেন। তাকে ইংরেজী ও সঙ্গীত শেখানোর জন্য ইউরোপিয়ান শিক্ষিকা নিযুক্ত করেন এবং নিজে তার বাংলা ও সংস্কৃত শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন। ইংরেজি ও সঙ্গীত শিক্ষা বেশি অগ্রসর না হলেও পরবর্তীকালে প্রসন্নময়ী দেবী ইংরেজি শিখেছিলেন।<ref name="ব"/>
এরপর প্রসন্নময়ীর পিতা তার মেয়ের কষ্ট দূর করার জন্য তাকে গৃহে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে মনস্থ করেন। তাকে ইংরেজি ও সঙ্গীত শেখানোর জন্য ইউরোপিয়ান শিক্ষিকা নিযুক্ত করেন এবং নিজে তার বাংলা ও সংস্কৃত শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন। ইংরেজি ও সঙ্গীত শিক্ষা বেশি অগ্রসর না হলেও পরবর্তীকালে প্রসন্নময়ী দেবী ইংরেজি শিখেছিলেন।<ref name="ব"/>


প্রসন্নময়ীর একমাত্র কন্যা [[প্রিয়ম্বদা দেবী|প্রিয়ম্বদা দেবীর]] নাম বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত। তিনিও বিখ্যাত কবি ছিলেন।<ref name="অ"/><ref name="ব"/>
প্রসন্নময়ীর একমাত্র কন্যা [[প্রিয়ম্বদা দেবী|প্রিয়ম্বদা দেবীর]] নাম বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত। তিনিও বিখ্যাত কবি ছিলেন।<ref name="অ"/><ref name="ব"/>

২০:২৫, ১২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

প্রসন্নময়ী দেবী (জন্ম: ১৮৫৬ অথবা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দ, ১৪ই আশ্বিন ১২৬৪ বঙ্গাব্দ - মৃত্যু: ২৫শে নভেম্বর ১৯৩৯)[১] একজন বিশিষ্ট কবি এবং সাহিত্যিক। তিনি কবিতা ছাড়াও উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী এবং স্মৃতিকথা লিখেছিলেন।

প্রথম জীবন ও পরিবার

কবি প্রসন্নময়ী দেবী বর্তমান বাংলাদেশের পাবনা জেলার হরিপুর গ্রামের চৌধুরী জমিদার বংশে ১৮৫৬ বা ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দুর্গাদাস চৌধুরী। প্রসন্নময়ী ছিলেন তার প্রথম সন্তান। প্রসন্নময়ীর ছিল সাত ভাই। তাদের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্যার আশুতোষ চৌধুরী এবং সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী উল্লেখযোগ্য।[২] দশ বছর বয়সে প্রসন্নময়ীর বিবাহ হয় পাবনার গুণাইগাছা গ্রামের কৃষ্ণকুমার বাগচীর সাথে। বিবাহের মাত্র দুই বছর পরেই কৃষ্ণকুমার উন্মাদরোগগ্রস্ত হন। এর পর থেকে প্রসন্নময়ী তার শিশুকন্যা প্রিয়ম্বদাকে নিয়ে তার পিত্রালয়েই বাস করতেন।[২]

এরপর প্রসন্নময়ীর পিতা তার মেয়ের কষ্ট দূর করার জন্য তাকে গৃহে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে মনস্থ করেন। তাকে ইংরেজি ও সঙ্গীত শেখানোর জন্য ইউরোপিয়ান শিক্ষিকা নিযুক্ত করেন এবং নিজে তার বাংলা ও সংস্কৃত শিক্ষার ভার গ্রহণ করেন। ইংরেজি ও সঙ্গীত শিক্ষা বেশি অগ্রসর না হলেও পরবর্তীকালে প্রসন্নময়ী দেবী ইংরেজি শিখেছিলেন।[২]

প্রসন্নময়ীর একমাত্র কন্যা প্রিয়ম্বদা দেবীর নাম বাংলা সাহিত্যে সুপরিচিত। তিনিও বিখ্যাত কবি ছিলেন।[১][২]

সাহিত্যকর্ম

বারো বছর বয়সে প্রসন্নময়ী দেবীর কবিতার বই 'আধ আধ ভাষিণী' প্রকাশিত হয়। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে, ১২৭৬ বঙ্গাব্দে জি. পি. রায় অ্যান্ড কোম্পানি, প্রিন্টারস দ্বারা মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়েছিল। এই বইটিতে সতেরটি ছোট ছোট কবিতা ছিল।[২]

প্রসন্নময়ীর দ্বিতীয় কবিতার বই 'বনলতা'। ১২৮৭ বঙ্গাব্দে শ্রীযুক্ত যোগেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা ক্যানিং লাইব্রেরি কলকাতা থেকে এটি প্রকাশিত হয়। এই বইটিতে পঁচিশটি খণ্ড কবিতা ছিল। এর মধ্যে তিনটি কবিতা ইংরেজি কবিতার অনুবাদ। বনলতা কবির তরুণ বয়সের রচনা। বনলতা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রসন্নময়ী সাহিত্য সমাজে পরিচিত হন। সেই আমলের সাহিত্য সমালোচক রাজনারায়ণ বসু যেমন এর প্রশংসা করেন তেমনই 'আর্য্যদর্শন', 'ইন্ডিয়ান নেশন', 'দ্য ইন্ডিয়ান মিরর', 'ব্রাহ্ম পাবলিক ওপিনিয়ন', 'ক্যালকাটা রিভিউ' প্রভৃতি পত্রিকায় এই বইয়ের উৎসাহব্যঞ্জক সমালোচনা প্রকাশিত হয়।[২]

প্রসন্নময়ীর তৃতীয় গ্রন্থ 'নীহারিকা' প্রথম ভাগ ১২৯০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত হয়। এটির দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ শকাব্দে। 'নীহারিকা' প্রথম ভাগে মোট একুশটি কবিতা আছে। এতে তার কবিপ্রতিভা সম্পূর্ণ বিকশিত হয়েছিল। নীহারিকা দ্বিতীয় ভাগের কবিতার মধ্যে জীবনের নিগূঢ় রহস্য ব্যথা দেখা যায়। মোট আটত্রিশটি কবিতা নীহারিকাতে ছিল।[২]

তার উপন্যাসগুলির মধ্যে 'অশোকা', 'পূর্বকথা', 'আর্যাবর্ত' উল্লেখযোগ্য।[১]

তিনি যে সময়ে লিখতে আরম্ভ করেছিলেন সেই সময় ছিল বাংলার আধুনিক সাহিত্যের প্রারম্ভকাল। তিনি সেই সময়ের অনেক মাসিক পত্রে রচনা, গল্প ও কবিতা লিখেছিলেন। তারপরে তিনি 'ভারতবর্ষ', 'মানসী ও মর্ম্মবাণী' ও 'মাতৃমন্দির' প্রভৃতি পত্রিকাতে রচনা প্রকাশ করেন।[২]

তথ্যসূত্র

  1. সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - সাহিত্য সংসদ 
  2. বঙ্গের মহিলা কবি - যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত