হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Túrelio (আলোচনা | অবদান)
৩৪ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:


==সার্বভৌম কর্তৃত্ব==
==সার্বভৌম কর্তৃত্ব==
[[File:Hamad in 2003.jpg|thumb|left|ডোনাল্ড রমেস ফিল্ডের সাথে হামাদ]]
[[File:Defense.gov News Photo 030204-D-9880W-074.jpg|thumb|left|ডোনাল্ড রমেস ফিল্ডের সাথে হামাদ]]
পিতা ঈসা বিন সালমান আল খলিফার মৃত্যুর পরে ১৯৯৯<ref name="acrli"/> সালের ৬ ই মার্চ হামাদ বাহরাইনের আমির নিযুক্ত হন। আমির হিসাবে হামাদ বাহরাইনে বহু রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করেন ।
পিতা ঈসা বিন সালমান আল খলিফার মৃত্যুর পরে ১৯৯৯<ref name="acrli"/> সালের ৬ ই মার্চ হামাদ বাহরাইনের আমির নিযুক্ত হন। আমির হিসাবে হামাদ বাহরাইনে বহু রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করেন ।
এর মধ্যে রয়েছে সকল রাজবন্ধিদের মুক্তি প্রদান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিয়ক ১৯৭৪ সালে জারী করা নির্বাহী আদেশ বাতিল করা। এর পাশাপাশি তিনি বহু রাজ্যবিতাড়িত বাহরাইনি নাগরীককে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেন।<ref name="AI_Bahr_promising">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম =Bahrain: Promising human rights reform must continue|প্রকাশক=[[Amnesty International]]|তারিখ=13 March 2001|ইউআরএল =http://www.amnesty.org/en/library/asset/MDE11/005/2001/en/d76b504c-f84c-11dd-a0a9-2bd73ca4d38a/mde110052001en.pdf|বিন্যাস=[[Portable Document Format|pdf]]|সংগ্রহের-তারিখ=9 February 2011|আর্কাইভের-ইউআরএল=http://www.webcitation.org/5wNVoYKJs|আর্কাইভের-তারিখ=9 February 2011|অকার্যকর-ইউআরএল=no}}</ref> তিনি নিজেকে ২০০২ সালে বাদশাহ ঘোষণা করেন। তার বাস্তবায়ন করা ব্যাপক নির্বাহীকর্তৃত্ত্বের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বদান, উচ্চ বিচারিক আদালতের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন, এবং নির্বাচিত নিম্ন কক্ষের সদস্যদের উপর উচ্চ কক্ষের সংসদ সদস্যগের নিয়োগদান।<ref name="Fr 15.2.2011">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://files.bici.org.bh/BICIreportEN.pdf|শিরোনাম=(Report). Bahrain Independent Commission of Inquiry. 23 November 2011|প্রকাশক=[[Bahrain Independent Commission of Inquiry|BICI]]|তারিখ=23 November 2011|সংগ্রহের-তারিখ=23 November 2011}}</ref>
এর মধ্যে রয়েছে সকল রাজবন্ধিদের মুক্তি প্রদান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিয়ক ১৯৭৪ সালে জারী করা নির্বাহী আদেশ বাতিল করা। এর পাশাপাশি তিনি বহু রাজ্যবিতাড়িত বাহরাইনি নাগরীককে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেন।<ref name="AI_Bahr_promising">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম =Bahrain: Promising human rights reform must continue|প্রকাশক=[[Amnesty International]]|তারিখ=13 March 2001|ইউআরএল =http://www.amnesty.org/en/library/asset/MDE11/005/2001/en/d76b504c-f84c-11dd-a0a9-2bd73ca4d38a/mde110052001en.pdf|বিন্যাস=[[Portable Document Format|pdf]]|সংগ্রহের-তারিখ=9 February 2011|আর্কাইভের-ইউআরএল=http://www.webcitation.org/5wNVoYKJs|আর্কাইভের-তারিখ=9 February 2011|অকার্যকর-ইউআরএল=no}}</ref> তিনি নিজেকে ২০০২ সালে বাদশাহ ঘোষণা করেন। তার বাস্তবায়ন করা ব্যাপক নির্বাহীকর্তৃত্ত্বের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বদান, উচ্চ বিচারিক আদালতের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন, এবং নির্বাচিত নিম্ন কক্ষের সদস্যদের উপর উচ্চ কক্ষের সংসদ সদস্যগের নিয়োগদান।<ref name="Fr 15.2.2011">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://files.bici.org.bh/BICIreportEN.pdf|শিরোনাম=(Report). Bahrain Independent Commission of Inquiry. 23 November 2011|প্রকাশক=[[Bahrain Independent Commission of Inquiry|BICI]]|তারিখ=23 November 2011|সংগ্রহের-তারিখ=23 November 2011}}</ref>

১৬:৪৩, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা
حمد بن عيسى آل خليفة
বাহরাইনের বাদশাহ
রাজত্বমার্চ ৬, ১৯৯৯ - বর্তমান
রাজ্যাভিষেকফেব্রুয়ারী ১৪, ২০০২
পূর্বসূরিঈসা বিন সালমান আল খলিফা
আপাত উত্তরাধিকারীসালমান বিন হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা
বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রীখলিফা বিন সালমান আল খলিফা
জন্ম (1950-01-28) ২৮ জানুয়ারি ১৯৫০ (বয়স ৭৪)
রিফা, বাহরাইন
দাম্পত্য সঙ্গীসাবিকা বিনতে ইব্রাহীম (১৯৬৮–বর্তমান)
শাইয়্যা বিনতে হাসান আল খেরিয়াস আল আজমী
2 others
বংশধর
বিস্তারিত
সালমান বিন হামাদ আল খলিফা
আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল খলিফা
খলিফা বিন হামাদ আল খলিফা
নাজলা বিনতে হামাদ আল খলিফা
নাছের বিন হামাদ আল খলিফা
খালেদ বিন হামাদ আল খলিফা
ফসাল বিন হামাদ আল খলিফা
সোলতান বিন হামাদ আল খলিফা
হ্যাসা বিনতে হামাদ আল খলিফা
নূরা বিনতে হামাদ আল খলিফা
মুনিরা বিনতে হামাদ আল খলিফা
রীমা বিনতে হামাদ আল খলিফা
রাজবংশখলিফা পরিবার
পিতাঈসা বিন সালমান আল খলিফা
মাতাহ্যাসা বিনতে সালমান আল খলিফা
ধর্মসুন্নি ইসলাম

হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা যার পূর্ণ নাম হামাদ বিন ঈসা বিন সালমান আল খলিফা (Arabic: حمد بن عيسى بن سلمان آل خليفة‎ Ḥamad bin ʿĪsā bin Salmān ʾĀl Ḫalīfah; জন্ম: জানুয়ারী ২৪, ১৯৫০খৃঃ) হলেন ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০০২ খৃঃ হতে নিযুক্ত বাহরাইনের প্রথম বাদশাহ। তার পূর্বে মার্চ ৬, ১৯৯৯ খৃঃ হতে ক্ষমতায় ছিলেন বাহরাইনের দ্বিতীয় আমির।[১] তিনি সেখানকার প্রথম আমির ঈসা বিন সালমান আল খলিফার পুত্র। দেশটিতে ১৭৮৩ সাল হতে আল খলিফা রাজ পরিবারের শাসন প্রচলিত রয়েছে।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

দ্যা লীস স্কুল, কেম্ব্রিজ

হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা বাহরাইনের রিফা অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন জানুয়ারি ২৮, ১৯৫০ সালে।[২] তার পিতার ছিলেন যুবরাজ ঈসা বিন সালমান আল খলিফা এবং মা হ্যাসা বিনতে সালমান আল খলিফা।[৩] বাহরাইনের মানামা সেকেন্ডারী স্কুল শেষে হামাদকে পাঠানো হয়ে ইংল্যান্ডের গোডাল্মিং এর এ্যাপ্লিগার্থ্ কলেজে অবশ্য ইতঃপূর্বে তিনি কেম্ব্রিজের সারেই অঞ্চলের দ্যা লীস স্কুলেও ভর্তি হন । তারপর হামাদ হ্যাম্পশায়ারের এ্যাল্ডারশট অঞ্চলে ব্রিটিশ আর্মির সাথে মনস আফিসার ক্যাডেট স্কুলে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ১৯৬৮ সালে স্নাতক পাশ করেন।[২] চার বছর পর ১৯৭২ সালে ক্যানসারের ফোর্ট লেভেনওয়র্থে অবস্থিত যুক্তরাজ্যের আর্মি কমান্ডেন্ট এন্ড জেনারেল ষ্টাফ কলেজ হতে ডিগ্রী ইন লিডারশিপ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন ।[৪][৫]

যুবরাজ

১৯৬৪ সালের ২৭ জুন তারিখে হামাদ তার পিতাকর্তৃক রাজ্যের উত্তরাধিকারী নুযুক্ত হন। তিনি সেচ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং মানামা মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন ১৯৬৮ সালে । তিনি বাহরাইন ন্যাশনাল গার্ড এর কমিশন লাভ করেন ১৯৬৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি এবং একই বছর ঐ বাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত হন। ১৯৬৯ সালে বাহরাইনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেন। হামাদ ১৯৭০ সালে বাহরাইনের প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রধান এবং এ্যাডমিনিষ্ট্রেটিভ কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্তি লাভ করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দায়িত্বদ্বয়ে বহাল থাকনে। অতপর ১৯৭১ হতে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাহরাইনের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নির্বাহ করেন। [৫] ১৯৭৮ সালে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর হামাদ হেলিকপ্টার উড়াতে আরম্ভ করেন ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাস হতে । এরপর তিনি বাহরাইন আমিরী এয়ার ফোর্স গঠনে মনোনিবেশ করেন [৪][৫] যা ১৯৮৭ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করলে ডিফেন্স ফোর্স এয়ার উইংকে পরিবর্ধিত কলেবরে এয়ার ফোর্সে রুপান্তর করা হয়।

সার্বভৌম কর্তৃত্ব

ডোনাল্ড রমেস ফিল্ডের সাথে হামাদ

পিতা ঈসা বিন সালমান আল খলিফার মৃত্যুর পরে ১৯৯৯[১] সালের ৬ ই মার্চ হামাদ বাহরাইনের আমির নিযুক্ত হন। আমির হিসাবে হামাদ বাহরাইনে বহু রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করেন । এর মধ্যে রয়েছে সকল রাজবন্ধিদের মুক্তি প্রদান, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালত বিলুপ্তি এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিয়ক ১৯৭৪ সালে জারী করা নির্বাহী আদেশ বাতিল করা। এর পাশাপাশি তিনি বহু রাজ্যবিতাড়িত বাহরাইনি নাগরীককে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সুযোগ করে দেন।[৬] তিনি নিজেকে ২০০২ সালে বাদশাহ ঘোষণা করেন। তার বাস্তবায়ন করা ব্যাপক নির্বাহীকর্তৃত্ত্বের মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ প্রদান, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বদান, উচ্চ বিচারিক আদালতের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন, এবং নির্বাচিত নিম্ন কক্ষের সদস্যদের উপর উচ্চ কক্ষের সংসদ সদস্যগের নিয়োগদান।[৭]

সংসার জীবন

হামাদের চারজন স্ত্রীর সংসারে রয়েছে সাত ছেলে ও পাঁচ মেয়ে[৫] সহ মোট বারজন সন্তান:

  • প্রথম স্ত্রী তার চাচাত বোন সাবিকা বিনতে ইব্রাহীম আল খলিফার (বিবাহ- অক্টোবর ১৯৬৮) সংসারে রয়েছে তিন ছেলে ও এক মেয়ে।
  • দ্বিতীয় স্ত্রী কয়েতের শ্যায়ইয়া বিনতে হসান আল খারাইস আল আজমীর সংসারে রয়েছে দুই ছেলে।
  • তৃতীয় স্ত্রী শেখ ফয়সাল বিন মোহাম্মদ বিন সুরায়্যিম আল ম্যারীর কন্যার সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।
  • চতুর্থ স্ত্রী জাবর আল নীমির কন্যার সংসারে রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Country Profiles Bahrain" The Arab Center for the Development of the Rule of Law and Integrity Retrieved 1 December 2010
  2. "Embassy of the Kingdom of Bahrain to the United States"। Bahrain Embassy। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১০ 
  3. "Bahrain mourns death of king's mother"Gulf News। ৭ আগস্ট ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩ 
  4. "HM the King"Kingdom of Bahrain Ministry of Foreign Affairs। Government of Bahrain। সংগ্রহের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  5. "The Al-Khalifa Dynasty"Royal Ark 
  6. "Bahrain: Promising human rights reform must continue"Amnesty International। ১৩ মার্চ ২০০১। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল (pdf) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  7. "(Report). Bahrain Independent Commission of Inquiry. 23 November 2011" (পিডিএফ)BICI। ২৩ নভেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১১