আব্দুর রব বগা মিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan আবদুর রব বগা মিয়া কে আব্দুর রব বগা মিয়া শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
হটক্যাটের মাধ্যমে + 7টি বিষয়শ্রেণী
২৭ নং লাইন: ২৭ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}

[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৬-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক রাজনীতিবিদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাবনা জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:রংপুর জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:গণপরিষদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতা]]

১৭:০৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আব্দুর রব বগা মিয়া
গণপরিষদ সদস্য
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব
(১৯১৬-১০-৩১)৩১ অক্টোবর ১৯১৬
রংপুর
মৃত্যু২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩(1973-02-25) (বয়স ৫৬)
জাতীয়তাবাংলাদেশি
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
দাম্পত্য সঙ্গীজাহানারা রব
পেশারাজনীতিবিদ

আব্দুর রব বগা মিয়া (৩১ অক্টোবর ১৯১৬ - ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ ও গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। পাবনা জেলায় তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

বগা মিয়া ১৯১৬ সালের ৩১ অক্টোবর রংপুর শহরে তার পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার আসল নাম সৈয়দ ফজলে এলাহী আব্দুর রব। তার পিতার নাম ছাবকাত হোসেন ও মাতার নাম মহিতুন নেসা।[১] ছাবকাত ব্রিটিশ ভারতীয় সরকারের একজন বিভাগীয় পরিদর্শক ছিলেন। বগা মিয়া পরবর্তীতে কলকাতাতে শিক্ষালাভ করেন। কলকাতা থাকাবস্থাতাতেই বাঙালি রাজনীতিবিদদের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর পৈতৃক নিবাস পাবনাতে চলে আসেন এবং ব্যবসায়ে জড়িত হন।[১] ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু বাঙালির অধিকার আদায়ের আন্দোলনে তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার জন্য কয়েকবার কারাবরণ করেন।

রাজনৈতিক জীবন

১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখা গঠিত হলে বগা মিয়া কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৬২ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি তিনি আমজাদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করেন। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পাবনা সদর আসন থেকে এমপিএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ৬ এপ্রিল পাবনা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর পর তিনি সভাপতির দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গণপরিষদ গঠন করা হলে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে তিনি এতে অন্তর্ভূক্ত হন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাবনায় ৯ জনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয় যার মধ্যে একজন ছিলেন বগা মিয়া।[২][৩] ১৮ ডিসেম্বর পাবনাকে মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত ছিলেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন

বগা মিয়া ব্যক্তিগত জীবনে জাহানারা রবের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। জাহানারা প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সড়ক দূর্ঘটনায় বগা মিয়া মৃত্যুবরণ করেন।[১] এই দম্পতির এক ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রব বগা মিয়া"নিউজ পাবনা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  2. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (তৃতীয় খণ্ড), ৭২৫
  3. "রাজশাহী হানাদার মুক্ত দিবস আজ"জনকন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯