ফজলে হাসান আবেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
→‎পুরস্কার: সংশোধন
২৯ নং লাইন: ২৯ নং লাইন:


== পুরস্কার ==
== পুরস্কার ==
* [[র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার]], সামাজিক নেতৃত্বের জন্য , [[১৯৮০]]।<ref name="ramon">[http://www.rmaf.org.ph/Awardees/Citation/CitationAbedFaz.htm 1980 Ramon Magsaysay Award for Community Leadership - Fazle Hasan Abed] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070312035538/http://www.rmaf.org.ph/Awardees/Citation/CitationAbedFaz.htm |তারিখ=১২ মার্চ ২০০৭ }}, Ramon Magsaysay Foundation.</ref>
* [[র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার]], সামাজিক নেতৃত্বের জন্য (১৯৮০)।<ref name="ramon">[http://www.rmaf.org.ph/Awardees/Citation/CitationAbedFaz.htm 1980 Ramon Magsaysay Award for Community Leadership - Fazle Hasan Abed] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070312035538/http://www.rmaf.org.ph/Awardees/Citation/CitationAbedFaz.htm |তারিখ=১২ মার্চ ২০০৭ }}, Ramon Magsaysay Foundation.</ref>
* ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার ([[১৯৮৫]])
* ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)
* এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার ([[১৯৯০]])
* এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)
* ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার ([[১৯৯২]])
* ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)
* সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার ([[২০০১]])। "দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।" <ref name="palmecenter">[http://www.palmecenter.se/RegionerOchLander/Mellanostern/Palestina/Artiklar/HananAshrawifarOlofPalmepriset2002.aspx?tipsa=true ওলফ পাম পুরস্কার] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929092844/http://www.palmecenter.se/RegionerOchLander/Mellanostern/Palestina/Artiklar/HananAshrawifarOlofPalmepriset2002.aspx?tipsa=true |তারিখ=২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }}, ওলফ পাম সেন্টার. সুইডিয় ভাষার পুরস্কার সম্মাননায় বলা হয়েছে, ''Fazle Hasan Abed, Bangladesh, grundare av BRAC (Bangladesh Rural Advancement Committee). För hans arbete med att bekämpa fattigdom och stärka de fattigas, särskilt kvinnornas, makt över sina liv.''</ref>
* সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। "দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।" <ref name="palmecenter">[http://www.palmecenter.se/RegionerOchLander/Mellanostern/Palestina/Artiklar/HananAshrawifarOlofPalmepriset2002.aspx?tipsa=true ওলফ পাম পুরস্কার] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20070929092844/http://www.palmecenter.se/RegionerOchLander/Mellanostern/Palestina/Artiklar/HananAshrawifarOlofPalmepriset2002.aspx?tipsa=true |তারিখ=২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ }}, ওলফ পাম সেন্টার. সুইডিয় ভাষার পুরস্কার সম্মাননায় বলা হয়েছে, ''Fazle Hasan Abed, Bangladesh, grundare av BRAC (Bangladesh Rural Advancement Committee). För hans arbete med att bekämpa fattigdom och stärka de fattigas, särskilt kvinnornas, makt över sina liv.''</ref>
* শোয়াব ফাউন্ডেশন "সামাজিক উদ্যোক্তা" পুরস্কার ([[২০০২]])
* শোয়াব ফাউন্ডেশন "সামাজিক উদ্যোক্তা" পুরস্কার (২০০২)
* গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার ([[২০০৩]])
* গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)
* জাতীয় আইসিএবি ([[২০০৪]])
* জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)
* জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার ([[২০০৪]]), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।<ref name="undpaward">[http://www.thedailystar.net/2004/10/18/d41018060165.htm Fazle Hasan Abed wins UNDP Award], The Daily Star, 18 October, 2004.</ref>
* জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।<ref name="undpaward">[http://www.thedailystar.net/2004/10/18/d41018060165.htm Fazle Hasan Abed wins UNDP Award], The Daily Star, 18 October, 2004.</ref>
* গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার ([[২০০৪]])
* গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
* হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার ([[২০০৭]])
* হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)
* প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার ([[২০০৭]]) <ref name="clinton">[http://press.clintonglobalinitiative.org/press_releases/president-clinton-honors-four-extraordinary-individuals-at-inaugural-clinton-global-citizen-awards 2007 President Clinton Honors Four Extraordinary Individuals at Inaugural Clinton Global Citizen Awards], Clinton Global Citizen Awards.</ref>
* প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭) <ref name="clinton">[http://press.clintonglobalinitiative.org/press_releases/president-clinton-honors-four-extraordinary-individuals-at-inaugural-clinton-global-citizen-awards 2007 President Clinton Honors Four Extraordinary Individuals at Inaugural Clinton Global Citizen Awards], Clinton Global Citizen Awards.</ref>
* পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার ([[২০০৭]])
* পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)
* ডেভিড রকফেলার পুরস্কার ([[২০০৮]])
* ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)
* দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে "নাইটহুডে" ভূষিত।<ref>[http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/8435957.stm Bangladesh NGO head gets UK award]</ref>
* দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে "নাইটহুডে" ভূষিত।<ref>[http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/8435957.stm Bangladesh NGO head gets UK award]</ref>
* এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার ([[২০০৯]]) <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2009-12-01/news/22296 ওয়ার্ল্ড এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ পুরস্কার] দৈনিক প্রথম আলো, ০১ ডিসেম্বর ২০১২.</ref>
* এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯) <ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2009-12-01/news/22296 ওয়ার্ল্ড এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ পুরস্কার] দৈনিক প্রথম আলো, ০১ ডিসেম্বর ২০১২.</ref>
* ওয়াইজ পুরস্কার ([[২০১১]]) <ref>[http://www.shokalerkhabor.com/online/details_news.php?id=42467&&%20page_id=%207 দৈনিক সকালের খবর]</ref>
* ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১) <ref>[http://www.shokalerkhabor.com/online/details_news.php?id=42467&&%20page_id=%207 দৈনিক সকালের খবর]</ref>
* সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার ([[২০১৩]])
* সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)
* লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক ([[২০১৪]])
* লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)
* বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)
* বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)
* ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)
* ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)
* বাংলাদেশের একমাত্র নাইটহুড উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি তিনি।


== মৃত্যু ==
== মৃত্যু ==

১৭:৩৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফজলে হাসান আবেদ
ফজলে হাসান আবেদ
ফজলে হাসান আবেদ
জন্ম(১৯৩৬-০৪-২৭)২৭ এপ্রিল ১৯৩৬
মৃত্যু২০ ডিসেম্বর ২০১৯(2019-12-20) (বয়স ৮৩)
অ্যাপোলো হাসপাতাল ঢাকা
পেশাসংগঠক, সমাজকর্মী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারনাইটহুড, র‌্যামন মাগাসেসে পুরস্কার পুরস্কার

স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি (জন্ম : ২৭ এপ্রিল ১৯৩৬ - মৃত্যু :২০ ডিসেম্বর ২০১৯) ছিলেন একজন বাংলাদেশী সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বেসরকারী সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার এবং শিক্ষাক্ষেত্রের নোবেল বলে খ্যাত ইয়াইদান পুরস্কার লাভ করেছেন। [১] দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুডে[২] ভূষিত করে।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন

ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ঐ অঞ্চলের জমিদার। আবেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও পরে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীতে তিনি শেল অয়েল কোম্পানীতে অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন।[৩]

শিক্ষাজীবন

ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী থেকে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি চাচার চাকুরীস্থলে ভর্তি হন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] কুমিল্লা জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে পাবনায় বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সাথে পাবনায় চলে যান এবং পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হোন। সেখান থেকেই ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। সেবছরই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডে গিয়ে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। নেভাল আর্কিটেকচারের কোর্স ছিল চার বছরের। দুবছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিংয়ে। এখানে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের উপর চার বছরের প্রফেশনাল কোর্স পাশ করেন ১৯৬২ সালে। এ ছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব ল' এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে 'ডক্টর অব এডুকেশন' ডিগ্রি লাভ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কর্মজীবন

চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়াকালীন সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগদান করেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। দেশে এসে তিনি শেল অয়েল কোম্পানির হেড অব ফাইন্যান্স পদে যোগদান করেন। এখানে চাকরির সময় সত্তরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। ফজলে হাসান আবেদ উপদ্রুত এলাকা মনপুরায় গিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করেন। এর চারমাস পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে তিনি আর চাকরিতে ফিরে যাননি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা

১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্র্যাকের জন্ম। যুদ্ধের পর সিলেটেরশাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে শুরু করলেন 'Bangladesh Rehabilitation Assistance Committee' সংক্ষেপে যা 'BRAC' নামে পরিচিত। ১৯৭৩ সালে সাময়িক ত্রাণকার্যক্রমের গণ্ডি পেরিয়ে ব্র্যাক যখন উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন 'BRAC'-এই শব্দসংক্ষেপটির যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়, সেটি হল 'Bangladesh Rural Advancement Committee'। বর্তমানে ব্যাখ্যামূলক কোনো শব্দসমষ্টির অপেক্ষা না রেখে এই সংস্থা শুধুই 'BRAC' নামে পরিচিত। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হল। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলেন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপারসন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন।

পুরস্কার

  • র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, সামাজিক নেতৃত্বের জন্য (১৯৮০)।[৪]
  • ইউনেস্কো নোমা পুরস্কার (১৯৮৫)
  • এ্যালান শন ফেইনস্টেইন ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার পুরস্কার (১৯৯০)
  • ইউনিসেফ মরিস পেট পুরস্কার (১৯৯২)
  • সুইডেনের ওলফ পাম পুরস্কার (২০০১)। "দারিদ্র বিমোচন ও দরিদ্র মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য।" [৫]
  • শোয়াব ফাউন্ডেশন "সামাজিক উদ্যোক্তা" পুরস্কার (২০০২)
  • গ্লেইটসম্যান ফাউন্ডেশন পুরস্কার (২০০৩)
  • জাতীয় আইসিএবি (২০০৪)
  • জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুব-উল-হক পুরস্কার (২০০৪), সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকার জন্য।[৬]
  • গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার (২০০৪)
  • হেনরি আর. ক্রাভিস পুরস্কার (২০০৭)
  • প্রথম ক্লিনটন গ্লোবাল সিটিজেন পুরস্কার (২০০৭) [৭]
  • পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (২০০৭)
  • ডেভিড রকফেলার পুরস্কার (২০০৮)
  • দারিদ্র বিমোচনে বিশেষ ভূমিকার জন্য ব্রিটেন কর্তৃক ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দে "নাইটহুডে" ভূষিত।[৮]
  • এন্ট্রাপ্রেনিওর ফর দ্য ওয়ার্ল্ড পুরস্কার (২০০৯) [৯]
  • ওয়াইজ পুরস্কার (২০১১) [১০]
  • সেন্ট্রাল ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি ওপেন সোসাইটি পুরস্কার (২০১৩)
  • লিও তলস্তয় আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদক (২০১৪)
  • বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার (২০১৫)
  • ইয়াইদান পুরস্কার (২০১৯)

মৃত্যু

শ্বাসকষ্ট ও শারীরিক দূর্বলতা জনিত কারণে ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮ টা ২৮ মিনিটে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।[১১]

তথ্যসূত্র

  1. "ফজলে হাসান আবেদ এক আলোকবর্তিকা"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 
  2. "Knight Commander of the Most Distinguished Order of St Michael and St George" (KCMG)
  3. THE STARS OF ASIA -- FINANCIERS: Fazle Hasan Abed, BusinessWeek, July 8, 2002.
  4. 1980 Ramon Magsaysay Award for Community Leadership - Fazle Hasan Abed ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ মার্চ ২০০৭ তারিখে, Ramon Magsaysay Foundation.
  5. ওলফ পাম পুরস্কার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে, ওলফ পাম সেন্টার. সুইডিয় ভাষার পুরস্কার সম্মাননায় বলা হয়েছে, Fazle Hasan Abed, Bangladesh, grundare av BRAC (Bangladesh Rural Advancement Committee). För hans arbete med att bekämpa fattigdom och stärka de fattigas, särskilt kvinnornas, makt över sina liv.
  6. Fazle Hasan Abed wins UNDP Award, The Daily Star, 18 October, 2004.
  7. 2007 President Clinton Honors Four Extraordinary Individuals at Inaugural Clinton Global Citizen Awards, Clinton Global Citizen Awards.
  8. Bangladesh NGO head gets UK award
  9. ওয়ার্ল্ড এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ পুরস্কার দৈনিক প্রথম আলো, ০১ ডিসেম্বর ২০১২.
  10. দৈনিক সকালের খবর
  11. "ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ আর নেই"Jugantor। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১২-২০ 

বহিঃসংযোগ