ইস্কান্দার মির্জা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Aliftahzibul (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Aliftahzibul (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪৯ নং লাইন: ৪৯ নং লাইন:
|battles = [[ওয়াজিরিস্তান অভিযান (১৯৩৬–১৯৩৯)|ওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ]]<br>[[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭]]
|battles = [[ওয়াজিরিস্তান অভিযান (১৯৩৬–১৯৩৯)|ওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ]]<br>[[ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭]]
}}
}}
সাহেবজাদা সাইয়িদ '''ইস্কান্দার আলি মির্জা''' [[Order of the Indian Empire|CIE]], [[Order of the British Empire|OBE]] [[International Phonetic Alphabet chart for English dialects|<small>English IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə</small>]] ({{lang-bn|ইস্কান্দার মীর্জা}}; {{lang-ur|{{Nastaliq|اسکندر مرزا}}}}; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]]একজন বাংগালী রাজনীতিবীদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।<ref name="Story of Pakistan (Part-I)"/> পিতার দিক থেকে ইস্কান্দার মির্জা [[মীর কাশিম|মীর কাশিমের]] বংশধর ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।
সাহেবজাদা সাইয়িদ '''ইস্কান্দার আলি মির্জা''' [[Order of the Indian Empire|CIE]], [[Order of the British Empire|OBE]] [[International Phonetic Alphabet chart for English dialects|<small>English IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə</small>]] ({{lang-bn|ইস্কান্দার মীর্জা}}; {{lang-ur|{{Nastaliq|اسکندر مرزا}}}}; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাংগালী রাজনীতিবীদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।<ref name="Story of Pakistan (Part-I)"/> পিতার দিক থেকে ইস্কান্দার মির্জা [[মীর কাশিম|মীর কাশিমের]] বংশধর ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।


ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী [[লিয়াকত আলি খান]] তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] পর [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] অস্থিরতা দেখা দিলে [[খাজা নাজিমুদ্দিন]] তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে [[মালিক গোলাম মুহাম্মদ|মালিক গোলাম মুহাম্মদের]] পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে [[পাকিস্তানের সংবিধান ১৯৫৬|সংবিধান প্রণয়নের]] পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে [[সামরিক আইন]] জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক [[আইয়ুব খান]] তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা [[লন্ডন|লন্ডনে]] নির্বাসিত হন।
ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী [[লিয়াকত আলি খান]] তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|বাংলা ভাষা আন্দোলনের]] পর [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] অস্থিরতা দেখা দিলে [[খাজা নাজিমুদ্দিন]] তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে [[মালিক গোলাম মুহাম্মদ|মালিক গোলাম মুহাম্মদের]] পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে [[পাকিস্তানের সংবিধান ১৯৫৬|সংবিধান প্রণয়নের]] পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে [[সামরিক আইন]] জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক [[আইয়ুব খান]] তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা [[লন্ডন|লন্ডনে]] নির্বাসিত হন।

১৭:৩৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

Iskander Mirza
ইস্কান্দার মীর্জা
اسکندر مرزا
পাকিস্তানের ১ম রাষ্ট্রপতি
কাজের মেয়াদ
২৩ মার্চ ১৯৫৬ – ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮
প্রধানমন্ত্রীচৌধুরী মুহাম্মদ আলি
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী‌
ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়
ফিরোজ খান নুন
পূর্বসূরীদ্বিতীয় এলিজাবেথ
পাকিস্তানের রাণী হিসেবে
উত্তরসূরীআইয়ুব খান
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল
কাজের মেয়াদ
৭ আগস্ট ১৯৫৫ – ২৩ মার্চ ১৯৫৬
ভারপ্রাপ্ত: ৭ আগস্ট ১৯৫৫ – ৬ অক্টোবর ১৯৫৫
সার্বভৌম শাসকদ্বিতীয় এলিজাবেথ
প্রধানমন্ত্রীচৌধুরী মুহাম্মদ আলি
পূর্বসূরীমালিক গোলাম মুহাম্মদ
উত্তরসূরীবিলুপ্ত
অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী
কাজের মেয়াদ
২৪ অক্টোবর ১৯৫৪ – ৭ আগস্ট ১৯৫৫
প্রধানমন্ত্রীমুহাম্মদ আলি বগুড়া
পূর্বসূরীমুশতাক আহমেদ গুরমানি
উত্তরসূরীএ কে ফজলুল হক
পূর্ব বাংলার গভর্নর
কাজের মেয়াদ
৩১ মার্চ ১৯৫০ – ৩১ মার্চ ১৯৫৩
Chief Ministerনুরুল আমিন
পূর্বসূরীচৌধুরী খালিকুজ্জামান
উত্তরসূরীমুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত)
পাকিস্তানের ১ম প্রতিরক্ষা সচিব
কাজের মেয়াদ
২৩ অক্টোবর ১৯৪৭ – ৬ মে ১৯৫৪
প্রধানমন্ত্রীলিয়াকত আলি খান
খাজা নাজিমুদ্দিন
মোহাম্মদ আলী বগুড়া
পূর্বসূরীবিলুপ্ত
উত্তরসূরীআকতার হুসাইন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৮৯৯-১১-১৩)১৩ নভেম্বর ১৮৯৯
মুর্শিদাবাদ, বাংলা প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)
মৃত্যু১৩ নভেম্বর ১৯৬৯(1969-11-13) (বয়স ৭০)
লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
রাজনৈতিক দলস্বতন্ত্র
দাম্পত্য সঙ্গীরিফাত বেগম (১৯২২-১৯৬৭)
নাহিদ আমিরতিমুর(১৯৫৪-১৯৬৯)
সন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীএলফিনস্টোন কলেজ
রয়েল মিলিটারি একাডেমি সেন্ডহার্স্ট‌
ধর্মইসলাম
সামরিক পরিষেবা
কাজের মেয়াদ১৯২০–১৯২৮
পদ মেজর জেনারেল
কমান্ডসেনা পুলিশ শাখা (মিলিটারী পুলিশ কোর)
যুদ্ধওয়াজিরিস্তান যুদ্ধ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ১৯৪৭

সাহেবজাদা সাইয়িদ ইস্কান্দার আলি মির্জা CIE, OBE English IPA: ɪskɑndæɾ əɪiː mi(ə)ɹzə (বাংলা: ইস্কান্দার মীর্জা; উর্দু: اسکندر مرزا‎‎; ১৩ নভেম্বর ১৮৯৯ – ১৩ নভেম্বর ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাংগালী রাজনীতিবীদ এবং পাকিস্তানের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত এই পদে দায়িত্বপালন করেন। এর পূর্বে ১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের শেষ গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[১] পিতার দিক থেকে ইস্কান্দার মির্জা মীর কাশিমের বংশধর ছিলেন। তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে মেজর জেনারেল পদে অবসর নেন।

ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুকাল অবস্থান করার পর ইস্কান্দার মির্জা ইন্ডিয়ান পলিটিকাল সার্ভিসে যোগ দেন। ১৯৪৬ সালে তিনি ভারতের জয়েন্ট সেক্রেটারি হন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান তাকে প্রতিরক্ষা সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন। বাংলা ভাষা আন্দোলনের পর পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিরতা দেখা দিলে খাজা নাজিমুদ্দিন তাকে প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত করেন। ১৯৫৫ সালে মালিক গোলাম মুহাম্মদের পর তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে সংবিধান প্রণয়নের পর তিনি প্রথম রাষ্ট্রপতি হন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। ১৯৫৮ সালে তিনি সংবিধান স্থগিত করে সামরিক আইন জারি করেন। সেনাপ্রধানকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর প্রভাব তার সময়ে শুরু হয়। সামরিক আইন জারির বিশ দিন পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আইয়ুব খান তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেন। ইস্কান্দার মির্জা লন্ডনে নির্বাসিত হন।

তথ্যসূত্র

  1. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Story of Pakistan (Part-I) নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

অফিস

রাজনৈতিক দপ্তর
নতুন দপ্তর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সচিব
১৯৪৭–১৯৫৪
উত্তরসূরী
আকতার হুসাইন
পূর্বসূরী
চৌধুরী খালিকুজ্জামান
পূর্ব বাংলার গভর্নর
১৯৫৪–১৯৫৫
উত্তরসূরী
মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত
পূর্বসূরী
মুশতাক আহমেদ গুরমানি
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
১৯৫৪–১৯৫৫
উত্তরসূরী
এ কে ফজলুল হক
পূর্বসূরী
মালিক গোলাম মুহাম্মদ
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল
১৯৫৫–১৯৫৬
বিলুপ্ত
নতুন দপ্তর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি
১৯৫৬–১৯৫৮
উত্তরসূরী
আইয়ুব খান

বহিঃসংযোগ