বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
VolkovBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ext:Pranetas exosolaris
AlleborgoBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট পরিবর্তন সাধন করছে: ext:Pranetas essusolaris
১৪৩ নং লাইন: ১৪৩ নং লাইন:
[[es:Planeta extrasolar]]
[[es:Planeta extrasolar]]
[[eu:Exoplaneta]]
[[eu:Exoplaneta]]
[[ext:Pranetas exosolaris]]
[[ext:Pranetas essusolaris]]
[[fa:سیاره فراخورشیدی]]
[[fa:سیاره فراخورشیدی]]
[[fi:Eksoplaneetta]]
[[fi:Eksoplaneetta]]

০৬:১৩, ১ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সৌর জগতের বাইরে অবস্থিত যেকোন গ্রহকেই বহিঃ সৌরজাগতিক গ্রহ (সংক্ষেপে বহির্গ্রহ) বলা হয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি মোট বহির্গ্রহের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭০-এ। সবগুলো গ্রহের প্রকৃত চিত্র গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। অধিকাংশ গ্রহই বিভিন্ন পরোক্ষ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ গ্রহই আকারে বিশাল। পৃথিবী এমনকি বৃহস্পতি গ্রহের চেয়েও অনেকের আকার বড়। জ্ঞাত বহর্জাগতিক গ্রহগুলোর সবকটিই কোন না কোন তারাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে এবং সেই সূত্রে একটি নাক্ষত্রিক জগৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। অবশ্য অনেকে কিছু মুক্ত ভাসমান গ্রহ জাতীয় বস্তুর অস্তিত্বের কথা বলেছেন। অর্থাৎ যারা কোন তারাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে না। এদেরকে আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্রহীয় বস্তু বলা হয়। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রগ গ্রহসমূহ। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের সংজ্ঞামতে এই বস্তুগুলো গ্রহের মধ্যে পড়েনা, আবার এদের অস্তিত্ব সম্বন্ধেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাই এগুলো নিয়ে এই নিবন্ধে কোন আলোচনা করা হবে না।

চিত্র:Phot-14a-05-preview.jpg
২এম ১২০৭ নামক বাদামী বামনের অবলোহিত চিত্র।

সনাক্তকরণের ইতিহাস

প্রত্যাহারকৃত আবিষ্কারসমূহ

অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম থেকেই বিজ্ঞানীরা আকাশে নির্দিষ্ট স্থানে দৃশ্যমান তারাগুলোকে কেন্দ্র করে আবর্তনশীল গ্রহের অস্তিত্বের পক্ষে ছিলেন। আইজাক নিউটন নিজেই তার প্রিন্সিপিয়া গ্রন্থের "জেনারেল স্কোলিয়াম" শীর্ষক অধ্যায়ে বলেছেন, "And if the fixed Stars are the centers of other like systems, these, being form'd by the like wise counsel, must be all subject to the dominion of One" বাংলায় "আর একই নিয়মে গঠিত অনুরূপ সিস্টেমগুলির কেন্দ্রসমূহ যদি স্থির নক্ষত্ররাজি হয়ে থাকে, তবে এদের সবাই কোন একজনের আয়ত্তাধীন থাকবে। "(১৭২৯ সালে অ্যান্ড্রু মটের ইংরেজি অনুবাদ)। ১৭১৩ সালে তিনি এই মত ব্যক্ত করেছিলেন। অবশ্য ১৯৮৮ সালের আগে কোন বহিঃসৌর জাগতিক তারার অস্তিত্বই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হয়নি।

উনবিংশ শতাব্দী থেকে বহিঃসৌর জাগতিক গ্রহ আবিষ্কারের দাবী জানানো শুরু হয়েছে। এ ধরণের প্রাচীনতম দাবীর মধ্যে রয়েছে যুগল তারা ৭০ অফিয়াকি-কে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহ। ১৮৬৬ সালে ক্যাপ্টেন "ডব্লিউ এস জ্যাকব" ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাজ মানমন্দিরে গবেষণা করছিলেন। এ বছরই তিনি বলেন, এই যুগল তারাটির কক্ষীয় ব্যত্যয় প্রমাণ দিচ্ছে যে, এর জগতে একটি গ্রহীয় বস্তু রয়েছে।[১] ১৮৯০-এর দশকে মার্কিন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় এবং মার্কিন নৌ মানমন্দিরে কর্মরত টমাস জেফারসন জ্যাকসন সি বলেন, ৭০ অফিয়াকি জগতের কক্ষীয় ব্যত্যয় থেকে বোঝা যায় সেখানে একটি নিরালোক বস্তু আছে এবং সেই বস্তুটি যুগল তারার যেকোন একটিকে কেন্দ্র করে প্রতি ৩৬ বছরে একবার আবর্তন করছে।[২] কিন্তু, এর পরপরই ফরেস্ট রে মৌল্টন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে বলেন, কক্ষপথের রাশির যে ধরণের মান পাওয়া গেছে তাতে সেখানে তিন বস্তুর একটি জগৎ হবে খুবই অস্থিতিশীল।[৩] ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে পিটার ভ্যান ডি কাম্প বার্নার্ডের তারাকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান এ ধরণের গ্রহীয় বস্তুর অস্তিত্ব দাবী করেন।[৪] বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সে সময়কার সবগুলো সনাক্তকরণকেই ত্রুটিপূর্ণ বলে ধরে নিয়েছেন।

৫৫ ক্যানক্রি জগতের সাথে সৌরজগতের তুলনা।

১৯৯১ সালে অ্যানড্রু লিন, এম বেইল্‌স এবং এস এল শেমার দাবী করেন, পিএসআর ১৮২৯-১০ তারাটিকে কেন্দ্র করে একটি পালসার গ্রহ রয়েছে। পালসারের সময়ানুগ বিভিন্নতাকে কাজে লাগিয়ে তারা এ গ্রহটি সনাক্ত করেছিলেন।[৫] অতি অল্প সময়েই দাবীটি বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হতে থাকে, কিন্তু লিন ও তার গবেষক দল সত্বরই দাবীটি প্রত্যাহার করে নেয়।[৬]

প্রকাশিত আবিষ্কারসমূহ

এইচডি ১৭৯৯৪৯ বি, এইচডি ১৬৪৪২৭ বি, এপসাইলন রেটিকুলি এবি এবং মিউ এরি বি গ্রহগুলোর চারদিকে আমাদের সৌরজগতকে স্থাপন করা হয়েছে। সবগুলো মাতৃ তারা কেন্দ্র রয়েছে।

এই ক্ষেত্রের প্রথম প্রকাশিত আবিষ্কার যা অনেকের কাছ থেকেই নিয়শ্চয়তা লাভ করে তা হচ্ছে কানাডীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ১৯৮৮ সালের আবিষ্কার। কানাডীয় ব্রুস ক্যাম্পবেল, জি এ এইচ ওয়াকার এবং এস ইয়াং এই আবিষ্কারটি করেন।[৭] রেডিয়াল-বেগ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, গামা সেফেই তারাটিকে কেন্দ্র করে একটি গ্রহ আবর্তনশীল আছে। এটি যে আসলেই প্রকৃত গ্রহীয় সনাক্তকরণ তা নিশ্চিত করার জন্য এই বিজ্ঞানীত্রয় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করছিলেন। এর পরের কয়েক বছর ধরে এটি সহ আরও কিছু গ্রহ পর্যবেক্ষণের বিষয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে প্রচুর আলোচনা হতে থাকে। কারণ সে সময় যান্ত্রিক দক্ষতা সে পর্যায়ে ছিল না যে, নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়। আরও একটি সন্দেহ ছিল, দাবীকৃত এই গ্রহগুলো গ্রহ না হয়ে ধূসর বামনও গতে পারে যাদের ভর তারা এবং গ্রহের মাঝামাঝি। এর পরের বছর গামা সেফেইকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহের ব্যাপারে আরও পর্যবেক্ষণের ফলাফল আসতে থাকে। অবশ্য ১৯৯২ সালে কয়েকটি গবেষণার কারণে তা নিয়ে আবারও সংশয়ের সৃষ্টি হয়।[৮] অবশেষে, ২০০৩ সালে উন্নততর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা গেছে আসলেই সেখানে একটি গ্রহ রয়েছে।[৯]

১৯৯২ সালের প্রথম দিকে রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী Aleksander Wolszczan এবং ডেইল ফ্রেইল পিএসআর ১২৫৭+১২ নামক পালসার তারাকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহ আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।[১০] স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই আবিষ্কারটি নিশ্চিতরূপে প্রমাণিত হয়। সাধারণ্যে একেই প্রথম বহির্গ্রহ সনাক্তকরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ ধরণের গ্রহ সৃষ্টি বিষয়ে দুটি মত আছে। এক মতে, পালসারটি সৃষ্টিকারী অতি নবতারা বিস্ফোরণের অবশিষ্টাংশ থেকে গ্রহ সৃষ্টির দ্বিতীয় পর্যায়ে এর সৃষ্টি হয়েছিল। অন্য মতে, গ্যাস দানবের অতি নবতারা বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে যাওয়া শীলাময় কেন্দ্রভাগ থেকে গ্রহটির সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বর্তমান কক্ষপথে এটি আবর্তিত হতে থেকেছে।

সনাক্তকরণ পদ্ধতি

তথ্যসূত্র

  1. Jacob, W.S. (১৮৫৫)। "On Certain Anomalies presented by the Binary Star 70 Ophiuchi"। Monthly Notices of the Royal Astronomical Society15: 228। 
  2. See, Thomas Jefferson Jackson (১৮৯৬)। "Researches on the Orbit of F.70 Ophiuchi, and on a Periodic Perturbation in the Motion of the System Arising from the Action of an Unseen Body"। The Astronomical Journal16: 17। 
  3. Sherrill, Thomas J. (১৯৯৯)। "A Career of controversy: the anomaly OF T. J. J. See" (পিডিএফ)Journal for the history of astronomy30। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-২৭ 
  4. van de Kamp, Peter (১৯৬৯)। "Alternate dynamical analysis of Barnard's star"The Astronomical Journal74: 757–759। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৮-২৭  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  5. Bailes, M.; Lyne, A.G.; Shemar, S.L. (১৯৯১)। "A planet orbiting the [[neutron star]] PSR1829-10"Nature352: 311 – 313।  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
  6. Lyne, A.G.; Bailes, M. (১৯৯২)। "No planet orbiting PS R1829-10"Nature355 (6357): 213। 
  7. Campbell, B.; Walker, G. A. H.; Yang, S. (১৯৮৮)। "A search for substellar companions to solar-type stars"Astrophysical Journal, Part 1331: 902 – 921। 
  8. Walker, G. A. H.; Bohlender, D. A.; Walker, A. R.; Irwin, A. W.; Yang, S. L. S.; Larson, A. (১৯৯২)। "Gamma Cephei - Rotation or planetary companion?"Astrophysical Journal, Part 2 - Letters396 (2): L91 – L94। 
  9. Artie P. Hatzes; William D. Cochran; Michael Endl; Barbara McArthur; Diane B. Paulson; Gordon A. H. Walker; Bruce Campbell; Stephenson Yang (২০০৩)। "A Planetary Companion to Gamma Cephei A"The Astrophysical Journal599: 1383 – 1394। 
  10. Wolszczan, A.; Frail, D. A. (১৯৯২)। "A planetary system around the millisecond [[pulsar]] PSR1257+12"Nature355: 145 – 147।  ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)

আনুষঙ্গিক নিবন্ধসমূহ

শ্রেণীবিভাগ

পদ্ধতি

মানমন্দিরসমূহ

অভিযানসমূহ

জ্যোতির্বিজ্ঞানী

বই

তালিকা

বাসযোগ্যতা

বহিঃসংযোগ

অনুসন্ধানী প্রকল্প
তথ্যভাণ্ডার
সংবাদ

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA