বেদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
→‎যজুর্বেদ: যজুর্বেদ নিবন্ধ থেকে অনুলিপিকৃত
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
→‎অথর্ববেদ: অথর্ববেদ হতে অনুলিপিকৃত বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:


=== অথর্ববেদ ===
=== অথর্ববেদ ===
'''অথর্ববেদ''' ([[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]]: अथर्ववेद, ''অথর্বণ'' ও ''বেদ'' শব্দের সমষ্টি) হল [[হিন্দুধর্ম|হিন্দুধর্মের]] সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ [[বেদ|বেদের]] চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত ''অথর্বণ'' (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও ''বেদ'' (জ্ঞান) শব্দদু-টির সমষ্টি।<ref name=lauriepatton38>Laurie Patton (2004), Veda and Upanishad, in ''The Hindu World'' (Editors: Sushil Mittal and Gene Thursby), Routledge, {{আইএসবিএন|0-415215277}}, page 38</ref> অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।<ref>Carl Olson (2007), The Many Colors of Hinduism, Rutgers University Press, {{আইএসবিএন|978-0813540689}}, pages 13-14</ref><ref name=lauriepatton57late>Laurie Patton (1994), Authority, Anxiety, and Canon: Essays in Vedic Interpretation, State University of New York Press, {{আইএসবিএন|978-0791419380}}, page 57</ref>। অথর্ববেদ [[বৈদিক সংস্কৃত ভাষা|বৈদিক সংস্কৃত ভাষায়]] রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও প্রায় ৬,০০০ মন্ত্র আছে।<ref name=maurice1>Maurice Bloomfield, [https://archive.org/stream/atharvaveda00bloouoft#page/n5/mode/2up The Atharvaveda], Harvard University Press, pages 1-2</ref> অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র [[ঋগ্বেদ]] থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলি নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত।<ref name=maurice1/> এই গ্রন্থের দুটি পৃথক [[শাখা (বেদ)|শাখা]] রয়েছে। এগুলি হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান।<ref name=fritsstaal136>Frits Staal (2009), Discovering the Vedas: Origins, Mantras, Rituals, Insights, Penguin, {{আইএসবিএন|978-0143099864}}, pages 136-137</ref> মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলি হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে [[ওড়িশা]] থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।<ref name=fritsstaal136/>


=== গাঠণিক বিভাজন ===
=== গাঠণিক বিভাজন ===

১৫:১২, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অথর্ববেদ এর একটি পৃষ্ঠা
চিত্র:প্রাচিন বেদে ওঁ-চিহ্ন.jpeg

বেদ (/ˈvdəz/;[১] সংস্কৃত: वेद veda, "জ্ঞান") হল প্রাচীন ভারতে লিপিবদ্ধ তত্ত্বজ্ঞান-সংক্রান্ত একাধিক গ্রন্থের একটি বৃহৎ সংকলন। বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত বেদই সংস্কৃত সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং সনাতন ধর্মের সর্বপ্রাচীন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ[২][৩] সনাতনরা বেদকে "অপৌরুষেয়" ("পুরুষ" দ্বারা কৃত নয়, অলৌকিক)[৪] এবং "নৈর্বক্তিক ও রচয়িতা-শূন্য" (যা নিরাকার নির্গুণ ঈশ্বর-সম্বন্ধীয় এবং যার কোনও রচয়িতা নেই)[৫][৬][৭] মনে করেন।

বেদকে শ্রুতি (যা শ্রুত হয়েছে) সাহিত্যও বলা হয়।[৮] এইখানেই সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলির সঙ্গে বেদের পার্থক্য। কারণ, সনাতন ধর্মের অন্যান্য ধর্মগ্রন্থগুলিকে বলা হয় স্মৃতি (যা স্মরণধৃত হয়েছে) সাহিত্য। প্রচলিত মতে বিশ্বাসী সনাতন ধর্মতত্ত্ববিদদের মতে, বেদ প্রাচীন ঋষিদের গভীর ধ্যানে প্রকাশিত হয়েছিল এবং প্রাচীনকাল থেকেই এই শাস্ত্র অধিকতর যত্নসহকারে রক্ষিত হয়ে আসছে।[৯][১০] সনাতন মহাকাব্য মহাভারতে ব্রহ্মাকে বেদের স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[১১] যদিও বৈদিক স্তোত্রগুলিতে বলা হয়েছে, একজন সূত্রধর যেমন নিপূণভাবে রথ নির্মাণ করেন, ঠিক তেমনই ঋষিগণ দক্ষতার সঙ্গে বেদ গ্রন্থনা করেছেন।[১০]

বেদে মোট মন্ত্র সংখ্যা ২০৪৩৪ টি।

বেদের সংখ্যা চার: ঋগ্বেদ, যজুর্বেদ, সামবেদঅথর্ববেদ[১২][১৩] প্রত্যেকটি বেদ আবার চারটি প্রধান ভাগে বিভক্ত: সংহিতা (মন্ত্র ও আশীর্বচন), আরণ্যক (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় ক্রিয়াকর্ম, যজ্ঞ ও প্রতীকী যজ্ঞ), ব্রাহ্মণ (ধর্মীয় আচার, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও যজ্ঞাদির উপর টীকা) ও উপনিষদ্‌ (ধ্যান, দর্শন ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান-সংক্রান্ত আলোচনা)।[১২][১৪][১৫] কোনও কোনও গবেষক উপাসনা (পূজা) নামে একটি পঞ্চম বিভাগের কথাও উল্লেখ করে থাকেন।[১৬][১৭]

ভারতীয় দর্শনের বিভিন্ন শাখা ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সম্প্রদায় বেদ সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করে থাকে। ভারতীয় দর্শনের যে সকল শাখা বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকার করে এবং বেদকেই তাদের শাস্ত্রের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করে, সেগুলিকে "আস্তিক" শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[note ১] অন্যদিকে ভারতীয় দর্শনের লোকায়ত, চার্বাক, আজীবক, বৌদ্ধজৈন প্রভৃতি অন্যান্য শ্রামণিক শাখায় বেদের প্রামাণ্যতা স্বীকৃত নয়। এগুলিকে "নাস্তিক" শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[১৯][২০] মতপার্থক্য থাকলেও শ্রামণিক ধারার গ্রন্থগুলির মতো বেদের বিভিন্ন স্তরের বিভাগগুলিতেও একই চিন্তাভাবনা ও ধারণাগুলি আলোচিত হয়েছে।[১৯]

বেদের বিভাজন

বর্তমানে বেদকে ব্যাবহারিকগাঠণিক এ দু'পদ্ধতির বিভাজনে বিভাজিত অবস্থায় পাওয়া যায় । উভয় পদ্ধতিতেই বেদ চার ভাগে বিভক্ত ।

ব্যাবহারিক বিভাজন

ব্যাবহারিক বিভাজনগুলো যথাক্রমে ঋক , সাম , যজু ও অথর্ব । বৈদিক ধর্মগ্রন্থ বা শ্রুতি সংহিতা নামে পরিচিত চারটি প্রধান সংকলনকে কেন্দ্র করে লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ঐতিহাসিক বৈদিক ধর্মের যজ্ঞ অনুষ্ঠান-সংক্রান্ত:

  1. ঋগ্বেদ অংশে হোতার বা প্রধান পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে;
  2. যজুর্বেদ অংশে অধ্বর‍্যু বা অনুষ্ঠাতা পুরোহিত কর্তৃক পঠিত মন্ত্র সংকলিত হয়েছে।
  3. সামবেদ অংশে উদ্গাতার বা মন্ত্রপাঠক পুরোহিত কর্তৃক গীত স্তোত্রগুলি সংকলিত হয়েছে;
  4. অথর্ববেদ অংশে মারণ, উচাটন, বশীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রগুলি সংকলিত হয়েছে।[১৩]

বেদের প্রতিটি পদ মন্ত্র নামে পরিচিত। কোনো কোনো বৈদিক মন্ত্র আধুনিক কালে প্রার্থনা সভা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয়ে থাকে।

ঋগ্বেদ

পবিত্র ঋগ্বেদ হচ্ছে সবচেয়ে প্রাচীনতম বেদ এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ জীবিত ভারতীয় লেখা। এই গ্রন্থটি মূলত ১০টি পুস্তক(সংস্তৃত: मण्डल) এ বিভক্ত যা ১,০২৮ টি বৈদিক সংস্কৃত সূক্তের সমন্বয়। ঋগ্বেদে মোট ১০, ৫৫২টি ঋক বা মন্ত্র রয়েছে।[২১][২২][২৩] "ঋক" বা স্তুতি গানের সংকলন হল ঋগ্বেদ সংহিতা। ঈশ্বর, দেবতা ও প্রকৃতি বিষয়ক আলোচনা ঋগবেদে প্রাধান্য পেয়েছে।

যজুর্বেদ

যজুর্বেদ (সংস্কৃত: यजुर्वेद, yajurveda, যজুস্‌ বা গদ্য মন্ত্রবেদ বা জ্ঞান থেকে) হল গদ্য মন্ত্রসমূহের বেদ[২৪] যজুর্বেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত একটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ। যজ্ঞের আগুনে পুরোহিতের আহুতি দেওয়ার ও ব্যক্তিবিশেষের পালনীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলির পদ্ধতি এই গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।[২৪] যজুর্বেদ হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের একটি ভাগ। ঠিক কোন শতাব্দীতে যজুর্বেদ সংকলিত হয়েছিল, তা জানা যায় না। তবে গবেষকদের মতে, আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দ নাগাদ, অর্থাৎ সামবেদঅথর্ববেদ সংকলনের সমসাময়িক কালে এই বেদও সংকলিত হয়।[২৫]

সামবেদ

সামবেদ (সংস্কৃত: सामवेद) (সামন্‌ বা গান ও বেদ বা জ্ঞান থেকে) হল সংগীতমন্ত্রের বেদ।[২৬] সামবেদ হিন্দুধর্মের সর্বপ্রধান ধর্মগ্রন্থ বেদের দ্বিতীয় ভাগ। এটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। সামবেদে ১,৮৭৫টি মন্ত্র রয়েছে।[২৭] এই শ্লোকগুলি মূলত বেদের প্রথম ভাগ ঋগ্বেদ থেকে গৃহীত।[২৮] এটি একটি প্রার্থনামূলক ধর্মগ্রন্থ। বর্তমানে সামবেদের তিনটি শাখার অস্তিত্ব রয়েছে। এই বেদের একাধিক পাণ্ডুলিপি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে।[২৯][৩০]

গবেষকেরা সামবেদের আদি অংশটিকে ঋগ্বৈদিক যুগের সমসাময়িক বলে মনে করেন। তবে এই বেদের যে অংশটির অস্তিত্ব এখনও পর্যন্ত রয়েছে, সেটি বৈদিক সংস্কৃত ভাষার পরবর্তী-ঋগ্বৈদিক মন্ত্র পর্যায়ে রচিত। এই অংশের রচনাকাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ১০০০ অব্দের মাঝামাঝি কোনো এক সময়। তবে সামবেদ যজুর্বেদঅথর্ববেদের সমসাময়িক কালে রচিত।[৩১]

অথর্ববেদ

অথর্ববেদ (সংস্কৃত: अथर्ववेद, অথর্বণবেদ শব্দের সমষ্টি) হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগ্রন্থ বেদের চতুর্থ ভাগ। ‘অথর্ববেদ’ শব্দটি সংস্কৃত অথর্বণ (দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রণালী) ও বেদ (জ্ঞান) শব্দদু-টির সমষ্টি।[৩২] অথর্ববেদ বৈদিক সাহিত্যের পরবর্তীকালীন সংযোজন।[৩৩][৩৪]। অথর্ববেদ বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় রচিত। ২০টি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ৭৩০টি স্তোত্র ও প্রায় ৬,০০০ মন্ত্র আছে।[৩৫] অথর্ববেদের এক-ষষ্ঠাংশ স্তোত্র ঋগ্বেদ থেকে সংকলিত। ১৫শ ও ১৬শ খণ্ড ব্যতীত এই গ্রন্থের স্তোত্রগুলি নানাপ্রকার বৈদিক ছন্দে রচিত।[৩৫] এই গ্রন্থের দুটি পৃথক শাখা রয়েছে। এগুলি হল পৈপ্পলাদ ও শৌনকীয়। এই শাখাদুটি আজও বর্তমান।[৩৬] মনে করা হয় যে, পৈপ্পলাদ শাখার নির্ভরযোগ্য পাণ্ডুলিপিগুলি হারিয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৫৭ সালে ওড়িশা থেকে একগুচ্ছ সুসংরক্ষিত তালপাতার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়।[৩৬]

গাঠণিক বিভাজন

এ বিভাজনগুলো হচ্ছে মন্ত্র বা সংহিতা , ব্রাহ্মণ , আরণ্যকউপনিষদ্‌। মন্ত্রাংশ প্রধানত পদ্যে রচিত, কেবল যজুঃসংহিতার কিছু অংশ গদ্যে রচিত। এটাই বেদের প্রধান অংশ।

সংহিতা

ব্রাহ্মণ

বেদের দুটি অংশ-মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ । বেদের যে অংশে মন্ত্রের আলোচনা ও যজ্ঞে তার ব্যবহার সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে তাকে ব্রাহ্মণ বলে।এটি গদ্যে রচিত।

আরণ্যক

উপনিষদ

বেদের বিষয়

এতে আছে দেবস্তুতি, প্রার্থনা ইত্যাদি। ঋক্‌ মন্ত্রের দ্বারা যজ্ঞে দেবতাদের আহ্বান করা হয়, যজুর্মন্ত্রের দ্বারা তাদের উদ্দেশে আহুতি প্রদান করা হয় এবং সামমন্ত্রের দ্বারা তাদের স্তুতি করা হয়। ব্রাহ্মণ মূলত বেদমন্ত্রের ব্যাখ্যা। এটি গদ্যে রচিত এবং প্রধানত কর্মাশ্রয়ী। আরণ্যক কর্ম-জ্ঞান উভয়াশ্রয়ী এবং উপনিষদ্‌ বা বেদান্ত সম্পূর্ণরূপে জ্ঞানাশ্রয়ী।বেদের বিষয়বস্তু সাধারণভাবে দুই ভাগে বিভক্ত কর্মকাণ্ড ও জ্ঞানকাণ্ড। কর্মকাণ্ডে আছে বিভিন্ন দেবদেবী ও যাগযজ্ঞের বর্ণনা এবং জ্ঞানকাণ্ডে আছে ব্রহ্মের কথা। কোন দেবতার যজ্ঞ কখন কিভাবে করণীয়, কোন দেবতার কাছে কি কাম্য, কোন যজ্ঞের কি ফল ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের আলোচ্য বিষয়। আর ব্রহ্মের স্বরূপ কি, জগতের সৃষ্টি কিভাবে, ব্রহ্মের সঙ্গে জীবের সম্পর্ক কি এসব আলোচিত হয়েছে জ্ঞানকাণ্ডে। জ্ঞানকাণ্ডই বেদের সারাংশ। এখানে বলা হয়েছে যে, ব্রহ্ম বা ঈশ্বর এক, তিনি সর্বত্র বিরাজমান, তারই বিভিন্ন শক্তির প্রকাশ বিভিন্ন দেবতা। জ্ঞানকাণ্ডের এই তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে ভারতীয় দর্শনচিন্তার চরম রূপ উপনিষদের বিকাশ ঘটেছে।

এসব ছাড়া বেদে অনেক সামাজিক বিধিবিধান, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, শিল্প, কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদির কথাও আছে। এমনকি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথাও আছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বেদের এই সামাজিক বিধান অনুযায়ী সনাতন হিন্দু সমাজ ও হিন্দুধর্ম রূপ লাভ করেছে। হিন্দুদের বিবাহ, অন্তেষ্টিক্রিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে এখনও বৈদিক রীতিনীতি যথাসম্ভব অনুসরণ করা হয়।ঋগ্বেদ থেকে তৎকালীন নারীশিক্ষা তথা সমাজের একটি পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যায়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অথর্ববেদ থেকে পাওয়া যায় তৎকালীন চিকিৎসাবিদ্যার একটি বিস্তারিত বিবরণ। এসব কারণে বেদকে শুধু ধর্মগ্রন্থ হিসেবেই নয়, প্রাচীন ভারতের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও ইতিহাসের একটি দলিল হিসেবেও গণ্য করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

  1. Stuart B Flexner (1987), Random House Webster's Unabridged Dictionary, Vedas, আইএসবিএন ৯৭৮-০৩৯৪৫০০৫০৮
  2. see e.g. Radhakrishnan ও Moore 1957, পৃ. 3; Witzel, Michael, "Vedas and Upaniṣads", in: Flood 2003, পৃ. 68; MacDonell 2004, পৃ. 29–39; Sanskrit literature (2003) in Philip's Encyclopedia. Accessed 2007-08-09
  3. Sanujit Ghose (2011). "Religious Developments in Ancient India" in Ancient History Encyclopedia.
  4. Vaman Shivaram Apte, The Practical Sanskrit-English Dictionary, see apauruSeya
  5. D Sharma, Classical Indian Philosophy: A Reader, Columbia University Press, ISBN , pages 196-197
  6. Jan Westerhoff (2009), Nagarjuna's Madhyamaka: A Philosophical Introduction, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৫৩৮৪৯৬৩, page 290
  7. Warren Lee Todd (2013), The Ethics of Śaṅkara and Śāntideva: A Selfless Response to an Illusory World, আইএসবিএন ৯৭৮-১৪০৯৪৬৬৮১৯, page 128
  8. Apte 1965, পৃ. 887
  9. Sheldon Pollock (2011), Boundaries, Dynamics and Construction of Traditions in South Asia (Editor: Federico Squarcini), Anthem, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৫৭২৮৪৩০৩, pages 41-58
  10. Hartmut Scharfe (2002), Handbook of Oriental Studies, BRILL Academic, আইএসবিএন ৯৭৮-৯০০৪১২৫৫৬৮, pages 13-14
  11. Seer of the Fifth Veda: Kr̥ṣṇa Dvaipāyana Vyāsa in the Mahābhārata Bruce M. Sullivan, Motilal Banarsidass, pages 85-86
  12. Gavin Flood (1996), An Introduction to Hinduism, Cambridge University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫২১৪৩৮৭৮০, pages 35-39
  13. Bloomfield, M. The Atharvaveda and the Gopatha-Brahmana, (Grundriss der Indo-Arischen Philologie und Altertumskunde II.1.b.) Strassburg 1899; Gonda, J. A history of Indian literature: I.1 Vedic literature (Samhitas and Brahmanas); I.2 The Ritual Sutras. Wiesbaden 1975, 1977
  14. A Bhattacharya (2006), Hindu Dharma: Introduction to Scriptures and Theology, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫৯৫৩৮৪৫৫৬, pages 8-14; George M. Williams (2003), Handbook of Hindu Mythology, Oxford University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৯৫৩৩২৬১২, page 285
  15. Jan Gonda (1975), Vedic Literature: (Saṃhitās and Brāhmaṇas), Otto Harrassowitz Verlag, আইএসবিএন ৯৭৮-৩৪৪৭০১৬০৩২
  16. A Bhattacharya (2006), Hindu Dharma: Introduction to Scriptures and Theology, আইএসবিএন ৯৭৮-০৫৯৫৩৮৪৫৫৬, pages 8-14
  17. Barbara A. Holdrege (1995), Veda and Torah: Transcending the Textuality of Scripture, State University of New York Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৯১৪১৬৪০২, pages 351-357
  18. Elisa Freschi (2012), Duty, Language and Exegesis in Prabhakara Mimamsa, BRILL, আইএসবিএন ৯৭৮-৯০০৪২২২৬০১, page 62
  19. Flood 1996, পৃ. 82
  20. "astika" and "nastika". Encyclopædia Britannica Online, 20 Apr. 2016
  21. Riksarvanukramani Commentator Jagannath
  22. Charanvyuh Commentator Mahidas
  23. http://agniveer.com/mantras-rigveda/
  24. Michael Witzel (2003), "Vedas and Upaniṣads", in The Blackwell Companion to Hinduism (Editor: Gavin Flood), Blackwell, আইএসবিএন ০-৬৩১২১৫৩৫২, pages 76-77
  25. Michael Witzel (2003), "Vedas and Upaniṣads", in The Blackwell Companion to Hinduism (Editor: Gavin Flood), Blackwell, আইএসবিএন ০-৬৩১২১৫৩৫২, pages 68-70
  26. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; staal107 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  27. সামবেদ-সংহিতা, অনুবাদ ও সম্পাদনা: পরিতোষ ঠাকুর, হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, গ্রন্থকারের নিবেদন, পৃ. ঙ
  28. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; witzelsamaveda নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  29. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; rgriffith নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  30. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; hastings নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  31. Michael Witzel The Development of the Vedic Canon and its Schools : The Social and Political Milieu Harvard University
  32. Laurie Patton (2004), Veda and Upanishad, in The Hindu World (Editors: Sushil Mittal and Gene Thursby), Routledge, আইএসবিএন ০-৪১৫২১৫২৭৭, page 38
  33. Carl Olson (2007), The Many Colors of Hinduism, Rutgers University Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮১৩৫৪০৬৮৯, pages 13-14
  34. Laurie Patton (1994), Authority, Anxiety, and Canon: Essays in Vedic Interpretation, State University of New York Press, আইএসবিএন ৯৭৮-০৭৯১৪১৯৩৮০, page 57
  35. Maurice Bloomfield, The Atharvaveda, Harvard University Press, pages 1-2
  36. Frits Staal (2009), Discovering the Vedas: Origins, Mantras, Rituals, Insights, Penguin, আইএসবিএন ৯৭৮-০১৪৩০৯৯৮৬৪, pages 136-137

বহিঃসংযোগ


উদ্ধৃতি ত্রুটি: "note" নামক গ্রুপের জন্য <ref> ট্যাগ রয়েছে, কিন্তু এর জন্য কোন সঙ্গতিপূর্ণ <references group="note"/> ট্যাগ পাওয়া যায়নি