উফরা রোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
শুরু
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৪:২২, ১৭ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

উফরা রোগ (ইংরেজীঃ Ufra) হলো ধানের একটি রোগ। বিভিন্ন এলাকায় একে উর্বা, ডাকপোড়া, জ্বলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, লোনা লাগা ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। এই রোগের কারণে ধানের অর্ধেক বা পুরো উৎপাদন নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

কারণ

ডাইটিলেংকাস এ্যাংগাসটাস (Ditylenchus angustus) নামক এক ধরনের কৃমির কারণে উফরা রোগ হয়।

বিস্তার

ফসল ক্ষেতের এক স্থানে এই রোগ হলে তা ক্রমশ অন্যস্থানে ছড়িয়ে প্রে সেচের পানি, বৃষ্টিপাত, মাটি, রোগাক্রান্ত চারা, নাড়া ও খড়ের মাধ্যমে। শুরুতে উফরা রোগ জলি আমন ধানে হলেও বর্তমানে সব মৌসুমেই দেখা যায়। সেচের পানিতে ভেসে এরা এক গাছ থেকে অন্য গাছে আক্রমণ করে। আক্রান্ত জমির পরিত্যক্ত নাড়া, খড়কুটা, শীষের অংশ বা ঝরে যাওয়া ধানে এবং মাটিতে কোন খাদ্য ছাড়াই এ কৃমি কুন্ডলী পাকিয়ে ৬-৮ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।

লক্ষণ

ডাইটিলেংকাস এ্যাংগাসটাস কৃমি ধান গাছের কচি পাতা ও খোলের সংযোগস্থলে আক্রমণ করে। কৃমি গাছের রস শোষণ করায় প্রথমে পাতার গোড়ায় ছিটা-ফোটা সাদা দাগ দেখা দেয়। সাদা দাগ ক্রমে বাদামি রঙের হয় এবং পরে এ দাগ বেড়ে সম্পূর্ণ পাতাটাই শুকিয়ে ফেলে। অনেক সময় থোড় হতে ছড়া বের হতে পারে না বা বের হলেও অর্ধেক বা আংশিক বের হয়। ছড়া বের হতে না পারলে তা ভেতরে মোচড়ানো অবস্থায় থাকে। গাছ কিছুটা বেটে হয়। ধান খুব চিটা ও অপুষ্ট হয়। আক্রমণ থোড় গজানোর সময় হতে শুরু হলে সে ধানের কোনো ফলন পাওয়া যায় না।

প্রতিকার

  • রোগাক্রান্ত ফসল কাটার পর নাড়া ও খড় জমিতেই পুড়িয়ে ফেলতে হবে
  • ঘাস জাতীয় আগাছা এবং মুড়ি ধান ধ্বংস করতে হবে
  • বছরের প্রথম বৃষ্টির পর জমি চাষ দিয়ে ১৫-২০ দিন শুকাতে হবে
  • পর পর ধান না করে পর্যায়ক্রমে অন্য ফসলের চাষ করতে হবে
  • আক্রান্ত জমিতে বা জমির পাশে বীজতলা করা থেকে বিরত থাকতে হবে
  • প্রথম অবস্থায় আক্রমণ দেখা দিলে ধানের আগার অংশ কেটে পুড়ে ফেলতে হবে
  • চারা লাগানোর ১২-২০ ঘণ্টা আগে বীজতলা থেকে চারা তুলে শিকড় ১.৫% কৃমিনাশক যেমন- ফুরাডান ৫জি অথবা কুরাটার ৫ জি দ্রবণে ভিজিয়ে রেখে জমিতে রোপণ করতে হবে
  • জমিতে রোগ দেখা দিলে ২ ইঞ্চি পানি থাকা অবস্থায় কার্বোফুরান (ফুরাডান ৫জি অথবা কুরাটার ৫ জি) বিঘাপ্রতি ২.৫-৩.০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।

তথ্যসূত্র