হোমিওপ্যাথি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ar:معالجة مثلية
Ptbotgourou (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: gu:હોમિયોપેથી
৪৭ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:
[[fr:Homéopathie]]
[[fr:Homéopathie]]
[[gl:Homeopatía]]
[[gl:Homeopatía]]
[[gu:હોમિયોપેથી]]
[[he:הומאופתיה]]
[[he:הומאופתיה]]
[[hi:होम्योपैथी]]
[[hi:होम्योपैथी]]

১৫:৫৯, ২২ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

Homeopathic remedies
1857 painting by Alexander Beydeman showing historical figures and personifications of homeopathy observing the perceived brutality of medicine of the 19th century

হোমিওপ্যাথি (Homeopathy also homœopathy or homoeopathy; from the Greek ὅμοιος, hómoios, "similar" + πάθος, páthos, "suffering" or "disease") জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান উদ্ভাবিত (১৭৯৬) এক চিকিৎসা পদ্ধতি। সুস্থ মানুষের ওপর ওষুধ প্রয়োগের ফলাফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূলনীতি। এতে বলা হয় যে, কোন লোকের ওপর একটি ওষুধ বেশি মাত্রায় প্রয়োগ করলে যেসব প্রতিক্রিয়া ঘটায়, কম মাত্রার ওই ওষুধ প্রয়োগে সেগুলি দূরীভূত হয়। এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কখনই একান্তভাবে যাচাই করা হয় নি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় অত্যন্ত অল্পমাত্রার ওষুধ ব্যবহূত হয় এবং বহু বছর অসংখ্য রোগীর ওপর এগুলির প্রয়োগ বস্তুত ব্যবহার ও নিরাময়ের মধ্যে এক ধরনের কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে, আর এটিই পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে হোমিওপ্যাথির প্রসার ঘটিয়েছে। ১৮২৫ সালে আমেরিকায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শুরু হয় এবং নিরুৎসাহ করা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত তা চালু আছে। উন্নয়নশীল দেশে এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অন্যতম প্রধান বিকল্প চিকিৎসা। ভারত উপমহাদেশে হোমিওপ্যাথি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিশ শতকে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ইতিহাস

চিত্র:Samuel Hahnemann.png
Samuel Hahnemann, considered to be the father of homeopathy

ভারত ও বাংলাদেশে বহুকাল থেকেই এই চিকিৎসা চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভিজ্জ বা সাধারণ রাসায়নিক পদার্থ থেকে কনসেনট্রেট হিসেবে এই ওষুধ তৈরি করা হয় এবং চিকিৎসকরা গাইড বুকের নির্দেশ অনুযায়ী সেগুলি প্রয়োজন মতো লঘুকৃত করেন। বাংলা ভাষায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রচুর বইপত্র আছে এবং এগুলির ভিত্তিতে দেশে এই চিকিৎসা চলছে। ইদানিং দেশের নগর ও শহরে আনুষ্ঠানিক শিক্ষাদানের জন্য কয়েকটি হোমিওপ্যাথি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

চিকিৎসকরা সস্তায় গাঢ ওষুধ কিনেন এবং নির্দেশ মতো তা লঘু (হাজার, লক্ষ ইত্যাদি) করেন, ফলে অসংখ্য রোগীকে অল্প দামে তা দেওয়া যায়। প্রধানত স্বল্পমূল্যের জন্যই এই চিকিৎসা বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করেছে এবং তাতে চিকিৎসক ও রোগী উভয়ই উপকৃত হচ্ছেন। রোগীদের ব্যাপক সংখ্যক দরিদ্র এবং ডাক্তারের খরচ, এমনকি সাধারণ ঔষধপত্র ক্রয়েরও সামর্থ্য নেই। তাদের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরাই সর্বোত্তম বিকল্প এবং আছেনও সর্বত্র। এসব চিকিৎসকের জন্য হোমিওপ্যাথিক বোর্ডে রেজিস্ট্রিভুক্ত হওয়ার বিধি থাকলেও গ্রাম বা শহরে অনেক চিকিৎসকই তা মান্য করেন না। এটিও এই চিকিৎসা বিস্তারের একটি কারণ। হোমিওপ্যাথির গৃহচিকিৎসাও ব্যাপক এবং এজন্য একটি গাইডবুক ও এক বাক্স ওষুধই যথেষ্ট। অধিকন্তু এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। চিকিৎসক ও বিজ্ঞানিসমাজে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গুরুত্ব না পেলেও পত্রপত্রিকা, এমনকি বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকীতেও মাঝেমধ্যে তা উচ্চ প্রশংসিত হয়, যদিও এসব ঔষুধের সঠিক কার্যপ্রণালী আজও বহুলাংশেই অজ্ঞাত রয়ে গেছে।


Associations and regulatory bodies

Other links