বাংলাদেশ বার কাউন্সিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৫ নং লাইন: ২৫ নং লাইন:
ইন্ডিয়ান বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রথমবারের মতো প্রত্যেক হাইকোর্টে যৌথ সংগঠন হিসেবে একটি করে বার কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়। ওই বিধানে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত প্রতিটি বার কাউন্সিলে থাকতেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্ট কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্য এবং হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য।
ইন্ডিয়ান বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রথমবারের মতো প্রত্যেক হাইকোর্টে যৌথ সংগঠন হিসেবে একটি করে বার কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়। ওই বিধানে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত প্রতিটি বার কাউন্সিলে থাকতেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্ট কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্য এবং হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য।


তখন হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বার কাউন্সিলকে আইনজীবীদের নিবন্ধন ও তাদের নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে কোনও ব্যক্তিকে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে হাইকোর্ট আপত্তি জানালে তা খর্ব করার অধিকার বার কাউন্সিলের ছিলো না। এ আইনে হাইকোর্টের মূল বিভাগে আইন ব্যবসায়ে আগ্রহী আবেদনকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা এবং তাদের গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান বা কী কী শর্তে বা পরিস্থিতিতে তারা ওই আদালতের অধীনে আইনব্যবসা করতে পারবেন কি পারবেন না তা নির্ধারণের ক্ষমতা একমাত্র হাইকোর্টের হাতেই ন্যস্ত থাকে।<br />
<br />

== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|1, colwidth=২}}
{{সূত্র তালিকা|1, colwidth=২}}

২১:০৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আইন অনুশীলনকারীদের জন্যে ১৯৭২ সালে বার কাউন্সিল আদেশের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের একটি সংবিধিবদ্ধ স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। [১] [২] এটি বাংলাদেশের আইনজীবীদের জন্য লাইসেন্সিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল’ আইনজীবী তৈরির কারখানাও হিসেবেও পরিচিত। [৩]

কার্যক্রম

আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহ তদন্ত ও বিচারের জন্য বার কাউন্সিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৯ সালে এই জাতীয় পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল ছিল। একটি ট্রাইব্যুনাল কোনও আইনজীবীকে তিরস্কার বা স্থগিত করতে বা অনুশীলন থেকে সরিয়ে দিতে পারে। এটি ২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ৩৭৮টি অভিযোগের বিষয়ে শুনানি করেছে। এসব অভিযোগে ৯ জন আইনজীবী তাদের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে হারিয়েছেন এবং ৬ জনকে সীমিত সময়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। [৪]

কমিটি

বার কাউন্সিলের কয়েকটি স্থায়ী কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে

  1. প্রশাসন পরিচালনার জন্য নির্বাহী কমিটি
  2. আইনজীবীদের সদস্যভুক্ত করার জন্য পরীক্ষা পরিচালনা ও নিবন্ধন কমিটি
  3. কাউন্সিলের অর্থ বা তহবিল নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ফাইন্যান্স কমিটি
  4. আইনজীবীদের আইনগত শিক্ষার মান নির্ধারণের জন্য আইনি শিক্ষা কমিটি।
  5. অন্যান্য কাজের জন্যে বার কাউন্সিলের সদস্য সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি ভিত্তিক কমিটি।[৫]

ইতিহাস

বার কাউন্সিল ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে গঠিত হয়। এর সদস্য সংখ্যা ১৫। তারমধ্যে পদাধিকারবলে বার কাউন্সিলের সভাপতি থাকেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। বাকি ১৪ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন আইনজীবীদের মধ্য থেকে তাদের ভোটে নির্বাচিত, বাকি ৭ জন নির্বাচিত হন প্রতিটি গ্রপ থেকে একজন করে ৭টি গ্রুপে বিভক্ত স্থানীয় আইনজীবী সমিতিগুলির সদস্যদের মধ্য থেকে। বার কাউন্সিলের সদস্যরা নিজেদের মধ্য থেকে একজন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন। প্রতিটি কমিটির মেয়াদ থাকে ৩ বছর। এটি বাংলাদেশ আইনী সিদ্ধান্ত নামে একটি আইনী জার্নাল প্রকাশ করে। [৬] সদস্যরা পরিষদে নির্বাচিত হন। [৭]

গঠনপূর্ব পটভূমি

ভারতীয় উপমহাদেশে ১৭৭৪ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট অ্যাটর্নিদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব লেটার্স প্যাটেন্টের ১১ ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত হয়। ১৭৯৩ সালের ৭ নং প্রবিধান অনুযায়ী কলকাতায় কোম্পানির সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সদর দেওয়ানি আদালতে ও অধস্তন কোম্পানি আদালতগুলিতে আইনপেশায় নিয়োজিত উকিলদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের কাজ করতো।

১৮৬২ সালে  সুপ্রিম কোর্ট, সদর দেওয়ানি আদালত ও সদর নিজামত আদালত তুলে দিয়ে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে জজিয়তি হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠার পর এ আদালত অ্যাডভোকেট, অ্যাটর্নি, উকিল, কৌঁশুলি ও মোক্তারদের নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা পায়। তখন আইনজীবীরা ছিলেন ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড থেকে ডিগ্রি অর্জন করা ব্যারিস্টার অথবা স্কটল্যান্ডের ফ্যাকাল্টি অফ অ্যাডভোকেট্স-এর সদস্য।

অ্যাটর্নি জেনারেলদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের মূল বিভাগে হাজিরা দেয়াসহ ওকালতি করতে পারতেন এবং ওই আদালতের আপিল বিভাগ ও অন্যান্য অধস্তন আদালতে ওকালতি করার অনুমতি নিতে পারতেন। তবে এতে যোগ্যতাসম্পন্ন দেশীয় আইনজীবীদের মধ্য থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মূল বিভাগে কাজ করার অধিকার ছিলো না। তাই দেশে একটি সর্বভারতীয় বার গঠন এবং অ্যাডভোকেট ও উকিলদের মধ্যে পার্থক্য নিরসনের দাবি ওঠে। এ দাবির প্রেক্ষিতে ১৯২৩ সালে স্যার এডওয়ার্ড চ্যামিয়ারকে সভাপতি করে ইন্ডিয়ান বার কমিটি গঠন করা হয়। ১৯২৪ সালে ওই কমিটি প্রতিবেদন পেশ করে এবং ইন্ডিয়ান বার কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯২৬ কার্যকর হয়।

ইন্ডিয়ান বার কাউন্সিল অ্যাক্ট অনুযায়ী প্রথমবারের মতো প্রত্যেক হাইকোর্টে যৌথ সংগঠন হিসেবে একটি করে বার কাউন্সিল গঠনের বিধান রাখা হয়। ওই বিধানে ১৫ জন সদস্য নিয়ে গঠিত প্রতিটি বার কাউন্সিলে থাকতেন অ্যাডভোকেট জেনারেল, হাইকোর্ট কর্তৃক মনোনীত ৪ জন সদস্য এবং হাইকোর্টের অ্যাডভোকেটদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ১০ জন সদস্য।

তখন হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বার কাউন্সিলকে আইনজীবীদের নিবন্ধন ও তাদের নিয়ন্ত্রণের নিয়মকানুন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে কোনও ব্যক্তিকে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে হাইকোর্ট আপত্তি জানালে তা খর্ব করার অধিকার বার কাউন্সিলের ছিলো না। এ আইনে হাইকোর্টের মূল বিভাগে আইন ব্যবসায়ে আগ্রহী আবেদনকারীদের যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা এবং তাদের গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান বা কী কী শর্তে বা পরিস্থিতিতে তারা ওই আদালতের অধীনে আইনব্যবসা করতে পারবেন কি পারবেন না তা নির্ধারণের ক্ষমতা একমাত্র হাইকোর্টের হাতেই ন্যস্ত থাকে।

তথ্যসূত্র

  1. "Remarkable insight on admission to practice in Bangladesh Bar Council"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭ 
  2. "Bangladesh Bar Associations"hg.org। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭ 
  3. "Bar Council penalises 3 lawyers"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭ 
  4. "How does the Bar Council Tribunal function"। Daily Star। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৯ 
  5. "আইনজীবী তৈরির কারখানা 'বাংলাদেশ বার কাউন্সিল'"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৩ 
  6. "বাংলাদেশ বার কাউন্সিল"banglapedia.orgবাংলাপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭ 
  7. "Bangladesh Bar Council election held"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৭