কাস্তিও দে গিরিবাইলে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ৩৮°০৭′২১″ উত্তর ৩°২৯′০১″ পশ্চিম / ৩৮.১২২৪° উত্তর ৩.৪৮৩৫° পশ্চিম / 38.1224; -3.4835
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
→‎ইতিহাস: সম্প্রসারণ
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
===পূর্ববর্তী ইতিহাস===
===পূর্ববর্তী ইতিহাস===
'''গিরিবাইলে''' বা '''খিরিবাইলে''' অঞ্চলে মানুষের বসতিস্থাপনের ইতিহাস যথেষ্ট প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের প্রথামার্ধেই এখানে মানুষের বসতি স্থাপিত হয়। এইসময়ের বেশ কিছু খনি এই এলাকায় খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্তত ইবেরীয় যুগ পর্যন্ত এই খনিগুলো চালু ছিল এবং তাদের ভিত্তি করে সেইসময় এখানে একটি বেশ বড় ধরনের জনবসতিই গড়ে উঠেছিল। যতদূর সম্ভব এখানে [[ওরেতানো]] উপজাতি বসবাস করত। সেইসময়েই ''কাস্তুলো'' ও ''লেভান্তের'' মধ্যবর্তী পথে এর অবস্থানের কারণে রণকৌশলগত দিক থেকে এই এলাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ ও তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই কারণে এখানে ওরেতানোদের বসতি যথেষ্ট শক্তিশালী একটি দুর্গের আকার ধারন করে। এর বিস্তৃতি ছিল প্রায় ১৮ হেক্টরেরও বেশি।<ref name="Dema" /><ref>Olivares Barragán, Francisco. ''CASTILLOS DE LA PROVINCIA DE JAÉN''. C.S.I.C. Jaén, 1992. ISBN 84-87115-10-1</ref> বর্তমানে এই সুরক্ষিত বসতির একটি প্রাকারের ধ্বংসাবশেষই মাত্র অবশিষ্ট আছে। বর্তমান দুর্গের ধ্বংসাবশেষের দক্ষিণে এই প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার উঁচু প্রাকারটি অবস্থিত ছিল। সম্ভবত অন্যদিকগুলিতে কোনও প্রাকারের অস্তিত্ব সে'সময় প্রয়োজন হয়নি। কারণ, যে উঁচু মালভূমিতে এই বসতি স্থাপিত হয়েছিল, প্রাকৃতিক দিক থেকেই তা ছিল যথেষ্ট সুরক্ষিত।
'''গিরিবাইলে''' বা '''খিরিবাইলে''' অঞ্চলে মানুষের বসতিস্থাপনের ইতিহাস যথেষ্ট প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের প্রথামার্ধেই এখানে মানুষের বসতি স্থাপিত হয়। এইসময়ের বেশ কিছু খনি এই এলাকায় খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্তত ইবেরীয় যুগ পর্যন্ত এই খনিগুলো চালু ছিল এবং তাদের ভিত্তি করে সেইসময় এখানে একটি বেশ বড় ধরনের জনবসতিই গড়ে উঠেছিল। যতদূর সম্ভব এখানে [[ওরেতানো]] উপজাতি বসবাস করত। সেইসময়েই ''কাস্তুলো'' ও ''লেভান্তের'' মধ্যবর্তী পথে এর অবস্থানের কারণে রণকৌশলগত দিক থেকে এই এলাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ ও তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই কারণে এখানে ওরেতানোদের বসতি যথেষ্ট শক্তিশালী একটি দুর্গের আকার ধারন করে। এর বিস্তৃতি ছিল প্রায় ১৮ হেক্টরেরও বেশি।<ref name="Dema" /><ref name="Barragán">Olivares Barragán, Francisco. ''CASTILLOS DE LA PROVINCIA DE JAÉN''. C.S.I.C. Jaén, 1992. ISBN 84-87115-10-1</ref> বর্তমানে এই সুরক্ষিত বসতির একটি প্রাকারের ধ্বংসাবশেষই মাত্র অবশিষ্ট আছে। বর্তমান দুর্গের ধ্বংসাবশেষের দক্ষিণে এই প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার উঁচু প্রাকারটি অবস্থিত ছিল। সম্ভবত অন্যদিকগুলিতে কোনও প্রাকারের অস্তিত্ব সে'সময় প্রয়োজন হয়নি। কারণ, যে উঁচু মালভূমিতে এই বসতি স্থাপিত হয়েছিল, প্রাকৃতিক দিক থেকেই তা ছিল যথেষ্ট সুরক্ষিত।


যাইহোক, প্রথম খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথমার্ধে এই বসতি পরিত্যক্ত হয়। রোমানদের সাথে যুদ্ধে ([[সেরটোরীয় যুদ্ধ]] - খ্রিস্টপূর্ব ৮০ - ৭২ অব্দ) এই স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয় এবং অবশিষ্টরা নিকটবর্তী [[কাস্তুলো]] শহরের দিকে সরে যায়। গিরিবাইলেতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে যে ছাই'এর স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে তা এই শহরের পুড়ে যাওয়ারই সাক্ষ্য বহন করে।
যাইহোক, প্রথম খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথমার্ধে এই বসতি পরিত্যক্ত হয়। রোমানদের সাথে যুদ্ধে ([[সেরটোরীয় যুদ্ধ]] - খ্রিস্টপূর্ব ৮০ - ৭২ অব্দ) এই স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয় এবং অবশিষ্টরা নিকটবর্তী [[কাস্তুলো]] শহরের দিকে সরে যায়। গিরিবাইলেতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে যে ছাই'এর স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে তা এই শহরের পুড়ে যাওয়ারই সাক্ষ্য বহন করে।


প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে আরও বোঝা যায় যে এই অঞ্চলে (বর্তমান দুর্গ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে) [[ভিসিগথ|ভিসিগথদেরও]] বসতি গড়ে উঠেছিল।
প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে আরও বোঝা যায় যে এই অঞ্চলে (বর্তমান দুর্গ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে) [[ভিসিগথ|ভিসিগথদেরও]] বসতি গড়ে উঠেছিল। তবে তাদের বসতিগুলি ছিল ছোট ছোট এবং কৃষিভিত্তিক। বিভিন্ন দানাশস্যের চাষের পাশাপাশি এখানে গবাদি পশুচারণের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া গেছে। এখানকার তৎকালীন বাসিন্দাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে এখনও যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে, এটুকু বলা যেতে পারে যে মুসলমান যুগে নির্মিত বর্তমান দুর্গটি একটি পূর্ববর্তী দুর্গের ভিতের উপরই তৈরি। সেই পুরনো দুর্গটি ছিল হিসপানো-ভিসিগথদের হাতেই নির্মিত।

[[স্পেনে মুসলমান বিজয়|স্পেনে মুসলমান বিজয়ের]] পর পুরনো ইবেরীয় ও রোমান যুগের বসতি ও দুর্গের উপর এই অঞ্চলে আরও একটি দুর্গ গড়ে ওঠে। এইসময় গিরিবাইলের চারিপাশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন খামারগুলির সুরক্ষার প্রয়োজনেই এই দুর্গের দরকার হয়ে পড়েছিল।<ref name="Dema" /><ref name="Barragán" />


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৯:০৮, ২৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কাস্তিও দে গিরিবাইলে দুর্গের ধ্বংসাবশেষ

কাস্তিও দে গিরিবাইলে বা গিরিবাইলের দুর্গ (স্পেনীয় - Castillo de Giribaile; উচ্চারণ - কাস্তিও দে খিরিবাইলে) হল দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মিত একটি দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। মুসলমান যুগে নির্মিত এই দুর্গটি স্পেনের খায়েন প্রদেশের ভিলচেস পৌর অঞ্চলের অন্তর্গত গুয়াদালেন নামক স্থানে অবস্থিত। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই দুর্গটি মালভূমির একেবারে উত্তর সীমা ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে তার থেকে সহজেই গুয়াদালিমার নদী, পুরনো ও ঐতিহ্যশালী রাস্তা ভিয়া এরাক্লেয়া (হারকিউলিসের রাস্তা) ও ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত শহর কাস্তুলোর উপর নজরদারি করা সম্ভব হয়।[১]

ইতিহাস

পূর্ববর্তী ইতিহাস

গিরিবাইলে বা খিরিবাইলে অঞ্চলে মানুষের বসতিস্থাপনের ইতিহাস যথেষ্ট প্রাচীন। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের প্রথামার্ধেই এখানে মানুষের বসতি স্থাপিত হয়। এইসময়ের বেশ কিছু খনি এই এলাকায় খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্তত ইবেরীয় যুগ পর্যন্ত এই খনিগুলো চালু ছিল এবং তাদের ভিত্তি করে সেইসময় এখানে একটি বেশ বড় ধরনের জনবসতিই গড়ে উঠেছিল। যতদূর সম্ভব এখানে ওরেতানো উপজাতি বসবাস করত। সেইসময়েই কাস্তুলোলেভান্তের মধ্যবর্তী পথে এর অবস্থানের কারণে রণকৌশলগত দিক থেকে এই এলাকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ ও তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই কারণে এখানে ওরেতানোদের বসতি যথেষ্ট শক্তিশালী একটি দুর্গের আকার ধারন করে। এর বিস্তৃতি ছিল প্রায় ১৮ হেক্টরেরও বেশি।[১][২] বর্তমানে এই সুরক্ষিত বসতির একটি প্রাকারের ধ্বংসাবশেষই মাত্র অবশিষ্ট আছে। বর্তমান দুর্গের ধ্বংসাবশেষের দক্ষিণে এই প্রায় ২০০ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার উঁচু প্রাকারটি অবস্থিত ছিল। সম্ভবত অন্যদিকগুলিতে কোনও প্রাকারের অস্তিত্ব সে'সময় প্রয়োজন হয়নি। কারণ, যে উঁচু মালভূমিতে এই বসতি স্থাপিত হয়েছিল, প্রাকৃতিক দিক থেকেই তা ছিল যথেষ্ট সুরক্ষিত।

যাইহোক, প্রথম খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথমার্ধে এই বসতি পরিত্যক্ত হয়। রোমানদের সাথে যুদ্ধে (সেরটোরীয় যুদ্ধ - খ্রিস্টপূর্ব ৮০ - ৭২ অব্দ) এই স্থান সম্পূর্ণ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয় এবং অবশিষ্টরা নিকটবর্তী কাস্তুলো শহরের দিকে সরে যায়। গিরিবাইলেতে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে যে ছাই'এর স্তর আবিষ্কৃত হয়েছে তা এই শহরের পুড়ে যাওয়ারই সাক্ষ্য বহন করে।

প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে আরও বোঝা যায় যে এই অঞ্চলে (বর্তমান দুর্গ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে) ভিসিগথদেরও বসতি গড়ে উঠেছিল। তবে তাদের বসতিগুলি ছিল ছোট ছোট এবং কৃষিভিত্তিক। বিভিন্ন দানাশস্যের চাষের পাশাপাশি এখানে গবাদি পশুচারণের চিহ্নও খুঁজে পাওয়া গেছে। এখানকার তৎকালীন বাসিন্দাদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে এখনও যদিও আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে, এটুকু বলা যেতে পারে যে মুসলমান যুগে নির্মিত বর্তমান দুর্গটি একটি পূর্ববর্তী দুর্গের ভিতের উপরই তৈরি। সেই পুরনো দুর্গটি ছিল হিসপানো-ভিসিগথদের হাতেই নির্মিত।

স্পেনে মুসলমান বিজয়ের পর পুরনো ইবেরীয় ও রোমান যুগের বসতি ও দুর্গের উপর এই অঞ্চলে আরও একটি দুর্গ গড়ে ওঠে। এইসময় গিরিবাইলের চারিপাশে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন খামারগুলির সুরক্ষার প্রয়োজনেই এই দুর্গের দরকার হয়ে পড়েছিল।[১][২]

তথ্যসূত্র

  1. Valdecantos Dema, Rodrigo. CASTILLOS DE JAÉN: Descubre el pasado de una tierra fronteriza. আইএসবিএন ৯৭৮৮৪৯৫২৪৪০০০.
  2. Olivares Barragán, Francisco. CASTILLOS DE LA PROVINCIA DE JAÉN. C.S.I.C. Jaén, 1992. ISBN 84-87115-10-1