শিল্পকলার শাখাসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
==রঙিন চিত্রাঙ্কন== |
==রঙিন চিত্রাঙ্কন== |
||
কোনও ধারণা বা অনুভূতি নান্দনিকভাবে প্রকাশের জন্য কোনও সমতল পৃষ্ঠতলে তুলি, আঙুল বা অন্য কোনও সরঞ্জামের সাহায্যে এক বা একাধিক রঙ |
কোনও ধারণা বা অনুভূতি নান্দনিকভাবে প্রকাশের জন্য কোনও সমতল পৃষ্ঠতলে তুলি, আঙুল বা অন্য কোনও সরঞ্জামের সাহায্যে এক বা একাধিক রঙ লেপন করে চিত্র অঙ্কন করাকে রঙিন চিত্রাঙ্কন বা সংক্ষেপে চিত্রাঙ্কন (Painting) বলে। রঙিন চিত্রাঙ্কন এক ধরনের দ্বিমাত্রিক দৃশ্যকলা, অর্থাৎ এটির উল্লম্ব দৈর্ঘ্য ও অনুভূমিক প্রস্থ, শুধুমাত্র এই দুইটি মাত্রা রয়েছে এবং এটিকে চোখ তথা দর্শনেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপভোগ করতে হয়। রঙিন চিত্রাঙ্কনে আকৃতি, রেখা, রঙ, রঙের আভা বা মাত্রা, বুনট, ইত্যাদি উপাদানগুলিকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করে, এগুলিকে নির্দিষ্ট সজ্জায় বিন্যস্ত করে, এগুলির সমন্বয় সাধন করে ও এগুলিকে গ্রন্থনা করে (গেঁথে) কোনও দ্বিমাত্রিক সমতল পৃষ্ঠে আয়তন, শূন্যস্থান, চলন ও আলোর অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয় এবং এভাবে কোনও বাস্তব বা পরাবাস্তব ঘটনা উপস্থাপন, কোনও কাহিনীর বিষয়বস্তুর ব্যাখা প্রদান, কিংবা সম্পূর্ণ বিমূর্ত দৃশ্যমান সম্পর্ক সৃষ্টির মত শৈল্পিক অভিব্যক্তিমূলক কাজ সম্পাদন করা হয়। |
||
রঙিন চিত্রাঙ্কন দ্বিমাত্রিক শৈল্পিক অভিব্যক্তির প্রাচীনতম রূপগুলির একটি। মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন যে শিল্পকর্মগুলি পাওয়া গেছে, রঙিন চিত্র তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে, যেমন মিশরের সভ্যতাতে রেখা দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি এঁকে তার মধ্যে রঙ প্রয়োগ করে দেওয়া হত। গ্রিক সভ্যতার খুব কমসংখ্যক রঙিন চিত্র এখনও টিকে আছে। রোমানরা গ্রিক শিল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যার প্রমাণ মেলে পোম্পেই এবং হার্কুলেনিয়ামের সুক্ষ্ম প্রাচীরচিত্রগুলিতে। |
রঙিন চিত্রাঙ্কন দ্বিমাত্রিক শৈল্পিক অভিব্যক্তির প্রাচীনতম রূপগুলির একটি। মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন যে শিল্পকর্মগুলি পাওয়া গেছে, রঙিন চিত্র তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে, যেমন মিশরের সভ্যতাতে রেখা দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি এঁকে তার মধ্যে রঙ প্রয়োগ করে দেওয়া হত। গ্রিক সভ্যতার খুব কমসংখ্যক রঙিন চিত্র এখনও টিকে আছে। রোমানরা গ্রিক শিল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যার প্রমাণ মেলে পোম্পেই এবং হার্কুলেনিয়ামের সুক্ষ্ম প্রাচীরচিত্রগুলিতে। |
০৫:২০, ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শিল্পকলা (ইংরেজি: The arts) হল অনুভূতি বহিঃপ্রকাশের কোন উপায় বা প্রণালী, যা সাধারণত সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত এবং কালের আবর্তনে এটি সংস্কৃতিকেই পরিবর্তন করতে সহায়তা করে। উদাহরণস্বরূপ, শিল্পকলা হল অভ্যন্তরীণ সৃজনশীল আবেগের একটি বাস্তব পরিস্ফুটন।[১][২] শিল্পকলার প্রধান শাখাসমূহ হল সাহিত্য - যার অন্তর্গত হল কবিতা, উপন্যাস, ছোটগল্প এবং মহাকাব্য; আনুষ্ঠানিক শিল্পকলা - যার অন্তর্গত হল সঙ্গীত, নৃত্য এবং মঞ্চনাটক; রন্ধন শিল্প যেমন পিঠা তৈরি, মিষ্টান্ন তৈরি ও পানীয় প্রস্তুতকরণ; গণমাধ্যম শিল্প যেমন ফটোগ্রাফি ও চিত্রগ্রহণ এবং ভিজুয়াল আর্ট যেমন লাবলু, চিত্রকর্ম, মৃৎশিল্প এবং ভাস্কর্য নির্মাণ। কিছু শিল্পে অভিনয় বা পরিবেশনার পাশাপাশি কোন দৃশ্যমান উপাদানের (যেমন চলচ্চিত্র) এবং লিখিত শব্দ বা বাক্যের (যেমন কমিক্স) সমন্বয় ঘটানো হয়।
প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র থেকে আধুনিক সময়ে চলচ্চিত্র পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রেই শিল্প মানুষের সাথে তার পরিবেশের সম্পর্ককে গল্প বলার ছলে প্রকাশ করে গিয়েছে
রঙিন চিত্রাঙ্কন
কোনও ধারণা বা অনুভূতি নান্দনিকভাবে প্রকাশের জন্য কোনও সমতল পৃষ্ঠতলে তুলি, আঙুল বা অন্য কোনও সরঞ্জামের সাহায্যে এক বা একাধিক রঙ লেপন করে চিত্র অঙ্কন করাকে রঙিন চিত্রাঙ্কন বা সংক্ষেপে চিত্রাঙ্কন (Painting) বলে। রঙিন চিত্রাঙ্কন এক ধরনের দ্বিমাত্রিক দৃশ্যকলা, অর্থাৎ এটির উল্লম্ব দৈর্ঘ্য ও অনুভূমিক প্রস্থ, শুধুমাত্র এই দুইটি মাত্রা রয়েছে এবং এটিকে চোখ তথা দর্শনেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপভোগ করতে হয়। রঙিন চিত্রাঙ্কনে আকৃতি, রেখা, রঙ, রঙের আভা বা মাত্রা, বুনট, ইত্যাদি উপাদানগুলিকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ব্যবহার করে, এগুলিকে নির্দিষ্ট সজ্জায় বিন্যস্ত করে, এগুলির সমন্বয় সাধন করে ও এগুলিকে গ্রন্থনা করে (গেঁথে) কোনও দ্বিমাত্রিক সমতল পৃষ্ঠে আয়তন, শূন্যস্থান, চলন ও আলোর অনুভূতি ফুটিয়ে তোলা হয় এবং এভাবে কোনও বাস্তব বা পরাবাস্তব ঘটনা উপস্থাপন, কোনও কাহিনীর বিষয়বস্তুর ব্যাখা প্রদান, কিংবা সম্পূর্ণ বিমূর্ত দৃশ্যমান সম্পর্ক সৃষ্টির মত শৈল্পিক অভিব্যক্তিমূলক কাজ সম্পাদন করা হয়।
রঙিন চিত্রাঙ্কন দ্বিমাত্রিক শৈল্পিক অভিব্যক্তির প্রাচীনতম রূপগুলির একটি। মানুষের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাচীন যে শিল্পকর্মগুলি পাওয়া গেছে, রঙিন চিত্র তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রাচীন সভ্যতাগুলিতে, যেমন মিশরের সভ্যতাতে রেখা দিয়ে বিভিন্ন আকৃতি এঁকে তার মধ্যে রঙ প্রয়োগ করে দেওয়া হত। গ্রিক সভ্যতার খুব কমসংখ্যক রঙিন চিত্র এখনও টিকে আছে। রোমানরা গ্রিক শিল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, যার প্রমাণ মেলে পোম্পেই এবং হার্কুলেনিয়ামের সুক্ষ্ম প্রাচীরচিত্রগুলিতে।
রঙিন চিত্রাঙ্কন শৈল্পিক অভিব্যক্তির সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় রূপগুলিরও একটি। রঙিন চিত্রাঙ্কনের বহু বিচিত্র শৈলী আছে, যা একেকজন চিত্রকরের নিজস্ব উদ্ভাবন। দর্শন ইন্দ্রিয়কে প্রভাবিতকারী বিভিন্ন ধর্ম, শৈল্পিক অভিব্যক্তি প্রকাশের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা, ইত্যাদি ব্যাপারে রঙের মাধ্যম, অবলম্বন ও অঙ্কনের কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন চিত্রকর রঙের মাধ্যম ও অবলম্বন (support) বিশেষভাবে নির্বাচন করে ও তাঁর নিজস্ব চিত্রাঙ্কন কৌশল প্রয়োগ করে অদ্বিতীয় একটি দৃশ্যমান চিত্রকে বাস্তবে রূপদান করেন।
রঙিন চিত্রাঙ্কনে যে সমতল পৃষ্ঠতলের উপরে রঙ প্রয়োগ করা হয়, তাকে ভূমি (Base) বলে। ভূমি হিসেবে সাধারণত কাঠের পাতলা তক্তা (প্যানেল), পলেস্তারা, পট (ক্যানভাস) এবং কাগজ ব্যবহার করা হয়। চিত্রাঙ্কনে ব্যবহৃত রঙের মূল উপাদান হল রঞ্জক পদার্থ (সাধারণত প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ থেকে প্রাপ্ত)। রঞ্জক পদার্থকে অন্য একটি মাতৃপদার্থে নিলম্বিত বা আবদ্ধ করে রঙ তৈরী করা হয়, যার সুবাদে রঞ্জক পদার্থটি চিত্রের পৃষ্ঠতলে বা ভূমিতে আটকে থাকে; এই মাতৃপদার্থকে রঙের মাধ্যম (Painting medium বা সংক্ষেপে Medium) বলে। সবচেয়ে বেশী প্রচলিত রঙের মাধ্যম হল তেল, পানি, টেমপেরা (ডিমের কুসুম বা এ জাতীয় আঠালো প্রলেপসদৃশ পদার্থ), গুয়াশ (পানিতে দ্রবণীয় আঠা জাতীয় পদার্থবিশেষ), সদ্যোরঙ্গ (ফ্রেসকো), মিনা (এনামেল) ও অ্যাক্রিলিক (কৃত্রিম আঠালো প্রলেপ জাতীয় পদার্থ)। রঙের মাধ্যমভেদে রঞ্জক পদার্থের বিভিন্ন ধর্ম যেমন স্বচ্ছতা বা ঔজ্জ্বল্য কমবেশি হয়ে থাকে।
রঙিন চিত্রাঙ্কনের সবচেয়ে প্রচলিত কিছু ধরন বা শ্রেণী হল সদ্যোরঙ্গ চিত্রাঙ্কন (ফ্রেস্কো Fresco), যেখানে পানিতে দ্রবণীয় রঙ ভেজা পলেস্তারায় প্রয়োগ করে শুকাতে দেওয়া হয়; তৈলচিত্র অঙ্কন, যেখানে রঞ্জক পদার্থ ধীরে ধীরে শুকাতে থাকা তেলের মধ্যে নিলম্বিত থাকে; টেম্পেরা চিত্র অঙ্কন, যেখানে রঞ্জক পদার্থ ডিমের কুসুম বা ঐরূপ আঠালো প্রলেপ জাতীয় পদার্থে নিলম্বিত থাকে; এবং জলরঙ চিত্র অঙ্কন, যেখানে রঞ্জক পদার্থ পানিতে নিলম্বিত থাকে।
পাদটীকা
তথ্যসূত্র
- "The Art of Video Games"। SI.edu। Smithsonian American Art Museum। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Barron, Christina (২৯ এপ্রিল ২০১২)। "Museum exhibit asks: Is it art if you push 'start'?"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Collins, Neil। "Art Definition"। Encyclopedia of Art Education। সংগ্রহের তারিখ ৬ মার্চ ২০১৫।
- "Collins English Dictionary – Complete & Unabridged 11th Edition"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২।
- "Conceptual art"। Tate Glossary। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Feynman, Richard (১৯৮৫)। QED: The Strange Theory of Light and Matter। Princeton University Press। আইএসবিএন 0691024170।
- "FY 2012 Arts in Media Guidelines"। Endow.gov। National Endowment for the Arts। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Gibson, Ellie (২৪ জানুয়ারি ২০০৬)। "Games aren't art, says Kojima"। Eurogamer। Gamer Network। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Harper, Douglas। "Architecture"। Online Etymology Dictionary। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- Kennicott, Philip (১৮ মার্চ ২০১২)। "The Art of Video Games"। The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- Levinson, Jerrold। "Performing Arts"। The Oxford Companion to Philosophy। Oxford University Press। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫।
- New Oxford American Dictionary (3rd সংস্করণ)। Oxford University Press। ২০১০। আইএসবিএন 0195392884।
বহিঃসংযোগ
- Cowan, Tyler (২০০৮)। "Arts"। David R. Henderson (ed.)। Concise Encyclopedia of Economics (2nd সংস্করণ)। Indianapolis: Library of Economics and Liberty। আইএসবিএন 978-0865976658। ওসিএলসি 237794267। – A look at how general economic principles govern the arts.