সূরা ফাজ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু যোগ |
|||
৩২ নং লাইন: | ৩২ নং লাইন: | ||
== মূল বক্তব্য == |
== মূল বক্তব্য == |
||
মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের পুরস্কার ও শাস্তির বিষয়টি এই সূরায় প্রমাণ করা হয়েছে। মক্কার অবিশ্বাসীগণ পরকালকে অস্বীকার করত; তাই সেই সময় নাজিল হওয়া সূরাসমূহে পরকালের বাস্তবতা ও যথার্থতার পক্ষে যুক্তি পেশ করা হয়েছে। এই সূরাটিতেও বিভিন্ন ইতিহাস ও যুক্তি পেশের মাধ্যমে পরকালের বিষয়টি প্রমাণ করা হয়েছে। সূরাটির শুরুতেই কয়েকটি বিষয়ের শপথ করে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এর মধ্যে বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য বিবেচ্য বিষয় আছে কিনা। এখানে দিন রাতের আবর্তনের শপথ করার ব্যাখ্যা এই যে, যে স্রষ্টা একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে দিন রাতের আবর্তন ঘটাতে সক্ষম, তার জন্য পরকাল প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিফল প্রদান করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। এর পর মানবেতিহাস থেকে আদ, সামুদ ও ফিরাউনের ধ্বংস হবার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, যারা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী তাদেরকে যথাসময়ে পাকড়াও করাই আল্লাহ্র নীতি। এই পৃথীবিতে যার যা ইচ্ছা তা করার অধিকার নেই, বরং আল্লাহ সর্বদা নজর রেখে চলেছেন যেন এখানে বিপর্যয় সৃষ্টি না হয়; তিনি পরকালে তো বটেই, প্রয়োজনে দুনিয়ার জীবনেও শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ন্যায়পরায়ণতার দাবী এটাই যে, ভাল এবং মন্দ উভয় রকম কাজেরই যথাযোগ্য প্রতিফল থাকা উচিত। এরপর এই সূরায় অর্থলিপ্সা ও অনাথদের প্রতি নির্দয়তার সমালোচনা করা হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, ভাল এবং মন্দ উভয় কাজেরই যোগ্য প্রতিদান পরকালে প্রদান করা হবে। |
মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের পুরস্কার ও শাস্তির বিষয়টি এই সূরায় প্রমাণ করা হয়েছে। মক্কার অবিশ্বাসীগণ পরকালকে অস্বীকার করত; তাই সেই সময় নাজিল হওয়া সূরাসমূহে পরকালের বাস্তবতা ও যথার্থতার পক্ষে যুক্তি পেশ করা হয়েছে। এই সূরাটিতেও বিভিন্ন ইতিহাস ও যুক্তি পেশের মাধ্যমে পরকালের বিষয়টি প্রমাণ করা হয়েছে। সূরাটির শুরুতেই কয়েকটি বিষয়ের শপথ করে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এর মধ্যে বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য বিবেচ্য বিষয় আছে কিনা। এখানে দিন রাতের আবর্তনের শপথ করার ব্যাখ্যা এই যে, যে স্রষ্টা একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে দিন রাতের আবর্তন ঘটাতে সক্ষম, তার জন্য পরকাল প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিফল প্রদান করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। এর পর মানবেতিহাস থেকে আদ, সামুদ ও ফিরাউনের ধ্বংস হবার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, যারা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী তাদেরকে যথাসময়ে পাকড়াও করাই আল্লাহ্র নীতি। এই পৃথীবিতে যার যা ইচ্ছা তা করার অধিকার নেই, বরং আল্লাহ সর্বদা নজর রেখে চলেছেন যেন এখানে বিপর্যয় সৃষ্টি না হয়; তিনি পরকালে তো বটেই, প্রয়োজনে দুনিয়ার জীবনেও শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ন্যায়পরায়ণতার দাবী এটাই যে, ভাল এবং মন্দ উভয় রকম কাজেরই যথাযোগ্য প্রতিফল থাকা উচিত। এরপর এই সূরায় অর্থলিপ্সা ও অনাথদের প্রতি নির্দয়তার সমালোচনা করা হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, ভাল এবং মন্দ উভয় কাজেরই যোগ্য প্রতিদান পরকালে প্রদান করা হবে। |
||
== আয়াত সমূহ == |
|||
وَالْفَجْرِ |
|||
শপথ ফজরের, |
|||
وَلَيَالٍ عَشْرٍ |
|||
শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার, |
|||
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ |
|||
যা জোড় ও যা বিজোড় |
|||
وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ |
|||
এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে |
|||
هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ |
|||
এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে। |
|||
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ |
|||
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন, |
|||
إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ |
|||
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং |
|||
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ |
|||
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি |
|||
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ |
|||
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল। |
|||
وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ |
|||
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে |
|||
الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ |
|||
যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল। |
|||
فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ |
|||
অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল। |
|||
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ |
|||
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন। |
|||
إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ |
|||
নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। |
|||
فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ |
|||
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন। |
|||
وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ |
|||
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন। |
|||
كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ |
|||
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না। |
|||
وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ |
|||
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। |
|||
وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا |
|||
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল |
|||
وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا |
|||
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস। |
|||
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا |
|||
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে |
|||
وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا |
|||
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, |
|||
وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى |
|||
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে? |
|||
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي |
|||
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! |
|||
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ |
|||
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। |
|||
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ |
|||
এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। |
|||
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ |
|||
হে প্রশান্ত মন, |
|||
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً |
|||
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। |
|||
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي |
|||
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও। |
|||
وَادْخُلِي جَنَّتِي |
|||
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৭:৫৭, ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শ্রেণী | মক্কী সূরা |
---|---|
নামের অর্থ | ভোর, প্রভাত |
অবতীর্ণ হওয়ার সময় | মাক্কী যুগের এমন এক সময় যখন মুসলিমগণ চরমভাবে নির্যাতিত হচ্ছিলেন |
পরিসংখ্যান | |
সূরার ক্রম | ৮৯ |
আয়াতের সংখ্যা | ৩০ |
পারার ক্রম | ৩০ |
রুকুর সংখ্যা | ১ |
সিজদাহ্র সংখ্যা | নেই |
শব্দের সংখ্যা | ১৩৯ |
অক্ষরের সংখ্যা | ৫৭৩ |
← পূর্ববর্তী সূরা | সূরা গাশিয়াহ্ |
পরবর্তী সূরা → | সূরা বালাদ |
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ |
কুরআন |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
আল ফাজ্র (আরবি: سورة الفجر) কুরআনের ৮৯তম সূরা। আল ফাজ্র শব্দের অর্থ ভোর। এই সূরাটি কুরআনের ৩০তম পারায় অবস্থিত। এতে ৩০টি আয়াত আছে।[১] এই সূরাতে প্রাচীনকালের কয়েকটি অবিশ্বাসী জাতির ধ্বংস হওয়ার কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া অর্থলিপ্সু ও নির্দয় লোকদের সমালোচনাও এই সূরায় বিদ্যমান। এখানে সৎ ও সত্যপন্থীদেরকে জান্নাতের সুসংবাদও দেয়া হয়েছে। এই সূরার শুরুতে প্রভাত বেলার শপথ করে বক্তব্য সূচনা করা হয়েছে।[২][৩]
নামকরণ
সূরাটির প্রথম শব্দ 'আল ফাজ্র' এর নাম হিসেবে নেয়া হয়েছে।
মূল বক্তব্য
মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের পুরস্কার ও শাস্তির বিষয়টি এই সূরায় প্রমাণ করা হয়েছে। মক্কার অবিশ্বাসীগণ পরকালকে অস্বীকার করত; তাই সেই সময় নাজিল হওয়া সূরাসমূহে পরকালের বাস্তবতা ও যথার্থতার পক্ষে যুক্তি পেশ করা হয়েছে। এই সূরাটিতেও বিভিন্ন ইতিহাস ও যুক্তি পেশের মাধ্যমে পরকালের বিষয়টি প্রমাণ করা হয়েছে। সূরাটির শুরুতেই কয়েকটি বিষয়ের শপথ করে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, এর মধ্যে বুদ্ধিমান মানুষদের জন্য বিবেচ্য বিষয় আছে কিনা। এখানে দিন রাতের আবর্তনের শপথ করার ব্যাখ্যা এই যে, যে স্রষ্টা একটি সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে দিন রাতের আবর্তন ঘটাতে সক্ষম, তার জন্য পরকাল প্রতিষ্ঠা করা এবং প্রতিফল প্রদান করা মোটেই কঠিন কিছু নয়। এর পর মানবেতিহাস থেকে আদ, সামুদ ও ফিরাউনের ধ্বংস হবার উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, যারা দুনিয়াতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারী তাদেরকে যথাসময়ে পাকড়াও করাই আল্লাহ্র নীতি। এই পৃথীবিতে যার যা ইচ্ছা তা করার অধিকার নেই, বরং আল্লাহ সর্বদা নজর রেখে চলেছেন যেন এখানে বিপর্যয় সৃষ্টি না হয়; তিনি পরকালে তো বটেই, প্রয়োজনে দুনিয়ার জীবনেও শাস্তি প্রদান করে থাকেন। ন্যায়পরায়ণতার দাবী এটাই যে, ভাল এবং মন্দ উভয় রকম কাজেরই যথাযোগ্য প্রতিফল থাকা উচিত। এরপর এই সূরায় অর্থলিপ্সা ও অনাথদের প্রতি নির্দয়তার সমালোচনা করা হয়েছে। সবশেষে বলা হয়েছে, ভাল এবং মন্দ উভয় কাজেরই যোগ্য প্রতিদান পরকালে প্রদান করা হবে।
আয়াত সমূহ
وَالْفَجْرِ
শপথ ফজরের,
وَلَيَالٍ عَشْرٍ
শপথ দশ রাত্রির, শপথ তার,
وَالشَّفْعِ وَالْوَتْرِ
যা জোড় ও যা বিজোড়
وَاللَّيْلِ إِذَا يَسْرِ
এবং শপথ রাত্রির যখন তা গত হতে থাকে
هَلْ فِي ذَلِكَ قَسَمٌ لِّذِي حِجْرٍ
এর মধ্যে আছে শপথ জ্ঞানী ব্যক্তির জন্যে।
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِعَادٍ
আপনি কি লক্ষ্য করেননি, আপনার পালনকর্তা আদ বংশের ইরাম গোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন,
إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ
যাদের দৈহিক গঠন স্তম্ভ ও খুঁটির ন্যায় দীর্ঘ ছিল এবং
الَّتِي لَمْ يُخْلَقْ مِثْلُهَا فِي الْبِلَادِ
যাদের সমান শক্তি ও বলবীর্যে সারা বিশ্বের শহরসমূহে কোন লোক সৃজিত হয়নি
وَثَمُودَ الَّذِينَ جَابُوا الصَّخْرَ بِالْوَادِ
এবং সামুদ গোত্রের সাথে, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে গৃহ নির্মাণ করেছিল।
وَفِرْعَوْنَ ذِي الْأَوْتَادِ
এবং বহু কীলকের অধিপতি ফেরাউনের সাথে
الَّذِينَ طَغَوْا فِي الْبِلَادِ
যারা দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
فَأَكْثَرُوا فِيهَا الْفَسَادَ
অতঃপর সেখানে বিস্তর অশান্তি সৃষ্টি করেছিল।
فَصَبَّ عَلَيْهِمْ رَبُّكَ سَوْطَ عَذَابٍ
অতঃপর আপনার পালনকর্তা তাদেরকে শাস্তির কশাঘাত করলেন।
إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ
নিশ্চয় আপনার পালকর্তা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
فَأَمَّا الْإِنسَانُ إِذَا مَا ابْتَلَاهُ رَبُّهُ فَأَكْرَمَهُ وَنَعَّمَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَكْرَمَنِ
মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মান দান করেছেন।
وَأَمَّا إِذَا مَا ابْتَلَاهُ فَقَدَرَ عَلَيْهِ رِزْقَهُ فَيَقُولُ رَبِّي أَهَانَنِ
এবং যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলেঃ আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় করেছেন।
كَلَّا بَل لَّا تُكْرِمُونَ الْيَتِيمَ
এটা অমূলক, বরং তোমরা এতীমকে সম্মান কর না।
وَلَا تَحَاضُّونَ عَلَى طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না।
وَتَأْكُلُونَ التُّرَاثَ أَكْلًا لَّمًّا
এবং তোমরা মৃতের ত্যাজ্য সম্পত্তি সম্পূর্ণরূপে কুক্ষিগত করে ফেল
وَتُحِبُّونَ الْمَالَ حُبًّا جَمًّا
এবং তোমরা ধন-সম্পদকে প্রাণভরে ভালবাস।
كَلَّا إِذَا دُكَّتِ الْأَرْضُ دَكًّا دَكًّا
এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে
وَجَاء رَبُّكَ وَالْمَلَكُ صَفًّا صَفًّا
এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন,
وَجِيءَ يَوْمَئِذٍ بِجَهَنَّمَ يَوْمَئِذٍ يَتَذَكَّرُ الْإِنسَانُ وَأَنَّى لَهُ الذِّكْرَى
এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ স্মরণ করবে, কিন্তু এই স্মরণ তার কি কাজে আসবে?
يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!
فَيَوْمَئِذٍ لَّا يُعَذِّبُ عَذَابَهُ أَحَدٌ
সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না।
وَلَا يُوثِقُ وَثَاقَهُ أَحَدٌ
এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না।
يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে প্রশান্ত মন,
ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَّرْضِيَّةً
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।
فَادْخُلِي فِي عِبَادِي
অতঃপর আমার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
وَادْخُلِي جَنَّتِي
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর।
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
- Surah Al-Fajr (Complete text in Arabic with English and French translations)