সূরা ইনফিতার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Salim Khandoker (আলোচনা | অবদান)
→‎নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
বিষয়বস্তু যোগ
৪০ নং লাইন: ৪০ নং লাইন:
তাতে রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
তাতে রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
"যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায়, সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা '''ইনফিতার''' ও সূরা ইনশিকাক পড়ে নেয়।"
"যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায়, সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা '''ইনফিতার''' ও সূরা ইনশিকাক পড়ে নেয়।"

== আয়াত সমূহ ==
إِذَا السَّمَاء انفَطَرَتْ

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,

وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ

যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,

وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ

যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,

وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ

এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,

عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ

তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।

يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ

হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?

الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ

যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।

فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاء رَكَّبَكَ

যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।

كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ

কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।

وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।

كِرَامًا كَاتِبِينَ

সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।

يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ

তারা জানে যা তোমরা কর।

إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ

সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।

وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ

এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;

يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ

তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।

وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ

তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ

আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ

অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ

যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃêত্ব হবে আল্লাহর।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৭:৪৪, ২০ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আল-ইনফিতার
الانفطار
শ্রেণীমাক্কী সূরা
নামের অর্থবিদীর্ণ করা
পরিসংখ্যান
সূরার ক্রম৮২
আয়াতের সংখ্যা১৯
পারার ক্রম৩০
রুকুর সংখ্যানেই
সিজদাহ্‌র সংখ্যানেই
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা তাকভীর
পরবর্তী সূরা →সূরা মুতাফ্‌ফিফীন
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

সূরা আল-ইনফিতার‌ (আরবি ভাষায়: الانفطار‎) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ৮২ তম সূরা, এর আয়াত অর্থাৎ বাক্য সংখ্যা ১৯; তবে এতে কোন রূকু তথা অনুচ্ছেদ নেই। সূরা আল-ইনফিতার‌ মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

নামকরণ

এই সূরাটির প্রথম আয়াতের اِ نْفَطَرَتْ বাক্যাংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরাটিতে نفطار (‘ইনফিতার‌’) শব্দটি রয়েছে এটি সেই সূরা।[১]

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

এই সূরা আর সূরা আত্‌ তাকভীর এর বিষয়বস্তুর মধ্যে গভীর ভাবে মিল খূঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায়, এই সূরা দুটি প্রায় একই সময়ে নাযিল হয়েছে...। সুতরাং এটি মক্কা মু'আয্‌যামার প্রথম যুগের নাযিল হওয়া সূরাগুলোর অন্তরভূক্ত।

শানে নুযূল

বিষয়বস্তুর বিবরণ

এর বিষয়বস্তু হচ্ছে আখিরাত। মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী, ইবনুল মন্‌যার,তাবারানী হাকিম ও ইবনে মারদুইয়ায়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) এর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত হয়েছে। তাতে রসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিনটি নিজের চোখে দেখতে চায়, সে যেন সূরা তাকভীর, সূরা ইনফিতার ও সূরা ইনশিকাক পড়ে নেয়।"

আয়াত সমূহ

إِذَا السَّمَاء انفَطَرَتْ

যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,

وَإِذَا الْكَوَاكِبُ انتَثَرَتْ

যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,

وَإِذَا الْبِحَارُ فُجِّرَتْ

যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,

وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ

এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,

عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ

তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।

يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ

হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?

الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ

যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।

فِي أَيِّ صُورَةٍ مَّا شَاء رَكَّبَكَ

যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।

كَلَّا بَلْ تُكَذِّبُونَ بِالدِّينِ

কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।

وَإِنَّ عَلَيْكُمْ لَحَافِظِينَ

অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।

كِرَامًا كَاتِبِينَ

সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।

يَعْلَمُونَ مَا تَفْعَلُونَ

তারা জানে যা তোমরা কর।

إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ

সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।

وَإِنَّ الْفُجَّارَ لَفِي جَحِيمٍ

এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;

يَصْلَوْنَهَا يَوْمَ الدِّينِ

তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।

وَمَا هُمْ عَنْهَا بِغَائِبِينَ

তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।

وَمَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ

আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

ثُمَّ مَا أَدْرَاكَ مَا يَوْمُ الدِّينِ

অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

يَوْمَ لَا تَمْلِكُ نَفْسٌ لِّنَفْسٍ شَيْئًا وَالْأَمْرُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ

যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃêত্ব হবে আল্লাহর।

তথ্যসূত্র

  1. "সূরার নামকরণ"www.banglatafheem.comতাফহীমুল কোরআন, ২০ অক্টোবর ২০১০। ১৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ : ২৭ জুলাই ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ