পাথরঘাটা উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→কৃতী ব্যক্তিত্ব: তথ্য সন্নিবেশ করে৷ ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
||
১২৩ নং লাইন: | ১২৩ নং লাইন: | ||
* মল্লিক মোহাম্মদ আইয়ুব |
* মল্লিক মোহাম্মদ আইয়ুব |
||
* শওকত হাসানুর রহমান রিমন |
* শওকত হাসানুর রহমান রিমন |
||
* সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার |
|||
*অধ্যাপক আখতারুজ্জামান (মাননীয় ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) |
*অধ্যাপক আখতারুজ্জামান (মাননীয় ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) |
||
১২:০২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পাথরঘাটা | |
---|---|
উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২′ উত্তর ৮৯°৫৮′ পূর্ব / ২২.০৩৩° উত্তর ৮৯.৯৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | বরিশাল বিভাগ |
জেলা | বরগুনা জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ৩৮৭.৩৬ বর্গকিমি (১৪৯.৫৬ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,২৫,৫২৭ |
• জনঘনত্ব | ৫৮০/বর্গকিমি (১,৫০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬৫% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৮৭২০ |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ১০ ০৪ ৮৫ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
পাথরঘাটা উপজেলা বাংলাদেশের বরগুনা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। যার দক্ষিণে বিস্তৃত রয়েছে বঙ্গোপসাগরের সুবিস্তৃত জলরাশি।
এ উপজেলার অধিবাসীদের প্রধান পেশা মৎস্য আহরণ। এখানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মস্য অবতরণ ও পাইকারী বাজার রয়েছে।
অবস্থান
এই উপজেলাটির পূর্বে বিষখালী নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে বলেশ্বর নদী ও সুন্দরবন এবং উত্তরে বামনা ও মঠবাড়িয়া উপজেলা অবস্থিত।
প্রশাসনিক এলাকা
পাথরঘাটা উপজেলা ০৭ টি ইউনিয়ন ও ০১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
- ইউনিয়নগুলো হলঃ
- রায়হানপুর ইউনিয়ন
- নাচনাপাড়া ইউনিয়ন
- চরদুয়ানী ইউনিয়ন
- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন
- কালমেঘা ইউনিয়ন
- কাকচিড়া ইউনিয়ন
- কঁাঠালতলী ইউনিয়ন
- পৌরসভা হল :
- পাথরঘাটা পৌরসভা
দর্শনীয় স্থান
ইতিহাস
পাথরঘাটার পূর্ব নাম বাধাঘাটা। তবে পাথরঘাটা নামকরণের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে প্রায় তেমন কিছুই জানা যায় না। তবে জনশ্রুতি রয়েছে যে, এ উপজেলার ভূ-অভ্যন্তরে বিদ্যমান পাথরের অস্তিত্ব থেকেই পাথরঘাটা নামকরণের সূচনা হয়েছিল। ১৯০৩ সনে এ নামকরণের সূত্রপাতঘটে মর্মে ধারণা করা হয়। তৎকালীন বৃটিশ আমলে চট্টগ্রাম মাইজ ভান্ডার শরীফ থেকে বাগেরহাটের খাজা খান জাহান আলী নদীপথে অলৌকিকভাবে বাগেরহাটে পাথর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বিশখালী এবং বলেশ্বর নদীর মোহনায় এক রাতের জন্য ঘাটি স্থাপন করেছিলেন। উক্ত পাথরের কিয়দংশ এখানে রয়ে যায়। সে কারণেই এলাকাটি পাথরঘাটি নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তীতে পাথরঘাটি নামটি পাথরঘাটা নামে নবরূপ লাভ করে। এরপর থেকে মঠবাড়িয়া-বামনা-বেতাগী এলাকার কিছু লোকজন এখানে এসে সুন্দরী গাছের বাগান কেটে বসবাস শুরু করে। এরপর বৃটিশ সরকার ১৯১০ সনে এলাকার জায়গা জমির উপর নামজারী করে ১৯১৩ সনে ক্ষুদবার বন্যায় এসব এলাকার বসতিদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯২৬ সনে বৃটিশ সরকার ঢাকা এবং ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীদের এনে পাথরঘাটা বাজারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরী করেন। উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল দর্জি ও মিষ্টির দোকান। ১৯৪৭ সনের পর যখন ইংরেজ শাসন আমলের পরিসমাপ্তি ঘটে তখন থেকে পটুয়াখালী সাব ডিভিশনের বাকেরগঞ্জ মহাকুমার আওতায় এ এলাকার শাসনভার চলে। পরে ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পর এলাকার কিছু কিছু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সাধিত হলেও ১৯৮৫ সালে যখন এরশাদ সরকার উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন করেন তখন থেকেই এ এলাকার সড়ক যোগাযোগের সূত্রপাত ঘটে। তৎপূর্বে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌ-পথের পান্সী নৌকা। পাথরঘাটা নামের স্বার্থকতার প্রমাণস্বরূপ এখনো পাথরঘাটার মাটির তলদেশে পাথরের অসিতত্ব বিদ্যমান। যে কারণে এ এলাকায় ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা সম্ভব হয় না। ২২-২৪ ফুট গভীরে পাথরের সন্ধান মেলে। এলাকার আদিবাসীরা বসতি স্থাপনের প্রাক্কালে বড় বড় গাছ কেটে বসত-বাটী তৈরী করেছিল। সেসব গাছের গোড়ার অংশ এখনো মাটির নীচে পাওয়া যায়, যা মাটির গভীর থেকে উত্তোলন করে এলাকার লোকজন জ্বালানী কাঠের চাহিদা মেটায়।
০৭ টি ইউনিয়ন নিয়ে এ উপজেলার যাত্রা হলেও বিগত কয়েক বছর পূর্বে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন এবং কালমেঘা ইউনিয়নের কিয়দাংশ নিয়ে পাথরঘাটা পৌরসভার সূচনা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
জনসংখ্যার উপাত্ত
জনসংখ্যা (২০১১)
• মোট ২,২৫,৫২৭ • ঘনত্ব ৫৮০/কিমি২ (১৫০০/বর্গমাইল)
শিক্ষা
এ উপজেলার শিক্ষার হার ৬৫ শতাংশ, যার মধ্যে পুরুষ ৬৮ শতাংশ ও মহিলা ৬২ শতাংশ। পাথরঘাটায় ৯ টি কলেজ, ৪১ টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১০৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮ টি বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়াও ২ টি কামিল মাদ্রাসা, ৪ টি ফাজিল, ৭ টি আলিম ও ১৬ টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহঃ
- তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী
- হাড়িটানা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- বাদুরতলা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা
- পাথরঘাটা কে.এম. উচ্চ বিদ্যালয়
- পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- পাথরঘাটা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- সৈয়দ ফজলুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
- মাজহারউদ্দিন টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ
- রুহিতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- রায়হানপুর কলেজ
- পাথরঘাটা ডিগ্রী কলেজ
- চৌধুরী মাসুম টেকনিকাল কলেজ
- কালমেঘা সরকারি হাই স্কুল
- কালমেঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
- চরদুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়
- চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ
- চরদুয়ানী তা’লিমুল কুরআন কওমী ও নুরানী মাদ্রাসা।
যোগাযোগব্যবস্থা
পাথরঘাটায় পাকা রাস্তার পরিমাণ ১৮২.১৪ কিঃমিঃ। অর্ধ পাকা রাস্তার পরিমাণ ১০৯.০৩ কিঃমিঃ। কাঁচা রাস্তার পরিমাণ ২০৯.১২ কিঃমিঃ। ব্রীজ/কালভার্টের সংখ্যা ৪৬৬ টি। নদীর সংখ্যা ০২ টি। [২]
ধর্মীয় উপাসনালয়
পাথরঘাটা উপজেলায় ৪৪৩ টি মসজিদ এবং ৫৬ টি মন্দির রয়েছে।[৩]
স্বাস্থ্য
এ উপজেলায় ৫০ বেডের একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স রয়েছে। এছাড়া ১৯ টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এ উপজেলায় ডাক্তারের মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা ৩৭ টি। কিন্তু ৩৪ জন বর্তমানে কর্মরত আছেন। সিনিয়র নার্সের পদ ১৫ টি, কর্মরত আছেন ১৩ জন। এছাড়া একটি সহকারি নার্সের পদ রয়েছে। [২]
নদ-নদী
এই উপজেলাটির পূর্বে বিষখালী নদী, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পশ্চিমে বলেশ্বর নদী অবস্থিত।
পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী
সংকল্প সংবাদ (নিয়মিত), পাথরঘাটা বার্তা (অধুনা বিলুপ্ত)। [৩]
প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হক
- আলহাজ্ব গোলাম সবুর টুলু
- মল্লিক মোহাম্মদ আইয়ুব
- শওকত হাসানুর রহমান রিমন
- অধ্যাপক আখতারুজ্জামান (মাননীয় ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
সংসদীয় আসন
সংসদীয় আসনঃ বরগুনা-১১০
উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন
অর্থনীতি
পাথরঘাটা উপজেলার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড মূলতঃ মৎস্য আহরণ ও কৃষি নির্ভর। এখানে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মৎস অবতরণ ও পাইকারী বাজার আছে।সারাদেশে এ মাছ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে। মাছ সংরক্ষণের জন্য আছে বরফকল। এছাড়াও এখানকার মানুষ কৃষি কাজের সাথেও জড়িত। ধান,আলু,ডাল,সূর্যমুখী,আখ,মরিচ ইত্যাদি নানা অর্থকরী ফসল উৎপাদনের সাথে এখানকার মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত। এসব সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগারের ব্যবস্থা রয়েছে।কৃষি ব্যবস্থার একটি বড় সমস্যা হল লবণাক্ততা। তা সত্তেও এখানকার উৎপাদিত চাল, আলু,ডাল এখানকার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।
আরও দেখুন
তথ্যসুত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে পাথরঘাটা উপজেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (ফেব্রুয়ারি, ২০১৮)। "এক নজরে"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "পাথরঘাটা উপজেলা"।
বহিঃসংযোগ
বরিশাল বিভাগের স্থান বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |