বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
== অভিনয় জীবন ==
== অভিনয় জীবন ==
প্রথম দিকে বিহারীলাল কলকাতার ধনী বাঙালি বাড়িগুলিতে শৌখিন নাট্যশালাগুলিতে নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । [[১৮৫৭]] সালে [[জয়রাম বসাক|জয়রাম বসাকের]] বাড়িতে [[কুলীনকুলসর্বস্ব]] নাটকের অভিনয়ে একজন মহিলার চরিত্রে এবং [[১৮৫৯]] সালে [[মেট্রোপলিটান থিয়েটার|মেট্রোপলিটান থিয়েটারে]] [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] উদ্যোগে অভিনীত [[উমেশচন্দ্র মিত্র|উমেশচন্দ্র মিত্রের]] [[বিধবা বিবাহ (নাটক)|বিধবা বিবাহ]] নাটকে সুলোচনার ভূমিকায় অভিনয় করেন ।
প্রথম দিকে বিহারীলাল কলকাতার ধনী বাঙালি বাড়িগুলিতে শৌখিন নাট্যশালাগুলিতে নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । [[১৮৫৭]] সালে [[জয়রাম বসাক|জয়রাম বসাকের]] বাড়িতে [[কুলীনকুলসর্বস্ব]] নাটকের অভিনয়ে একজন মহিলার চরিত্রে এবং [[১৮৫৯]] সালে [[মেট্রোপলিটান থিয়েটার|মেট্রোপলিটান থিয়েটারে]] [[কেশবচন্দ্র সেন|কেশবচন্দ্র সেনের]] উদ্যোগে অভিনীত [[উমেশচন্দ্র মিত্র|উমেশচন্দ্র মিত্রের]] [[বিধবা বিবাহ (নাটক)|বিধবা বিবাহ]] নাটকে সুলোচনার ভূমিকায় অভিনয় করেন ।
এরপর [[১৮৬৭]] সালে শোভাবাজার নাট্যশালায় [[কৃষ্ণকুমারী]] নাটকে তিনি প্রথম পুরুষ চরিত্র ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেন । তাঁর সুলোচনা এবং ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় [[গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষের]] প্রশংসা পেয়েছিল ।
এরপর [[১৮৬৭]] সালে শোভাবাজার নাট্যশালায় [[কৃষ্ণকুমারী]] নাটকে তিনি প্রথম পুরুষ চরিত্র ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেন । তার সুলোচনা এবং ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় [[গিরিশচন্দ্র ঘোষ|গিরিশচন্দ্র ঘোষের]] প্রশংসা পেয়েছিল ।


[[১৮৭৩]] খ্রীষ্টাব্দে [[শরৎচন্দ্র ঘোষ]] [[বেঙ্গল থিয়েটার]] প্রতিষ্ঠা করলে বিহারীলাল সেখানে যুক্ত হন । শুরুর দিকে তিনি এই থিয়েটারে অভিনেতা এবং সহকারী ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন । এই থিয়েটারে বিহারীলালের উল্লেখযোগ্য অভিনয় গুলির মধ্যে ছিল শর্মিষ্ঠা নাটকে শুক্রাচার্য, মৃণালিনী নাটকে মাধবাচার্য, কপালকুণ্ডলা নাটকে কাপালিক, মোহান্তের এই কি কাজ নাটকে মোহান্ত [[চন্দ্রশেখর]] নাটকে চন্দ্রশেখর, দুর্গেশনন্দিনী নাটকে অভিরাম স্বামী প্রভৃতি । অভিনেত্রী [[বিনোদিনী]] তাঁর আত্মজীবনীতে বিহারীলালের কাপালিক চরিত্রের অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন ।
[[১৮৭৩]] খ্রীষ্টাব্দে [[শরৎচন্দ্র ঘোষ]] [[বেঙ্গল থিয়েটার]] প্রতিষ্ঠা করলে বিহারীলাল সেখানে যুক্ত হন । শুরুর দিকে তিনি এই থিয়েটারে অভিনেতা এবং সহকারী ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন । এই থিয়েটারে বিহারীলালের উল্লেখযোগ্য অভিনয় গুলির মধ্যে ছিল শর্মিষ্ঠা নাটকে শুক্রাচার্য, মৃণালিনী নাটকে মাধবাচার্য, কপালকুণ্ডলা নাটকে কাপালিক, মোহান্তের এই কি কাজ নাটকে মোহান্ত [[চন্দ্রশেখর]] নাটকে চন্দ্রশেখর, দুর্গেশনন্দিনী নাটকে অভিরাম স্বামী প্রভৃতি । অভিনেত্রী [[বিনোদিনী]] তার আত্মজীবনীতে বিহারীলালের কাপালিক চরিত্রের অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন ।
[[১৮৮০]] খ্রীষ্টাব্দে [[শরৎচন্দ্র ঘোষ|শরৎচন্দ্র ঘোষের]] মৃত্যু হলে বিহারীলাল [[বেঙ্গল থিয়েটার|বেঙ্গল থিয়েটারের]] কর্ণধার হয়েছিলেন । এরপর বিহারীলালের মৃত্যু [[১৯০১]] অবধি প্রায় কুড়ি বছর বিহারীলাল বেঙ্গল থিয়েটারের অভিনয় সহ সমস্ত কাজই দক্ষতার সাথে করেছিলেন।
[[১৮৮০]] খ্রীষ্টাব্দে [[শরৎচন্দ্র ঘোষ|শরৎচন্দ্র ঘোষের]] মৃত্যু হলে বিহারীলাল [[বেঙ্গল থিয়েটার|বেঙ্গল থিয়েটারের]] কর্ণধার হয়েছিলেন । এরপর বিহারীলালের মৃত্যু [[১৯০১]] অবধি প্রায় কুড়ি বছর বিহারীলাল বেঙ্গল থিয়েটারের অভিনয় সহ সমস্ত কাজই দক্ষতার সাথে করেছিলেন।



১২:৫৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বিহারীলাল চট্টোপাধ্যায় (১৮৪০-১৯০১) ছিলেন একজন বিখ্যাত অভিনেতা, নাট্যকার এবং মঞ্চাধ্যক্ষ । তিনি ইংরাজি শিখে ব্রিটিশ কোম্পানি এবং রেল বিভাগে চাকরি করেছিলেন ।

অভিনয় জীবন

প্রথম দিকে বিহারীলাল কলকাতার ধনী বাঙালি বাড়িগুলিতে শৌখিন নাট্যশালাগুলিতে নারী চরিত্রে অভিনয় করতেন । ১৮৫৭ সালে জয়রাম বসাকের বাড়িতে কুলীনকুলসর্বস্ব নাটকের অভিনয়ে একজন মহিলার চরিত্রে এবং ১৮৫৯ সালে মেট্রোপলিটান থিয়েটারে কেশবচন্দ্র সেনের উদ্যোগে অভিনীত উমেশচন্দ্র মিত্রের বিধবা বিবাহ নাটকে সুলোচনার ভূমিকায় অভিনয় করেন । এরপর ১৮৬৭ সালে শোভাবাজার নাট্যশালায় কৃষ্ণকুমারী নাটকে তিনি প্রথম পুরুষ চরিত্র ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় করেন । তার সুলোচনা এবং ভীমসিংহের ভূমিকায় অভিনয় গিরিশচন্দ্র ঘোষের প্রশংসা পেয়েছিল ।

১৮৭৩ খ্রীষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র ঘোষ বেঙ্গল থিয়েটার প্রতিষ্ঠা করলে বিহারীলাল সেখানে যুক্ত হন । শুরুর দিকে তিনি এই থিয়েটারে অভিনেতা এবং সহকারী ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন । এই থিয়েটারে বিহারীলালের উল্লেখযোগ্য অভিনয় গুলির মধ্যে ছিল শর্মিষ্ঠা নাটকে শুক্রাচার্য, মৃণালিনী নাটকে মাধবাচার্য, কপালকুণ্ডলা নাটকে কাপালিক, মোহান্তের এই কি কাজ নাটকে মোহান্ত চন্দ্রশেখর নাটকে চন্দ্রশেখর, দুর্গেশনন্দিনী নাটকে অভিরাম স্বামী প্রভৃতি । অভিনেত্রী বিনোদিনী তার আত্মজীবনীতে বিহারীলালের কাপালিক চরিত্রের অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন । ১৮৮০ খ্রীষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র ঘোষের মৃত্যু হলে বিহারীলাল বেঙ্গল থিয়েটারের কর্ণধার হয়েছিলেন । এরপর বিহারীলালের মৃত্যু ১৯০১ অবধি প্রায় কুড়ি বছর বিহারীলাল বেঙ্গল থিয়েটারের অভিনয় সহ সমস্ত কাজই দক্ষতার সাথে করেছিলেন।

সাহিত্য কর্ম

বেঙ্গল থিয়েটারের সর্বেসর্বা হবার পর তিনি নাটক রচনায় মনোযোগী হন । আগে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দুর্গেশনন্দিনী উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন । এরপর তিনি বঙ্কিমচন্দ্র রমেশচন্দ্র প্রমুখ লেখকের উপন্যাসের নবীনচন্দ্রের পলাশীর যুদ্ধ কাব্যের নাট্যরূপ দেন । তিনি নিজে রচনা করেন সুভদ্রাহরন, রাবণবধ, পাণ্ডব নির্বাসন, শ্রীবৎসচিন্তা, প্রভাসমিলন, নন্দবিদায়, জন্মাষ্টমী, দ্রৌপদীর স্বয়ম্বর প্রভৃতি নাটক ও গীতিনাট্য । সবকটি নাটকই বেঙ্গল থিয়েটারে অভিনীত হয়েছিল ।

অভিনেতা হিসাবে বিহারীলাল শান্ত, সংযত, আদর্শ ও ধর্মপ্রান চরিত্রে সফলে হয়েছিলেন । নাট্যকার হিসাবে তিনি পৌরানিক নাটকে সফল ছিলেন । নাটক পরিচালক হিসাবে তিনি খুব একটা কৃতিত্ব দেখাতে পারেন নি । রঙ্গমঞ্চ পরিচালনা, এবং অধ্যক্ষের নানা কাজে তিনি পারদর্শী ছিলেন ।

তথ্যসূত্র

বাংলা থিয়েটারের ইতিহাস - দর্শন চৌধুরী - পুস্তক বিপণী কলকাতা