অনূঢ়া তেনেকুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
5টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 0টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta10)
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৭১ নং লাইন: ৭১ নং লাইন:


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
ছয় বছর বয়সে অনুরাধাপুরা থেকে [[কলম্বো|কলম্বোয়]] স্থানান্তরিত হন। সেখানে মাউন্ট লাভিনিয়ায় অবস্থিত এস. টমাস কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি স্কুল হোস্টেলে অবস্থান করেন। ক্রিকেটের প্রতি আসক্তির কারণে স্কুল ক্রিকেট দলের সদস্য হন।<ref name="spirit">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2009/11/22/spo06.asp|শিরোনাম=Anura Tennekoon – spirit of cricket|শেষাংশ=Wijesinghe|প্রথমাংশ=Rohan|তারিখ=22 November 2009|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091129204317/http://www.sundayobserver.lk/2009/11/22/spo06.asp#|আর্কাইভের-তারিখ=২৯ নভেম্বর ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এরপর থোমিয়ান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেন।<ref name="thomian">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.island.lk/2002/03/03/sports14.html|শিরোনাম=The "Battle of the Blues" and its reminiscences|শেষাংশ=Manamendra|প্রথমাংশ=Renu |তারিখ=3 March 2002|কর্ম=The Island|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> ১৯৬৪ সালে সেরা ছাত্র হিসেবে বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান মনোনীত হন। তাঁর পূর্ববর্তী মৌসুমের [[ব্যাটিং গড়]] ছিল ৫৬.৮৪ ও তিনি সর্বসাকুল্যে ৫১৩ রান তোলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sundaytimes.lk/090823/Sports/sp_04.html|শিরোনাম=Fifty years hence and the contest goes on|শেষাংশ=Akbar|প্রথমাংশ=Rangi |তারিখ=23 August 2009|কর্ম=The Sunday Times|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> এরপর ১৯৬৬ সালে সিলন দলের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) পক্ষে ও সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেন। এরপর [[সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব|সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে]] (এসএসসি) চলে যান। এছাড়াও [[Ceylon Board President's XI|সিলন বোর্ড সভাপতি একাদশের]] পক্ষেও খেলেছেন তেনেকুন।<ref name="spirit" /> ১৯৭৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা অপরাজিত ১৬৯* রান তোলেন। টেস্ট মর্যাদা লাভের পূর্বে তাঁর এ সংগ্রহটিই যে-কোন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।<ref name="thomian" /><ref name="firstcaptain">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2004/02/01/spo08.html|শিরোনাম=So, Royal really lost 1885 match to S. Thomas'|শেষাংশ=Manamendra|প্রথমাংশ=Renu|তারিখ=1 February 2004|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110605113817/http://www.sundayobserver.lk/2004/02/01/spo08.html#|আর্কাইভের-তারিখ=৫ জুন ২০১১|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> পরিচ্ছন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।
ছয় বছর বয়সে অনুরাধাপুরা থেকে [[কলম্বো|কলম্বোয়]] স্থানান্তরিত হন। সেখানে মাউন্ট লাভিনিয়ায় অবস্থিত এস. টমাস কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি স্কুল হোস্টেলে অবস্থান করেন। ক্রিকেটের প্রতি আসক্তির কারণে স্কুল ক্রিকেট দলের সদস্য হন।<ref name="spirit">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2009/11/22/spo06.asp|শিরোনাম=Anura Tennekoon – spirit of cricket|শেষাংশ=Wijesinghe|প্রথমাংশ=Rohan|তারিখ=22 November 2009|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20091129204317/http://www.sundayobserver.lk/2009/11/22/spo06.asp#|আর্কাইভের-তারিখ=২৯ নভেম্বর ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> এরপর থোমিয়ান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেন।<ref name="thomian">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.island.lk/2002/03/03/sports14.html|শিরোনাম=The "Battle of the Blues" and its reminiscences|শেষাংশ=Manamendra|প্রথমাংশ=Renu |তারিখ=3 March 2002|কর্ম=The Island|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> ১৯৬৪ সালে সেরা ছাত্র হিসেবে বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান মনোনীত হন। তার পূর্ববর্তী মৌসুমের [[ব্যাটিং গড়]] ছিল ৫৬.৮৪ ও তিনি সর্বসাকুল্যে ৫১৩ রান তোলেন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://sundaytimes.lk/090823/Sports/sp_04.html|শিরোনাম=Fifty years hence and the contest goes on|শেষাংশ=Akbar|প্রথমাংশ=Rangi |তারিখ=23 August 2009|কর্ম=The Sunday Times|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> এরপর ১৯৬৬ সালে সিলন দলের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) পক্ষে ও সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেন। এরপর [[সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব|সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে]] (এসএসসি) চলে যান। এছাড়াও [[Ceylon Board President's XI|সিলন বোর্ড সভাপতি একাদশের]] পক্ষেও খেলেছেন তেনেকুন।<ref name="spirit" /> ১৯৭৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা অপরাজিত ১৬৯* রান তোলেন। টেস্ট মর্যাদা লাভের পূর্বে তার এ সংগ্রহটিই যে-কোন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।<ref name="thomian" /><ref name="firstcaptain">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2004/02/01/spo08.html|শিরোনাম=So, Royal really lost 1885 match to S. Thomas'|শেষাংশ=Manamendra|প্রথমাংশ=Renu|তারিখ=1 February 2004|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20110605113817/http://www.sundayobserver.lk/2004/02/01/spo08.html#|আর্কাইভের-তারিখ=৫ জুন ২০১১|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref> পরিচ্ছন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।


== খেলোয়াড়ী জীবন ==
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] [[Cap (sports)|নবম ক্যাপ]] পরিধান করেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/srilanka/content/player/caps.html?country=8;class=2|শিরোনাম=Sri Lanka Players by Caps (ODI)|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100424032259/http://www.cricinfo.com/srilanka/content/player/caps.html?country=8;class=2#|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪টি ওডিআইয়ে অংশ নেন ও সবকটিতেই দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।
শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে [[একদিনের আন্তর্জাতিক|একদিনের আন্তর্জাতিকে]] [[Cap (sports)|নবম ক্যাপ]] পরিধান করেন তিনি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/srilanka/content/player/caps.html?country=8;class=2|শিরোনাম=Sri Lanka Players by Caps (ODI)|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100424032259/http://www.cricinfo.com/srilanka/content/player/caps.html?country=8;class=2#|আর্কাইভের-তারিখ=২৪ এপ্রিল ২০১০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪টি ওডিআইয়ে অংশ নেন ও সবকটিতেই দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।


১৯৭৫ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে তাঁর একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। কিন্তু ঐ খেলায় তাঁর দল মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায়। তিনিও ঐ খেলায় [[বার্নার্ড জুলিয়েন|বার্নার্ড জুলিয়ানের]] বলে [[David Murray (cricketer)|ডেভিড মারের]] হাতে কট আউট হন ও [[শূন্য রান|শূন্য রানে]] প্যাভিলিয়নে গমন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/65038.html|শিরোনাম=Prudential World Cup – 4th match, Group B|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100420075231/http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/65038.html#|আর্কাইভের-তারিখ=২০ এপ্রিল ২০১০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ঐ প্রতিযোগিতাসহ ১৯৭৯ সালের প্রতিযোগিতায়ও তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন।<ref name="firstcaptain" /><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/cricket/tms/6450505.stm|শিরোনাম= Stump the Bearded Wonder No 142|প্রকাশক=BBC Sport|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010 | তারিখ=14 March 2007}}</ref> কিন্তু ১৯৭৯ সালে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে প্রতিযোগিতায় তিনি তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তাঁর পরিবর্তে দলের অধিনায়কত্ব করেন [[বান্দুলা ওয়ার্নাপুরা]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/150318.html|শিরোনাম=Prudential World Cup 1979, fifth Group B match|কর্ম=Wisden|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref>
১৯৭৫ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। কিন্তু ঐ খেলায় তার দল মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায়। তিনিও ঐ খেলায় [[বার্নার্ড জুলিয়েন|বার্নার্ড জুলিয়ানের]] বলে [[David Murray (cricketer)|ডেভিড মারের]] হাতে কট আউট হন ও [[শূন্য রান|শূন্য রানে]] প্যাভিলিয়নে গমন করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/65038.html|শিরোনাম=Prudential World Cup – 4th match, Group B|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20100420075231/http://www.cricinfo.com/ci/engine/match/65038.html#|আর্কাইভের-তারিখ=২০ এপ্রিল ২০১০|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref> ঐ প্রতিযোগিতাসহ ১৯৭৯ সালের প্রতিযোগিতায়ও তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন।<ref name="firstcaptain" /><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/cricket/tms/6450505.stm|শিরোনাম= Stump the Bearded Wonder No 142|প্রকাশক=BBC Sport|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010 | তারিখ=14 March 2007}}</ref> কিন্তু ১৯৭৯ সালে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে প্রতিযোগিতায় তিনি তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়কত্ব করেন [[বান্দুলা ওয়ার্নাপুরা]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/wisdenalmanack/content/story/150318.html|শিরোনাম=Prudential World Cup 1979, fifth Group B match|কর্ম=Wisden|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref>


== অবসর ==
== অবসর ==
১৯৮২ সালে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের]] [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যদের তালিকা|পূর্ণাঙ্গ সদস্য]] হবার ফলে শ্রীলঙ্কা দলের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটে। এর দুই বছর পূর্বে তিনি অবসর নেন। এ অর্জনের সাথে শ্রীলঙ্কার অন্যান্য খেলোয়াড়ের সাথে তেনেকুনেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।<ref name="firstcaptain" />
১৯৮২ সালে [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল|আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের]] [[আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সদস্যদের তালিকা|পূর্ণাঙ্গ সদস্য]] হবার ফলে শ্রীলঙ্কা দলের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটে। এর দুই বছর পূর্বে তিনি অবসর নেন। এ অর্জনের সাথে শ্রীলঙ্কার অন্যান্য খেলোয়াড়ের সাথে তেনেকুনেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।<ref name="firstcaptain" />


ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর তাঁকে [[Sri Lanka A cricket team|শ্রীলঙ্কা এ ক্রিকেট দলের]] ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়।<ref name="spirit" /> ডিসেম্বর, ২০০০ থেকে ২০০৩-এর শেষার্ধ্ব পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। এর কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/srilanka/content/story/132757.html|শিরোনাম=Tennekoon to step down as CEO of Sri Lankan board|শেষাংশ=Austin |প্রথমাংশ=Charlie|তারিখ=10 October 2003|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2009/05/31/spo15.asp|শিরোনাম=Three new cricket selectors|তারিখ=31 May 2009|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090721155841/http://www.sundayobserver.lk/2009/05/31/spo15.asp#|আর্কাইভের-তারিখ=২১ জুলাই ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর তাকে [[Sri Lanka A cricket team|শ্রীলঙ্কা এ ক্রিকেট দলের]] ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়।<ref name="spirit" /> ডিসেম্বর, ২০০০ থেকে ২০০৩-এর শেষার্ধ্ব পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। এর কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.cricinfo.com/srilanka/content/story/132757.html|শিরোনাম=Tennekoon to step down as CEO of Sri Lankan board|শেষাংশ=Austin |প্রথমাংশ=Charlie|তারিখ=10 October 2003|প্রকাশক=Cricinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010}}</ref> ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.sundayobserver.lk/2009/05/31/spo15.asp|শিরোনাম=Three new cricket selectors|তারিখ=31 May 2009|কর্ম=Sunday Observer|সংগ্রহের-তারিখ=2 April 2010|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20090721155841/http://www.sundayobserver.lk/2009/05/31/spo15.asp#|আর্কাইভের-তারিখ=২১ জুলাই ২০০৯|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৪:৫৭, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অনূঢ়া তেনেকুন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅনূঢ়া পাঞ্চি বান্দা তেনেকুন
জন্ম (1946-10-29) ২৯ অক্টোবর ১৯৪৬ (বয়স ৭৭)
অনুরাধাপুরা, শ্রীলঙ্কা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ )
৭ জুন ১৯৭৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই৯ জুন ১৯৭৯ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬১ ১৯
রানের সংখ্যা ১৩৭ ৩৪৮১ ৩৩৫
ব্যাটিং গড় ৩৪.২৫ ৩৬.২৬ ১৮.৬১
১০০/৫০ ০/১ ৫/১৯ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৫৯ ১৬৯* ৬১
বল করেছে ৮৬
উইকেট
বোলিং গড় ৩০.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/০ ৬০/০ ৭/০
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৪ জুলাই ২০১৫

অনূঢ়া পাঞ্চি বান্দা তেনেকুন (জন্ম: ২৯ অক্টোবর, ১৯৪৬) অনুরাধাপুরায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারশ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অনূঢ়া তেনেকুন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিন বোলিং করতেন। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সদস্য হিসেবে জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্বে রয়েছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ছয় বছর বয়সে অনুরাধাপুরা থেকে কলম্বোয় স্থানান্তরিত হন। সেখানে মাউন্ট লাভিনিয়ায় অবস্থিত এস. টমাস কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি স্কুল হোস্টেলে অবস্থান করেন। ক্রিকেটের প্রতি আসক্তির কারণে স্কুল ক্রিকেট দলের সদস্য হন।[১] এরপর থোমিয়ান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করেন।[২] ১৯৬৪ সালে সেরা ছাত্র হিসেবে বর্ষসেরা ব্যাটসম্যান মনোনীত হন। তার পূর্ববর্তী মৌসুমের ব্যাটিং গড় ছিল ৫৬.৮৪ ও তিনি সর্বসাকুল্যে ৫১৩ রান তোলেন।[৩] এরপর ১৯৬৬ সালে সিলন দলের (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) পক্ষে ও সফরকারী ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এরপর সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবে (এসএসসি) চলে যান। এছাড়াও সিলন বোর্ড সভাপতি একাদশের পক্ষেও খেলেছেন তেনেকুন।[১] ১৯৭৪ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে নিজস্ব সেরা অপরাজিত ১৬৯* রান তোলেন। টেস্ট মর্যাদা লাভের পূর্বে তার এ সংগ্রহটিই যে-কোন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল।[২][৪] পরিচ্ছন্ন ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

শ্রীলঙ্কা দলের পক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে নবম ক্যাপ পরিধান করেন তিনি।[৫] সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪টি ওডিআইয়ে অংশ নেন ও সবকটিতেই দলের অধিনায়ক মনোনীত হন।

১৯৭৫ সালে শ্রীলঙ্কা প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়। ৭ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে। কিন্তু ঐ খেলায় তার দল মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায়। তিনিও ঐ খেলায় বার্নার্ড জুলিয়ানের বলে ডেভিড মারের হাতে কট আউট হন ও শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে গমন করেন।[৬] ঐ প্রতিযোগিতাসহ ১৯৭৯ সালের প্রতিযোগিতায়ও তিনি দলের অধিনায়ক ছিলেন।[৪][৭] কিন্তু ১৯৭৯ সালে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে প্রতিযোগিতায় তিনি তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। তার পরিবর্তে দলের অধিনায়কত্ব করেন বান্দুলা ওয়ার্নাপুরা[৮]

অবসর

১৯৮২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হবার ফলে শ্রীলঙ্কা দলের টেস্ট মর্যাদাপ্রাপ্তি ঘটে। এর দুই বছর পূর্বে তিনি অবসর নেন। এ অর্জনের সাথে শ্রীলঙ্কার অন্যান্য খেলোয়াড়ের সাথে তেনেকুনেরও যথেষ্ট অবদান রয়েছে।[৪]

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর তাকে শ্রীলঙ্কা এ ক্রিকেট দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়।[১] ডিসেম্বর, ২০০০ থেকে ২০০৩-এর শেষার্ধ্ব পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। এর কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত সমস্যা তুলে ধরেন।[৯] ২০০৯ সালে তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য মনোনীত হন।[১০]

তথ্যসূত্র

  1. Wijesinghe, Rohan (২২ নভেম্বর ২০০৯)। "Anura Tennekoon – spirit of cricket"Sunday Observer। ২৯ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  2. Manamendra, Renu (৩ মার্চ ২০০২)। "The "Battle of the Blues" and its reminiscences"The Island। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  3. Akbar, Rangi (২৩ আগস্ট ২০০৯)। "Fifty years hence and the contest goes on"The Sunday Times। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  4. Manamendra, Renu (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "So, Royal really lost 1885 match to S. Thomas'"Sunday Observer। ৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  5. "Sri Lanka Players by Caps (ODI)"। Cricinfo.com। ২৪ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  6. "Prudential World Cup – 4th match, Group B"। Cricinfo.com। ২০ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  7. "Stump the Bearded Wonder No 142"। BBC Sport। ১৪ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  8. "Prudential World Cup 1979, fifth Group B match"Wisden। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  9. Austin, Charlie (১০ অক্টোবর ২০০৩)। "Tennekoon to step down as CEO of Sri Lankan board"। Cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 
  10. "Three new cricket selectors"Sunday Observer। ৩১ মে ২০০৯। ২১ জুলাই ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১০ 

বহিঃসংযোগ