আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৮′৫০.৯৯৫″ উত্তর ৮৮°৫৩′৪৮.১৬৭″ পূর্ব / ২৩.৪৮০৮৩১৯৪° উত্তর ৮৮.৮৯৬৭১৩০৬° পূর্ব / 23.48083194; 88.89671306
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jakaria Rion (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র
Jakaria Rion (আলোচনা | অবদান)
→‎স্বাধীনতা যুদ্ধে আন্দুলবাড়িয়া: সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র
৫০ নং লাইন: ৫০ নং লাইন:
এই যুদ্ধে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন গ্রুপ কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, হতাহত হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সহ অনেকে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://samajerkatha.com/2017/01/27/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%AF/|শিরোনাম=পাক-বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে দু’চোখ হারানো আব্দুল মান্নান আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি- সমাজের কথা}}</ref>।
এই যুদ্ধে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন গ্রুপ কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, হতাহত হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সহ অনেকে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://samajerkatha.com/2017/01/27/%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A5%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96-%E0%A6%AF/|শিরোনাম=পাক-বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে দু’চোখ হারানো আব্দুল মান্নান আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি- সমাজের কথা}}</ref>।


১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে পাকবাহিনী অস্ত্র এবং রসদ সহ রেলপথে আন্দুলবাড়িয়া অতিক্রম করছিল। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ট্রেনের তিনটি বগি ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এসময় প্রায় ৫০ জন পাক সেনা হতাহত হয়। <ref>BANGLADESH FORCES H.Q.. MUJIBNAGAR PUBLIC RELATIONS DEPARTMENT WAR BULLETIN</ref>
১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে পাকবাহিনী অস্ত্র এবং রসদ সহ রেলপথে আন্দুলবাড়িয়া অতিক্রম করছিল। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ট্রেনের তিনটি বগি ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। প্রায় ৫০ জন পাক সেনা হতাহত হয়। <ref>BANGLADESH FORCES H.Q.. MUJIBNAGAR PUBLIC RELATIONS DEPARTMENT WAR BULLETIN</ref>

'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র- একাদশ খন্ডে' (২রা ডিসেম্বর--যুদ্ধ বার্তায়) উল্লেখ আছে "মুক্তিবাহিনী জীবননগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আন্দুলবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করেছে। এটা বোঝা যাচ্ছে যে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে শত্রুবাহিনী তাদের নবম ডিভিসনাল হেড-কোয়ার্টার যশোর থেকে মাগুরাতে স্থানান্তর করেছে"<ref>বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র- একাদশ খন্ড</ref>।


== শিক্ষা ==
== শিক্ষা ==

১২:২২, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আন্দুলবাড়িয়া
ইউনিয়ন
আন্দুলবাড়িয়া খুলনা বিভাগ-এ অবস্থিত
আন্দুলবাড়িয়া
আন্দুলবাড়িয়া
আন্দুলবাড়িয়া বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
আন্দুলবাড়িয়া
আন্দুলবাড়িয়া
বাংলাদেশে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৮′৫০.৯৯৫″ উত্তর ৮৮°৫৩′৪৮.১৬৭″ পূর্ব / ২৩.৪৮০৮৩১৯৪° উত্তর ৮৮.৮৯৬৭১৩০৬° পূর্ব / 23.48083194; 88.89671306 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাচুয়াডাঙ্গা জেলা
উপজেলাজীবননগর উপজেলা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রতিষ্ঠা১৯৬২
আয়তন
 • মোট৩৬.২ বর্গকিমি (১৪.০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (আদমশূমারী ২০১১ অনুযায়ী)
 • মোট২৭,১৫২
 • জনঘনত্ব৭৫০/বর্গকিমি (১,৯০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৭২২২ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
মানচিত্র
মানচিত্র

আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন।[১]

অবস্থান ও আয়তন

এই ইউনিয়ন টি ভৈরব নদের তীরে অবস্থিত। ১৯৬২ সালে এটি প্রথম স্থাপিত হয়। বর্তমান আয়তন ৩৬.২ বর্গ কিলোমিটার। .

প্রশাসনিক এলাকা

প্রায় ৩৬.২ বর্গ কিলোমিটার। হারদা, পাঁকা, অনন্তপুর, বাজদিয়া, কর্চাডাঙ্গা, বিদ্যাধরপুর, ঘুগরাগাছি, নিধিকুন্ডু, শাহাপুর, কুলতলা, নিশ্চিন্তপুর, ডুমুরিয়া এবং আন্দুলবাড়ীয়া এই ১৩ টি গ্রাম নিয়ে এই ইউনিয়ন।

ইতিহাস

সুলতানি আমলের (১৩৩৮ খ্রিঃ - ১৫৩৮ খ্রিঃ) বেশ কিছু নিদর্শন আবিষ্কারের পর ধারণা করা হয়, ছয়শ' বছর আগেই এই ইউনিয়নে বেশ কিছু প্রসিদ্ধ বাজার এবং স্থাপনা গড়ে উঠে। এখনো এলাকার বিভিন্ন স্থানে কিছু পুরাতাত্বিক স্থাপনা দেখা যায়। খাঁজা পারেশ সাহেব (রহঃ) এর মাজার ও ইবাদতখানা, কর্চাডাংগার মন্দিরতলা, মিস্ত্রি পাড়া ঈদগাহের প্রাচীন ইমারত এগুলি উল্ল্যেখযোগ্য।

হযরত খাঁজা পারেশ সাহেব (রহঃ) এর মাজার

অষ্টাদশ শতাব্দীতে বেশ কিছু নীলকর আন্দুলবাড়িয়াতে আসে এবং কয়েকটি স্থানে নীলকুঠি স্থাপন করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো এখানেও নীলকরেরা অবর্ননীয় অত্যাচার শুরু করে এবং চাষিদের নীল চাষে বাধ্যকরে। পরবর্তীতে দেশব্যাপি নীলকরদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন ফলে নীল চাষ থেকে সাধারণ কৃষক মুক্তি লাভ করে। ১৯০৩ সালে প্রকাশিত "ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটি- ওয়ান হান্ড্রেড এন্ড এলেভেন্থ রিপোর্ট" বইয়ে আন্দুলবাড়িয়ার উল্লেখ আছে। জানা যায় ১৮০৪ সালে টি ডব্লিউ নর্লেজ ক্রিশ্চিয়ান মিশন নিয়ে আন্দুলবাড়িয়াতে আসেন[২]

স্বাধীনতা যুদ্ধে আন্দুলবাড়িয়া

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আন্দুলবাড়িয়া ৮ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এখানে একটি যুদ্ধ হয় যা আন্দুলবাড়িয়ার যুদ্ধ নামে পরিচিত। এই যুদ্ধে ঘটনাস্থলেই শহীদ হন গ্রুপ কমান্ডার আনোয়ার হোসেন, হতাহত হন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সহ অনেকে[৩]

১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে পাকবাহিনী অস্ত্র এবং রসদ সহ রেলপথে আন্দুলবাড়িয়া অতিক্রম করছিল। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ট্রেনের তিনটি বগি ব্যপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। প্রায় ৫০ জন পাক সেনা হতাহত হয়। [৪]

'বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র- একাদশ খন্ডে' (২রা ডিসেম্বর--যুদ্ধ বার্তায়) উল্লেখ আছে "মুক্তিবাহিনী জীবননগরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আন্দুলবাড়িয়াকে শত্রুমুক্ত করেছে। এটা বোঝা যাচ্ছে যে মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে শত্রুবাহিনী তাদের নবম ডিভিসনাল হেড-কোয়ার্টার যশোর থেকে মাগুরাতে স্থানান্তর করেছে"[৫]

শিক্ষা

শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়ীয়া বহুমুখি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়ীয়া কাওমী মাদ্রাসা এছাড়াও আরো অসংখ্য প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এখানে।

অর্থনীতি

এ ইউনিয়নের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। এখানে ধান, ভূট্টা, পাট সহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদিত হয়।

দর্শনীয় স্থান

  • খাঁজা পারেশ সাহেব (রহঃ) এর মাজার ও ইবাদতখানা, আনুমানিক ছয়শ'ত বছরের পুরানো সূফী সাধকের মাজার এবং তার ইবাদতখানা[৬]
  • কর্চাডাংগার মন্দিরতলা, সুলতানি আমলে নির্মিত মন্দির
    প্রায় চার'শ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন (মন্দিরতলা)[৭]
  • মিস্ত্রীপাড়া ঈদগাহের প্রাচীন ইমারত

কৃতী ব্যক্তিত্ব

  • কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার
  • প্রফেসর আমজাদ হোসেন খান, স্বনামধন্য চিকিৎসক এবং জার্নাল লেখক


তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "ইউনিয়ন সমূহ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. THE ONE HUNDRED AND ELEVENTH ANNUAL REPORT OF THE COMMITTEE OF THE BAPTIST MISSIONARY SOCIETY; MARCH 1st, 1903
  3. "পাক-বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে দু'চোখ হারানো আব্দুল মান্নান আজও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি- সমাজের কথা" 
  4. BANGLADESH FORCES H.Q.. MUJIBNAGAR PUBLIC RELATIONS DEPARTMENT WAR BULLETIN
  5. বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র- একাদশ খন্ড
  6. "মাজার সম্পর্কিত- দৈনিক সময়ের সমীকরণ" 
  7. "চুয়াডাঙ্গার ইতিহাস রচনার সমস্যা ও সম্ভবনা, প্রফেসর আবদুল মোহিত- দৈনিক সময়ের সমীকরণ"