মোড়েলগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২২°২৭′১০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩৪″ পূর্ব / ২২.৪৫২৭৮° উত্তর ৮৯.৮৫৯৪৪° পূর্ব / 22.45278; 89.85944
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎কৃতী ব্যক্তিত্ব: বানান ঠিক করা হয়েছে, ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৬৯ নং লাইন: ৬৯ নং লাইন:
*শেখ আব্দুল আজিজ ([[জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর]] প্রিয়জন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী
*শেখ আব্দুল আজিজ ([[জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর]] প্রিয়জন, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী
* বীর শহীদ রহিমুল্লাহ ([[ইংরেজ শাসকদোর নীল চাষের বিরুদ্ধে চাষীদের পক্ষে আন্দোলনে শহীদ হন।]])
* বীর শহীদ রহিমুল্লাহ ([[ইংরেজ শাসকদোর নীল চাষের বিরুদ্ধে চাষীদের পক্ষে আন্দোলনে শহীদ হন।]])
* আনিসুর রহমান (সমাজ বিশ্লেষক, কবি, ও নির্মাতা)


== বিবিধ ==
== বিবিধ ==

১৯:৪৬, ৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোড়োলগঞ্জ
উপজেলা
স্থানাঙ্ক: ২২°২৭′১০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩৪″ পূর্ব / ২২.৪৫২৭৮° উত্তর ৮৯.৮৫৯৪৪° পূর্ব / 22.45278; 89.85944 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগখুলনা বিভাগ
জেলাবাগেরহাট জেলা
আয়তন
 • মোট৪৩৮ বর্গকিমি (১৬৯ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২,৯৪,৫৭৬
 • জনঘনত্ব৬৭০/বর্গকিমি (১,৭০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৬২.৩৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৪০ ০১ ৬০
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

মোড়েলগঞ্জ উপজেলা বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।

অবস্থান ও আয়তন

এর অবস্হান স্থানাঙ্কে ২২°২৭′০০″ উত্তর ৮৯°৫১′৩০″ পূর্ব / ২২.৪৫০০° উত্তর ৮৯.৮৫৮৩° পূর্ব / 22.4500; 89.8583। উপজেলার মোট আয়তন ৪৩৮ বর্গ কিমি। এই উপজেলার উত্তরে- কচুয়া উপজেলাবাগেরহাট সদর উপজেলা, দক্ষিণে শরণখোলা উপজেলাসুন্দরবন, পূর্বে- জিয়ানগর উপজেলাপিরোজপুর সদর উপজেলা, পশ্চিমে - রামপাল উপজেলামোংলা উপজেলা

প্রশাসনিক এলাকা

মোড়োলগঞ্জ উপজেলা ১৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ১নং তেলিগাতী, ২নং পঞ্চকরণ, ৩নং পুটিখালী, ৪নং দৈবজ্ঞহাটী, ৫নং রামচন্দ্রপুর, ৬নং চিংড়াখালী, ৭নং হোগলাপাশা, ৮নং বনগ্রাম, ৯নং বলইবুনিয়া, ১০নং হোগলাবুনিয়া, ১১নং বহরবুনিয়া, ১২নং জিউধরা, ১৩নং নিশানবাড়ীয়া, ১৪নং বারইখালী, ১৫নং মোরেলগঞ্জ, ১৬নং খাউলিয়া

ইতিহাস

খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ উপজেলা মোরেলগঞ্জ। ইংরেজ মোরেল পরিবারের নামে নামকরণ হয় এ উপজেলার। জানা যায়, ইংরেজ শাসনের সুত্রপাতের পর ১৭৮১ সালে ইংরেজ সরকার কর্তৃক এখানে প্রথম শাসন কেন্দ্রর স্থাপিত হয় এবং এর ম্যাজিষ্টেট ও কালেক্টর হন বিদেশি সিভিলিয়ন মি: টিলম্যান হেঙ্কেল। এরপর যশোর জেলার প্রতিষ্ঠা ঘটে। বাগেরহাট তখন মহকুমাও হয়নি। বৃহত্তর খুলনা জেলা তখন ছিল যশোর জেলার অন্তর্গত। আর এর বড় অংশ জুড়ে ছিল সুন্দরবন। সে সময় হেঙ্কেল সাহেব প্রথম সুন্দরবন আবাদের প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু জমিদারদের সাথে বিবাদের জেরে তা আর বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। ১৮২৮ সালে সুন্দরবনের সীমানা নির্ধারনের জন্য Regulation III of 1828 আইন পাস হয়। এ আইনের আওতায় ১৮৩০ সালে সুন্দরবন জরিপ করা হয়। সে সময় মি: ডামপায়ার সুন্দরবন এলাকা জরিপ করে একে কয়েকটি লটে (Lot) বিভক্ত করেন এবং পরে তা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। ১৮৪৯ সালে মোরেল পরিবারের মিসেস মোরেল পানগুচি ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবন বন্দোবস্ত (ইজারা) নিয়ে বন আবাদ করে বসতি গড়ে নীল চাষ শুরু করেন। তারপর সেখানে তারা বহু শ্রমিক নিয়োগ করে আবাদকৃত জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকে। মোড়েল ভ্রাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বৈষয়িক ও কর্মী ছিলেন রবার্ট মোরেল। তার উপর দায়িত্ব ছিল সমস্ত জমিদারদের দেখাশুনা ও পরিচালনা করা। তিনি সুন্দরবন আবাদের জন্য বরিশাল থেকে প্রচুর শ্রমিক আনেন। জানা যায়, এসব আবাদি শ্রমিকের অনেকেই সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যায়। এছাড়া পরবর্তিতে দূরদুরান্ত থেকেও প্রজারা এখানে আসতে থাকে। এতে মোড়েল সাহেবদের আয় ক্রমশ বাড়তে থাকে। তারা বসবাস ও নিজেদের শাসন পরিচালনার জন্য তখন বিরাট পাকা ভবন নির্মাণ করেন। এই ভবনটির অস্তিত্ব এখনও আছে যাকে স্থানীয় ভাবে কুঠীবাড়ি বলা হয়। তারা সেখানে বিরাট নারকেল সুপারির বাগান করেন এবং বাজার বসান। ক্রমে মোরেলদের নামানুসারে এ বাজারের নাম হয়ে যায় মোরেলগঞ্জ। পরে ইংরেজ সরকার কর্তৃক এ বাজারকে বন্দর হিসাবে ঘোষনা করা হয়। সে সময় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিদেশি জাহাজ এসে ভিড়ত মোরেলগঞ্জ বন্দরে। পরে চর পড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে এ বন্দর বন্ধ হয়ে যায়। নীল, নীলকর নিয়ে এই মোরেল পরিবারের সাথে মিশে আছে অনেক কাহিনী। এখানেই রচিত হয় ১৮৬১ সালে কৃষক বিদ্রোহের এক রক্তাক্ত অধ্যায়, যার নায়ক ছিলেন কৃষক রহিমউল্লা। মোরেল পরিবারের ম্যানেজার হেলির গুণ্ডাবাহিনীর সাথে প্রবল যুদ্ধে বীরত্বের সাথে নিহত হন তিনি। পরে অবশ্য এই রহিমুল্লাহ হত্যার জের ধরে মোরেলগঞ্জ থেকে মোরেল পরিবারের শাসন গোটাতে হয়েছিল ১৮৭৮ সালে। কিন্তু শুধু কালের স্বাক্ষী হয়ে এখনও রয়ে গেছে ‘কুঠিবাড়ি’ নামে পরিচিত তাদের নীলকুঠি।

জনসংখ্যার উপাত্ত

শিক্ষা

১.এ সি লাহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

২.তুজাম্বর আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

অর্থনীতি

মোড়েলগঞ্জে শতকরা ৩৫.৪৯ ভাগ মানুষ কৃষি নিভর্শীল, তাছাড়া ৩.৬৫% জেলে; ২০.৭৩ ভাগ কৃষি শ্রমিক; ৬.৮৫% দিনমজুর; ব্যবসা ১১.৮৫%; পরিবহন ১.৪%; বিভিন্ন সোর্স ও অন্যান্য কাজে ৫.৬ ও ১৪.৪৩ ভাগ লোক জড়িত।

কৃতী ব্যক্তিত্ব

বিবিধ

উত্তরে বাগেরহাট সদর ও কচুয়া; দক্ষিণে শরনখোলা এবং মঠবাড়িয়া; পূর্বে পিরোজপুর ও ভান্ডারিয়া আর পশ্চিমে রামপাল ও মংলা দ্বারা পরিবেষ্টিত। প্রধান নদীসমূহ যথাক্রমে পানগুছি; বলেশ্বর; ঘষিয়াখালী ও ভোলা উল্লেখযোগ্য।

বরফ কারখানা ৪ টি, ধানকল ৫৯ টি, কল ৪৬ টি এবং ৩০ টি ঢালাই কারখানা রয়েছে।

কুটির শিল্প: বাঁশ ও বেতের বিভিন্ন কুটিরশিল্প উল্লেখযোগ্য।

হাট, বাজার ও মেলা: হাট উল্লেখযোগ্য মোরেলগঞ্জ (প্রধান বাজার), দইবজ্ঞহাটী, পোলেরহাট এবং বহরবুনিয়া ইত্যাদি; উল্লেখিত মেলা কালাচাঁদ আউলিয়া মেলা, লখিখালি মেলা, বহরবুনিয়া মেলা ইত্যাদি।

যার জন্য বিখ্যাত তার মধ্যে চিংড়ি, সুপারি, নারিকেল, কলা, কাঁকড়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।

এনজিও কার্যক্রম ব্র্যাক, প্রশিকা, আশা, গ্রামীণ ব্যাংক,গণ সাস্থ কেন্দ্র, ডাক দিয়ে যাই, সিডিসি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য ।

বিবিধ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন, ২০১৪)। "এক নজরে মোরেলগঞ্জ"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারী ২০১৫  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ