আলেকজান্ডার আলেখিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Md Shimul Bhuia (আলোচনা | অবদান)
কাজ চলছে
Md Shimul Bhuia (আলোচনা | অবদান)
কাজ চলছে
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
আলেকজান্ডার আলেখিন( জন্ম- ৩১ শে অক্টবার ১৮৯২ সালে, মৃত্যু ২৪ শে মার্চ ১৯৪৬ সালে) একজন রাশিয়ান ও ফরাসি দাবাড়ু এবং চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন । তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা দাবা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। ২২ বছর বয়সেই আলেখাইন শক্তিশালী দাবাড়ুদের মধ্যে ছিলেন। ১৯২০ সালে তিনি যত গুলো টুনামেন্ট খেলেছেন তার মধ্যে সব চেয়ে বেশী গুলতে বিজয়ী হয়েছিলেন। ১৯২১ সালের দিকে আলেখিন সোভিয়েত রাশিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে প্রবাসজীবন শুরু করেন, যেখানে তিনি ১৯২৫ সালের পরে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৭ সালে তিনি হোসে রাউল কাপাব্লাঙ্কাকে  হারিয়ে চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৩০ সালের শুরুর দিকে আলেখিন টুনামেন্ট খেলায় প্রাধান্য বিস্তার শুরু করেন এবং দুটি বড় ধরণের টুনামেন্টে বড় ব্যাবধানে বিজয়ী হন। তিনি আরও পঞ্চম দাবা অলিম্পিকে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম বোর্ডে খেলেন এবং প্রত্যেক টিতে পৃথক ভাবে পুরষ্কার জেতেন ( চারটি মেডেল এবং একটি ব্রিলিয়ান্সি পুরষ্কার)।
আলেকজান্ডার আলেখিন( জন্ম- ৩১ শে অক্টবার ১৮৯২ সালে, মৃত্যু ২৪ শে মার্চ ১৯৪৬ সালে) একজন রাশিয়ান ও ফরাসি দাবাড়ু এবং চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন । তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা দাবা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। ২২ বছর বয়সেই আলেখাইন শক্তিশালী দাবাড়ুদের মধ্যে ছিলেন। ১৯২০ সালে তিনি যত গুলো টুনামেন্ট খেলেছেন তার মধ্যে সব চেয়ে বেশী গুলতে বিজয়ী হয়েছিলেন। ১৯২১ সালের দিকে আলেখিন সোভিয়েত রাশিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে প্রবাসজীবন শুরু করেন, যেখানে তিনি ১৯২৫ সালের পরে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৭ সালে তিনি হোসে রাউল কাপাব্লাঙ্কাকে  হারিয়ে চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৩০ সালের শুরুর দিকে আলেখিন টুনামেন্ট খেলায় প্রাধান্য বিস্তার শুরু করেন এবং দুটি বড় ধরণের টুনামেন্টে বড় ব্যাবধানে বিজয়ী হন। তিনি আরও পঞ্চম দাবা অলিম্পিকে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম বোর্ডে খেলেন এবং প্রত্যেক টিতে পৃথক ভাবে পুরষ্কার জেতেন ( চারটি মেডেল এবং একটি ব্রিলিয়ান্সি পুরষ্কার)।


আলেখিন একই শর্ত দাবি করে কাপাব্লাঙ্কাকে একটি ফিরতি ম্যাচের প্রস্তাব দেন যে কাপাব্লাঙ্কা তার জন্য উপযুক্ত ছিল এবং কোন ধরণের উন্নতি ছারাই এই সমঝোতা বছর ব্যাপি বজায় রাখা হয়।  ইতিমদ্ধে আলেখিন ১৯২৯ এবং ১৯৩৪ সালে স্বস্তির সাথেই   ''ইফিম বোগোলজুবভের''     বিরুদ্ধে তার টাইটেল রক্ষা করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে ম্যাক্স ইউই তাঁকে পরাজিত করেন কিন্তু ১৯৩৭ সালেই একটি ফিরতি ম্যাচের মাধ্যমে তার মুকুট পুনরায় অর্জন করেন। তার টুনামেন্ট রিকরড যাই হোক,  অমসৃণ থাকে এবং উঠতি তরুন তারকা যেমন পউল কেরেস, রেউবেন ফাইন এবং মিখাইল বোতভিনিকের টাইটেল হুমকির মুখে পরে।  ১৯৩৯ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  আরম্ভের কারণে কেরেস অথবা বোতভিনিকের সাথে একটি টাইটেল ম্যাচের সন্ধি বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিল।  ১৯৪৬ সালে বোতভনিকের সাথে একটি বিশ্ব টাইটল ম্যাচের সমঝোতা আগুয়ান ছিল যখন একটি অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে পর্তুগালে  আলেখিনের মৃত্যু ঘটে। আলেখিন টাইটেলে অধিষ্ঠিত থাকা  অপস্থায় মৃত্যুবরণকারী একমাত্র বিশ্ব দাবা চ্যম্পিয়ন ।  আলেখিন তার ভয়ঙ্কর এবং বর্ণাঢ্য আক্রমানাত্তক শৈলীর জন্য পরিচিত। এক জন দাবা লেখক এবং তাত্ত্বিক হিসেবে তিনি অত্যন্ত গণ্য, দাবা ওপেনিঙে বিস্তৃত পরিসীমায় উদ্ভাবনার সৃষ্টটা রয়েছে তার এবং আলেখিন ডিফেন্সে তার নাম দেওয়া রয়েছে এবং কিছু অন্যান্য অপেনিঙ্গের বৈচিত্র্যটায়।  তিনি কিছু ইন্ডগেমের গবেষণাও রচনা করেছিলেন।
আলেখিন একই শর্ত দাবি করে কাপাব্লাঙ্কাকে একটি ফিরতি ম্যাচের প্রস্তাব দেন যে কাপাব্লাঙ্কা তার জন্য উপযুক্ত ছিল এবং কোন ধরণের উন্নতি ছারাই এই সমঝোতা বছর ব্যাপি বজায় রাখা হয়।  ইতিমদ্ধে আলেখিন ১৯২৯ এবং ১৯৩৪ সালে স্বস্তির সাথেই   ''ইফিম বোগোলজুবভের''     বিরুদ্ধে তার টাইটেল রক্ষা করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে ম্যাক্স ইউই তাঁকে পরাজিত করেন কিন্তু ১৯৩৭ সালেই একটি ফিরতি ম্যাচের মাধ্যমে তার মুকুট পুনরায় অর্জন করেন। তার টুনামেন্ট রিকরড যাই হোক,  অমসৃণ থাকে এবং উঠতি তরুন তারকা যেমন পউল কেরেস, রেউবেন ফাইন এবং মিখাইল বোতভিনিকের শিরোপা হুমকির মুখে পরে।  ১৯৩৯ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  আরম্ভের কারণে কেরেস অথবা বোতভিনিকের সাথে একটি শিরোপা ম্যাচের সন্ধি বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিল।  ১৯৪৬ সালে বোতভনিকের সাথে একটি বিশ্ব শিরোপা ম্যাচের সমঝোতা আগুয়ান ছিল যখন একটি অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে পর্তুগালে  আলেখিনের মৃত্যু ঘটে। আলেখিন শিরপায় অধিষ্ঠিত থাকা  অপস্থায় মৃত্যুবরণকারী একমাত্র বিশ্ব দাবা চ্যম্পিয়ন ।  আলেখিন তার ভয়ঙ্কর এবং বর্ণাঢ্য আক্রমানাত্তক শৈলীর জন্য পরিচিত। এক জন দাবা লেখক এবং তাত্ত্বিক হিসেবে তিনি অত্যন্ত গণ্য, দাবা ওপেনিঙে বিস্তৃত পরিসীমায় উদ্ভাবনার সৃষ্টটা রয়েছে তার এবং আলেখিন ডিফেন্সে তার নাম দেওয়া হয়েছে এবং কিছু অন্যান্য ওপেনিঙ্গের বৈচিত্র্যটায়।  তিনি কিছু ইন্ডগেমের গবেষণাও রচনা করেছিলেন।


== জীবনী ==
== জীবনী ==


=== প্রারম্ভিক জীবন ===
=== প্রারম্ভিক জীবন ===

১৫:২০, ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আলেকজান্ডার আলেখিন( জন্ম- ৩১ শে অক্টবার ১৮৯২ সালে, মৃত্যু ২৪ শে মার্চ ১৯৪৬ সালে) একজন রাশিয়ান ও ফরাসি দাবাড়ু এবং চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন । তাঁকে সর্বকালের অন্যতম সেরা দাবা খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। ২২ বছর বয়সেই আলেখাইন শক্তিশালী দাবাড়ুদের মধ্যে ছিলেন। ১৯২০ সালে তিনি যত গুলো টুনামেন্ট খেলেছেন তার মধ্যে সব চেয়ে বেশী গুলতে বিজয়ী হয়েছিলেন। ১৯২১ সালের দিকে আলেখিন সোভিয়েত রাশিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে প্রবাসজীবন শুরু করেন, যেখানে তিনি ১৯২৫ সালের পরে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯২৭ সালে তিনি হোসে রাউল কাপাব্লাঙ্কাকে  হারিয়ে চতুর্থ বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৩০ সালের শুরুর দিকে আলেখিন টুনামেন্ট খেলায় প্রাধান্য বিস্তার শুরু করেন এবং দুটি বড় ধরণের টুনামেন্টে বড় ব্যাবধানে বিজয়ী হন। তিনি আরও পঞ্চম দাবা অলিম্পিকে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম বোর্ডে খেলেন এবং প্রত্যেক টিতে পৃথক ভাবে পুরষ্কার জেতেন ( চারটি মেডেল এবং একটি ব্রিলিয়ান্সি পুরষ্কার)।

আলেখিন একই শর্ত দাবি করে কাপাব্লাঙ্কাকে একটি ফিরতি ম্যাচের প্রস্তাব দেন যে কাপাব্লাঙ্কা তার জন্য উপযুক্ত ছিল এবং কোন ধরণের উন্নতি ছারাই এই সমঝোতা বছর ব্যাপি বজায় রাখা হয়।  ইতিমদ্ধে আলেখিন ১৯২৯ এবং ১৯৩৪ সালে স্বস্তির সাথেই   ইফিম বোগোলজুবভের     বিরুদ্ধে তার টাইটেল রক্ষা করেছিলেন। ১৯৩৫ সালে ম্যাক্স ইউই তাঁকে পরাজিত করেন কিন্তু ১৯৩৭ সালেই একটি ফিরতি ম্যাচের মাধ্যমে তার মুকুট পুনরায় অর্জন করেন। তার টুনামেন্ট রিকরড যাই হোক,  অমসৃণ থাকে এবং উঠতি তরুন তারকা যেমন পউল কেরেস, রেউবেন ফাইন এবং মিখাইল বোতভিনিকের শিরোপা হুমকির মুখে পরে।  ১৯৩৯ সালে ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের  আরম্ভের কারণে কেরেস অথবা বোতভিনিকের সাথে একটি শিরোপা ম্যাচের সন্ধি বন্ধ হয়ে গিয়ে ছিল।  ১৯৪৬ সালে বোতভনিকের সাথে একটি বিশ্ব শিরোপা ম্যাচের সমঝোতা আগুয়ান ছিল যখন একটি অস্পষ্ট পরিস্থিতিতে পর্তুগালে  আলেখিনের মৃত্যু ঘটে। আলেখিন শিরপায় অধিষ্ঠিত থাকা  অপস্থায় মৃত্যুবরণকারী একমাত্র বিশ্ব দাবা চ্যম্পিয়ন ।  আলেখিন তার ভয়ঙ্কর এবং বর্ণাঢ্য আক্রমানাত্তক শৈলীর জন্য পরিচিত। এক জন দাবা লেখক এবং তাত্ত্বিক হিসেবে তিনি অত্যন্ত গণ্য, দাবা ওপেনিঙে বিস্তৃত পরিসীমায় উদ্ভাবনার সৃষ্টটা রয়েছে তার এবং আলেখিন ডিফেন্সে তার নাম দেওয়া হয়েছে এবং কিছু অন্যান্য ওপেনিঙ্গের বৈচিত্র্যটায়।  তিনি কিছু ইন্ডগেমের গবেষণাও রচনা করেছিলেন।

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন

প্রারম্ভিক দাবা ক্যারিয়ার (১৯০২-১৯১৪)

শীর্ষ স্তরের গ্র্যান্ডমাস্টার

বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রাজত্ব (১৯২৭-১৯৩৫)

19২7 শিরোপা ম্যাচ