ঘাসফুল (চলচ্চিত্র): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নিলয় সরকার (আলোচনা | অবদান)
সংখ্যা
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
নিলয় সরকার (আলোচনা | অবদান)
ভাষা
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩০ নং লাইন: ৩০ নং লাইন:


==কাহিনী সংক্ষেপ==
==কাহিনী সংক্ষেপ==
২১ বছর বয়সি তৌকির তার মফস্বল শহরের রাস্তায় অলিগলিতে বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাড়ির ভেতরে আবছায়ায় তার আগন্তুকের মতো বিচরণ। সে বাড়িতে খুঁজে পায় দাবার বোর্ড-ঘুঁটি, মনে করতে পারে না কখনো দাবা খেলত কি না। স্টোররুমে খুঁজে পায় হারমোনিকা। হারমোনিকায় ফুঁ দেয় কিন্তু সুর তুলতে পারে না। বাবা-মায়ের ঘরের শেলফে সে দেখতে পায় পুরনো পারিবারিক ছবির অ্যালবাম। অ্যালবামের ছবিগুলো দেখে মনে করতে পারে না কখন কোথায় ছবিগুলো তোলা। খুঁজে পাওয়া স্মৃতিচিহ্নগুলো সম্পর্কে বাবা-মায়ের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যায়। একদিন তৌকির জিন্সের প্যান্টের পকেটে খুঁজে পায় একটি বিবর্ণ চিঠি। চিঠি পড়ে সে প্রচ- দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্মৃতিভ্রষ্ট তৌকির অনেক চেষ্টা করেও চিঠির লেখিকা ‘ঘাসফুল’- এর কথা কিছুতেই মনে করতে পারেনা। ‘ঘাসফুল’-এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে তৌকির এমন এক স্মৃতির জগতে যাত্রা করে।
২১ বছর বয়সি তৌকির তার মফস্বল শহরের রাস্তায় অলিগলিতে বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাড়ির ভেতরে আবছায়ায় তার আগন্তুকের মতো বিচরণ। সে বাড়িতে খুঁজে পায় দাবার বোর্ড-ঘুঁটি, মনে করতে পারে না কখনো দাবা খেলত কি না। স্টোররুমে খুঁজে পায় হারমোনিকা। হারমোনিকায় ফুঁ দেয় কিন্তু সুর তুলতে পারে না। বাবা-মায়ের ঘরের শেলফে সে দেখতে পায় পুরনো পারিবারিক ছবির অ্যালবাম। অ্যালবামের ছবিগুলো দেখে মনে করতে পারে না কখন কোথায় ছবিগুলো তোলা। খুঁজে পাওয়া স্মৃতিচিহ্নগুলো সম্পর্কে বাবা-মায়ের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যায়। একদিন তৌকির জিন্সের প্যান্টের পকেটে খুঁজে পায় একটি বিবর্ণ চিঠি। চিঠি পড়ে সে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্মৃতিভ্রষ্ট তৌকির অনেক চেষ্টা করেও চিঠির লেখিকা ‘ঘাসফুল’- এর কথা কিছুতেই মনে করতে পারেনা। ‘ঘাসফুল’-এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে তৌকির একসময় তার জীবনের সত্যগুলো খুঁজে পায়।


==অভিনয়ে==
==অভিনয়ে==

১২:৪৩, ১৭ জুলাই ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ঘাসফুল
চিত্র:ঘাসফুল (চলচ্চিত্র).png
ঘাসফুল ২০১৫ চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকআকরাম খান
রচয়িতাআকরাম খান
চিত্রনাট্যকারলায়লা আফরোজ, মশিউল আলম, আকরাম খান
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারসানী জুবায়ের
চিত্রগ্রাহকসৈয়দ কাশেফ শাহবাজি
সম্পাদকসামির আহমেদ
প্রযোজনা
কোম্পানি
মুক্তি
  • ১৫ মে ২০১৫ (2015-05-15)
[১]
স্থিতিকাল১৫৭ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

ঘাসফুল ২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ঢালিউড ড্রামা-থ্রিলার চলচ্চিত্র। ছবিটি রচনা ও পরিচালনা করেন আকরাম খান। এটি তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র।[২] ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড এর ব্যানারে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করেছে নবাগত কাজী আসিফ, শায়লা সাবি, তানিয়া বৃষ্টি,[৩] হাসান জাহিদ। সিনেমাটি নব্বই দশকের মধ্যবিত্ত বাঙালিদের হাসি-কান্নার কাহিনি নিয়ে নির্মিত।

কাহিনী সংক্ষেপ

২১ বছর বয়সি তৌকির তার মফস্বল শহরের রাস্তায় অলিগলিতে বিস্ময়ের দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। বাড়ির ভেতরে আবছায়ায় তার আগন্তুকের মতো বিচরণ। সে বাড়িতে খুঁজে পায় দাবার বোর্ড-ঘুঁটি, মনে করতে পারে না কখনো দাবা খেলত কি না। স্টোররুমে খুঁজে পায় হারমোনিকা। হারমোনিকায় ফুঁ দেয় কিন্তু সুর তুলতে পারে না। বাবা-মায়ের ঘরের শেলফে সে দেখতে পায় পুরনো পারিবারিক ছবির অ্যালবাম। অ্যালবামের ছবিগুলো দেখে মনে করতে পারে না কখন কোথায় ছবিগুলো তোলা। খুঁজে পাওয়া স্মৃতিচিহ্নগুলো সম্পর্কে বাবা-মায়ের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যায়। একদিন তৌকির জিন্সের প্যান্টের পকেটে খুঁজে পায় একটি বিবর্ণ চিঠি। চিঠি পড়ে সে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্মৃতিভ্রষ্ট তৌকির অনেক চেষ্টা করেও চিঠির লেখিকা ‘ঘাসফুল’- এর কথা কিছুতেই মনে করতে পারেনা। ‘ঘাসফুল’-এর অনুসন্ধান করতে গিয়ে তৌকির একসময় তার জীবনের সত্যগুলো খুঁজে পায়।

অভিনয়ে

মুক্তি

২০১৫ সালের ১৫ মে ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার সিনেমাসে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শন হয় এবং একই দিনে সারা বাংলাদেশে মুক্তি পায়।[৪]

সঙ্গীত

ঘাসফুল চলচ্চিত্রের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সানী জুবায়ের। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সানী জুবায়ের ও প্রিয়াংকা গোপ

নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পী(রা)দৈর্ঘ্য
১."সময় থেমে গিয়েছিল"সানী জুবায়ের৩:৪৭
২."বহুদিন পরে"প্রিয়াংকা গোপ৫:০৬

মূল্যায়ন

সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া

দৈনিক প্রথম আলোর জাহীদ রেজা নূর চলচ্চিত্রটিকে একটি নান্দনিক গল্পের উপস্থাপনা বলে উল্লেখ করেন। তিনি শায়লা সাবির সাবলীল অভিনয়ের প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, "ছবির ক্যামেরার কাজ ভালো, চোখকে আরাম দেয়। সানি জুবায়েরের সংগীতও শ্রুতিকে আনন্দ দেয়। কিছু কিছু দৃশ্য চোখে লেগে থাকে।"[৫] বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর বেলায়াত হোসেন মামুন এই চলচ্চিত্রের তৌকির ও নার্গিস চরিত্র দুটিকে হাজার বছর ধরের "মন্তু" আর "টুনি" চরিত্রের সাথে সামঞ্জস্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি সৈয়দ কাশেফ শাহবাজির চিত্রধারণ ও প্রিয়াংকা গোপ-এর সঙ্গীতের মুর্ছনার প্রশংসা করেন। অভিনয় সম্পর্কে তিনি বলেন, "নায়লা আজাদ নুপূর কিংবা ‘বাবা’ মানস বন্দোপাধ্যায় এবং ‘তৌকির’ চরিত্রে কাজী আসিফ রহমান সবক্ষেত্রে চরিত্রানুগ সাফল্য দেখাতে পারেন নি।" তবে "সাবলীল অভিনয়ের জন্য নার্গিস বা শায়লা সাবিকে অভিনন্দন" জানিয়েছেন।[৬]

পুরস্কার

  • নতুন চলচ্চিত্র নতুন নির্মাতা চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৫-২০১৬
    • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র[৭]

তথ্যসূত্র

  1. "১৫ মে মুক্তি পাচ্ছে চলচ্চিত্র 'ঘাসফুল'"। সাতদিন। ১২ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১৭ 
  2. "আকরাম খানের 'ঘাসফুল'"। প্রথম আলো। ১২ নভেম্বর ২০১৩। 
  3. "'ঘাসফুল' দিয়ে তানিয়ার চলচ্চিত্র যাত্রা"। প্রিয়.কম। ৩০ নভেম্বর ২০১৩। 
  4. "ব্লকবাস্টার সিনেমাসে ঘাসফুলের প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত"দৈনিক যুগান্তর। ১২ মে ২০১৫। 
  5. "ঘাসফুল:নান্দনিক এক গল্প"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১৫ 
  6. "'ঘাসফুল': মন্থর সময়ের মানবিক টানাপড়েন"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৫ 
  7. "নতুন চলচ্চিত্র-নির্মাতা উৎসবের পুরস্কার প্রদান"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৬-০৫-০১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মে ২০১৫ 

বহিসংযোগ