মনোজ দাশগুপ্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অরণ্য তপু (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
অরণ্য তপু (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৯ নং লাইন: ৯ নং লাইন:
==সাহিত্য জীবন==
==সাহিত্য জীবন==
ছাত্রাবস্থায় ছড়া লিখতেন। খুবই ভাল আবৃত্তি করতেন। নাটকে অভিনয় করেছেন, নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।
ছাত্রাবস্থায় ছড়া লিখতেন। খুবই ভাল আবৃত্তি করতেন। নাটকে অভিনয় করেছেন, নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।
কাব্যযাত্রা ১৯৬৭ থেকে, কবিবন্ধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্'র সঙ্গে 'পদধ্বনি' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার মাধ্যমে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের অজস্র লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা প্রকাশ পায়। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে অনেকগুলো গান ও গীতিনকশা লিখেছেন। গানগুলোর সুরারোপ করেছেন তাঁর বন্ধু বগুড়া ইয়ুথ কয়ারের পরিচালক তৌফিকুল আলম টিপু।
কাব্যযাত্রা ১৯৬৭ থেকে, কবিবন্ধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্'র সঙ্গে 'পদধ্বনি' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার মাধ্যমে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের অজস্র লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা প্রকাশ পায়। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে অনেকগুলো গান ও গীতিনকশা লিখেছেন। গানগুলোর সুরারোপ করেছেন তাঁর বন্ধু বগুড়া ইয়ুথ কয়ারের পরিচালক তৌফিকুল আলম টিপু। বেশকিছু ছড়া লিখেছেন। গানে ও ছড়ায় সমাজবাদী মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৮৭'র পরপরই হঠাৎ করে কবিতা লেখা ছেড়ে দেন।

==সংগঠন==
ছোটবেলা থেকেই পাড়ার ক্লাবগুলোর সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনের সময় কারারুদ্ধ হন। ষাটের দশকে বগুড়া লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রণী কবিতা-সৈনিক। এছাড়াও তিনি ছিলেন বগুড়া লেখকগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি, বগুড়া নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তিনি অচিরেই বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি ছিলেন উদীচী বগুড় জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।


==উৎস ও তথ্যসূত্র==
==উৎস ও তথ্যসূত্র==

১২:৩৬, ৫ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কবি মনোজ দাশগুপ্ত ষাটের দশকে বগুড়ার একজন স্বনামধন্য বিদ্রোহী কবি ও সম্পাদক ছিলেন। তাঁর জন্ম ৫ আগস্ট, ১৯৪৯ সালে বগুড়া শহরের শিববাটী মহল্লায়। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৯৯৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন একজন অগ্রণী কলম-সৈনিক। তার জন্য তাঁকে বহুবার পাকিস্তানী প্রশাসনের নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছিল। তাঁর সংক্ষিপ্ত আত্মজীবনী অক্টোবর'২০১৭ সালে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, পদধ্বনি প্রকাশন কর্তৃক প্রকাশিত 'পদধ্বনি' নামক গ্রন্থে সন্নিবেশিত আছে।

পারিবারিক জীবন

পুরোনাম মনোজভূষণ দাশগুপ্ত। ডাকনাম নাড়ু। পিতার নাম কনকভূষণ দাশগুপ্ত। মাতার নাম মনোরমা দাশগুপ্ত। তাঁরা দুইভাই ও দুইবোন। ভাইবোনদের নাম (বড় থেকে ছোট) - কণা দাশগুপ্ত, মলয় দাশগুপ্ত, মীরা দাশগুপ্ত এবং সবার ছোট মনোজ দাশগুপ্ত। আদি নিবাস বরিশাল। মনোজ দাশগুপ্তের জন্মের মাত্র দেড় বছরের মাথায় তাঁর মা মারা যান।

শিক্ষা জীবন

অমৃত পাঠশালা, বগুড়া করোনেশন ইন্সটিটিউশন ও বগুড়া আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। বি.এ. ভর্তি হয়ে মাওলানা ভাষানী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে পড়াশুনায় ইস্তফা।

সাহিত্য জীবন

ছাত্রাবস্থায় ছড়া লিখতেন। খুবই ভাল আবৃত্তি করতেন। নাটকে অভিনয় করেছেন, নাট্য নির্দেশনাও দিয়েছেন। কাব্যযাত্রা ১৯৬৭ থেকে, কবিবন্ধু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্'র সঙ্গে 'পদধ্বনি' লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনার মাধ্যমে। ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত বাংলাদেশের অজস্র লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা প্রকাশ পায়। সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে অনেকগুলো গান ও গীতিনকশা লিখেছেন। গানগুলোর সুরারোপ করেছেন তাঁর বন্ধু বগুড়া ইয়ুথ কয়ারের পরিচালক তৌফিকুল আলম টিপু। বেশকিছু ছড়া লিখেছেন। গানে ও ছড়ায় সমাজবাদী মানুষের পরিচয় পাওয়া যায়। ১৯৮৭'র পরপরই হঠাৎ করে কবিতা লেখা ছেড়ে দেন।

সংগঠন

ছোটবেলা থেকেই পাড়ার ক্লাবগুলোর সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনের সময় কারারুদ্ধ হন। ষাটের দশকে বগুড়া লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রণী কবিতা-সৈনিক। এছাড়াও তিনি ছিলেন বগুড়া লেখকগোষ্ঠীর সহ-সভাপতি, বগুড়া নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য, বগুড়া লেখক চক্রের উপদেষ্টা। রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে তিনি অচিরেই বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সদস্যপদ লাভ করেন। তিনি ছিলেন উদীচী বগুড় জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য। এছাড়াও তিনি দৈনিক চাঁদনী বাজার পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

উৎস ও তথ্যসূত্র

দৈনিক জনকন্ঠ]

বগুড়ার সাহিত্য আন্দোলন : সাম্প্রতিক সময়]

দৈনিক জনকন্ঠ]