সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা: Reference added. ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা |
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{উৎসহীন|date=ফেব্রুয়ারি ২০১৬}} |
|||
{{Infobox revolution biography |
{{Infobox revolution biography |
||
|name = সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী |
|name = সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী |
||
১৩ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
|movement = বঙ্গভঙ্গ |
|movement = বঙ্গভঙ্গ |
||
}} |
}} |
||
'''নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী''' ( |
'''নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী''' (২৯ ডিসেম্বর ১৮৬৩ - ১৭ এপ্রিল ১৯২৯) বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) [[টাঙ্গাইল]]স্থ ধনবাড়ীর নবাব ছিলেন।<ref>http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80,_%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AC_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%80</ref> তিনি [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।<ref>http://www.du.ac.bd/main_menu/the_university/h_outline</ref> তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার দৌহিত্র [[মোহাম্মদ আলী বগুড়া]] পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তার এক পুত্র [[সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী]] পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। |
||
== জন্ম ও শৈশব == |
== জন্ম ও শৈশব == |
||
[[চিত্র:Mosque Dhonobari Tangail.jpg|thumb|right|টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব এস্টেটের ৭০০ বৎসর পুরোনো মসজিদ। প্রায় চারশত বৎসর পূর্বে এই মসজিদের সংস্কার করা হয়। তারপর থেকে মসজিদটি এই অবস্থায়ই আছে।]] |
[[চিত্র:Mosque Dhonobari Tangail.jpg|thumb|right|টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর নবাব এস্টেটের ৭০০ বৎসর পুরোনো মসজিদ। প্রায় চারশত বৎসর পূর্বে এই মসজিদের সংস্কার করা হয়। তারপর থেকে মসজিদটি এই অবস্থায়ই আছে।]] |
||
নওয়াব সাহেব [[১৮৬৩]] সালের [[২৯ ডিসেম্বর]] [[টাঙ্গাইল জেলা]]র ধনবাড়ীর বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারও আড়াইশ বছর আগে নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রপিতামহ শাহ সৈয়দ খোদা বক্স বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে বসতি স্থাপন করেন। নওয়াব আলী চৌধুরী শৈশবে গৃহ শিক্ষকের কাছে আরবি, ফার্সি, ও বাংলায় বিশেষ শিক্ষা লাভ করেন। তার আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীতে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জোভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। |
নওয়াব সাহেব [[১৮৬৩]] সালের [[২৯ ডিসেম্বর]] [[টাঙ্গাইল জেলা]]র ধনবাড়ীর বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারও আড়াইশ বছর আগে নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রপিতামহ শাহ সৈয়দ খোদা বক্স বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে বসতি স্থাপন করেন। নওয়াব আলী চৌধুরী শৈশবে গৃহ শিক্ষকের কাছে আরবি, ফার্সি, ও বাংলায় বিশেষ শিক্ষা লাভ করেন। তার আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীতে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জোভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন। |
||
২৫ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
[[১৮৯৫]] থেকে [[১৯০৪]] পর্যন্ত নওয়াব সাহেবের কর্মতৎপরতা ছিল প্রধানত সাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। [[১৮৯৫]] সালে ''মিহির'' ও ''সুধাকর'' পত্রিকা একত্রিত হয়ে সাপ্তাহিক ''মিহির-সুধাকর'' নামে আত্মপ্রকাশ করে। এর মালিক ছিলেন নওয়াব আলী চৌধুরী।<ref>http://dhanbari.tangail.gov.bd/site/page/ed78cee3-2012-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF</ref> এজন্য একটি প্রেস ক্রয় করে তিনি কলকাতায় তাঁর নিজ বাসভবনে স্থাপন করেন। [[ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ]], পণ্ডিত রেয়াজউদ্দিন আহমদ আল মাশহাদী, কবি মোজাম্মেল হকের সাহিত্য প্রকাশনায় নওয়াব আলী চৌধুরীর দান ছিল অপরিসীম। ফলে উল্লেখিত লেখকগণ তাঁদের বিভিন্ন প্রকাশনা নওয়াব আলী চৌধুরীর নামে উৎসর্গ করেন। |
[[১৮৯৫]] থেকে [[১৯০৪]] পর্যন্ত নওয়াব সাহেবের কর্মতৎপরতা ছিল প্রধানত সাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। [[১৮৯৫]] সালে ''মিহির'' ও ''সুধাকর'' পত্রিকা একত্রিত হয়ে সাপ্তাহিক ''মিহির-সুধাকর'' নামে আত্মপ্রকাশ করে। এর মালিক ছিলেন নওয়াব আলী চৌধুরী।<ref>http://dhanbari.tangail.gov.bd/site/page/ed78cee3-2012-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF</ref> এজন্য একটি প্রেস ক্রয় করে তিনি কলকাতায় তাঁর নিজ বাসভবনে স্থাপন করেন। [[ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ]], পণ্ডিত রেয়াজউদ্দিন আহমদ আল মাশহাদী, কবি মোজাম্মেল হকের সাহিত্য প্রকাশনায় নওয়াব আলী চৌধুরীর দান ছিল অপরিসীম। ফলে উল্লেখিত লেখকগণ তাঁদের বিভিন্ন প্রকাশনা নওয়াব আলী চৌধুরীর নামে উৎসর্গ করেন। |
||
শিক্ষানুরাগী অনন্য জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। |
শিক্ষানুরাগী অনন্য জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থ সমূহ- |
||
* ঈদুল আযহা ([[১৮৯০]]) |
* ঈদুল আযহা ([[১৮৯০]]) |
||
* মৌলুদ শরীফ ([[১৯০৩]]) |
* মৌলুদ শরীফ ([[১৯০৩]]) |
||
৫৭ নং লাইন: | ৫৫ নং লাইন: | ||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
{{সূত্রতালিকা}} |
{{সূত্রতালিকা}} |
||
== বহিঃসংযোগ == |
|||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ]] |
২১:৫০, ১৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী | |
---|---|
২৯ ডিসেম্বর ১৮৬৩ – ১৭ এপ্রিল ১৯২৯ | |
জন্ম তারিখ | ২৯ ডিসেম্বর ১৮৬৩ |
জন্মস্থান | ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু তারিখ | ১৭ এপ্রিল ১৯২৯ | (বয়স ৬৫)
মৃত্যুস্থান | দার্জিলিং, ব্রিটিশ ভারত |
আন্দোলন | বঙ্গভঙ্গ |
নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী (২৯ ডিসেম্বর ১৮৬৩ - ১৭ এপ্রিল ১৯২৯) বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) টাঙ্গাইলস্থ ধনবাড়ীর নবাব ছিলেন।[১] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।[২] তিনি অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। তার দৌহিত্র মোহাম্মদ আলী বগুড়া পাকিস্তানের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তার এক পুত্র সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী ছিলেন।
জন্ম ও শৈশব
নওয়াব সাহেব ১৮৬৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীর বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারও আড়াইশ বছর আগে নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রপিতামহ শাহ সৈয়দ খোদা বক্স বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ীতে বসতি স্থাপন করেন। নওয়াব আলী চৌধুরী শৈশবে গৃহ শিক্ষকের কাছে আরবি, ফার্সি, ও বাংলায় বিশেষ শিক্ষা লাভ করেন। তার আনুষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলে এবং পরবর্তীতে তিনি কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট জোভিয়ার্স কলেজ থেকে এফ.এ. পাশ করেন।
সাহিত্য সংস্কৃতি
১৮৯৫ থেকে ১৯০৪ পর্যন্ত নওয়াব সাহেবের কর্মতৎপরতা ছিল প্রধানত সাহিত্য ও সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। ১৮৯৫ সালে মিহির ও সুধাকর পত্রিকা একত্রিত হয়ে সাপ্তাহিক মিহির-সুধাকর নামে আত্মপ্রকাশ করে। এর মালিক ছিলেন নওয়াব আলী চৌধুরী।[৩] এজন্য একটি প্রেস ক্রয় করে তিনি কলকাতায় তাঁর নিজ বাসভবনে স্থাপন করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, পণ্ডিত রেয়াজউদ্দিন আহমদ আল মাশহাদী, কবি মোজাম্মেল হকের সাহিত্য প্রকাশনায় নওয়াব আলী চৌধুরীর দান ছিল অপরিসীম। ফলে উল্লেখিত লেখকগণ তাঁদের বিভিন্ন প্রকাশনা নওয়াব আলী চৌধুরীর নামে উৎসর্গ করেন।
শিক্ষানুরাগী অনন্য জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থ সমূহ-
- ঈদুল আযহা (১৮৯০)
- মৌলুদ শরীফ (১৯০৩)
- ভারনাকুলার এডুকেশন ইন বেঙ্গল (১৯০০)
- প্রাইমারি এডুকেশন ইন রুরাল এরিয়াস্ (১৯০৬)
রাজনীতিতে প্রবেশ
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন থেকে নওয়াব আলী চৌধুরী রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রবর্তকদের প্রবল বাঁধার মুখে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর হয়ে পূর্ব বাংলা ও আসাম নামক একটি মুসলিম প্রধান প্রদেশ জন্ম লাভ করলে নওয়াব আলী চৌধুরী একটা সর্বভারতীয় মুসলিম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গঠন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। তিনি মুসলমানদের অনগ্রসরতার জন্য অশিক্ষাকে দায়ী করেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ কার্যকরের দিন ঢাকার নর্থব্রুক হলে তাঁর ও ঢাকার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর উদ্যোগে প্রাদেশিক রাজনৈতিক সংগঠন গঠিত হয়। তিনি বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে বলেন, "প্রদেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধ করিয়াছি এবং যদিও সে চেষ্টা সফল হয় নাই তথাপিও পূর্ব বঙ্গে যাহারা আমাদের প্রতিপক্ষ ছিলেন তাহারা পর্যন্ত স্বীকার করিবেন যে, আমরা যাহার জন্য চেষ্টা করিয়াছিলাম তাহাই ঠিক এবং বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়াতে ঐ প্রদেশের হিন্দু মুসলমান উভয় সম্প্রদায়েরই ক্ষতি হইয়াছে।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা
১৯১১ সালে ২৯ আগস্ট ঢাকার কার্জন হলে ল্যান্সলট হেয়ারের বিদায় এবং চার্লস বেইলির যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৃথক দুটি মানপত্রে নবাব সলিমুল্লাহ ও নওয়াব আলী চৌধুরী ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি লর্ড হার্ডিঞ্জের ঢাকায় অবস্থানকালে নওয়াব সলিমুল্লাহ ও নওয়াব আলীসহ ১৯ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বঙ্গভঙ্গ রদের ফলে মুসলমানদের যে সমূহ ক্ষতি হচ্ছে সে কথা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথান কমিটি গঠিত হলে নওয়াব আলী চৌধুরী এর অন্যতম সদস্য হন। এর অধীনে ছয়টি সাব কমিটি গঠিত হলে তিনি ৬ টি বিভাগের সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আর্থিক সংকটের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ চাপা পড়ে যায়। সে সময় নওয়াব আলী চৌধুরী ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯১৭ সালের ৭ মার্চ ইম্পেরিয়াল কাউন্সিলের সভায় তিনি বিষয়টিকে আবার উপস্থাপন করেন। ১৯২০ সালের মার্চ ১৮ ভারতীয় আইনসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিল অ্যাক্টে পরিণত হয় এবং ২৩ মার্চ তা গভর্নর জেনারেলের অনুমোদন লাভ করে। লর্ড হার্ডিঞ্জ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নয় বছর পর ১৯২১ সালের জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যথারীতি ক্লাস শুরু হয়। ১৯২২ সালে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের বৃত্তি বাবদ ১৬ হাজার টাকার একটি তহবিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালে অর্থাভাব দেখা গেলে নিজ জমিদারীর একাংশ বন্ধক রেখে এককালীন ৩৫,০০০ টাকা প্রদান করেন।[৪]
২০০৩ সালের ৯ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস. এম. এ. ফায়েজের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিনেট ভবনের নাম "সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন" করা হয়।
শিক্ষাবিস্তার
নওয়াব আলী চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলমান মন্ত্রী। শিক্ষাবিস্তারে তাঁর আন্তরিকতার জন্য সে সময় তাকে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ১৯২৯ সালের ১৭ এপ্রিল ইন্তেকালের পূর্ব পর্যন্ত তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এদেশে নওয়াব আলী চৌধুরী ৩৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে জমি ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ১৯১০ সালে তিনি নিজ এলাকা ধনবাড়ীতে নওয়াব ইনস্টিটিউট নামের একটি হাই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া সোনাতলা, কোদালিয়া, গফরগাঁও, পিংনা, জঙ্গলবাড়ি, হয়বতনগরসহ বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে সহায়তা করেন।
মাতৃভাষার প্রতি অবদান
নওয়াব আলী চৌধুরী ১৯১১ সালের রংপুর অধিবেশনে মাতৃভাষা বাংলার পক্ষে প্রথম সোচ্চার হয়ে বলেছিলেন, "বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, মাতৃস্তনের ন্যায়, জন্মভূমির শান্তি নিকেতনের ন্যায় বাংলা ভাষা। বাংলাভাষা আমাদের নিকট প্রিয়, কিন্তু হতভাগ্য আমরা, প্রিয় মাতৃভাষার উন্নতিকল্পে আমরা উদাসীন। অধঃপতন আমাদের হবে না - তো কার হবে?" তৎকালীন প্রতিকূল পরিবেশে একজন জমিদার হয়ে বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯২১ সালে বাংলা ভাষাকে প্রদেশের সরকারি ভাষা করার জন্য লিখিত প্রস্তাব পেশ করেন।
বিভিন্ন পদবি লাভ
১৮৯৬ সালে খান বাহাদুর, ১৯১১ সালে নওয়াব, ১৯১৮ সালে কমান্ডার অব দি ইন্ডিয়ান এম্পায়ার (সিআইই) এবং ১৯২৪ সালে নওয়াব বাহাদুর পদবি লাভ করেন।
মৃত্যু
সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ১৭ এপ্রিল ১৯২৯ (১ বৈশাখ, ১৩৩৬ বাংলা) দার্জিলিংয়ের (বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে) ইডেন ক্যাসেলে ইন্তেকাল করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%9A%E0%A7%8C%E0%A6%A7%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%80,_%E0%A6%A8%E0%A6%93%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%AC_%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A7%80
- ↑ http://www.du.ac.bd/main_menu/the_university/h_outline
- ↑ http://dhanbari.tangail.gov.bd/site/page/ed78cee3-2012-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE%20%E0%A6%93%20%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF
- ↑ http://khulnatimes.com/%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%83-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A6%AE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF/