রামজী লন্ডনওয়ালে: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩৩ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:


রামজী সামিরাকে বলে যে তার ভারতে যাওয়াই লাগবে। এক বছর পর সামিরা রামজীর গ্রামে আসে, সামিরা তাকে ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী আবার বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কারণ সে তাকে ভালোবাসে। রামজী এবং সামিরা ভারতেই নতুন একটি রেস্তোরাঁর ব্যবসা নিজেরাই শুরু করে এবং অভিনেতা [[অমিতাভ বচ্চন]] সেটি উদ্বোধন করতে আসেন।
রামজী সামিরাকে বলে যে তার ভারতে যাওয়াই লাগবে। এক বছর পর সামিরা রামজীর গ্রামে আসে, সামিরা তাকে ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী আবার বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কারণ সে তাকে ভালোবাসে। রামজী এবং সামিরা ভারতেই নতুন একটি রেস্তোরাঁর ব্যবসা নিজেরাই শুরু করে এবং অভিনেতা [[অমিতাভ বচ্চন]] সেটি উদ্বোধন করতে আসেন।
==অভিনয়ে==
*[[আর. মাধবন]] - -রামনারায়ণ তিওয়ারী (রামজী)
*সামিতা ব্যাঙ্গার্গি - সামিরা (সামি)
*সতিশ শাহ - বিশ্বম্ভর মেহরা
*রাজ জ্যোতিষী - জয় কাপুর
*অখিলেন্দ্র মিশ্র - মিশ্র
*আভা পারমার - রামজীর মাতা
*আদিত্য লাখিয়া - পাপ্পু
*[[অমিতাভ বচ্চন]] - অতিথি ভূমিকা (নিজ ভূমিকা)
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{ সূত্র তালিকা }}
{{ সূত্র তালিকা }}

১০:১৮, ১১ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রামজী লন্ডনওয়ালে
পোস্টার
পরিচালকসঞ্জয় দায়মা
প্রযোজকসুনন্দা মুরালী মনোহর
চিত্রনাট্যকারমাধবন
অবন্তিকা হরি
কাহিনিকারকামাল হাসান
শ্রেষ্ঠাংশেমাধবন
সামিতা ব্যাঙ্গার্গি
সুরকারবিশাল ভরদ্বাজ
প্রবীণ মণি
চিত্রগ্রাহকরবি বর্মণ
মুক্তি২ সেপ্টেম্বর ২০০৫
দেশভারত
ভাষাহিন্দি

রামজী লন্ডনওয়ালে হচ্ছে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি পরিচালনা করেছিলেন সঞ্জয় দাইমা এবং প্রযোজনা করেছিলেন সুনন্দা মুরালী মনোহর। চলচ্চিত্রটি ২০০৩ সালের তামিল চলচ্চিত্র নালা দমায়ন্তী এর পুনঃনির্মাণ ছিলো যেখানে এক সহজ-সরল গ্রাম্য ছেলে বিদেশে যেয়ে ঝামেলায় পড়ে। রামজী লন্ডনওয়ালের প্রথম নাম বাবুর্চি রাখা হবে বলে ভাবা হয়েছিলো কিন্তু পরে রামজী লন্ডনওয়ালে রাখা হয়।[১] চলচ্চিত্রটিতে মাধবন নালা দমায়ন্তীর রামজী নারায়ণস্বামী আইয়ার চরিত্রের মতই রামায়ণ তিওয়ারী নামের এক গ্রাম্য পাকা রাধক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[২] চলচ্চিত্রটির একটি বিশেষ চরিত্রে বলিউড কিংবদন্তী অমিতাভ বচ্চন ছিলেন।

কাহিনী

রামজী (মাধবন) হচ্ছে একজন সহজ সরল গ্রামীণ রাধক যে তার একমাত্র বোনের ভালো পরিবারে বিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে, তাদের বাবামা নেই। তার বোনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য একটি ছেলেকে পেয়ে যায় রামজী এবং পরে তাকে তার বোনের বিয়ের জন্য তার বরের পরিবারকে যৌতুক প্রদান করতে হবে - এটা ভেবে সে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। রামজী লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করে এবং লন্ডন চলে যায়, এবং ওখানে সে যায় রাধক হিসেবে একটি উচ্চবিত্ত ভারতীয় ব্যবসায়ী পরিবারে রান্না করার জন্য। রাধক হিসেবে আয় করার পর সে তার এই আয় দিয়ে তার বোনের বিয়ের যৌতুকের টাকা পরিশোধ করে দেবে। রামজী যেদিন লন্ডন পৌঁছায় ঐদিন তার যেই বাসায় কাজ করার কথা ছিলো ঐ বাসার মালিক অর্থাৎ তাকে যে ব্যক্তি কাজ দেবে সে মারা যায়। এরপর রামজী অবৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পায় একটি রেস্তোরাঁয় পাচক হিসেবে, রেস্তোরাঁটির মালিক একজন ভারতীয় যার নাম বদরী, তার স্ত্রী আছে এবং একটি ছেলে আছে যারা লন্ডনেই থাকে। রামজীকে বদরীর স্ত্রীসহ বদরী নিজেও পছন্দ করা শুরু করে। রেস্তোরাঁটি ভারতীয়দের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, একদা এক পুলিশ রেস্তোরাঁটিতে আসে। পুলিশ রামজীর বৈধ কাগজপত্র দেখতে চায় যা রামজীর কাছে নেই।

বদরীর জয় কাপুর নামে একজন আইনজীবী বন্ধু আছে যে বদরীকে বুদ্ধি দেয় যে রামজীকে একটা ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করতে হবে যাতে করে পুলিশ তাকে এ দেশ থেকে তাড়িয়ে না দেয়। জয়ের নিজেরই প্রেমিকা সামিরাকে বিয়ে করার কথা বলে সে, বদরী রামজীকে এই কথা বলে যে তাকে এক ব্রিটিশ নাগরিককে বিয়ে করতে হবে যাতে পুলিশ কিছু করতে না পারে, তাছাড়া বদরী তার রেস্তোরাঁয় বহু অবৈধ ভারতীয় নাগরিককে কাজ দিয়েছে যার কারণে পুলিশ তার রেস্তোরাঁর ব্যবসা বন্ধ করে দিতে পারে। রামজী সামিরাকে বিয়ে করতে রাজী হয়ে যায়, এবং তারা একটি চার্চে বিয়ে করে।

পুলিশের সন্দেহ হয় যে এই বিয়েটা ভুয়া। ভারতীয় দূতাবাস রামজী এবং সামিরাকে ডাক দেয়। এই সময়ের মধ্যে রামজী জয় সম্বন্ধে জানতে পারে যে তার আগে একটি পত্নী ছিলো। জয়ের প্রাক্তন পত্নী রামজীকে বলে যে জয় প্রতারক, জয় তাকে ধোঁকা দিয়ে ত্যাগ করেছে, তাদের একটি ছেলেও হয়েছে, সে জানায় সে জয়কে শাস্তি দেবে। রামজী এইসব কথা সামিরাকে বললে সামিরাও জয়ের প্রাক্তন পত্নীর সঙ্গে কথা বলে। পুলিশ যাতে সামিরা এবং রামজীর বিয়েকে ধোঁকা মনে না করে সেইজন্যে সামিরা এবং রামজী একই সঙ্গে থাকা শুরু করে দেয়। সামিরা রামজীর গ্রাম্য আচরণ পছন্দ করেনা। রামজীর ভালো রান্না সামিরার পছন্দ হয়ে যায় এবং সে রামজীকে পছন্দ করা শুরু করে। ধীরে ধীরে সামিরা বুঝতে পারে যে জয় তাকে ভালোবাসেনা আসলে।

রামজী তার বোনের যৌতুকের টাকা ভারতে পাঠাতে পারেনা, তার বোনকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বের করে দেয়। রামজীর বোন রামজীকে টেলিফোনে পাওয়ার চেষ্টা করে, সামিরা ফোন ধরে এবং সব কথা শোনার পর সামিরা ভারতে টাকা পাঠিয়ে দেয়। রামজী ভারতীয় দূতাবাসে ভুল কথা বলার কারণে ঝামেলায় পড়ে, ভারতীয় দূতাবাস তার বৈধ কাগজপত্র না থাকার কারণে তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেবার নির্দেশ দেয়। রামজী যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় একটি খবর আসে যে সে একটি রান্না প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে এবং একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় রান্না করার সুযোগ পেয়েছে।

রামজী সামিরাকে বলে যে তার ভারতে যাওয়াই লাগবে। এক বছর পর সামিরা রামজীর গ্রামে আসে, সামিরা তাকে ভারতীয় সংস্কৃতি অনুযায়ী আবার বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কারণ সে তাকে ভালোবাসে। রামজী এবং সামিরা ভারতেই নতুন একটি রেস্তোরাঁর ব্যবসা নিজেরাই শুরু করে এবং অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন সেটি উদ্বোধন করতে আসেন।

অভিনয়ে

  • আর. মাধবন - -রামনারায়ণ তিওয়ারী (রামজী)
  • সামিতা ব্যাঙ্গার্গি - সামিরা (সামি)
  • সতিশ শাহ - বিশ্বম্ভর মেহরা
  • রাজ জ্যোতিষী - জয় কাপুর
  • অখিলেন্দ্র মিশ্র - মিশ্র
  • আভা পারমার - রামজীর মাতা
  • আদিত্য লাখিয়া - পাপ্পু
  • অমিতাভ বচ্চন - অতিথি ভূমিকা (নিজ ভূমিকা)

তথ্যসূত্র

  1. "Ramji Londonwaley"Sify (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৮ 
  2. Adarsh, Taran (২ সেপ্টেম্বর ২০০৫)। "Ramji Londonwaley"Sify। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ