রাণীশংকৈল উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বানান সংশোধন |
0টি উৎস উদ্ধার করা হল ও 1টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল। #IABot (v2.0beta14) |
||
২২ নং লাইন: | ২২ নং লাইন: | ||
|মোট_আয়তন = ২৮৭.৭৪ |
|মোট_আয়তন = ২৮৭.৭৪ |
||
|আয়তন_টীকা = |
|আয়তন_টীকা = |
||
|জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://ranisankail.thakurgaon.gov.bd/node/215888-এক-নজরে-রাণীশংকৈল | |
|জনসংখ্যার_পাদটীকা = <ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল= http://ranisankail.thakurgaon.gov.bd/node/215888-এক-নজরে-রাণীশংকৈল |শিরোনাম= এক নজরে রাণীশংকৈল |লেখক= বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন |তারিখ= জুন ২০১৪ |ওয়েবসাইট= |প্রকাশক= গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |সংগ্রহের-তারিখ= ২০ জুন, ২০১৫ }}{{অকার্যকর সংযোগ|তারিখ=এপ্রিল ২০১৯ |bot=InternetArchiveBot |ঠিক করার প্রচেষ্টা=yes }}</ref> |
||
|মোট_জনসংখ্যা = ২,২২,২৮৪ |
|মোট_জনসংখ্যা = ২,২২,২৮৪ |
||
|এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১ |
|এই_অনুযায়ী_জনসংখ্যা = ২০১১ |
০১:৪৩, ৭ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রাণীশংকৈল | |
---|---|
উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক: ২৫°৫৩′১৮″ উত্তর ৮৮°১৫′৬″ পূর্ব / ২৫.৮৮৮৩৩° উত্তর ৮৮.২৫১৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | ঠাকুরগাঁও জেলা |
আয়তন | |
• মোট | ২৮৭.৭৪ বর্গকিমি (১১১.১০ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[১] | |
• মোট | ২,২২,২৮৪ |
• জনঘনত্ব | ৭৭০/বর্গকিমি (২,০০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৬০% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৫৫ ৯৪ ৮৬ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রাণীশংকৈল উপজেলা বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
অবস্থান
রানীশংকৈল উপজেলাটি হলো ঠাকুরগাঁও জেলা এবং রংপুর বিভাগের অন্তর্গত। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম কর্ণরে অবস্থিত। এর আয়তন ২৮৭.৫৯ বর্গকিলোমিটার। রাজধানী ঢাকা থেকে রানীশংকৈলের দুরত্ব প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার। এই উপজেলার উত্তর দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা, পূর্বে পীরগঞ্জ উপজেলা, পশ্চিমে হরিপুর উপজেলা এবং দক্ষিণে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ অবস্থতি।
ইতিহাস
প্রাচীনকালে এই অঞ্চল বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ১৭৯৩ সালে রানীশংকৈল অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[২] পরর্বতীতে ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পূর্ব পাকিস্তান এবং পরে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্গত হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত রানীশংকৈল উপজেলাটি দিনাজপুর জেলার অধীনেই ছিলো ৮৪ সালে ঠাকুরগাঁও কে নতুন জেলা করা হলে রানীশংকৈল ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে আসে।
১৯৪৬ সালে রানীশংকৈল উপজেলায় তেভাগা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় কৃষক নারীরা লাঠি, ঝাঁটা, দা-বটি, কুড়াল যে যা হাতের কাছে পায় তাই দিয়ে পুলিশকে বাঁধা দেয়। একজন বন্দুকধারী পুলিস নারী ভলান্টিয়ারদের প্রতি অসম্মানজনক উক্তি করে গালি দেয়। কৃষক নেতা ও রাজবংশী নারী ভাণ্ডনীর নেতৃত্বে কৃষক নারীরা পুলিসটিকে গ্রেপ্তার করে সারারাত আটক রাখে। ভাণ্ডনী সারারাত বন্দুক কাঁধে করে তাকে পাহারা দেয়।[৩]
নদনদী
রাণীশংকৈল উপজেলায় চারটি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নাগর নদী, কুলিক নদী, নোনা নদী এবং তীরনই নদী।[৪][৫] এর মধ্যে কুলিক এবং নোনা হলো বাংলাদেশের দুটি নদী যেগুলো বাংলাদেশে উৎপন্ন হয়ে প্রবাহিত হয়ে ভারতে পৌছেছে। এছাড়া সারা দেশে অন্য যে নদীগুলো আছে সেগুলো ভারত থেকে এসেছে। অথবা ভারতে উৎপন্ন হয়ে বাংলাদেশে এসেছে আবার ভারতে গেছে।
কৃষি
২২ হাজার ৪০৫ দশমিক ০৯ হেক্টর জমি চাষ যোগ্য, ৬ হাজার ১১৫ দশমিক ৭৪ হেক্টর জমি পতিত অবস্থায় আছে। চাষ যোগ্য জমিগুলোর মধ্যে বছরে একবার ফসল উৎপন্ন হয় ৩০% জমিতে, দুই বার উৎপন্ন হয় ৫৫% জমিতে আর তিনবার বার তার বেশি ফসল উৎপন্ন হয় ১৫% জমিতে। চাষ যোগ্য জমির মধ্যে ৬৯% জমিতে সেচ ব্যবস্থা আছে।
প্রশাসনিক এলাকা
রাণীশংকৈল উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ইউনিয়নসমূহ হচ্ছে-
- ধর্মগড় ইউনিয়ন
- নেকমরদ ইউনিয়ন
- হোসেনগাঁও ইউনিয়ন
- লেহেম্বা ইউনিয়ন
- বাচোর ইউনিয়ন
- কাশিপুর ইউনিয়ন
- রাতোর ইউনিয়ন
- নন্দুয়ার ইউনিয়ন
ইতিহাস
জনসংখ্যার উপাত্ত
শিক্ষা
অর্থনীতি
রানিশনকৈল উপজেলার মোট জনসংখ্যার অর্ধেক কৃষি কাজের সাথে জড়িত, আর বাকি অর্ধেক বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। এই উপজেলার অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী দেশর বিভিন্ন জেলা হতে এসেছেন।
কৃতী ব্যক্তিত্ব
- আলী আকবর, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য
- ইয়াসিন আলী, রাজনীতিবিদ ও সংসদ সদস্য[৬]
গ্যালারি
-
রাণীশণকৈল ডিগ্রি কলেজের নামের ফলক।।
বিবিধ
তথ্যসূত্র
- ↑ বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (জুন ২০১৪)। "এক নজরে রাণীশংকৈল"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন, ২০১৫। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ ধনঞ্জয় রায়, দিনাজপুর জেলার ইতিহাস, কে পি বাগচী অ্যান্ড কোম্পানি কলকাতা, প্রথম প্রকাশ ২০০৬, পৃষ্ঠা ২১১
- ↑ সুপ্রকাশ রায়, তেভাগা সংগ্রাম; র্যাডিক্যাল কলকাতা, সংশোধিত দ্বিতীয় প্রকাশ, জানুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ১১-১২
- ↑ ড. অশোক বিশ্বাস, বাংলাদেশের নদীকোষ, গতিধারা, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২০১১, পৃষ্ঠা ৪০৫, আইএসবিএন ৯৭৮-৯৮৪-৮৯৪৫-১৭-৯।
- ↑ মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, বাংলাদেশের নদনদী: বর্তমান গতিপ্রকৃতি, কথাপ্রকাশ, ঢাকা, ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, পৃষ্ঠা ৬১৭, ISBN 984-70120-0436-4.
- ↑ "নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের তালিকা"। জাতীয় সংসদ।