বগুড়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→সংস্কৃতি: বিষয়বস্তু যোগ ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
→ইতিহাস: বানান সংশোধন ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৪০ নং লাইন: | ৪০ নং লাইন: | ||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
ইতিহাস থেকে জানা যায় বাংলার প্রাচীনতম একটি শহর বগুড়া। ভারতের |
ইতিহাস থেকে জানা যায় বাংলার প্রাচীনতম একটি শহর বগুড়া। ভারতের সম্রাট "অশোক" বাংলা জয় করার পর এর নাম রাখেন [[পুণ্ড্রবর্ধন]]। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়া ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। |
||
== ভৌগোলিক অবস্থান == |
== ভৌগোলিক অবস্থান == |
০৯:১৪, ২৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বগুড়া | |
---|---|
শহর | |
বাংলাদেশে বগুড়ার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫১′ উত্তর ৮৯°২২′ পূর্ব / ২৪.৮৫০° উত্তর ৮৯.৩৬৭° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রাজশাহী |
জেলা | বগুড়া জেলা |
পুণ্ড্রবর্ধন | ১২৮০ খ্রিস্টপূর্ব |
আয়তন | |
• মোট | ২৬.৮৬ বর্গকিমি (১০.৩৭ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৭) | |
• মোট | ৭,৮০,০০০ |
• জনঘনত্ব | ২৯,০০০/বর্গকিমি (৭৫,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৮০০ |
এলাকার টেলিফোন কোড | ০৫১ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
বগুড়া উত্তরবঙ্গের একটি শিল্প ও বাণিজ্যিক শহর। এটি রাজশাহী বিভাগ-এর অন্তর্গত। বগুড়াকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলা হয়; মূলতঃ ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় (১৬টি জেলা) বগুড়া হয়ে যেতে হয় বলে এমনটি বলা হয়। বগুড়া শহরে "শহীদ চান্দু" নামে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে;[১] এছাড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (সরকারি) শহর থেকে সামান্য দুরেই অবস্থিত। বগুড়া দইয়ের জন্য খুব বিখ্যাত।[২] বগুড়া শহরে থেকে ১১ কিঃমিঃ উত্তরে মহাস্থানগড় অবস্থিত, যা একসময় প্রাচীন বাংলার রাজধানী ছিল এবং সেসময় পুণ্ড্রনগর নামে পরিচিত ছিল।
ইতিহাস
ইতিহাস থেকে জানা যায় বাংলার প্রাচীনতম একটি শহর বগুড়া। ভারতের সম্রাট "অশোক" বাংলা জয় করার পর এর নাম রাখেন পুণ্ড্রবর্ধন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়া ৭ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
ভৌগোলিক অবস্থান
বগুড়া শহর বগুড়া জেলার মধ্যভাগে করতোয়া নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত। করতোয়া নদী উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বগুড়াকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে।
জলবায়ু
বগুড়া-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫.০ (৭৭.০) |
২৮.০ (৮২.৪) |
৩২.৬ (৯০.৭) |
৩৫.১ (৯৫.২) |
৩৩.৫ (৯২.৩) |
৩২.২ (৯০.০) |
৩১.৪ (৮৮.৫) |
৩১.৪ (৮৮.৫) |
৩১.৫ (৮৮.৭) |
৩১.০ (৮৭.৮) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
২৬.০ (৭৮.৮) |
৩০.৬ (৮৭.০) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১১.৭ (৫৩.১) |
১৩.৫ (৫৬.৩) |
১৭.৯ (৬৪.২) |
২২.৫ (৭২.৫) |
২৪.১ (৭৫.৪) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৩.২ (৭৩.৮) |
১৭.৬ (৬৩.৭) |
১৩.১ (৫৫.৬) |
২০.৬ (৬৯.১) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ৯ (০.৪) |
১৩ (০.৫) |
২১ (০.৮) |
৬১ (২.৪) |
২১০ (৮.৩) |
৩২৬ (১২.৮) |
৩৯৭ (১৫.৬) |
৩০২ (১১.৯) |
২৫৭ (১০.১) |
১৪৫ (৫.৭) |
১৫ (০.৬) |
৬ (০.২) |
১,৭৬২ (৬৯.৪) |
উৎস: Climate-data.org |
অর্থনীতি
সাম্প্রতিক বছর গুলোতে বগুড়া শহরের অবকাঠামোগত প্রচুর উন্নতি সাধিত হয়েছে। নতুন শহর পরিকল্পনার মাধ্যমে রাস্তাগুলো পুননির্মান এবং দু লেনে উন্নিতকরণ করা হয়েছে । এখানকার মাটি বেশ উর্বর এবং এখানে প্রচুর শস্যের উৎপাদন হয়। বিগত কয়েক বছরে বগুড়ায় লাল মরিচের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে যা কিনা ১০০ কোটি টাকার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসা- বাণিজ্যের উন্নতির সাথে সাথে এখানকার ব্যাংকিং ব্যাবস্থাপনাতেও এসেছে নতুন মাত্রা; সরকারি বেসরকারি প্রায় সব ব্যাংকের একটি করে শাখা রয়েছে এখানে। ২৪ ঘন্টাই শহরের যে কোনো প্রান্তে এটিএম বুথ খোলা পাওয়া যায়। ২০০৮ সালে ফ্রান্সের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ড্যানোন গ্রুপ গ্রামীণ গ্রুপের সাথে যৌথভাবে শক্তিদই তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
পর্যটন
বগুড়া শহরের ১১ কি.মি. অদূরে মহাস্থানগড় অবস্তিত। এখানে পূর্বে রাজা পশুরামের রাজ্য ছিল। এখানে বেহুলা-লখিন্দের বাসর ঘর ও গবিন্দ ভিটা রয়েছে; আছে জাদুঘরও। বগুড়া শহরে রয়েছে "নওয়াব প্যালেস"; যা ব্রিটিশ আমলে "নীলকুঠী" নামে পরিচিত ছিল। এখানে থাকার জন্য রয়েছে চার তারকা বিশিষ্ট হোটেল "নাজ গার্ডেন" এবং পাচ তারকা হোটেল মম ইন।
সংস্কৃতি
সুফি, মারাঠি, লালন ইত্যাদি নিয়ে বগুড়ার সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বগুড়া থেকে প্রকাশিত কয়েকটি আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে আছে দৈনিক করতোয়া, দৈনিক উত্তরকোণ, দৈনিক বগুড়া, দৈনিক চাঁদনি বাজার, দৈনিক উত্তরাঞ্চল ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও ষাটের দশকে পাকিস্তানি শোষন বিরোধী পত্রিকা - লিটল ম্যাগাজিন, পদধ্বনি, বীপ্রতিক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এখানকার মরিচ ও দই খুব বিখ্যাত।
শিক্ষা
বগুড়া শহরের উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলোঃ সরকারি আজিজুল হক কলেজ, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজী, বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, সরকারি শাহ সুলতান কলেজ, বগুড়া পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, নওখিলা পি.এন উচ্চ বিদ্যালয় প্রভৃতি।
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব
- প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮) - ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনের নেতা
- মোহাম্মদ আলী বগুড়া (মৃত্যুঃ ১৯৬৯) - কূটনীতিক এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী
- খাদেমুল বাশার, বীর উত্তম (১৯৩৫-১৯৭৬) - মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং বিমান বাহিনীর সবেক প্রধান
- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) - সাহিত্যিক ও গল্পকার
- গাজীউল হক (১৯২৯-২০০৯) - ভাষা সৈনিক
- এম. আর. আখতার মুকুল (১৯২৯-২০০৪) - লেখক এবং সাংবাদিক।
- মনোজ দাশগুপ্ত (১৯৪৯-১৯৯৭) - বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, সংগঠক ও রাজনীতিক।
- মুশফিকুর রহিম - বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক
- রোমেনা আফাজ - সাহিত্যিক
- শফিউল ইসলাম সুহাস- একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
- এনামুল হক ( একুশে পদক ২০১৪, স্বাধীনতা পদক ২০১৭)
- অপু বিশ্বাস - প্রখ্যাত অভিনেত্রী।
- ফরিদুর রেজা সাগর,চ্যানেল আই চেয়ারম্যান।
- সৈয়দ আনোয়ার হোসেন,লেখক ও ইতিহাসবিদ
- জিয়াউর রহমান (১৯৩৫-১৯৮১) - বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার প্ররোচনাদায়ক, সাবেক রাষ্ট্রপতি।
তথ্যসূত্র
- ↑ সোনার মুদ্রায় যাত্রা শুরু
- ↑ "বগুড়ার দই"। ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১২।