ওবায়দুল কাদের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাংলা উইকিপিডিয়া কোন সংবাদপত্র নয়। এবং লেখায় কোন রেফারেন্স যোগ করা হয়নি
Imonreza (আলোচনা | অবদান)
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
|birth_date= {{জন্ম তারিখ ও বয়স|১৯৫২|1|1|df=y}}
|birth_date= {{জন্ম তারিখ ও বয়স|১৯৫২|1|1|df=y}}
|birth_place = [[কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা (নোয়াখালী)|কোম্পানিগঞ্জ]], [[নোয়াখালী]], [[পূর্ব পাকিস্তান]] (<small>বর্তমানে- [[বাংলাদেশ]]</small>)
|birth_place = [[কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা (নোয়াখালী)|কোম্পানিগঞ্জ]], [[নোয়াখালী]], [[পূর্ব পাকিস্তান]] (<small>বর্তমানে- [[বাংলাদেশ]]</small>)
|office = মন্ত্রী, [[সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ]]
|office = মন্ত্রী, [[সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)]]
|term_start = ডিসেম্বর ২০১১
|term_start = ডিসেম্বর ২০১১
|term_end = বর্তমান
|term_end = বর্তমান

১১:০৩, ৩ মার্চ ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ওবায়দুল কাদের
মন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)
কাজের মেয়াদ
ডিসেম্বর ২০১১ – বর্তমান
সংসদীয় এলাকানোয়াখালী-৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1952-01-01) ১ জানুয়ারি ১৯৫২ (বয়স ৭২)
কোম্পানিগঞ্জ, নোয়াখালী, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে- বাংলাদেশ)
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
শিক্ষাবিএ (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশারাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, লেখক
ওয়েবসাইটwww.obaidulquader.com (নির্মাণাধীন)

ওবায়দুল কাদের (জন্মঃ ১ জনুয়ারি ১৯৫২) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী। তাঁর অন্যান্য পরিচয়ের মধ্যে রয়েছে তিনি একজন সাংবাদিক এবং লেখক।

জন্ম ও শিক্ষা

১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি [১], নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার বড় রাজাপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন ওবায়দুল কাদের। বাবা মোশারফ হোসেন সরকারি চাকুরি ছেড়ে দিয়ে জনশিক্ষা স্বার্থে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ওবায়দুল কাদের বসুরহাট সরকারি এএইচসি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে মেধা তালিকায় স্থান নিয়ে এইচএসসি পাশ করেন।[২] অতঃপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্সসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।

ছাত্র রাজনীতি

তিনি কলেজ জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণআন্দোলন ও ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।[৩] তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) অধিনায়ক ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারা বরণ করেন। ১৯৭৫ এর পর এক নাগাড়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পরপর দুইবার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।[৪]

লেখালেখি

তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা ও লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত থাকেন।[৪] দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসাবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। রচনা করেছেন আটটি গ্রন্থ। গ্রন্থগুলি হলো :

  1. Bangladesh: A Revolution Betrayed, (যা ১৯৭৬ সালে কলকাতা মনীষা পাবলিশার্স প্রকাশ করেছে)
  2. বাংলাদেশের হৃদয় হতে
  3. পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু
  4. এই বিজয়ের মুকুট কোথায়
  5. তিন সমুদ্রের দেশে
  6. মেঘে মেঘে অনেক বেলা
  7. রচনা সমগ্র
  8. কারাগারে লেখা অনুস্মৃতি: যে কথা বলা হয়নি।
  9. নির্বাচিত কলাম ও
  10. গাংচিল

রাজনৈতিক জীবন

ওবায়দুল কাদের ১২ জুন ১৯৯৬ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নোয়াখালী-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২৩ জুন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং একই দিনে যুব ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।[৩][৪] ২০০২ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন থেকে ২০০৯-এর সম্মেলন পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।[৪] ১/১১ পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তিনি ২০০৭ সালের ৯ মার্চ জরুরি বিধিতে গ্রেফতার হয়ে ১৭ মাস ২৬ দিন কারাবরণ করেন। ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন। কারাগারে থাকাকালে কারাজীবনের বর্ণনা দিয়ে “অনুস্মৃতি : যে কথা বলা হয়নি” লেখেন। তিনি ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর পুনরায় দ্বিতীয়বারের মত নোয়াখালী-৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০ তম জাতীয় সম্মেলনে তিনি ২০১৬-২০১৯ মেয়াদে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।[৫]

বর্তমান

২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গভবনে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। বর্তমানে (২০১২- অদ্যবধি) তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।[৬] তিনি কিছুদিনের জন্য রেলমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পালন করেন। আওয়ামীলীগ এর ২০তম জাতীয় সম্মেলন এ তিনি সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্বে নির্বাচিত হয়েছেন। [৭]

তথ্যসূত্র

  1. "ওবায়দুল কাদের-এর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত" (পিডিএফ)। ৩ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  2. "জীবনী"। ২১ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  3. "Obaidul Quader: At a glance"ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "Companiganj" 
  5. "শেখ হাসিনা সভাপতি, ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৬ 
  6. "বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয় তথ্য বাতায়ন - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার - People's Republic of Bangladesh" 
  7. "রেলের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন ওবায়দুল কাদের"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ