কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) →পংক্তি: কপিরাইটযুক্ত |
|||
৪৪ নং লাইন: | ৪৪ নং লাইন: | ||
==রচনার ইতিহাস== |
==রচনার ইতিহাস== |
||
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সময় মাহবুব উল আলম চট্রগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা-সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগেই তিনি আকস্মিকভাবে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে সেই রাতেই রোগশয্যায় শুয়ে তিনি এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন। রাতেই সেটি মুদ্রিত হয় এবং পরের দিন প্রচারিত হয়। এছাড়া সে দিনই চট্রগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পঠিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/39974/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%bf |শিরোনাম=কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি |প্রকাশক=rokomari.com |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮}}</ref> |
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সময় মাহবুব উল আলম চট্রগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা-সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগেই তিনি আকস্মিকভাবে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে সেই রাতেই রোগশয্যায় শুয়ে তিনি এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন। রাতেই সেটি মুদ্রিত হয় এবং পরের দিন প্রচারিত হয়। এছাড়া সে দিনই চট্রগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পঠিত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |ইউআরএল=https://www.rokomari.com/book/39974/%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%86%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf-%e0%a6%ab%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%80-%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%bf |শিরোনাম=কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি |প্রকাশক=rokomari.com |সংগ্রহের-তারিখ=১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮}}</ref> |
||
==পংক্তি== |
|||
<poem>এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে |
|||
রমনার ঊর্ধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার তলায় |
|||
যেখানে আগুনের ফুলকির মতো |
|||
এখানে ওখানে জ্বলছে অসংখ্য রক্তের ছাপ |
|||
সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি। |
|||
আজ আমি শোকে বিহ্বল নই |
|||
আজ আমি ক্রোধে উন্মত্ত নই |
|||
আজ আমি প্রতিজ্ঞায় অবিচল। |
|||
যে শিশু আর কোনোদিন তার |
|||
পিতার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ার |
|||
সুযোগ পাবে না |
|||
যে গৃহবধূ আর কোনোদিন তার |
|||
স্বামীর প্রতীক্ষায় আঁচলে প্রদীপ |
|||
ঢেকে দুয়ারে আর দাঁড়িয়ে থাকবে না |
|||
যে জননী খোকা এসেছে ব’লে |
|||
উদ্দাম আনন্দে সন্তানকে আর |
|||
বুকে জড়িয়ে ধরতে পারবে না |
|||
যে তরুণ মাটির কোলে লুটিয়ে |
|||
পড়ার আগে বার বার একটি |
|||
প্রিয়তমার ছবি চোখে আনতে |
|||
চেষ্টা করেছিলো |
|||
সে অসংখ্য ভাইবোনদের নামে |
|||
আমার হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত |
|||
যে ভাষায় আমি মাকে সম্বোধনে অভ্যস্ত |
|||
সেই ভাষা ও স্বদেশের নামে |
|||
এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে |
|||
আমি তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি |
|||
যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে |
|||
নির্বিচারে হত্যা করেছে। |
|||
(অংশ)<ref name="ittefaq">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |ইউআরএল=http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/special-issue/2017/02/21/177362.html |শিরোনাম=কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি |প্রথমাংশ=ittefaq.com.bd |তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ইং }}</ref></poem> |
|||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
০৭:৩০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
মাহবুব উল আলম চৌধুরী কর্তৃক রচিত | |
লিখেছেন | ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি |
---|---|
প্রথম প্রকাশিত | কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | ভাষা আন্দোলন |
গঠন | দেশাত্মবোধ |
প্রকাশক | কামালউদ্দিন খান |
প্রকাশনার তারিখ | ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত |
পৃষ্ঠা | ১৭ |
কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। এই জন্য কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
রচনার ইতিহাস
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় গুলিবর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সময় মাহবুব উল আলম চট্রগ্রাম জেলা রাষ্ট্রভাষা-সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন। ২১শে ফেব্রুয়ারির ঠিক আগে আগেই তিনি আকস্মিকভাবে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হন। ঢাকার ছাত্রহত্যার খবর পেয়ে সেই রাতেই রোগশয্যায় শুয়ে তিনি এই দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন। রাতেই সেটি মুদ্রিত হয় এবং পরের দিন প্রচারিত হয়। এছাড়া সে দিনই চট্রগ্রামের প্রতিবাদ সভায় পঠিত হয়েছিল।[১]
তথ্যসূত্র
- ↑ "কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি"। rokomari.com। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।