আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
মাতার নাম
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
BanglaAmarMatrivasha (আলোচনা | অবদান)
→‎পরিবার ও কর্মজীবন: বিষয়বস্তু যোগ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৭ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:


== পরিবার ও কর্মজীবন ==
== পরিবার ও কর্মজীবন ==
তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া। আবদুস সালাম কর্মজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের 'পিয়ন' হিসেবে কর্মরত ছিলেন। [[ঢাকা|ঢাকার]] নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বাস করতেন।তার মাতার নাম দৌলতের নেছা।
তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া। আবদুস সালাম কর্মজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের 'পিয়ন' হিসেবে কর্মরত ছিলেন। [[ঢাকা|ঢাকার]] নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বাস করতেন।তার মাতার নাম দৌলতের নেছা।শহীদ আবদুস সালাম অর্থাভাবে বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি।গ্রামের একটি স্কুলে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেন।


== ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ==
== ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ ==

০৮:৫৯, ২০ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আবদুস সালাম
চিত্র:Shaheed Abdus Salam.jpg
জন্ম
আবদুস সালাম

১৯২৫ সাল
মৃত্যু৭ এপ্রিল, ১৯৫২ সাল
পেশাচাকুরী
পরিচিতির কারণভাষা শহীদ

আবদুস সালাম এর জন্ম ২৭ নভেম্বর, ১৯২৫ সালে ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামে (পরবর্তীতে তার নামানুসারে গ্রামের নামকরণ করা হয় সালামনগর); মৃত্যু এপ্রিল ৭, ১৯৫২ সালে। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম শহীদ। ভাষা রক্ষায় তাঁর অসামান্য ভূমিকা ও আত্মাহুতির কারণেই পরবর্তীকালে বাঙালি জাতিকে জাতীয় চেতনায় উজ্জ্বীবিত ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ চেতনার ফলেই ১৯৭১ সালের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।[১]

পরিবার ও কর্মজীবন

তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ ফাজিল মিয়া। আবদুস সালাম কর্মজীবনে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের ডিরেক্টরেট অব ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগের 'পিয়ন' হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বাস করতেন।তার মাতার নাম দৌলতের নেছা।শহীদ আবদুস সালাম অর্থাভাবে বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি।গ্রামের একটি স্কুলে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেন।

ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে আবদুস সালাম গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ৭ এপ্রিল, ১৯৫২ তারিখে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।[২]

সম্মাননা

  • এই মহান ভাষা শহীদের নামে নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনির অন্যতম যুদ্ধ জাহাজ বি এন এস সালাম এর।
  • মহান ভাষা আন্দোলনে আবদুস সালাম অনবদ্য ভূমিকা রাখায় বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০০ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর) প্রদান করেন।
  • ফেনী স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে ২০০০ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে' রূপান্তর করা হয়।
  • দাগনভুঞা উপজেলা মিলনায়তনকে ২০০৭ সালে 'ভাষা শহীদ সালাম মিলনায়তন' করা হয়।
  • তাঁর নিজ গ্রাম লক্ষ্মণপুরের নাম পরিবর্তন করে 'সালাম নগর' রাখা হয়।
  • এই মহান ভাষা শহীদের নামে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আবাসিক ছাত্র হল 'ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হল' প্রতিষ্ঠা করা হয়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "আবদুস সালাম"। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। 
  2. "শহীদ আব্দুস সালাম"। অমর একুশে ডট কম। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ