লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আঞ্চলিক মানসিক চিকিৎসালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ ৰ -> র |
আ হ ম সাকিব (আলোচনা | অবদান) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
||
৩৬ নং লাইন: | ৩৬ নং লাইন: | ||
| module = |
| module = |
||
}} |
}} |
||
'''লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আঞ্চলিক মানসিক চিকিৎসালয়''' ({{lang-as| |
'''লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আঞ্চলিক মানসিক চিকিৎসালয়''' ({{lang-as|লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বৰদলৈ আঞ্চলিক মানসিক স্বাস্থ্য প্ৰতিষ্ঠান}}) হচ্ছে [[আসাম|আসামের]] [[তেজপুর|তেজপুরে]] অবস্থিত মানসিক চিকিৎসালয়। চিকিৎসালয়টির মোট আয়তন হচ্ছে ৮১ একর। চিকিৎসালয়টিতে মোট ৩৩৬জন পুরুষ ও মহিলা পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা, চিকিৎসক-কর্মচারীর জন্য আবাস, পেথোলোজিকেল পরীক্ষাগার, গ্রন্থাগার ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে। |
||
==ইতিহাস== |
==ইতিহাস== |
||
[[ভারত|ভারতবর্ষে]] ব্রিটিশদের আগমণের সময় থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য পাগলা গারদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল<ref name="ইতিহাস"/>। ১৮৭৬ সনে ব্রিটিশেরা ঢাকা পাগলা গারদ থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ লোকদের স্থানান্তর করে [[তেজপুর|তেজপুরে]] পাগলা গারদ স্থাপন করেন। [[গিরিশ চন্দ্র দাশ]] নামক এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে পাগলদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু সেই সময়ে রোগীর হাত-পা বেধে চিকিৎসা করা হত ও প্রয়োজনসাপেক্ষে উন্মাদদের সেলে বন্দী করে রাখা হত। |
[[ভারত|ভারতবর্ষে]] ব্রিটিশদের আগমণের সময় থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য পাগলা গারদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল<ref name="ইতিহাস"/>। ১৮৭৬ সনে ব্রিটিশেরা ঢাকা পাগলা গারদ থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ লোকদের স্থানান্তর করে [[তেজপুর|তেজপুরে]] পাগলা গারদ স্থাপন করেন। [[গিরিশ চন্দ্র দাশ]] নামক এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে পাগলদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু সেই সময়ে রোগীর হাত-পা বেধে চিকিৎসা করা হত ও প্রয়োজনসাপেক্ষে উন্মাদদের সেলে বন্দী করে রাখা হত। |
||
১৯২২ সনে চিকিৎসা প্রণালী উন্নত করা হয় ও পাগলা গারদ নাম পরিবর্তন করে মানসিক চিকিৎসালয় নামে নামকরণ করা হয়। ১৯৩২ সনে নতুন করে অধীক্ষক নিয়োগ করে চিকিৎসালয়ের কাজ-কর্মের ভার অধীক্ষকের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮৩-৮৪ সনে ভারতের পরিকল্পনা আয়োগে [[উত্তর-পূর্ব ভারত|উত্তর-পূর্ব ভারতের]] মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ ও সেবার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করে। ১৯৮৭ সনে বর্হি রোগী বিভাগ নির্মাণ করে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ মানসিক চিকিৎসালয় স্থাপন করা হয়। ১৯৯৯ সনে উত্তর-পূর্ব পরিষদ ও অসম সরকারের সহিত সাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে এই চিকিৎসালয়ের সমস্ত দায়িত্ব উত্তর-পূর্ব পরিষদের হাতে ন্যস্ত হয়। ২০০৭ সনের ১জুন তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ চিকিৎসালয়টিকে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সর্বাংগসুন্দর অনুষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে<ref name="ইতিহাস">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.lgbrimh.org/History.html | শিরোনাম= |
১৯২২ সনে চিকিৎসা প্রণালী উন্নত করা হয় ও পাগলা গারদ নাম পরিবর্তন করে মানসিক চিকিৎসালয় নামে নামকরণ করা হয়। ১৯৩২ সনে নতুন করে অধীক্ষক নিয়োগ করে চিকিৎসালয়ের কাজ-কর্মের ভার অধীক্ষকের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮৩-৮৪ সনে ভারতের পরিকল্পনা আয়োগে [[উত্তর-পূর্ব ভারত|উত্তর-পূর্ব ভারতের]] মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ ও সেবার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করে। ১৯৮৭ সনে বর্হি রোগী বিভাগ নির্মাণ করে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ মানসিক চিকিৎসালয় স্থাপন করা হয়। ১৯৯৯ সনে উত্তর-পূর্ব পরিষদ ও অসম সরকারের সহিত সাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে এই চিকিৎসালয়ের সমস্ত দায়িত্ব উত্তর-পূর্ব পরিষদের হাতে ন্যস্ত হয়। ২০০৭ সনের ১জুন তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ চিকিৎসালয়টিকে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সর্বাংগসুন্দর অনুষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে<ref name="ইতিহাস">{{ওয়েব উদ্ধৃতি | ইউআরএল=http://www.lgbrimh.org/History.html | শিরোনাম=লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বৰদলৈ আঞ্চলিক মানসিক স্বাস্থ্য প্ৰতিষ্ঠানৰ ইতিহাস | প্রকাশক=LGBRIMH, Tezpur | সংগ্রহের-তারিখ=September 26, 2012}}</ref>।। |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
||
{{সূত্র তালিকা}} |
{{সূত্র তালিকা}} |
১২:০৪, ১২ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আঞ্চলিক মানসিক চিকিৎসালয় | |
---|---|
ভৌগোলিক অবস্থান | |
অবস্থান | তেজপুর, আসাম, ভারত |
সংস্থা | |
ধরন | মানসিক চিকিৎসালয় |
ইতিহাস | |
চালু | ১৮৭৬ |
সংযোগ | |
তালিকা | Hospitals in India |
লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আঞ্চলিক মানসিক চিকিৎসালয় (অসমীয়া: লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বৰদলৈ আঞ্চলিক মানসিক স্বাস্থ্য প্ৰতিষ্ঠান) হচ্ছে আসামের তেজপুরে অবস্থিত মানসিক চিকিৎসালয়। চিকিৎসালয়টির মোট আয়তন হচ্ছে ৮১ একর। চিকিৎসালয়টিতে মোট ৩৩৬জন পুরুষ ও মহিলা পৃথক পৃথক থাকার ব্যবস্থা, চিকিৎসক-কর্মচারীর জন্য আবাস, পেথোলোজিকেল পরীক্ষাগার, গ্রন্থাগার ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে।
ইতিহাস
ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের আগমণের সময় থেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষ থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য পাগলা গারদের ব্যবস্থা করা হয়েছিল[১]। ১৮৭৬ সনে ব্রিটিশেরা ঢাকা পাগলা গারদ থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ লোকদের স্থানান্তর করে তেজপুরে পাগলা গারদ স্থাপন করেন। গিরিশ চন্দ্র দাশ নামক এক চিকিৎসকের তত্বাবধানে পাগলদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু সেই সময়ে রোগীর হাত-পা বেধে চিকিৎসা করা হত ও প্রয়োজনসাপেক্ষে উন্মাদদের সেলে বন্দী করে রাখা হত। ১৯২২ সনে চিকিৎসা প্রণালী উন্নত করা হয় ও পাগলা গারদ নাম পরিবর্তন করে মানসিক চিকিৎসালয় নামে নামকরণ করা হয়। ১৯৩২ সনে নতুন করে অধীক্ষক নিয়োগ করে চিকিৎসালয়ের কাজ-কর্মের ভার অধীক্ষকের হাতে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৮৩-৮৪ সনে ভারতের পরিকল্পনা আয়োগে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশ ও সেবার ক্ষেত্রে গুরুত্ব আরোপ করে একটি উন্নয়ন কমিটি গঠন করে। ১৯৮৭ সনে বর্হি রোগী বিভাগ নির্মাণ করে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ মানসিক চিকিৎসালয় স্থাপন করা হয়। ১৯৯৯ সনে উত্তর-পূর্ব পরিষদ ও অসম সরকারের সহিত সাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে এই চিকিৎসালয়ের সমস্ত দায়িত্ব উত্তর-পূর্ব পরিষদের হাতে ন্যস্ত হয়। ২০০৭ সনের ১জুন তারিখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ চিকিৎসালয়টিকে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে সর্বাংগসুন্দর অনুষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করে[১]।।
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ "লোকপ্ৰিয় গোপীনাথ বৰদলৈ আঞ্চলিক মানসিক স্বাস্থ্য প্ৰতিষ্ঠানৰ ইতিহাস"। LGBRIMH, Tezpur। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |