মোনা লিসা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Habib Rabbi (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Mohammad ujjol hossen-এর করা 3129488 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Cleanup-rewrite}}
{{copyedit}}
{{Infobox Painting
{{Infobox Painting
| image_file=Mona Lisa, by Leonardo da Vinci, from C2RMF retouched.jpg
| image_file=Mona Lisa, by Leonardo da Vinci, from C2RMF retouched.jpg
১৯ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:
| museum=[[Musée du Louvre]]}}
| museum=[[Musée du Louvre]]}}


'''মোনা লিসা''' (ভুলভাবে '''মোনালিসা''') (ইংরেজি:'''''Mona Lisa''''' (ইতালীয়:'''''La Gioconda''''' বা ফরাসী: '''''La Joconde''''', বা '''''Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo''''')<ref name="Louvre">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|সংগ্রহের-তারিখ=11 March 2012|ইউআরএল= http://www.louvre.fr/en/oeuvre-notices/mona-lisa-–-portrait-lisa-gherardini-wife-francesco-del-giocondo|শিরোনাম=Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo |প্রকাশক=[[Musée du Louvre]]}}</ref>)একটি বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম। ইতালীর শিল্পী [[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]] ১৬ শতকে এই ছবিটি অঙ্কন করেন। ধারণা করা হয়, বিখ্যাত এই ছবিটি মোনা লিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ স্মরণে অঙ্কিত হয়। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে সনাক্ত করেছেন। শিল্পকর্মটি [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[লুভ্র্‌ যাদুঘর|ল্যুভ জাদুঘরে]] সংরক্ষিত আছে। ল্যুভ জাদুঘরের তথ্যমতে প্রায় ৮০% পর্যটক শুধু মোনালিসার চিত্র টি দেখার জন্য আসে।<ref name=nytimes>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
'''মোনা লিসা''' (ভুলভাবে '''মোনালিসা''') (ইংরেজি:'''''Mona Lisa''''' (ইতালীয়:'''''La Gioconda''''' বা ফরাসী: '''''La Joconde''''', বা '''''Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo''''')<ref name="Louvre">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|accessdate=11 March 2012|url= http://www.louvre.fr/en/oeuvre-notices/mona-lisa-–-portrait-lisa-gherardini-wife-francesco-del-giocondo|title=Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo |publisher=[[Musée du Louvre]]}}</ref>)একটি বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম। ইতালীর শিল্পী [[লিওনার্দো দা ভিঞ্চি]] ১৬ শতকে এই ছবিটি অঙ্কন করেন। ধারণা করা হয়, বিখ্যাত এই ছবিটি মোনা লিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ স্মরণে অঙ্কিত হয়। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে সনাক্ত করেছেন। শিল্পকর্মটি [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[লুভ্র্‌ যাদুঘর|ল্যুভ জাদুঘরে]] সংরক্ষিত আছে। ল্যুভ জাদুঘরের তথ্যমতে প্রায় ৮০% পর্যটক শুধু মোনালিসার চিত্র টি দেখার জন্য আসে।<ref name=nytimes>{{Cite web
|ইউআরএল= https://www.nytimes.com/2005/04/06/arts/design/06lisa.html?_r=1
|url= https://www.nytimes.com/2005/04/06/arts/design/06lisa.html?_r=1
|শিরোনাম=The New York Times > Arts > Art & Design > In Louvre, New Room With View of 'Mona Lisa'
|title=The New York Times > Arts > Art & Design > In Louvre, New Room With View of 'Mona Lisa'
|কর্ম=nytimes.com
|work=nytimes.com
|সংগ্রহের-তারিখ=4 January 2011
|accessdate=4 January 2011
}}</ref>
}}</ref>


==ইতিহাস==
==ইতিহাস==
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনা লিসার এই ছবিটি আঁকেন। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। এর একমাত্র কারণ মোনা লিসার সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসি যা পরবর্তীতে বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে এটি [[প্যারিস|প্যারিস শহরের]] [[লুভ্র্‌ যাদুঘর|ল্যুভ জাদুঘরে]] রাখা আছে। এটি ছিল শিল্পীর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং তিনি সবসময় এটিকে সঙ্গেই রাখতেন। আর তিনি নিজেই বলতেন এটি হলো আমার সেরা শিল্পকর্ম।
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি [[১৫০৩]] থেকে [[১৫০৬]] খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনা লিসার এই ছবিটি আঁকেন। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। এর একমাত্র কারণ মোনা লিসার সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসি যা পরবর্তীতে বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে এটি [[প্যারিস|প্যারিস শহরের]] [[লুভ্র্‌ যাদুঘর|ল্যুভ জাদুঘরে]] রাখা আছে। এটি ছিল শিল্পীর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং তিনি সবসময় এটিকে সঙ্গেই রাখতেন। আর তিনি নিজেই বলতেন এটি হলো আমার সেরা শিল্পকর্ম।
অবশ্য মোনা লিসাকে নিয়ে অনেক ধারণা আছে। কিছু গবেষক মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মা আবার কেউ মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বান্ধবী। তবে সাম্প্রতিক এক কম্পিউটার পরীক্ষায় দেখা গেছে মোনা লিসা'র সাথে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কিছুটা মিল রয়েছে। তাই মনে করা হয় হয়তো মোনা লিসা চিত্র কর্মটি না ছেলে না মেয়ে।
অবশ্য মোনা লিসাকে নিয়ে অনেক ধারণা আছে। কিছু গবেষক মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মা আবার কেউ মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বান্ধবী। তবে সাম্প্রতিক এক কম্পিউটার পরীক্ষায় দেখা গেছে মোনা লিসা'র সাথে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কিছুটা মিল রয়েছে। তাই মনে করা হয় হয়তো মোনা লিসা চিত্র কর্মটি না ছেলে না মেয়ে।
বর্তমান সময়ের বিখ্যাত লেখক [[ড্যান ব্রাউন]] এর রচয়িত বিখ্যাত বই [[দ্য দা ভিঞ্চি কোড]] প্রকাশিত হবার পর মোনা লিসা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা'র পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে এবং মানুষের মনে নতুন রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

লিওনার্দো ভিঞ্চির সৃষ্টি মোনালিসাকে পৃথিবীর
সবচেয়ে সুন্দরি মেয়ের ছবি বলা হয়।
কিন্তু মোনালিসার ছবির সৌন্দর্য ঠিক মোনালিসাতে নয়।
সৌন্দর্যটা এই ছবির রহস্যে। রং তুলিতে এই ছবি আঁকতে গিয়ে ভিঞ্চি জন্ম দিয়ে গেছেন অসংখ্য
রহস্যের। ১৫০৩ সালে ভিঞ্চি মোনা লিসা ছবিটি আঁকা শুরু করেন। ১৫১৫ সালে মোনালিসা আকার সময় তিনি রহস্যজনক ভাবে
মৃত্যবরণ করেন। ১২ বছর সময় নিয়ে আঁকা
মোনা লিসার ছবি সম্পূর্ণ না করেই তিনি মারা যান অর্থাৎ আমরা মোনালিসার যে ছবিটি এখন দেখি সেটিতে আরো কিছু আঁকার বাকি ছিল। মোনা লিসার ছবিটিকে যদি বিভিন্ন এঙ্গেল
থেকে দেখা হয় তবে মোনালিসা তার হাসি পরিবর্তন করে। এ যেন এক রহস্যময়ী মোনালিসা।
১৭৭৪ সালে সর্বপ্রথম প্যারিসের লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসার ছবিটির দেখা মিলে। কিন্তু ছবিটা মিউজিয়ামে
কিভাবে এল কিংবা কে আনল এমন প্রশ্নের উত্তর মিউজিয়ামের কর্মীরাই জানতোনা। কারণ তারা কাউকে ছবিটি নিয়ে আসতে দেখে। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
রহস্যময়ভাবে লুভর মিউজিয়ামে পৌছানো এই ছবি ১৯১১ সালে চুরি হয়ে যায়। রাতের আধারে চোরকে দেখে মিউজিয়ামের এক কর্মী পরদিনই চাকড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সে বলেছিল সে
চোরকে দেখেছে। সেই চোর আর কেউ
নয়। প্রায় ৩৫০ বছর আগে মারা যাওয়া ভিঞ্চি।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
১০ বছর পর এই ছবিটি আবার ওই মিউজিয়ামে পাওয়া যায়।
লুভর মিউজিয়াম কতৃপক্ষ ছবিটি সংরক্ষনের জন্য প্রায় ৫০
কোটি টাকা খরচ করে একটি নিরাপদ কক্ষ তৈরী
করে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}} এই ছবির বর্তমান মূল্যের তুলনায় ৫০ কোটি টাকা কিছুই
নয়। মোনালিসা ছবির বর্তমান অর্থমূল্য ৭৯০ মিলিয়ন ডলার।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
টাকায় পরিমানটা ৫৩৮০ কোটি টাকা।
মোনালিসা কে? প্রশ্নটির উত্তর ভিঞ্চি নিজেও দিয়ে যাননি। ২০০৫ সালে খুজে পাওয়া এক চিঠিতে অনেকে মোনালিসার পরিচয় খুজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন। ১৫০৩ সালে লেখা এই চিঠিতে ভিঞ্চির বন্ধু ফ্রান্সিস জিয়াকন্ড তার স্ত্রী লিসা জিয়াকন্ডের একটি ছবি আঁকতে ভিঞ্চিকে অনুরোধ করেন। আর ওই সময় ভিঞ্চি মোনালিসার ছবি আঁকা শুরু করেন।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}
২০০৪ সালে বিজ্ঞানী পাস্কেল পাটে মোনালিসার
ছবিকে আলাদা ভাগে ভাগ করে হাইডেফিনেশন
ক্যামেরায় ছবি তোলেন। পাস্কেল আবিষ্কার
করেন যে ভিঞ্চি যে রং ব্যাবহার করেছিলেন তার
স্তর ৪০ মাইক্রোমিটার।
অর্থাৎ একটি চিকন চুলের থেকেও পাতলা!
পাস্কেল আরো আবিষ্কার করেন যে মোনালিসার
ছবিতে আরো ৩টি চিত্র আছে। তাদের একটি সাথে লিসা জিয়াকন্ডের মুখের মিল খুজে পাওয়া যায়। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}} সম্ভবত ভিঞ্চি বন্ধুর অনুরোধে লিসার ছবিটিই আঁকছিলেন।
কিন্তু তিনি এমন কিছু দেখেছিলেন যা পুরো ছবিতে অন্য এক নতুন মুখের জন্ম দিয়ে দিয়েছে। সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সার্ভেতে মোনালিসা সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য পাওয়া যায়। মোনালিসাকে
দূর থেকে দেখলে মনে হয় সে হাসছে। কিন্তু
কাছে গিয়ে তার দিকে তাকালে মনে হয় সে
গভীরভাবে কোন কিছু চিন্তা করছে। মোনালিসার চোখের দিকে তাকালে তাকে হাসিখুশি মনে হয়।
কিন্তু তার ঠোটের দিকে তাকালেই সে হাসি গায়েব। সান্ডারলেন্ড ভার্সিটির ছাত্ররা মোনালিসার ছবির বামপাশ
থেকে আল্ট্রা ভায়োলেট পদ্ধতি ব্যাবহার করে
ভিঞ্চির লেখা একটি বার্তা উদ্ধার করে। বার্তাটি ছিল "লারিস্পোস্তা শ্রী তোভাকি"যার অর্থ"উত্তরটা এখানেই আছে"। যুগের পর যুগ মানুষকে মুগ্ধ করে আসা মোনালিসার এই ছবি দেখে জন্ম নেয়া হাজার প্রশ্নের মাঝে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিল, এই ছবি দিয়ে ভিঞ্চি কি বোঝাতে চেয়েছিলেন?" প্যারানোরমাল ম্যাগাজিনের একদল তরুন ছাত্র উত্তরটা বের করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। অবশেষে তারা যা জানিয়েছে সেটাও চমকে দেয়ার মত।
ভিঞ্চি মোনালিসার ছবির বামপাশে গোপন বার্তা
দিয়েছিলেন "উত্তর টা এখানেই আছে"।
সে বাম পাশকে আয়নার কাছে আনলে একটা ছবি তৈরী হয়। অবাক করার বিষয় এই তৈরী হওয়া ছবির জীবটিকে ভিঞ্চি ১৫০০ সালের দিকে দেখেছিলেন। ছবিটা একটা ভিনগ্রহের এলিয়েনের। {{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৪:৩১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মোনা লিসা
ইতালিয়: লা জকোন্দা (La Gioconda), French: লা জকোন্দা (La Joconde)
See adjacent text.
শিল্পীলিওনার্দো দা ভিঞ্চি
বছরc. 1503–1519
ধরনOil on poplar
অবস্থানMusée du Louvre, Paris

মোনা লিসা (ভুলভাবে মোনালিসা) (ইংরেজি:Mona Lisa (ইতালীয়:La Gioconda বা ফরাসী: La Joconde, বা Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo)[১])একটি বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম। ইতালীর শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৬ শতকে এই ছবিটি অঙ্কন করেন। ধারণা করা হয়, বিখ্যাত এই ছবিটি মোনা লিসার দ্বিতীয় পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ স্মরণে অঙ্কিত হয়। অনেক শিল্প-গবেষক রহস্যময় হাসির এই নারীকে ফ্লোরেন্টাইনের বণিক ফ্রান্সিসকো দ্য গিওকন্ডোর স্ত্রী লিসা গেরাদিনি বলে সনাক্ত করেছেন। শিল্পকর্মটি ফ্রান্সের ল্যুভ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ল্যুভ জাদুঘরের তথ্যমতে প্রায় ৮০% পর্যটক শুধু মোনালিসার চিত্র টি দেখার জন্য আসে।[২]

ইতিহাস

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি ১৫০৩ থেকে ১৫০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে একটি পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনা লিসার এই ছবিটি আঁকেন। চিত্রকলার ইতিহাসে এই চিত্রকর্মটির মতো আর কোনটি এত আলোচিত ও বিখ্যাত হয়নি। এর একমাত্র কারণ মোনা লিসার সেই কৌতূহলোদ্দীপক হাসি যা পরবর্তীতে বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে এটি প্যারিস শহরের ল্যুভ জাদুঘরে রাখা আছে। এটি ছিল শিল্পীর সবচেয়ে প্রিয় ছবি এবং তিনি সবসময় এটিকে সঙ্গেই রাখতেন। আর তিনি নিজেই বলতেন এটি হলো আমার সেরা শিল্পকর্ম। অবশ্য মোনা লিসাকে নিয়ে অনেক ধারণা আছে। কিছু গবেষক মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির মা আবার কেউ মনে করেন মোনা লিসা হলো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বান্ধবী। তবে সাম্প্রতিক এক কম্পিউটার পরীক্ষায় দেখা গেছে মোনা লিসা'র সাথে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির কিছুটা মিল রয়েছে। তাই মনে করা হয় হয়তো মোনা লিসা চিত্র কর্মটি না ছেলে না মেয়ে। বর্তমান সময়ের বিখ্যাত লেখক ড্যান ব্রাউন এর রচয়িত বিখ্যাত বই দ্য দা ভিঞ্চি কোড প্রকাশিত হবার পর মোনা লিসা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা'র পরিবর্তন ঘটতে শুরু করেছে এবং মানুষের মনে নতুন রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "Portrait of Lisa Gherardini, wife of Francesco del Giocondo"Musée du Louvre। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১২ 
  2. "The New York Times > Arts > Art & Design > In Louvre, New Room With View of 'Mona Lisa'"nytimes.com। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১১ 

বহিঃসংযোগ